রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

সরকার পতনের জন্য বেগম জিয়া কঠিন কর্মসূচি দেননি


গেল সপ্তাহে দুই নেত্রী গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তার শাসনের তিন বছর পালন উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন। অন্যদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে রোডমার্চের কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে এক বিশাল জনসভায় ভাষণ দিয়েছেন বেগম জিয়া। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের চাইতে বেগম জিয়ার ভাষণ ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কেননা তিনি সরকার পতনের জন্য কোনো হঠকারী কর্মসূচি দেননি। আগামী ১২ মার্চ তিনি ঢাকা এক সমাবেশের ডাক দিয়েছেন।  তবে যা গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে তিনি স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল ছাড়া তাঁর নেতৃত্বাধীন জোট দশম জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে না। বেগম জিয়া কোনো কঠিন কর্মসূচি না দেয়ায় (বিশেষ করে হরতাল, অবরোধ), পরোক্ষভাবে তাঁর প্রশংসা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ। তিনি রোডমার্চের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের পক্ষে। বেগম জিয়া তাঁর রোডমার্চ কর্মসূচিতে ব্যাপক জনসমর্থন পেয়েছেন। বেগম জিয়া তরুণ ও অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে সম্পদের সঠিক ব্যবহারের কথা বলেছেন। তিনি দুর্নীতি দূর, দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ, যানজটমুক্ত শহর, কৃষকদের পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি মহাজোট সরকারের তিন বছরের শাসনকে ‘প্রতারণার শাসন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। বেগম জিয়া বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেছেন। ট্রানজিটের নামে করিডোর দেয়ার অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, ক্ষমতায় আসার জন্য ভারতীয়দের যেসব কথা দিয়েছিল, সব তারা রক্ষা করেছে। নদীর ওপর বাঁধ দিয়ে ভারতের গাড়ি চলার ব্যবস্থা করছে। এতে কৃষি ও পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে। রাষ্ট্রপতি যে সংলাপের আয়োজন করেছেন, তাঁকে তিনি ‘সাজানো সংলাপ’ হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে দলীয় লোক নিয়োগে তারা সচেষ্ট। বেগম জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল ও অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানান।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে যে ভাষণ দিয়েছেন গত ৫ জানুয়ারি, তাতে তিনি তাঁর সরকারের সাফল্যগাঁথাই গেয়েছেন বেশি করে এবং বিরোধী দলকে সমালোচনা করতেও তিনি ভোলেননি। একদিকে তিনি যখন সরকার পরিচালনায় বিরোধী দলের সহযোগিতা চান, আর অন্যদিকে বিরোধী দলকে সমালোচনা করে তিনি এটাই প্রমাণ করলেন বিরোধী দলের সহযোগিতা তিনি আসলে চান না। দিকনির্দেশনামূলক কোনো বক্তব্য তাঁর ভাষণে নেই। সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রীর দফতর বদল হয়েছে। কিন্তু অতীতে তার অতি কথনে মানুষ ছিল বিরক্ত। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কোনো বক্তব্য নেই। এখানেও তিনি সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলের।
সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির অবস্থা ভালো নয়। দেশে বিশ্বমন্দার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে সরকার যখন ক্ষমতা নেয়, তখন মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬.০৬ ভাগ, আর মূল্যস্ফীতির হার এখন ১১.৫৮ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার ব্যাপারে বিরোধী দলের মতামত প্রয়োজন। সরকারের ভর্তুকি নিয়েও সমস্যা রয়েছে। ক্ষমতা নেয়ার সময় ভর্তুকি ছিল ৯ হাজার কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরে ভর্তুকির পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে ৪৬ হাজার কোটি টাকায়। রফতানি খাতে কিছুটা ধীরগতি লক্ষ্যণীয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩.৫৫ শতাংশ কম রফতানি হয়েছে। আর নভেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও প্রায় ১৭ শতাংশ কম এসেছে রফতানি আয়। আর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকে গেল বছরের শেষের দিন থেকে। ভর্তুকির চাপ কমাতে ও বিদেশি সাহায্য সময়মতো ছাড় না পাওয়ায় অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের পরিমাণ বাড়তে থাকে। গত অক্টোবর পর্যন্ত তা ২২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। চলতি বছর জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে মনে হয় না। ২০১০-১১ অর্থবছরের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.৭ শতাংশ। চলতি বছর জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ৭ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও তা অর্জিত হবে বলে মনে হয় না। (কালের কণ্ঠ, ৬ জানুয়ারি)। ডলারের সাথে টাকার মান কমে যাওয়ায় অর্থনীতিতে তা বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। ইউরোপে মন্দা বিরাজ করায় রফতানি অর্ডার কমে যাওয়ার কারণে প্রায় সাড়ে তিন হাজার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। অর্থনীতির এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, সে ব্যাপারে বিরোধী দলের মতামত প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে এ ব্যাপারে বিরোধী দলের মতামত চাইতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা চাননি।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেছেন, তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন বাড়িয়েছেন। চাকরির বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছরে করা হয়েছে। কিন্তু যে প্রশ্নটি সহজেই করা যায় তা হচ্ছে চাকরির বয়সসীমা বাড়ানো আমলাদের দক্ষতা প্রমাণ করে না। সারা বিশ্বব্যাপী যেখানে কৃচ্ছ্রসাধন চলছে, সেখানে মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সচিবদের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু অনেক সচিবের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। বয়সের কারণে এবং দলীয় বিবেচনায় অনেকে সচিব পর্যায়ে পদোন্নতি পেয়েছেন, কিন্তু তারা অনেকেই অদক্ষ। এসব অদক্ষ আমলাদের নিয়ে সরকার তার লক্ষ্যমাত্রা কতটুকু অর্জন করবে, সে প্রশ্নই থেকে যায়।
গত ৩ জানুয়ারি পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী পুলিশ বাহিনীর জন্য ৫টি সচিব পদ সৃষ্টির কথা ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী এই ঘোষণা শীর্ষস্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের খুশি করলেও (যারা এখন সচিব হতে পারবেন), সামগ্রিকভাবে জনসাধারণের কাছে পুলিশ বাহিনীর জন্য আস্থার জায়গাটা কী তৈরি হয়েছে? প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে খুব কিছু বলেননি। কিন্তু সংবাদপত্রগুলো মহাজোট সরকারের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে চিত্র তুলে ধরেছে, তা কোনো আশার কথা বলে না। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মহাজোট সরকারের ৩ বছরে সারাদেশে হত্যাকাণ্ড হয়েছে ৯১০৪টি, অপহরণ হয়েছে ১২৮০টি, ক্রসফায়ার হয়েছে ৪০৪টি, গুপ্তহত্যা হয়েছে ৭১টি, রাজনৈতিক খুন ৬০০, চাঞ্চল্যকর ৩টি হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ২৩ আসামিকে দণ্ডাদেশ মওকুফ, শাসক দলের ৭১০০ নেতাকর্মীর মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। (যুগান্তর, ২ জানুয়ারি ২০১২)।
এই চিত্র পুলিশ বাহিনীর সফলতা প্রমাণ করে না। তবুও প্রধানমন্ত্রী পুলিশের জন্য ৫টি সচিব পদ সৃষ্টি করেছেন। একই সঙ্গে পুলিশ পরিদর্শকদের প্রথম শ্রেণী ও উপ-পরিদর্শকদের দ্বিতীয় শ্রেণীতে ্উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছেন। এর ফলে সামগ্রিকভাবে সরকারের খরচ আরো বাড়বে। বিশ্বমন্দার এই যুগে এই ব্যয় বৃদ্ধি কাম্য নয়। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা এখনই কার্যকরী করার প্রয়োজন নেই।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে তার অর্জনের কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু পত্র-পত্রিকায় যখন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনের দৌরাত্ম্য ও মাস্তানীর সংবাদ প্রকাশিত হয়, তখন কী প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যকে ম্লান করে দেয় না? জাহাঙ্গীরনগর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সাতক্ষীরা ছাত্রলীগের মতো  সারা দেশজুড়ে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড (টেন্ডারবাজি, মাস্তানী, হত্যাকাণ্ড, শ্লীলতাহানি) মহাজোট সরকারের অনেক অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যখাতে তার সরকারের সাফল্যের কথা বলেছেন বটে, কিন্তু সংবাদপত্রই বলে দেয় অনিয়ম নিয়োগ বাণিজ্যে অনেক সাফল্য ম্লান হয়ে গেছে। (সমকাল, ৫ জানুয়ারি ২০১২)।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্র সফলতার(?) কথা বললেও বাস্তবতা হচ্ছে মহাজোট সরকারের গত তিন বছরে পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়। এতে করে তুলনামূলক বিচারে ভারতের অর্জন বেশি, বাংলাদেশের অর্জন কম। অতিমাত্রায় ভারত নির্ভরতা আমাদের পররাষ্ট্রনীতির বহুপাক্ষিকতার চরিত্রকে নষ্ট করেছে। পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নে দুইজন উপদেষ্টার ‘বিতর্কিত ভূমিকা’ কার্যত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভূমিকাকে খর্ব করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশ সফরে ব্যস্ত সময় কাটালেও, দেশের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো সম্মান তিনি বয়ে আনতে পারেননি। কখনো কখনো তাঁর শিশুসুলভ আচরণ (ফটো তোলা, অটোগ্রাফ দেয়া), পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তাঁর অবস্থানকে দুর্বল করেছে। বাংলাদেশ যখন টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণে ভারতের উদ্যোগকে প্রতিবাদ করতে পারে না, যখন তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিতে ভারতকে রাজি করাতে পারে না, তখন আমাদের পররাষ্ট্রনীতির দৈন্যদশাই ফুটে ওঠে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর চীন ও মিয়ানমার সফরের পর দেশ দুটোর সাথে আমাদের সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, তা বলা যাবে না। অথচ পররাষ্ট্রনীতিতে ভারসাম্য রক্ষার জন্য এ দুটো দেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
ড. মোহাম্মদ ইউনূস ইস্যু ও র‌্যাবের ভূমিকা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক কিছুটা ভাটা লক্ষ্য করা যায়। হিলারী কিনটন মিয়ানমার সফরে এলেও বাংলাদেশ সফর করা থেকে বিরত থাকেন। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে পররাষ্ট্রনীতির কোনো দিকনির্দেশনা নেই। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে পদ্মা সেতুর  কথা উল্লেখ করেছেন বটে, কিন্তু অর্থ প্রাপ্তির বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। বিশ্বব্যাংক অর্থ বিনিয়োগ করবে, এমন কোনো কথা প্রধানমন্ত্রী বলেননি। কিন্তু সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে উল্লেখিত দুর্নীতির অভিযোগ মহাজোট সরকারের ভাবমূর্তি যে নষ্ট করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই সাথে অনেক অদক্ষ মন্ত্রী সরকারের কর্মকাণ্ডে কোনো গতি আনতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের দুর্বলতা এখানেই।
দুই নেত্রীর ভাষণের মধ্যে দিয়ে কতগুলো বিষয় সামনে চলে এলো। এক. তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল। এটা না হলে বিএনপি তথা জাতীয়তাবাদী জোট নির্বাচনে অংশ নেবে না। ‘বল’ এখন সরকারের কোটে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরকারকেই। দুই. নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে রাষ্ট্রপতির সংলাপ ফলপ্রসূ হবে না, যদি না তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে সরকার নমনীয় না হয়। তিন. ১২ মার্চের ঢাকা সমাবেশের আগে বিরোধী দল সরকারের কাছ থেকে একটা সুস্পষ্ট জবাব চায়। সরকার যদি ইতিবাচক সাড়া না দেয়, তাহলে বিরোধীদল বাধ্য হবে কঠোর কর্মসূচি দিতে। যাতে লাগাতার হরতাল কিংবা ঘেরাও এর মতো কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে। চার. বেসামাল অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে বিরোধী দলের সাথে আলাপ-আলোচনাটা জরুরি। সরকারের যদি শুভবুদ্ধির উদয় না হয়, তাহলে সরকার বিরোধী দলের সাথে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংলাপে বসবে। কিন্তু সরকারের একক সিদ্ধান্ত  ও বিরোধী দলকে উপেক্ষা করা গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনার পরিপন্থী। তথাকথিত যুদ্ধাপরাধী হিসেবে শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদদের জেলে আটকে রেখে বিচারের নামে যে প্রহসন চলছে, তাতে শংকিত এ দেশের মানুষ। এমনি এক পরিস্থিতিতে একটি সমঝোতা প্রয়োজন। ইতিহাস বলে সমঝোতা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। বেগম জিয়ার চট্টগ্রামে দেয়া ভাষণ একটি ক্ষেত্র তৈরি করেছে। এখন সরকার যদি আন্তরিক হয়, যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ব্যাপারে একটি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে, আমাদের বিশ্বাস আমরা একটা বড় ধরনের সঙ্কট এড়াতে পারবো।

0 comments:

Post a Comment