১
সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি ৩৬ বছরে পা দিয়েছে। শহীদ
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে বিএনপির জন্ম দিয়েছিলেন
১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বরে। এই ৩৬ বছরের মধ্যে টানা তিন তিনবার বিএনপি
ক্ষমতায় ছিল ১৯৭৮-৮২, ১৯৯১-৯৬, ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত। সাময়িক ক্ষমতার
বাইরে থাকলেও বিএনপি বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু ৫ জানুয়ারির
দশম সংসদের নির্বাচন বিএনপি বয়কট করায় সংসদীয় রাজনীতি থেকে বিএনপি ছিটকে
পড়েছে। কিন্তু বিএনপি নিজেকে বাংলাদেশের অন্যতম একটি রাজনৈতিক শক্তিতে
পরিণত করেছে। ফলে বিএনপিকে নিয়ে দেশে ও বিদেশে আগ্রহ বেশি। ‘‘বিদেশে এখনো
‘সকল’ দলের অংশগ্রহণে হবে একটি নির্বাচন’’ এ কথা বলা হয়। তাই বিএনপির
ভূমিকা অনেকের কাছেই আলোচনার একটি অন্যতম বিষয়। আমরা বারবার বলে আসছি
বিএনপির অতীত যাই থাকুক না কেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে আরো উচ্চতায় নিয়ে
যেতে হলে সরকারকে বিএনপির সঙ্গে একটি সমঝোতায় যেতেই হবে। এই সমঝোতার ধরন
যাই হোক না কেন, বিএনপিকে আস্থায় নিতে না পারলে দেশের রাজনৈতিক সংকট আরো
গভীরতর হবে। বিএনপি সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকায় নেই। এই মুহূর্তে বেগম জিয়া
সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা নন, সংসদীয় ভাষায় তিনি ‘ছায়া প্রধানমন্ত্রী’ নন। নবম
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০০৮, ডিসেম্বর) বিএনপির ভরাডুবি বিএনপিকে ক্ষমতার
বাইরে ঠেলে দেয়। কিন্তু মাত্র ৩০টি আসন পাওয়া বিএনপিকে যদি সেই বিবেচনায়
বিচার করা হয়, তাহলে সেটা হবে আমাদের জন্য বড় ভুল। কেননা ওই নির্বাচনেও
বিএনপি শতকরা ৩২ দশমিক ৪৫ ভাগ ভোট পেয়েছিল। আর চারদলীয় জোটকে যদি বিবেচনায়
নিই, তাহলে ৩৭ ভাগ জনগোষ্ঠীর সমর্থন ছিল এই জোটের পেছনে। এটাই হচ্ছে মূল
সমস্যা এই ৩৭ ভাগ জনগোষ্ঠীকে বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে না। যদিও চার দল এখন বেড়ে
হয়েছে ২০ দলীয় জোট। গত প্রায় ৯ মাসে বিএনপির রাজনীতি পর্যবেক্ষণ করলে
যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়ে তা হচ্ছে বিএনপির রাজনীতিতে কোনো ‘হঠকারিতা’
লক্ষ্য করা যায়নি। অর্থাৎ পরিস্থিতি বিএনপির অনুকূলে থাকলেও বিএনপি বারবার
হরতাল দেয়নি। হরতাল দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতি করে। বিদেশিদের কাছে দেশের
ভাবমূর্তি নষ্ট করে। দাতারা বেশ কিছু দিন ধরেই এই হরতালের বিরুদ্ধে
প্রকাশ্যেই কথা বলে আসছে। ধারণা করছি বিএনপি দাতাগোষ্ঠীর কাছে তার
গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর স্বার্থেই হরতালের মতো কোনো কর্মসূচি দেয়নি। তবে বেগম
জিয়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন-তিনি প্রয়োজনে হরতাল ও লাগাতার হরতালও দিতে
পারেন। স্পষ্টতই এটা একটা হুঁশিয়ারি। এ জন্যই আমরা বারবার একটা সমঝোতার
কথা বলছি। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে এই সমঝোতাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেগম
জিয়া ইতোমধ্যে ভারতীয় নেতাদের সঙ্গে দলের সম্পর্ক বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।
মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বেগম জিয়াকে ভারতবিরোধী কোনো বক্তব্য দিতে দেখা
বা শোনা যায়নি। এমনকি শুল্কমুক্তভাবে ত্রিপুরায় চাল সরবরাহ করা হলেও
(বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে) বিএনপি কোনো মন্তব্য করেনি। তিনি তার
বক্তব্যে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা বারবার বলে আসছেন। সমমর্যাদার কথা
বলেছেন। যদিও সেই সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বাংলাদেশ ভারতীয় ‘বাণিজ্য
নীতির ফাঁদে’ আটকা পড়ে আছে অনেক দিন থেকে। অর্থাৎ ভারতীয় বাণিজ্য নীতি এমন
যে, একটি বড় ধরনের বাণিজ্যিক ভারসাম্য সৃষ্টি হয়েছে, যা ভারত ব্যবহার করছে
তার স্বার্থে। ভারত তথাকথিত বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধার কথা ঘোষণা
করলেও বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যায় বাংলাদেশের রফতানি আয় কমে গেছে। রফতানি
উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ২০১১-১২ অর্থবছরে ভারতে বাংলাদেশ রফতানি করেছে
মাত্র ৪৯ কোটি ৮৪ লাখ ডলারের পণ্য (আগের বছরের আয় ৫১ কোটি ২৫ লাখ ডলার)।
এতে দেখা যায় রফতানি আয় কমেছে (কালের কণ্ঠ, ১৮ জুলাই, ২০১২)। ২০১২ সালের ৬ ও
৭ সেপ্টেম্বর মনমোহন সিং বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। তখন ৪৬টি পণ্যের
শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের কথা তিনি ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু দেখা গেল ভারত
অনেক বাধা দূর করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বেগম জিয়া তার ভারত সফরের সময় এই
বিষয়টি ভারতীয় নেতাদের কাছে স্পষ্ট করেছিলেন অশুল্ক বাধা দূর করতে হবে। এতে
বাংলাদেশ তার বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে পারবে। অন্যদিকে বারবার
প্রতিশ্রুতি দেয়া সত্ত্বেও সীমান্ত হত্যা বন্ধ হচ্ছে না। একতরফাভাবে ভারতীয়
বিএসএফ প্রতিনিয়ত বাংলাদেশিদের হত্যা করছে। এই হত্যা বন্ধ হচ্ছে না। এসব
ক্ষেত্রে অতীতের মতো বেগম জিয়া বা বিএনপিকে সোচ্চার হতে দেখা যায়নি। ফলে
এটা এখন পরিষ্কার বেগম জিয়া কঠোর কোনো ভারতবিরোধী বক্তব্য দিয়ে ভারতের
নীতি-নির্ধারকদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করতে চান না। কর্মীদের কাছে বিষয়টি
বেশ স্পষ্ট। অনেকেই এ ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত।বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের
সম্পর্ক নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে। জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হলেও জামায়াত ২০
দলীয় জোট এখনো ছাড়েনি। তবে জামায়াত নেতাদেরর যেমনি বিএনপির ব্যাপারে
রিজার্ভেশন আছে, ঠিক তেমনি বিএনপির নেতারাও জামায়াত নেতাদের সঙ্গে একটা
দূরত্ব রেখে চলছেন। প্রকাশ্যে তারা এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও ভেতরে
ভেতরে তারা বিভিন্ন সময় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। কখনো কখনো তাদের এই
মন্তব্য প্রকাশও পেয়েছে। মিডিয়াতেও এসেছে মাঝে-মধ্যে। বিএনপির তরুণ
প্রজšে§র মাঝে প্রশ্ন আছে। তারা যুদ্ধাপরাধীদের ব্যাপারেও বেশ সোচ্চার। তবে
বাস্তবতা হচ্ছে বিএনপি যেমনি জামায়াতকে ছাড়তে পারবে না, ঠিক তেমনি
জামায়াতও ছাড়তে পারবে না বিএনপিকে। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে তার
অবস্থান এখনো ধরে রেখেছে। সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বলে কিছু
নেই। কিন্তু তারপরও এ প্রশ্নে সংলাপ হতে পারে। কেননা ক্ষমতাসীন মহাজোটের
সমর্থকদের কেউ কেউ চাচ্ছেন নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে একটি
সরকার হোক, যাদের কাজ হবে শুধু নির্বাচন পরিচালনা করা। এমনকি দাতাগোষ্ঠীর
প্রায় সবাই একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু সরকারের
তাতে রয়েছে আপত্তি। প্রধানমন্ত্রী অতীতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও এই
সরকারে বিএনপি যোগ দিতে পারে এমন প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। কিন্তু
প্রধানমন্ত্রীকে রেখে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, সেই সরকারে যোগ দেবে না
বিএনপি এটা জানাতেও ভোলেননি বেগম জিয়া। এই যখন পরিস্থিতি তখন বিএনপিকে নিয়ে
প্রশ্ন থাকবেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে ২০১৯ সালে। কিন্তু ওই
নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। বেগম জিয়া কোরবানির পর
আন্দোলনের কথা বলেছেন। হরতালও আসতে পারে। তাই সামনের দিনগুলো আমাদের জন্য
ভালো নয়। হরতাল ও লাগাতার হরতালের দিন আসছে। ২০১৫ সালটি আমাদের জন্য হবে
চরম সংকটের বছর। হরতাল দিয়ে, মহাসমাবেশ ডেকে কিংবা ঢাকা অবরোধ করে সরকারকে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে বাধ্য করানো যাবে বলে মনে হয় না। তাই আমরা চাই
শুভবুদ্ধির উদয় হোক। রাজনৈতিক সংকট দেশটির ভাবমূর্তির জন্য কোনো ভালো সংবাদ
নয়। এমনিতেই দুর্নীতির কারণে, গার্মেন্টস শিল্পে অব্যবস্থাপনার কারণে
বিদেশে আমাদের ভাবমূর্তি অনেক নষ্ট হয়েছে। এখন যদি রাজনৈতিক সংকট আরো
ঘনীভূত হয়, তাহলে আমাদের জন্য আগামীতে কোনো ভালো সংবাদ বয়ে আনবে না। সরকার
বিএনপিকে এমন অবস্থায় ঠেলে দিয়েছে, যেখান থেকে বিএনপির আর ফেরত আসারও কোনো
সুযোগ নেই। তাই একটি ‘সংলাপ’ হোক। এ ক্ষেত্রে বিএনপিকে যেমনি কিছুটা ছাড়
দিতে হবে, ঠিক তেমনি ছাড় দিতে হবে সরকারকেও। কিন্তু সরকারের
নীতি-নির্ধারকদের কেউ কেউ যে ভাষায় কথা বলছেন এবং বিএনপিকে যেভাবে ‘মাইনাস’
করতে চাচ্ছেন, তা বাংলাদেশের চলমান রাজনীতির জন্য কোনো ভালো খবর নয়।
পারস্পরিক অবিশ্বাস এখন চরম পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে
অতীতের প্রতিটি ঘটনার জন্য বিএনপিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে লন্ডন
থেকে তারেক রহমান বিভিন্ন সময় যে বক্তব্য দেন, তা মাঝে-মধ্যেই রাজনীতিতে
উত্তাপ্ত সৃষ্টি করছে। তারেক রহমানের এ ধরনের বক্তব্য একটি রাজনৈতিক কৌশল।
কর্মীদের ধরে রাখা ও উজ্জীবিত করার জন্যই তিনি এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন।
তারেক রহমান দলের দ্বিতীয় ব্যক্তি। তিনিই দলের হাল ধরবেন এবং বিএনপির
নেতৃত্ব দেবেন। তবে তারেক রহমানকে নিয়ে একটা ভয় আমার থেকেই গেল। তারেক
রহমান না আবার একজন আলতাফ মাহমুদের মতো হয়ে যান! পাকিস্তানের এমকিউএম নেতা
আলতাফ দীর্ঘদিন ধরেই লন্ডনে বসবাস করছেন এবং সেখান থেকে পাকিস্তানের
এমকিউএমকে পরিচালনা করছেন। একাধিকবার তার পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা
থাকলেও তিনি পাকিস্তানে ফিরে যাননি কিংবা ‘মন্ত্রী’ হননি। এটা নিঃসন্দেহে
বলা যায়, তারেক রহমান হচ্ছেন বিএনপির জন্য ঐক্যের প্রতীক। কিন্তু তাকে দেশে
আদৌ ঢুকতে দেয়া হবে এটা মনে হয় না। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আওয়ামী
লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তিনি দেশে প্রবেশ করেছিলেন। তারেক রহমানের সঙ্গে
তার পার্থক্যটা এখানেই। তবে তথ্যপ্রযুক্তির এই সময় লন্ডনে বসে দল পরিচালনা
করা খুব কঠিন কিছু নয়।৩৬ বছরে পা দিয়ে বিএনপিকে নতুন কর্মসূচি উপস্থাপন
করতে হবে। তারেক রহমানের ভাবনায় এই কর্মসূচির কথা আছে। এটাকে আরো
বিস্তারিত করে ও বিশ্ব অর্থনীতি তথা বিশ্ব ব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বিত করে
নতুন এক দিকদর্শন উপস্থাপন করা জরুরি। স্থায়ী কমিটিতেও তরুণ নেতৃত্ব থাকা
দরকার। স্থায়ী কমিটিতে যারা আছেন, তাদের অনেকেই অসুস্থ, বয়সের ভারে
ক্লান্ত। দলের জন্য সময় দিতে পারেন না। আন্দোলনে থাকেন না। মাঠে তাদের দেখা
যায় না। তাই পরিবর্তন প্রয়োজন। কোনো কোনো সিনিয়র নেতা সম্পর্কে নানা কথা
শোনা যাচ্ছে। বিদেশে অবস্থান করে কেউ কেউ আন্দোলন থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে
রেখেছেন। তবে এটা ঠিক, অতীতেও জিয়া পরিবারের বাইরে গিয়ে আলাদাভাবে বিএনপিকে
সংগঠিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, কিন্তু তা সফল হয়নি। মূল ধারাতেই আবার
ফিরে এসেছিলেন সবাই। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বিএনপি এখন এক কঠিন
সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। একের পর এক মামলা দেয়া হচ্ছে নেতা ও কর্মীদের
বিরুদ্ধে। কখনো কখনো দলীয় কার্যালয়ে ঢুকতে পর্যন্ত দেয়া হয় না
নেতাকর্মীদের। সংসদে বিএনপি না থাকায় এর গ্রহণযোগ্যতা মারাত্মকভাবে হ্রাস
পেয়েছে এটা বলা যাবে না। বাস্তবতাই হচ্ছে বাংলাদেশে যে দ্বিদলীয় রাজনীতির
জন্ম হয়েছে, সেখানে বিএনপি অন্যতম একটি শক্তি। বিএনপিকে বাদ দিয়ে যে
রাজনৈতিক সংস্কৃতি, সেই সংস্কৃতি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে আরো উচ্চতায় নিয়ে
যাবে না। তৃতীয় শক্তি হিসেবে জাতীয় পার্টি আছে ও থাকবে। কিন্তু জাতীয়
পার্টিকে আওয়ামী লীগের বিকল্প ভাবা বা চিন্তা করা ঠিক নয়। জাতীয় পার্টি
আওয়ামী লীগের বিকল্প হতে পারে না। বিএনপিই আওয়ামী লীগের বিকল্প। জাতীয়
পার্টি রাজনীতিতে থাকবে। তবে এরশাদের অবর্তমানে এই পার্টির অস্তিত্ব আদৌ
থাকবে বলে মনে হয় না। ৩৬ বছরে পা দেয়া একটি দল সম্পর্কে চূড়ান্ত মন্তব্য
করার সময় এখনো আসেনি। তবে একটা কথা বলা যায় যে ‘রাজনীতি’কে ধারণ করে
বিএনপির জন্ম ও বিকাশ ঘটেছিল, সেই ‘রাজনীতি’ থেকে যাবে। বাস্তবতা এটাই
বিএনপিকে নিয়েই বাংলাদেশের রাজনৈতিক উন্নয়ন সাধন করতে হবে, বিএনপিকে বাদ
দিয়ে নয়। প্রতিটি দলের স্ট্রাটেজিতে ভুল-ত্রুটি থাকে। বিএনপিরও আছে। কিন্তু
‘অত্যাচার ও নির্যাতনের’ পরও যে দলটি প্রায় ৩৩ ভাগ জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব
করে, সেই দলটিকে ফেলে দেয়া যাবে না। আমাদের সবার উপলব্ধিতে এই ‘সত্যটি’
যদি আসে, তাহলেই আমাদের মঙ্গল।
Daily Manobkontho
02.09.14
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment