রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

চুয়াত্তর বছরের জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যবস্থা




advertisement
জাতিসংঘ চুয়াত্তর বছরে পা দিয়েছে। ১৯৪৫ সালের ২৬ জুন জাতিসংঘ চার্টারে স্বাক্ষর করেছিল ৫০টি দেশের সরকারপ্রধানরা। আর ২৫ অক্টোবর ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ একটি বিশ্ব সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। প্রতিবছরই সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বসে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এই অধিবেশন শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অধিবেশনে যোগ দিয়ে ভাষণ দিয়েছেন। এটা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশন। এবারের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন একাধিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরুর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর ১৮৫টি দেশে স্কুলের ছাত্ররা রাস্তায় বেরিয়ে এসে ক্লাইমেট প্রোটেস্ট (Climate Protest) মার্চে অংশ নিয়েছে। বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিবেশ বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে। সুইডেনের ১৬ বছরের কিশোরী গ্রেটা থানবার্গের ব্যক্তিগত প্রতিবাদ কীভাবে বিশ্বে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের প্রাক্কালে বিশ্ব তা প্রত্যক্ষ করেছে। দ্বিতীয়ত, পারস্য উপসাগরে উত্তেজনা এবং ইরান-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধের একটি সম্ভাবনা। সিরিয়া সংকটের সমাধান যখন এখনো হয়নি, লিবিয়া যখন কার্যত একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, তখন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এই অঞ্চলে চতুর্থ একটি যুদ্ধের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই জাতিসংঘের ভূমিকা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। সুতরাং এই বিশ্ব সংস্থাটি আগামী ৭০ বছর টিকে থাকতে পারবে কিনা, সেটাও বড় প্রশ্ন এখন।
১৯৪৫ সাল থেকে ২০১৯ সময়টা একেবারে কম নয়। এই সময়সীমায় বিশ্বব্যবস্থায় নানা পরিবর্তন এসেছে। স্নায়ুযুদ্ধের অবসান হয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেছে। কলোনিগুলো স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু একুশ শতকে এসে বিশ্ব প্রত্যক্ষ করছে নানাবিধ সমস্যা। আফ্রিকায় গৃহযুদ্ধ, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার ব্যর্থতা, ধনী ও গরিব দেশগুলোর মধ্যে পার্থক্য দূর করা, মধ্যপ্রাচ্যে উগ্রপন্থি রাজনীতির বিকাশ, বিশ্বব্যাপী দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি, যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃত্ব করার প্রবণতা এবং সর্বশেষ বিশ্বের উষ্ণতা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে জাতিসংঘের ব্যর্থতা এই বিশ্ব সংস্থাটির ভূমিকাকে একটি প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিটি সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এটা বলা হচ্ছে যে, জাতিসংঘ উন্নয়নশীল বিশ্বের স্বার্থ রক্ষা করতে পারছে না। অধিবেশনে বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানরা নিজ নিজ দেশের সমস্যা নিয়ে কথা বলেন, জাতিসংঘকে সহায়তা করার আহ্বান জানান। এর পর আর জাতিসংঘকে তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। তবে অনেক ব্যর্থতার মাঝেও জাতিসংঘের সাফল্য যে একেবারে নেই তা বলা যাবে না। ১৯৯০ সালে প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধ ও কুয়েত শত্রুমুক্ত করা, এল সালভাদর, কম্বোডিয়া কিংবা নামিবিয়ায় পরস্পরবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহাবস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি করে দেওয়া ও শান্তি ফর্মুলায় রাজি করানোর মতো ঘটনার মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হয়েছিল যে, স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী যে বিশ্বব্যবস্থা গড়ে উঠছে, তাতে জাতিসংঘের একটি ভূমিকা রয়েছে। সাবেক যুগোসøাভিয়ায় গৃহযুদ্ধ ঠেকাতে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো, কম্বোডিয়ায় গৃহযুদ্ধ মেটাতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী পাঠানো এবং সেখানে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি নির্বাচন আয়োজন করা, নেপালে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন আয়োজনে সহযোগিতা করা কিংবা আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে শান্তিরক্ষী মোতায়েন করে গৃহযুদ্ধ ঠেকানোর উদ্যোগ প্রশংসার যোগ্য। কিন্তু সিরিয়া ও ইরাক থেকে ১০ থেকে ১২ লাখ অভিবাসীর দেশত্যাগ জাতিসংঘ ঠেকাতে পারেনি। আফগানিস্তানে যুদ্ধ চলছে সেই ২০০১ সাল থেকে। ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’র অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে হামলা চালিয়ে দেশটি দখল করে নিয়েছিল। আজও সেখানে যুদ্ধ চলছে। জাতিসংঘ তালেবানদের সঙ্গে আফগান সরকারের কিংবা তালেবানদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংলাপের কোনো মধ্যস্থতা করতে পারেনি। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন মিত্রবাহিনীর ইরাক আক্রমণ, ২০১১ সালে লিবিয়ায় মার্কিনি বোমা হামলায় গাদ্দাফিকে উৎখাতÑ কোনো ক্ষেত্রেই জাতিসংঘের কোনো অনুমোদন ছিল না। কিংবা জাতিসংঘ সেই ‘যুদ্ধ’ বন্ধ করতেও পারেনি। সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিরা ইয়েজদি নারীদের যৌন দাসীতে পরিণত করেছিলÑ জাতিসংঘ এটা বন্ধ করতে পারেনি। জাতিসংঘের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ হচ্ছে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ বৃদ্ধিতে সংস্থাটির শক্তিশালী কোনো উদ্যোগ নেই। স্থায়ী পরিষদের (৫ সদস্য) সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। ১৫টি অস্থায়ী সদস্য (নিরাপত্তা পরিষদ) রয়েছে বটে। কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের কোনো ভূমিকা নেই। জাতিসংঘের জন্মকালে (১৯৪৫) যে বৈষম্য জাতিসংঘ তৈরি করেছিল, সেই বৈষম্য আজও আছে। যদিও কিছু শিল্পোন্নত দেশ (জাপান ও জার্মানি) এবং উন্নয়নশীল দেশ থেকে অঞ্চল ভিত্তিতে কিছু দেশ (ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল) স্থায়ী পরিষদের সদস্য হতে চায়। কিন্তু উন্নত দেশগুলোর বাধার কারণে এটা সম্ভব হচ্ছে না। জাতিসংঘ Commission on Global Governance  নামে একটি কমিশন গঠন করেছিল কীভাবে জাতিসংঘে সংস্কার আনা যায়, তা দেখার জন্য। কমিশন ১৯৯৫ সালের জানুয়ারি মাসে তাদের সুপারিশ মহাসচিবের কাছে জমা দিয়েছিল। ওই সুপারিশে নিরাপত্তা পরিষদে এক ধরনের ‘স্ট্যান্ডিং’ সদস্য রাখার প্রস্তাব করা হয়েছিল, যার সদস্য সংখ্যা হবে পাঁচ। যার মধ্যে ২টি দেশ আসবে উন্নত বিশ্ব থেকে, বাকি ৩টি দেশ আসবে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকা থেকে। তাদের কোনো ‘ভেটো’ ক্ষমতা থাকবে না। কিন্তু দীর্ঘ ২৪ বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ ধরনের প্রস্তাব নিয়েও কথা আছে। উন্নয়নশীল দেশগুলো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ চায়। কিন্তু তাতে যদি ভেটো ক্ষমতা না থাকে তা হলে সঙ্গত কারণেই তাদের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। জাপান ও জার্মানি স্থায়ী সদস্যপদ চায়। কিন্তু কোনো ভেটো ক্ষমতা ছাড়া তারা এটা গ্রহণ করে নেবে বলেও মনে হয় না। ভারত বড় অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে। এ ক্ষেত্রে স্থায়ী সদস্যপদে ভারতের সদস্যপদ গ্রহণযোগ্য হলেও বড় আপত্তি চীন ও পাকিস্তানের। ফলে স্থায়ী পদে সদস্য বৃদ্ধির প্রস্তাব আর আলোর মুখ দেখেনি। জাতিসংঘের একটা বড় ব্যর্থতা বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধকল্পে প্যারিসে কপ-২১ সম্মেলনে গৃহীত জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়ন করতে না পারা। কপ-২১ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ২০১৫ সালে। ১৭৪টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন জলবায়ু চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছিল। ওই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো স্বীকার করে নিয়েছিল যে, বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা হবে। বায়ুম-লে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারলেই বিশ্বের উষ্ণতা হ্রাস পাবে। বায়ুম-লে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলো আদৌ দায়ী নয়। কিন্তু এসব দেশই বড় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
শিল্পোন্নত ১০টি দেশ বিশ্বের কার্বন নিঃসরণের ৬৭.৬ ভাগ নিজেরা নিঃসরণ করে। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে চীন। দুঃখজনক হচ্ছে, কপ-২১-এ যুক্তরাষ্ট্র স্বাক্ষর করলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতাসীন হয়ে কপ-২১ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। সারাবিশ্ব যেখানে এটা স্বীকার করে নিয়েছে এবং বৈজ্ঞানিক সত্য যেখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি দায়ী, সেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই বৈজ্ঞানিক ও প্রমাণিত সত্যকে বিশ্বাস করতে চাইছেন না। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে। বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। মরু অঞ্চলের বরফ দ্রুত গলে যাচ্ছে। এতে করে বাড়ছে সাগর-মহাসাগরের জলরাশি।  World Meteorological Organization( WMO)-এর সর্বশেষ রিপোর্টে ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে- কার্বন নিঃসরণের মাত্রা অতীতের চেয়ে ২০১৫-২০১৯ সময়সীমায় ২০ ভাগ হারে বেড়েছে। ১৯৯৩ সাল থেকে যেখানে সাগরের জলসীমার উচ্চতা বেড়েছে গড়ে ৩.২ মিলিমিটার, সেখানে ২০১৫-২০১৯ সময়সীমায় বেড়েছে ৫ মিলিমিটারের ওপর (এবিসি নিউজ, ২২ সেপ্টেম্বর)। খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই বারবার ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে। দ্বীপাঞ্চলের রাষ্ট্রগুলো আতঙ্কের মাঝে আছে। এ ক্ষেত্রে বড় রাষ্ট্রগুলোর, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের যে দায়িত্ব পালন করার কথা, যুক্তরাষ্ট্র তা পালন করছে না। জাতিসংঘের ব্যর্থতা এখানেই যে, বিশ্বের উষ্ণতা রোধে জাতিসংঘ সতর্কবাণী উচ্চারণ করলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারছে না। জাতিসংঘের উদ্যোগে এখন Sustainable Development Goals  কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তা শেষ হবে ২০৩০ সালে। এর আগে নেওয়া হয়েছিল এমডিজি বা Millenium Developoment Goals । কিন্তু এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে যে বৈদেশিক সাহায্য-সহযোগিতা দরকার, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কেননা এমডিজির ক্ষেত্রে ধনী দেশগুলো তাদের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ০.৭ শতাংশ সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু পাওয়া গিয়েছিল মাত্র ০.৪ শতাংশ। Sustainable Development Goals এ রয়েছে ১৭টি এজেন্ডা। এ ক্ষেত্রে যে সাহায্য দরকার পড়বে, তা পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। জাতিসংঘ এই সাহায্যের ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে পারবে না। এমডিজির ক্ষেত্রেও পারেনি।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে অধিবেশন দুই কারণে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এক. বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের জননিরাপত্তাকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। বাংলাদেশ এ ব্যাপারে বিশ্ব সংস্থার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। দুই. জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। এটাও বাংলাদেশ বিশ্ব সভায় তুলে ধরছে। রোহিঙ্গা প্রশ্নে বিশ্ব সম্প্রদায় বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়ালেও, দুঃখজনক হলেও সত্যÑ জাতিসংঘের অধিবেশনে মূল প্রতিপাদ্যে এবার শরণার্থী ইস্যুটি স্থান পায়নি। তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে সাধারণ পরিষদের সাইড লাইনে বাংলাদেশ একাধিক ইভেন্টের আয়োজন করেছে ( Pars Today  ২৩ সেপ্টেম্বর)। বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ আদৌ দায়ী নয় এ কথাটা বারবার বাংলাদেশ বলে আসছে। উন্নত বিশ্বের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বিশ্ব জিডিপির ৭৫ শতাংশ, আর তারা কার্বন নিঃসরণ করে ৬৭.৬ শতাংশ। বাংলাদেশ এসব উন্নত দেশের কার্বন নিঃসরণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না। বাংলাদেশের উপকূলে প্রতিবছর ১৪ মিলিমিটার করে সমুদ্রের পানি বাড়ছে। গত ২০ বছরে সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮ সেন্টিমিটার। সমুদ্রের পানি বেড়ে যাওয়ায় দ্বীপাঞ্চলের মানুষ ঢাকায় আসতে বাধ্য হচ্ছেন। গবেষকরা বলছেন, ভবিষ্যতে প্রতি ৭ জনে একজন মানুষ উদ্বাস্তুতে পরিণত হবে। বাংলাদেশ কোপেনহেগেন কপ সম্মেলনে (২০০৯) এসব উদ্বাস্তু মানুষকে  Universal Natural Persons হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু এ দাবি গ্রহণযোগ্য হয়নি। জাতিসংঘের এই শীর্ষ সম্মেলন শুধু ‘টকিংক্লাব’র মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে, নাকি কিছু ফল পাওয়া যায় সেটাই দেখার বিষয়।
Daily Amader Somoy
02.10.2019

0 comments:

Post a Comment