তিনি আমাদের সবার প্রিয় মেনন ভাই। রাশেদ খান মেনন। ৭৬
বছর বয়সের মেনন ভাইকে আমার ইদানীং অচেনা লাগে! এক সময় যিনি ছিলেন তুখোড়
ছাত্রনেতা, ১৯৬৩-৬৪ সালে ডাকসুর ভিপি, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি, তৎকালীন
পাকিস্তানের আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে যার অবিসংবাদিত ভূমিকা এ দেশের তরুণ
সমাজের কাছে ছিল একটা আদর্শ, সেই মেনন ভাইকে কেন জানি এখন আর চিনতে পারি
না।
বিশ্ব সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যখন ষাটের দশকে এ দেশের
সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনে বিভক্তি এসেছিল, তখন এর রেশ ধরে বিভক্তি এসেছিল
ছাত্র আন্দোলনেও। এ দেশের বাম ছাত্র রাজনীতিও দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল
তখন। মেনন ভাইয়ের নেতৃত্বাধীন অংশ পিকিংপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিল, আর মতিয়া
চৌধুরী নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মস্কোপন্থী ধারার।
ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা মেনন ভাই, যার রাজনীতির একটা বড় অংশ কেটেছে আওয়ামী লীগের রাজনীতির বিরোধিতা করে, স্বাধীনতার পরপর তিনি ন্যাপের (ভাসানী) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে হেরে গিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতেও দ্বিধাবোধ করেননি।
তবে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে (১৯৭৯) বিজয়ী হয়ে তিনি সংসদে এসেছিলেন। ১৯৯১ সালেও আমরা তাকে সংসদে দেখেছি। কিন্তু কখনোই আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নয়। ২০০৮ সালে যখন ১৪ দলীয় জোট গঠিত হয়, তখন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন এ জোটে যোগ দেয় ওয়ার্কার্স পার্টি। মেনন পরে মন্ত্রী হন।
ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা মেনন ভাই, যার রাজনীতির একটা বড় অংশ কেটেছে আওয়ামী লীগের রাজনীতির বিরোধিতা করে, স্বাধীনতার পরপর তিনি ন্যাপের (ভাসানী) রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে হেরে গিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতেও দ্বিধাবোধ করেননি।
তবে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে (১৯৭৯) বিজয়ী হয়ে তিনি সংসদে এসেছিলেন। ১৯৯১ সালেও আমরা তাকে সংসদে দেখেছি। কিন্তু কখনোই আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নয়। ২০০৮ সালে যখন ১৪ দলীয় জোট গঠিত হয়, তখন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন এ জোটে যোগ দেয় ওয়ার্কার্স পার্টি। মেনন পরে মন্ত্রী হন।
যারা আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন, তারা আলাদাভাবে নিজেদের সংগঠিত করেছেন। হায়দার আকবর খান রনো একসময় রাশেদ খান মেননের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক প্রশ্নে দ্বিমত পোষণ করে ২০০৮ সালে তিনি আলাদাভাবে (পুনর্গঠিত) ওয়ার্কার্স পার্টিকে সংগঠিত করার উদ্যোগ নেন। পরবর্তী সময়ে ২০১০ সালে তিনি ও তার সহকর্মীরা পুনর্গঠিত ওয়ার্কার্স পার্টি নিয়ে কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশে (সিপিবি) যোগ দেন এবং তার সংগঠনের বিলুপ্তি ঘোষণা করেন।
এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, রাশেদ খান মেনন যখন ১৪ দলে যোগ দেন, তখন তা পার্টির ভেতরে বড় ধরনের ‘রাজনৈতিক ঝড়’ সৃষ্টি করেছিল। অনেকেই এটা মেনে নিতে পারেননি। তারা চেয়েছিলেন একটি তৃতীয় ধারার রাজনীতিকে আরও শক্তিশালী করতে। অভিযোগে আছে, মেনন ভাইয়ের ‘সুবিধাবাদী’ রাজনীতি, জোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদে যাওয়ার আগ্রহ তাকে ১৪ দলীয় জোটে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এখন কেন তিনি সরকারবিরোধী অবস্থান নিলেন!
সম্প্রতি বরিশালে পার্টির এক সভায় তিনি বলেছেন, ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, গেল নির্বাচনে (২০১৮) জনগণ ভোট দিতে পারেনি। এমনকি পরবর্তী সময়ে উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি দেশের মানুষ।’ একটা সহজ-সরল স্বীকারোক্তি। তার এ বক্তব্য অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। দেশব্যাপী ক্যাসিনোবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে এবং জনাব মেননের নাম যখন এর সঙ্গে জড়িয়ে গেছে, তখনই কি তিনি এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছেন?
নির্বাচন তো হয়েছে প্রায় ১০ মাস আগে। তাহলে এতদিন পর কেন তিনি এ কথা বললেন? কেন তিনি জানুয়ারি মাসে, নির্বাচনের পরপরই এ কথা বললেন না? ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও একটা ‘বিতর্ক’ আছে, যেখানে ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। জনাব মেনন ওই নির্বাচনেও ‘বিজয়ী’ হয়েছিলেন এবং মন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু ওই নির্বাচন নিয়ে তিনি কোনো কথা বা মন্তব্য করেছেন বলে শোনা যায় না। তাহলে কি এবার মন্ত্রী হতে না পারার ‘বেদনা’ থেকেই তিনি এ ধরনের কথা বলেছেন?
জনাব মেনন প্রতি মাসে ‘ক্যাসিনো কিং’ সম্রাটের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ‘সম্মানী’ নিতেন- এটি স্বয়ং সম্রাটের স্বীকারোক্তি। এর পেছনে আদৌ কি সত্যতা আছে? নাকি সম্রাট নিজেকে বাঁচানোর জন্যই এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন? নির্বাচনে জনগণ তাকে ভোট দেয়নি- এ ধরনের বক্তব্যের পর তার সংসদ সদস্য হিসেবে থাকা কতটুকু নৈতিকতার মধ্যে পড়ে? তার জন্য এই মুহূর্তে পদত্যাগ করাই কি শ্রেয় নয়? তার আরও একটি বক্তব্য এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা বাঞ্ছনীয়। তিনি বলেছেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ৯ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে! এ বক্তব্যটি অত্যন্ত ‘সেনসেটিভ’।
এনবিআরের উচিত এ ব্যাপারে তার কাছ থেকে তথ্য চাওয়া। জনাব মেনন সিনিয়র রাজনীতিক। আমরা ধরে নেব তিনি যা বলেন, নিশ্চয়ই তার পেছনে সত্যতা আছে। নিশ্চয়ই তিনি কোনো ‘ফালতু’ কথা বলবেন না। কিন্তু সরকারে থাকা ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম অংশীদার হিসেবে তিনি যখন এ ধরনের কথাবার্তা বলেন, তখন সেটা সরকারকে যে একটি বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়, তা বলাই বাহুল্য।
প্রশ্ন হচ্ছে, জনাব মেনন এ ধরনের বক্তব্য এ মুহূর্তে কেন দিলেন? নিজেকে ‘লাইমলাইটে’ আনতেই কি এ ধরনের বক্তব্য? তিনি ১৪ দলীয় জোটে আছেন। জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করেছেন। ওই নির্বাচন নিয়ে তার প্রশ্ন থাকতেই পারে। তাহলে কি এ প্রশ্নগুলো ১৪ দলীয় জোটের সভায় উপস্থাপন করা উচিত ছিল না? আরও একটি প্রশ্ন। জনাব মেনন যে কথাগুলো বলেছেন, (‘জনগণ ভোট দিতে পারেনি’, ‘৯ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে’) তা কি তার নিজের, নাকি ওয়ার্কার্স পার্টিও এটা মনে করে? আমি ধরে নিতে চাই, এ ধরনের বক্তব্য ওয়ার্কার্স পার্টিরও বক্তব্য। তাই যদি হয়, তাহলে ওয়ার্কার্স পার্টির ১৪ দলীয় জোটে থাকার কোনো যুক্তি নেই।
ওয়ার্কার্স পার্টি বা রাশেদ খান মেননের উচিত হবে সংসদ থেকে পদত্যাগ করে এ বক্তব্য নিয়ে ‘কাস্তে-হাতুড়ি’ (পার্টি প্রতীক) প্রতীক নিয়ে উপনির্বাচনে অংশ নেয়া। ঢাকার যে আসনের তিনি প্রতিনিধিত্ব করেন, সেই আসনের জনগণকে পুনরায় একটি সুযোগ দেয়া উচিত, যাতে তারা পুনরায় তার মতামতের পক্ষে রায় দিতে পারে। তবে জনাব মেনন জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, পদত্যাগের প্রশ্ন আসে না। তার মতে, ‘এটা তো শুধু নৈতিকতার প্রশ্ন নয়, এর সঙ্গে রাজনৈতিক প্রশ্ন জড়িত আছে। পদত্যাগ না করেও ভোটের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া যায়’ (Pars Today, ২২ অক্টোবর)।
জনাব মেনন মনে করেন, ‘নির্বাচনে জনগণ ভোট না দেয়ার’ তার যে বক্তব্য, তা শুধু নৈতিকতার মানদণ্ডে বিচার করলেই চলবে না, এর সঙ্গে নাকি রাজনৈতিক প্রশ্ন জড়িত। তাহলে এ রাজনৈতিক প্রশ্নটি কী? ‘জনগণ ভোট দেয়নি’- এ বক্তব্য ১৪ দল বা সরকার ধারণ করে না।
তাহলে কোন যুক্তিতে আপনি ১৪ দলে থাকবেন? আপনি রাজনীতি করেন, এ দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে আপনার অবদান আছে। আপনার এ ধরনের বক্তব্য আরও অনেক দল ধারণ করে। জনাব মেনন, আপনার রাজনৈতিক জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলব, আপনি আপনার বক্তব্য নিয়ে ১৪ দল নয়, বরং আলাদা প্লাটফর্মে যান। সেখান থেকে রাজনীতি করুন।
রাশেদ খান মেনন সম্পর্কে যেসব খবরাখবর ছাপা হচ্ছে, তা আমাকে অবাক করে। যুগান্তরের (২০ অক্টোবর) একটি খবর- ‘টেন্ডারপ্রতি ৫ পার্সেন্ট কমিশন নিতেন মেনন’। বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া রিমান্ডে এ তথ্যটি দিয়েছেন। একই ধরনের তথ্য দিয়েছেন ‘ক্যাসিনো কিং’ সম্রাট। এর পেছনে সত্যতা কতটুকু আছে বলা কঠিন। তবে এটা তো ঠিক, ইয়ংমেন্স ক্লাবে অভিযানের সময় ক্যাসিনো থেকে আর্থিক সুবিধাভোগীদের নামের একটি তালিকা উদ্ধার করেছিল র্যাব। ওই তালিকায় ৫ নম্বরে আছে মেননের নাম। তার নামের পাশে লেখা আছে ১০ লাখ। অর্থাৎ ১০ লাখ টাকা (মাসে) পেতেন রাশেদ খান মেনন।
যদিও তিনি তা অস্বীকার করেছেন। কিন্তু তিনি ইয়ংমেন্স ক্লাবের পরিচালনা কমিটির সভাপতি, তার ক্লাবে ক্যাসিনো খেলা হয়, এটা তিনি জানেন না- এই বক্তব্য কি গ্রহণযোগ্য? তিনি অস্বীকার করেছেন বটে; কিন্তু দায়-দায়িত্ব এড়াবেন কীভাবে? ওই ক্লাবের অনিয়মের অভিযোগ তুলে তিনি পদত্যাগ করেছেন, এমন কোনো সংবাদ তো আমাদের কাছে নেই! একজন বাম রাজনীতি করা মানুষ, যার নিজের কোনো সুস্পষ্ট আয়ের উৎস নেই, তার স্ত্রীর সম্পদ কী করে বাড়ে ২২ গুণ (জাগো নিউজি, ১ ডিসেম্বর ২০১৮)? আর নিজের সম্পদ বাড়ে ৪ গুণ? গত ১০ বছরে মেননের বাৎসরিক আয় বেড়েছে ৯ লাখ ৬৬ হাজার টাকার বেশি।
অবস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ৫১ লাখ ৮৮ হাজার টাকার বেশি। স্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। নবম ও দশম নির্বাচনী হলফনামায় তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তি না থাকলেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮০ হাজার ২৪০ টাকা। একই সঙ্গে মিসেস মেননের, যিনি এখন সংসদ সদস্য, তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ২২ গুণ। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৯ লাখ ২৬ হাজার ৪৩০ টাকা (জাগো নিউজি, ১ ডিসেম্বর ২০১৮)।
এ দেশের বাম রাজনীতি করা অনেক পরিবারের আর্থিক দুরবস্থার কথা আমি জানি। কিন্তু বাম রাজনীতি করে সুনির্দিষ্ট কোনো ধরনের আয়ের উৎস যার নেই, তার উত্তরায় বাড়ি কিংবা ঢাকা ক্লাবে মেয়ের জাক-জৌলসে বিয়ের ঘটনা অতীতে বারবার আলোচিত হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি থাকাকালে মেননের বিরুদ্ধে ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছিল। ভিকারুননিসা নূন ও আইডিয়াল কলেজের ভর্তি বাণিজ্যের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
সুস্পষ্ট তথ্য থাকা সত্ত্বেও হাইভোল্টেজ তদবিরের কারণে কোনো সংবাদই ছাপাতে পারেনি সংবাদপত্রগুলো (যুগান্তর)। এখন তার ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একজন রাজনীতিবিদের ওপর এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা কলঙ্কের। এর মধ্য দিয়ে তার অতীতের সব কর্মকাণ্ড ‘মুছে’ গেল।
রাশেদ খান মেননকে নিয়ে এ সংবাদগুলো আমাকে আশাবাদী করে না। তরুণ বয়সে আমাদের সবার আদর্শ ছিলেন তিনি। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা আমাদের সবার মেনন ভাই সত্যিকার অর্থেই মওলানা ভাসানীর অনুসারী হয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করবেন, এই ছিল সবার প্রত্যাশা। কিন্তু এ কেমন রাশেদ খান মেননকে আমরা দেখছি? এই রাশেদ খান মেননকে আমি আর চিনতে পারি না।
Daily Jugantor
26.10.2019
0 comments:
Post a Comment