ভারতের
পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর নাম কি নরেন্দ্র মোদি, নাকি তৃতীয় ফ্রন্টের কেউ?
মমতা ব্যানার্জি, নাকি মায়াবতী? অঙ্কের হিসাবটা এখনও মিলছে না, সে সুযোগও
নেই। কেননা ভোট গণনা হবে ১৬ মে। আগেই জানা যাবে কে হতে যাচ্ছেন ভারতের
পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। তবে বলাই বাহুল্য, নরেন্দ্র মোদির পাল্লাটা বেশ
ভারী। তারপরও একটা হিসাব-নিকেষের বিষয় আছে। যদি ‘ম্যাজিক ফিগার’ ২৭২টি আসন
বিজেপি তথা এনডিএ জোট না পায়, তাহলে তৃতীয় ফ্রন্টের যে কাউকে সমর্থন করতে
পারে কংগ্রেস। ফলে একটি দর্শন সরকার গঠিত হতে পারে সেখানে। ভারতে ষোড়শ
লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যতগুলো জনমত সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে, তার
কোনও একটিতেও কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটকে সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে
চিহ্নিত করা হয়নি। আসনপ্রাপ্তির দিন থেকে জনমত জরিপে কংগ্রেস বিজেপির কাছ
থেকে পিছিয়ে আছে ন্যূনতম একটা আসনে। এর মধ্য দিয়ে ভারতের রাজনীতিতে নেহরু
সাম্রাজ্যের পতন হতে যাচ্ছে। কেননা কংগ্রেস বিজয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী হতেন
নেহরু পরিবারের সর্বশেষ প্রতিনিধি রাহুল গান্ধি, সম্পর্কে তিনি সাবেক
প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির নাতি, আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধির
জ্যেষ্ঠ সন্তান। বিশাল এক সম্ভাবনা নিয়ে তিনি এসেছিলেন। তারুণ্যের প্রতীক
তিনি। কিন্তু ভারতীয় ভোটাররা তার তারুণ্যে আকৃষ্ট হননি। ইতোমধ্যে যে
প্রশ্নটি উঠেছে, তা হচ্ছে রাহুল গান্ধি কি ব্যর্থ হলেন? সাম্প্রতিক
সময়গুলোয় তিনি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল চষে বেড়িয়েছেন। বারানসিতে গিয়ে
সেখানকার রিকশাওয়ালাদের সঙ্গে রাস্তায় এসে বৈঠক করেছেন (একদিন রিকশা
চালানোর কথাও বলেছেন তিনি)। দিল্লি রেলস্টেশনে গিয়ে কুলিদের সঙ্গে বৈঠক
করেছেন। ভূপালে নারীদের সঙ্গে বৈঠক করার সময় হিজড়াদেরও আমন্ত্রণ
জানিয়েছিলেন। ফুটপাতের হকারদেরও ডেকেছেন নিজের বাসায়। মহারাষ্ট্রের
ঔরঙ্গবাদে উপজাতিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন— তেমনি বৈঠক করেছেন শিল্পপতিদের
সঙ্গেও। এতে বোঝা যায়, রাহুল নতুন ইমেজ নিয়ে এসেছেন। তৃণমূলপর্যায়ে গরিব ও
নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির জীবনমানের উন্নতি করতে চান তিনি। ভারতে এদের
সংখ্যাই প্রায় ৭০ কোটি। এদের নিয়ে বিহারের লালুপ্রসাদ, মায়াবতী আর মুলায়েম
সিংহরা রাজনীতি করেন। মায়াবতী এদের নিয়ে রাজনীতি করে বিশাল এক আর্থিক
সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। এরা একটি শক্তি।বিশ্বব্যাংকের (২০১৩)
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের ৩ ভাগের ২ ভাগ গরিব মানুষ বাস করে ভারতে।
সুতরাং রাহুল গান্ধি এদের টার্গেট করেছেন। কিন্তু তাতেও তিনি নিজের তথা
দলের জনপ্রিয়তা বাড়াতে পারেননি। তাই রাহুল গান্ধির ভবিষ্যত্ নিয়ে প্রশ্ন
থেকেই গেল। অনেকেই বলার চেষ্টা করেন, কংগ্রেস যদি রাহুলের পরিবর্তে ছোট বোন
প্রিয়াংকা ভদ্রকে ‘প্রমোট’ করত, তাহলে বোধকরি ভালো ফল পাওয়া যেত।
প্রিয়াংকা বরাবরই মা সোনিয়া গান্ধির নির্বাচনি এলাকার (রায়বেরলি) দায়িত্ব
পালন করেন। নির্বাচনে কখনও প্রার্থী হন না। তবে ভারতের রাজনীতিতে নেহরু
পরিবার বরাবরই একটি ‘ভোটব্যাংক’। কংগ্রেস নেতারা বরাবরই নেহরু পরিবারকে
ব্যবহার করেছেন। রাজনীতিতে এই পরিবারের একক কর্তৃত্ব গড়ে তুলেছিলেন ইন্দিরা
গান্ধির দাদা মতিলাল নেহরু। আর রাহুল গান্ধি হচ্ছেন ইন্দিরা গান্ধির নাতি।
মতিলাল নেহরু ১৯২১ সালে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
ইন্দিরা গান্ধির বাবা জওহরলাল নেহরুও ছিলেন কংগ্রেসের সভাপতি। জওহরলাল
জীবদ্দশায় মেয়ে ইন্দিরাকে কংগ্রেসের সভাপতি বানিয়েছিলেন ১৯৫৯ সালে। আর সেই
একই প্রক্রিয়ায় রাহুলের বাবা রাজীব গান্ধিও কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক
হয়েছিলেন ১৯৮৩ সালে। পরে তিনি কংগ্রেসের সভাপতিও হন। এখন কংগ্রেসের
সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি। মায়ের নেতৃত্বেই রাহুল প্রথমে একজন সাধারণ
সম্পাদক ও পরে অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি ভবিষ্যত্ প্রধানমন্ত্রী, এটি
নির্ধারিতই ছিল। মনমোহন সিংও স্পষ্ট করেছিলেন তা। কিন্তু অঙ্কের হিসাবটা
কেন যেন বদলে যাচ্ছে! এই ব্যর্থতা কী রাহুলের? মানুষ কি পরিবর্তন চাচ্ছে?
শেষ অব্দি কি মোদিই প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন? নাকি জন্ম নিতে যাচ্ছে একটি
‘ঝুলন্ত পার্লামেন্ট’? ভারতের রাজনীতির যারা কিছুটা খোঁজখবর রাখেন,
তারা জানেন একাদশ লোকসভা নির্বাচনের পর একটা প্রবণতা লক্ষ করা যায় যে সরকার
তার স্থায়িত্ব পাচ্ছে না। একাদশ লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯৬
সালের মে মাসে আর দ্বাদশ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
একাদশ লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপির নেতৃত্বে একটি সরকার সেখানে গঠিত
হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন অটল বিহারি বাজপেয়ি। তার প্রধানমন্ত্রীর
বয়স ছিল মাত্র ১৩ দিন। বাজপেয়ি পদত্যাগ করলে জনতা দলের নেতৃত্বে একটি
যুক্তফ্রন্ট সরকার সেখানে গঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী হন দেবগৌড়া। দেবগৌড়া
সরকারকে সমর্থন করেছিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের আস্থা হারিয়ে ভোটে হেরে যান
দেবগৌড়া। পরে গুজরাল যুক্তফ্রন্টের নেতা নির্বাচিত হলে কংগ্রেস তাকে সমর্থন
করে। কিন্তু জৈন কমিশনের রিপোর্ট (রাজীব গান্ধির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে
এআইডিএমপের জড়িত থাকার প্রমাণ) প্রকাশিত হলে পতন ঘটে গুজরাল সরকারের (২৮
নভেম্বর ১৯৯৭)। দ্বাদশ লোকসভা নির্বাচনেও কংগ্রেসের ভরাডুবি ঘটে। তারা আসন
পেয়েছিল ১৪২, (দশম লোকসভায় ২৩২ ও ২৫২, ১১৩, ১৪২) যেখানে বিজেপি পেয়েছিল ১৮২
আসন। ত্রয়োদশ লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার
সেখানে গঠিত হয়েছিল। তাদের শরিক ছিল আঞ্চলিক দলগুলো। আঞ্চলিক দলগুলোর
সহযোগিতা নিয়েই বাজপেয়ির পক্ষে সম্ভব হয়েছিল সরকার গঠন করার। ২০০৪ সালে
১৪তম ও ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত ১৫তম লোকসভা নির্বাচনে পর-পর দুই টার্ম ইউপিএ
জোট বিজয়ী হয়েছিল। এবং দু-দুবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন মনমোহন সিং। আগে
বিজেপির উত্থান নিয়ে কিছু কথা বলা প্রয়োজন। সর্বভারতব্যাপী কংগ্রেসের
অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী এখন এই বিজেপি। অথচ ১৯৮৪ সালে বিজেপি পেয়েছিল মাত্র
২টি আসন। ১৯৮৯ সালে তা সরে দাঁড়ায় ৮৮টিতে। আর ১৯৯১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায়
১১৭টিতে। ১৯৯৬ সালে এ সংখ্যা ১৬২, ১৯৯৮ সালে ১৮২। পর্যায়ক্রমে বিজেপি যে
তাদের জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে এবং কংগ্রেসের বিকল্প একটি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে
নিজেদের দাঁড় করতে পেরেছে, পরিসংখ্যানই আমাদের এ কথা বলে। এ ক্ষেত্রে ১৬তম
লোকসভা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিজেপি যদি পুনরায় সরকার গঠন করে, তাহলে অবাক
হওয়ার কিছু থাকবে না। জনমত জরিপ যদি সত্য হয় এবং কংগ্রেস যদি হেরে যায়,
তাহলে রাহুল গান্ধির জন্য তা হবে একটা বড় ধরনের পরাজয়। একই সঙ্গে তার
নেতৃত্বের জন্য সৃষ্টি হবে বড় ধরনের হুমকি। মোদি যদি প্রধানমন্ত্রী হন,
তাহলে আমাদের কোনও স্বস্তি এনে দেবে না। বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্যের জন্য
মোদি ইতোমধ্যে সমালোচিত হয়েছেন। ৩১ মার্চ আসামে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশি
ভোটারদের জায়গা করে দিতেই আসামের বনাঞ্চল ধ্বংস করা হচ্ছে এবং গণ্ডারের
বসতি ধ্বংস হচ্ছে। ২২ ফেব্রুয়ারি আসামের শিলচরে তিনি বলেছিলেন, হিন্দু
অভিবাসীদের আশ্রয়শিবির বন্ধ করে পুনর্বাসন করা হবে। বিজেপি সভাপতি রাজনাথ
সিংয়ের বক্তব্যও ছাপা হয়েছে এভাবে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ থেকে যেসব অভিবাসী
এসে আসাম বা অন্যান্য জায়গায় বসতি গড়েছে, তাদের অবৈধ ঘোষণা ও তাদের
বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব বক্তব্য বাংলাদেশের জন্য এক
ধরনের অশনিসংকেত। আমাদের একটা বড় সমস্যা, আলোচনায় দরকষাকষিতে আমরা খুব একটা
সাফল্য দেখাতে পারিনি। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ কথাটা প্রয়োগ।
গত ৫ বছরে আমাদের জাতীয় স্বার্থে তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে
পারিনি। সাফল্যের ক্ষেত্রে ভারতের পাল্লাটা ভারী। এখন মোদি প্রধানমন্ত্রী
হলেও সম্পর্কের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হবে না। মোদি বিজয়ী
হলেও তার জন্য আগামী দিনগুলো খুব সুখের হবে না। ভারতে মুসলমানদের আস্থা
তিনি অর্জন করতে পারেননি। সেই সঙ্গে আঞ্চলিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ৩
ব্যক্তি মমতা ব্যানার্জি, মায়াবতী ও জয়ললিতা— এদের কারও সঙ্গেই মোদির
সম্পর্ক ভালো নয়। কংগ্রেসের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা দেশরক্ষা মন্ত্রী
এটোনিও এমন কথাও বলেছেন, প্রয়োজনে তারা মমতা ব্যানার্জিকে প্রধানমন্ত্রী
পদে সমর্থন করবেন। কিন্তু বাস্তবতা বলে ভিন্নকথা। বিজেপির সরকার গঠনের জন্য
প্রয়োজন ২৭২ আসন। বিজেপি বা এনডিএ জোট ২৭২ আসন না পেলেও ছোট-ছোট দলের
সমর্থন নিয়ে বিজেপি সরকার গঠন করতে পারে। মোদির জন্য বড় সমস্যা হবে,
বহির্বিশ্বে বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার ইমেজ পুনরুদ্ধার করা।
সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের মানবাধিকার কমিশনের এক শুনানিতে বিজেপির
প্রার্থী নরেন্দ্র মোদি বিজয়ী হলে ভারতের মুসলমান ও খ্রিস্টানদের সঙ্গে তার
সরকারের আচরণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। হাউস অব
রিপ্রেজেনটেটিভের রিপাবলিকান দলীয় সদস্য জো পিটস বলেছেন, ভারতে
সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকারীদের ছাড় দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। তিনি
বলেন, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার তর্কাতীত উত্থানে ভারতের প্রতিটি সরকারই কোনও না
কোনওভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয় ধর্মীয় সহিংসতা। ২০০২
সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর থেকে গুজরাটে অব্যাহত মেরুকরণ নিয়ে উদ্বেগ
প্রকাশ করেন ডেমোক্রেটদলীয় মুসলমান আইনপ্রণেতা কেইস এলিসন। বলা ভালো,
গুজরাট দাঙ্গার জন্য মোদি অভিযুক্ত হয়েছিলেন। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র ২০০৫
সালে মোদিকে ভিসা দিতে অস্বীকার করে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখন বলছে, তারা
নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে ভিসা দেবে। সবকিছু মিলিয়ে ভারতীয় নির্বাচন নিয়ে
একটি অনিশ্চয়তা রয়েছে। ৭ তারিখে শুরু হওয়া এ নির্বাচন ইতোমধ্যে ৪ ধাপ
অতিক্রম করেছে। ১৭ এপ্রিল থেকে শুরু হবে মূল প্রতিযোগিতা। আর ১৩ রাজ্যে
১৪২টি আসনে নির্বাচন হবে। এরপর ২৪ এপ্রিল ১২ রাজ্যে ১১৭টি আসনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এসব আসনে যারা ভালো করবে, দিল্লির মসনদ তাদের। ভারতের
ষোড়শ লোকসভা নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা বলা যায়। তবে সরকার গঠন করার মতো আসন
পাবে না বিজেপি তথা এনডিএ জোট। তাদের আঞ্চলিক দলগুলোর সমর্থন চাইতে হবে।
ফলে দিল্লিতে এটি দুর্বল সরকার হবে। কংগ্রেসের ভরাডুবি রাহুল গান্ধির
নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে। সম্ভবত কংগ্রেসকে মনমোহন সিংয়ের মতো
গ্রহণযোগ্য একজন নেতা খুঁজে বের করতে হবে। শেষ পর্যন্ত যদি মোদি সরকার
গঠন করতে সমর্থন হন, এ অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বৃদ্ধি পাবে। চার.
নরেন্দ্র মোদির বিকল্প তৃতীয় শক্তি হিসেবে আঞ্চলিক দলগুলোর কেউ (মমতা,
জয়ললিতা কিংবা মায়াবতী) যদি সরকার গঠন করে, তাহলেও আমাদের খুশি হওয়ার কোনও
কারণ নেই। পাঁচ. আগামীতে যেই সরকার গঠন করুক, ভারতীয় নীতিতে পরিবর্তনের
সম্ভাবনা ক্ষীণ।
Daily Amader Somoy
16.04.14
16.04.14
0 comments:
Post a Comment