রোহিঙ্গাদের জন্য ভালো কোনো সংবাদ নেই। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে সব মিলিয়ে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বর্তমানে কক্সবাজার এলাকায় বসবাস করছে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন স্টেট থেকে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ বাসভূম থেকে উৎখাত করা হলেও এটা ছিল পরিকল্পনার শেষ অংশ। এর আগেও রোহিঙ্গাদের উৎখাত করা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রতিক্রিয়া জানালেও মিয়ানমার এ ব্যাপারে কর্ণপাত করেনি। এমনকি চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে একটি মামলা ও একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায় এলেও মিয়ানমার কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়নি। নিজ নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তি করলেও তা ছিল ‘লোক দেখানো’।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের তালিকা সরবরাহ করা হলেও মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিচ্ছে না; বরং তথাকথিত ‘যাচাই-বাছাইয়ের’ নামে সময়ক্ষেপণ করছে। ফলে রোহিঙ্গারা নিজ বাসভূমে ফেরত যাবে কিংবা আদৌ যাবে কি না, এ ব্যাপারে সৃষ্টি হয়েছে একটা বড় ধরনের অনিশ্চয়তা। এই যখন পরিস্থিতি, তখন বার্টিল লিন্টনারের একটি তথ্যবহুল লেখা ছাপা হয়েছে এশিয়ান টাইমসে ২৬ আগস্ট। লেখাটির শিরোনাম Rohingya Refugees Becoming Palestinians of Asia. লিন্টনার রোহিঙ্গাদের ‘এশিয়ার প্যালেস্টাইনিয়ান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন; অর্থাৎ ফিলিস্তিনিরা যেভাবে নিজ বাসভূম থেকে উৎখাত হয়ে দীর্ঘ ৭৩ বছর শরণার্থী হিসেবে অন্যত্র বসবাস করছে, রোহিঙ্গাদের অবস্থা অনেকটা তেমনই। ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেভাবে বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছে, আজ রোহিঙ্গাদের ব্যাপারেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক সিদ্ধান্তে (ডিসেম্বর ২০১৯) মিয়ানমারের ভূমিকায় নিন্দা জানালেও জাতিসংঘ বাধ্য করাতে পারেনি মিয়ানমারকে, নিজ নাগরিকদের ফেরত নিতে। জাতিসংঘ তথা বিশ্বসম্প্রদায়ের ব্যর্থতা এখানেই।
এদিকে মিয়ানমার প্রস্তুত হচ্ছে সাধারণ নির্বাচনের জন্য। ৮ নভেম্বর সেখানে সাধারণ নির্বাচন। অং সান সু চি ও তার দল ‘ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি’ আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামছে এবং সু চি বিজয়ী হবেন, এটাও অনেকটা নিশ্চিত। কিন্তু এ নির্বাচন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোনো ইতিবাচক ফল দেবে না। কেননা অং সান সু চি সরকারের মূল ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও সেনাবাহিনীর স্বার্থে তিনি কাজ করছেন। তিনি উগ্র বৌদ্ধ ভিক্ষুদের (ধর্মীয় নেতা) পক্ষ অবলম্বন করে ‘রোহিঙ্গাবিরোধী’ একটি অবস্থান নিয়েছেন। সে কারণে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হবে, তা মনে করার কোনো কারণ নেই। রোহিঙ্গা তথা মুসলমান বিদ্বেষ কোন পর্যায়ে গেছে, তা আবদুল রশিদের দৃষ্টান্ত দিয়ে আলজাজিরা তাদের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে (২৫ আগস্ট ২০২০)।
আবদুল রশিদের জন্ম মিয়ানমারে, তার বাবা সরকারি চাকরি করতেন। তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। অভিযোগ তোলা হয়েছে তার foreign roots বা ‘বিদেশের সঙ্গে সম্পর্ক’ থাকার। যদিও তিনি মিয়ানমারের নাগরিক। আলজাজিরা আমাদের জানাচ্ছে, মুসলমান ধর্মাবলম্বী প্রায় ১২ প্রার্থীকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হয়নি। এ ঘটনা এ কথাই প্রমাণ করল যে, মিয়ানমারের সামরিক তথা রাজনৈতিক নেতৃত্ব চায় না, মুসলমানরা সে দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিক। মুসলমানদের সেখানকার রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় বাদ দেয়ার বিষয়টির সঙ্গে মিয়ানমারের নাগরিকত্বের বিষয়টি সরাসরিভাবে জড়িত। মিয়ানমারে ১৯৮২ সালে যে আইনটি (1982 Citizenship Law) পাস হয়েছে, এর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে আবিষ্কার করা হয়েছে। রোহিঙ্গা সংকটের মূল সমাধান এখানেই নিহিত। এ আইনটি যতদিন পর্যন্ত না সংশোধন করা হবে, ততদিন একজন নাগরিকও মিয়ানমারে ফিরে যাবে বলে মনে হয় না।
বাংলাদেশ যে তালিকা দিয়েছে, সে তালিকা নিয়ে তারা যাচাই-বাছাই করছে। সময়ক্ষেপণ করছে। ভারত ও চীনের ভূমিকাও মিয়ানমারের পক্ষে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানুয়ারিতে মিয়ানমার সফর করেছেন। গত ১৯ বছরের মধ্যে কোনো চীনা প্রেসিডেন্টের জন্য এটা ছিল প্রথম মিয়ানমার সফর। একাধিক কারণে ওই সফরের গুরুত্ব রয়েছে। রোহিঙ্গা গণহত্যার ব্যাপারে সারা বিশ্ব যখন মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং আইসিজেতে একটি রায়ের জন্য যখন সবাই অপেক্ষা করছিল, ঠিক তখনই চীনা প্রেসিডেন্ট মিয়ানমার সফর করেছিলেন। এর মধ্য দিয়ে মিয়ানমার সরকারের প্রতি চীনা সমর্থন আবারও ব্যক্ত হয়েছিল এবং বিশ্ব আসরে মিয়ানমারের পাশে যে চীন থাকবে, তার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছিল।
ওই সফরে মিয়ানমার ও চীন ৩৩টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে; যার মধ্য দিয়ে চীন-মিয়ানমার সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়েছে। চীন রাখাইনে কিয়াউকপিউ (Kyaukpyu) গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়নে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে। এ ব্যাপারে চুক্তি হয়েছে। এ গভীর সমুদ্রবন্দরটি চীনের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এর মধ্য দিয়ে বঙ্গোপসাগরে চীনা জাহাজের প্রবেশাধিকার ও নিয়ন্ত্রণ আরও সহজ হবে। একই সঙ্গে ১২১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ কিয়াউকপিউ-কুনমিং রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এ ব্যাপারেও একটি চুক্তি হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ইউনান রাজ্যের পণ্য কিয়াউকপিউ গভীর সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে বহির্বিশ্বে রফতানি করা সহজ হবে। এটা মিয়ানমার-চীন অর্থনৈতিক করিডরের অংশ। একসময় এ করিডরের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্পৃক্ত ছিল, যা বিসিআইএম করিডর নামে পরিচিত ছিল (বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার)। পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ ও ভারতকে বাদ দিয়েই চীন মিয়ানমারকে সম্পৃক্ত করে এ অর্থনৈতিক করিডরের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
বিসিআইএম করিডরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল কক্সবাজারের সমুদ্র উপকূলে সোনাদিয়ার প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্রবন্দরটি। চীন এ বন্দরটি নির্মাণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের আপত্তির কারণে সেই পরিকল্পনাটি পরিত্যক্ত হয়েছিল। পাঠক, ভারতের ‘কালাদান মাল্টি মোডাল ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের’ কথা স্মরণ করতে পারেন। ভারত রাখাইন স্টেটের সিটওয়েতে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর ও অভ্যন্তরীণ নৌ-টার্মিনাল নির্মাণ করছে। ভারতের এখানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৪৮৪ মিলিয়ন ডলার। এ প্রজেক্টের কাজ শেষ হলে সমুদ্রপথে কলকাতার সঙ্গে রাখাইনের সিটওয়ের (এক সময়ের আকিয়াব) সংযুক্ত হবে। ভারত অনেক আগেই এ প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিল।
বঙ্গোপসাগার ঘেঁষে এ সমুদ্রবন্দর (সিটওয়ে) ভারতের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কলকাতা থেকে পণ্য পরিবহনে (সাত বোন রাজ্যে) এ রুটটি ব্যবহৃত হবে। কালাদান নদীর মোহনায় এটি অবস্থিত বিধায় এটা ‘কালাদান প্রজেক্ট’ হিসেবেই পরিচিতি পেয়েছে। এটা সম্পন্ন হলে নদীপথে সিটওয়ের সঙ্গে মিয়ানমারের চীন স্টেটের পালেটওয়া (Paletwa) বন্দরকে সংযুক্ত করবে। এরপর সড়কপথে পালেটওয়া সংযুক্ত হবে মিজোরামের জরিনপুই (Zorinpui)-এর সঙ্গে। এ প্রজেক্টটি সম্পূর্ণ হলে একদিকে মিয়ানমার-ভারত বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে সাত বোন রাজ্যগুলোয় পণ্য পরিবহন সহজ হবে। সুতরাং ভারতের বড় স্বার্থ রয়েছে মিয়ানমারে।
ভারতের ‘Act East Policy’র গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে মিয়ানমার। ভারত বড় অর্থনীতির দেশ হতে যাচ্ছে। চলতি বছরই ভারতের অর্থনীতি ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে ও ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। বাণিজ্য বিনিয়োগ ভারতের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করছে। মিয়ানমারে ভারতের বিনিয়োগ দেশটিকে ১১তম বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে পরিণত করেছে। ভারতের ৩০টি কোম্পানির সেখানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৭৬৩ মিলিয়ন ডলার (চীনের বিনিয়োগ ২০ বিলিয়ন ডলার)। মিয়ানমারে রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলেও বিশাল তেল ও গ্যাস রিজার্ভ দেশটিকে পশ্চিমা বিশ্বের কাছে একটি আকর্ষণীয় দেশে পরিণত করেছে। ভারতও এ প্রতিযোগিতায় আছে। সুতরাং রোহিঙ্গা প্রশ্নে ভারতের সিদ্ধান্ত মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে যাবে বলে মনে হয় না।
কূটনৈতিকভাবে ভারত রোহিঙ্গা প্রশ্নে বাংলাদেশের পাশে আছে। কিন্তু তার জাতীয় স্বার্থের কারণে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সরাসরি যেতে পারছে না। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ভারত যদি অবস্থান নেয়, তাহলে কালাদান প্রজেক্ট বাস্তবায়নে মিয়ানমার অন্তরায় সৃষ্টি করবে। এখানে আরও একটি প্রশ্ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ- আর তা হচ্ছে, অং সান সু চি স্বয়ং ও মিয়ানমারের রাজনৈতিক কাঠামো, যা রোহিঙ্গাবিরোধী। লক্ষ করলে দেখা যাবে, গত বেশ কিছুদিন ধরে মিয়ানমারে একটি উগ্র বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদী রাজনীতি বিকাশ লাভ করেছে। এরা কট্টরপন্থী থেরাভাদা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। ধর্মগুরুদের প্রতি এদের আস্থা ও বিশ্বাস অনেক বেশি। এরা সংস্কারে বিশ্বাসী নয়। এদের প্রচুর অনুসারী রয়েছে মিয়ানমারে। এ থেরাভাদা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা মিয়ানমারকে বৌদ্ধ ধর্মভিত্তিক একটি বৌদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। অনেক সিরিয়াস পাঠক আশিন উইরাথুর কথা মনে করতে পারেন। তাকে নিয়ে বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন কভার স্টোরি করেছিল ২০১৩ সালের ১ জুলাই। কভার স্টোরির শিরোনাম ছিল ‘দ্য ফেস অব বুদ্ধিস্ট টেরর’। তিনি প্রচণ্ড রকম মুসলমানবিদ্বেষী। এজন্য তাকে ‘মিয়ানমারের লাদেন’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়েছিল। তিনি মিয়ানমারে তরুণ বৌদ্ধ ধর্মগুরুদের সংগঠিত করে মুসলানবিদ্ধেষী একটা সেন্টিমেন্ট গড়ে তুলেছিলেন।
এ সেন্টিমেন্টকে সু চি ধারণ করেন। অত্যন্ত ক্ষমতালিপ্সু সু চি এ মুসলমানবিদ্বেষী মনোভাবকে ব্যবহার করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়েছিলেন। অবাক করার বিষয় হচ্ছে, সু চির বর্তমান রাজনীতির সঙ্গে তার বাবা আউং সানের কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। আউং সান ছিলেন তৎকালীন বার্মার স্বাধীনতাকামী নেতা, ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৭ সার পর্যন্ত তিনি ছিলেন বার্মার প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিকভাবে আউং সান প্রথমদিকে ছিলেন কমিউনিস্ট মতাদর্শে বিশ্বাসী। পরবর্তী সময়ে তিনি পরিচিত ছিলেন মডারেট ‘সোশ্যাল ডেমোক্রেট’ হিসেবে। এ আউং সানের সন্তান হিসেবে সু চি কীভাবে এখন কট্টর বৌদ্ধ ধর্ম দ্বারা প্রভাবিত ও পরিচালিত হলেন, সেটাই অবাক করার বিষয়!
এর পেছনে কাজ করেছে মূলত তার সুবিধাবাদী রাজনীতি। একদিকে তিনি সেনাবাহিনীকে খুশি রাখতে চান, যারা থেরাভাদা বৌদ্ধ ধর্মকে ‘প্রমোট’ করছে। সু চি মনে করছেন, সেনাবাহিনীকে হাতে রেখেই তিনি আবার ক্ষমতায় আসবেন। কিন্তু একটি সম্প্রদায়কে নির্বাচনে অংশ দিতে না দেয়া, তাদের নাগরিকত্ব হরণ করা প্রকারন্তরে গণতন্ত্রের পরিপন্থী। এটা গণতন্ত্র নয়। তাই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক আবদুল্লাহ ইউসুফ (ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয়) মন্তব্য করেছেন এভাবে- With election approaching in November 2020 Myanmar's government-sanctioned 'democracy without rights' may bring free election, but as long as ethnic clamming continues against Rohingya Muslims, any are claiming these election will smooth the path for democracy road to democracy is deluded (The Conversation, August 20, 2020); একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে যে নির্বাচন, সে নির্বাচন শঠতা ছাড়া আর কিছুই নয়। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য তাই ভালো কোনো সংবাদ আগামী দিনে অপেক্ষা করছে না।
Jugsntor
30.8.2020
0 comments:
Post a Comment