সময়টা ২৩ অক্টোবর ১৯৫৪। সমাজতান্ত্রিক চীনের অভ্যুদ্বয়ের ছয় বছরের মধ্যে সমাজতান্ত্রিক শিবিরের বাইরে থাকা নন-কমিউনিস্ট রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান হিসেবে যিনি প্রথম বেইজিং সফরে গিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু। বিখ্যাত এবং আলোচিত-সমালোচিত মাও জে দংয়ের সঙ্গে নেহেরুর ছবি এখনও অনেকের চোখে ভাসে। আজ থেকে ৬৬ বছর আগে ভারত ও চীন এভাবেই একটা বন্ধুত্বের সূচনা করেছিল। অনেকের কাছে ‘হিন্দি-চীনা ভাই ভাই’ স্লোগানের কথা এখনও মনে আছে। একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র, যে রাষ্ট্রটি সম্পর্কে ওই সময় পশ্চিমা সমাজে এক ধরনের ভীতি ছিল এবং ১৯৪৮ সালের চীনের সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব বিশ্বে বড় ধরনের একটি ‘আতঙ্ক’ সৃষ্টি করেছিল(?); আর গণতান্ত্রিক ভারত, যে দেশটি পুঁজিবাদী বিশ্ব ও সমাজতান্ত্রিক বিশ্বের বাইরে থেকে তৃতীয় বিশ্বের নেতৃত্ব দিতে চায়- পরস্পরবিরোধী এ দুই রাষ্ট্রের মাঝে কীভাবে সম্পর্ক হবে, এর ভিত্তি কী হবে তা নিয়ে শত প্রশ্ন ছিল। অনেক আপত্তি ছিল। সব আপত্তি উপেক্ষা করে নেহেরু ছুটে গিয়েছিলেন চীনে। আর ওই সফরেই এ দুই নেতা, মাও জে দং ও নেহেরু জন্ম দিয়েছিলেন ‘পঞ্চশীলা’ নীতির। এর আগে জুন মাসেই (১৯৫৪) দিল্লি সফর করে গিয়েছিলেন চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই। তখনই ‘পঞ্চশীলা’র প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল চীনের তরফ থেকে, যা নেহেরুর বেইজিং সফরে স্থায়ী ভিত্তি পেয়েছিল। এ ‘পঞ্চশীলা’ নীতিকে কেন্দ্র করেই ১৯৫৫ সালের ১৮ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার বাংদুং-এ সূচনা হয়েছিল জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের।
কিন্তু এ ‘হিন্দি-চীনা ভাই ভাই’ সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ১৯৬২ সালে ভারত ও চীন বড় ধরনের যুদ্ধে জড়িয়ে গিয়েছিল। ১৯৬২ সালের পর ২০১৭ সালে হিমালয় অঞ্চলভুক্ত দোকলামেও একটি যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তখন যুদ্ধ হয়নি বটে, তবে দীর্ঘদিন উত্তেজনা বজায় ছিল। এরপর এলো ২০২০ সালের ১৫ জুনের গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের খবর। আগামী বুধবার গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের এক মাস পার হবে। এই এক মাসে গালওয়ান উপত্যকায় যুদ্ধ হয়নি; কিন্তু উত্তেজনার পুরোপুরি অবসান হয়েছে, তা বলা যাবে না। একটা প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে, বিতর্কিত সীমান্ত অঞ্চল পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা থেকে চীন ও ভারত সেনাবাহিনী সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে। উত্তেজনা কমাতে ‘বাফার জোন’ তৈরির উদ্দেশ্যেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমগুলো আমাদের জানাচ্ছে। কিন্তু এ সেনা প্রত্যাহার ও গালওয়ান উপত্যকায় এক ধরনের ‘স্ট্যাটাস কো’ বজায় রাখার মধ্য দিয়ে কি চীন-ভারত সম্পর্ক আগের অবস্থায় ফিরে যাবে? গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষ ও সংকট নিরসনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকরের চেয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের একটি ‘বড় ভূমিকা’ সামনে চলে এসেছে। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে ডোভাল যে ক্রমেই একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গালওয়ান উপত্যকায় চীন ও ভারতের সেনাবাহিনী যখন মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিল এবং দু’দেশই সম্ভাব্য একটি ‘যুদ্ধের’ জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল, ঠিক তখনই গত ৫ জুলাই অজিত ডোভাল দু’ঘণ্টা ধরে ভিডিও কলে কথা বলেন চীনের বিদেশমন্ত্রী তথা স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই’র সঙ্গে। আর তাতেই সফলতা আসে (আনন্দবাজার, ৬ জুলাই)। যে কাজটি করার কথা বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের, সে কাজটি করলেন সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা অজিত ডোভাল। গেল বছর কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের পরিবর্তন, লাদাখকে জন্মু ও কাশ্মীর থেকে পৃথক করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার ব্যাপারেও ডোভালের ভূমিকা ছিল মুখ্য। ডোভালের ওপর মোদির নির্ভরতা অনেক বেড়েছে।
দু’পক্ষ সেনা সরিয়ে নিয়েছে বটে; কিন্তু প্রশ্ন আছে কিছু। সংবাদপত্র থেকে জানা যায়, পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের উত্তরের ফিঙ্গার অঞ্চলে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। ফিঙ্গার অঞ্চলের একাধিক স্থানে রাস্তা, কালভার্ট ও কংক্রিটের বাঙ্কার তৈরি করেছে চীন। ইতোমধ্যে এ অঞ্চলে এক ধরনের ‘কর্তৃত্ব’ প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে চীন। ফলে ‘সাময়িক সমঝোতা’ আদৌ কাজ করবে কিনা, এটা নিয়ে সন্দেহ রয়েই গেল। তবে এটা ঠিক, চীন ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ ও দ্বন্দ্ব থাকলেও দেশ দুটি সম্প্রতি এক ধরনের বন্ধুত্ব নিয়ে এগিয়ে গেছে। মোদির জমানায় দু’দেশের সম্পর্ক নতুন এক উচ্চতায় উপনীত হয়েছিল। অনেকের স্মরণ থাকার কথা, চীনা রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিং তার প্রথম ভারত সফরে প্রথম অবতরণ করেছিলেন গুজরাতে।
সম্প্রতি চীন-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘উহান স্পিরিট’কে অন্যতম অগ্রগতি হিসেবে ধরা হয়। ২০১৮ সালের ২৭-২৮ এপ্রিল মধ্য চীনের হুবাই প্রদেশের রাজধানী উহানে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ব্রিফিংয়ে তখন বলা হয়েছিল, দুই শীর্ষ নেতার অনানুষ্ঠানিক বৈঠক শুধু এ অঞ্চলেরই নয়, বরং বিশ্ব রাজনীতির উন্নয়ন ও বিকাশেও বড় ভূমিকা রাখবে। ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়েছিল, দু’দেশের মাঝে এ সম্পর্ক একটি শক্তিশালী ‘এশিয়ান সেঞ্চুরি’ গঠনে বড় অবদান রাখবে। এ অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা স্থাপনের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছিলেন এ দুই নেতা (ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নোট, ২৮ এপ্রিল ২০১৮)। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এ দুই নেতার অনানুষ্ঠানিক বৈঠককে ‘Wuhan Spirit’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। এর রেশ ধরে পরবর্তী অনানুষ্ঠানিক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের প্রাচীন শহর সমুদ্রঘেঁষা মামাল্লাপুরমে ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর। পরপর দুটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের পর চীনে তৃতীয় আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা চলতি বছরের শেষের দিকে। কিন্তু গত ১৫ জুন হিমালয় অঞ্চলের গালওয়ান উপত্যকায় চীন-ভারত সংঘর্ষ ও তাতে ২০ জন ভারতীয় সৈন্যের মৃত্যুর পর সঙ্গত কারণেই যে প্রশ্নটি উঠেছে তা হচ্ছে, ‘উহান স্পিরিট’ কি শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হতে চলেছে? আমরা এ মুহূর্তে নিশ্চিত নই ‘সাময়িক সমঝোতা’টি শেষ পর্যন্ত টিকবে কিনা। দোকলামের (২০১৭) ঘটনায়ও উত্তেজনা দীর্ঘ এক মাস বজায় ছিল। বর্তমানে অবশ্য দোকলাম নিয়ে একটা ‘স্ট্যাটাস কো’ বজায় রয়েছে।
আন্তর্জাতিক পরিসরে, এমনকি ভারতের অভ্যন্তরেও চীন-ভারত সমঝোতার ব্যাপারে অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে। একটি Chindea’র ধারণা এভাবেই বিকশিত হয়েছিল। ভারতের রাজনীতিবিদ (কংগ্রেস) ও সাবেক পরিবেশমন্ত্রী জয়রাম রামেশও Chindea'র ধারণা প্রমোট করেছেন (ইকোনমিক টাইমস, ২৭ মার্চ ২০১৪)। সমসাময়িককালের একজন বহুল আলোচিত জিও স্ট্র্যাটেজিস্ট রবার্ট ডি. কাপলানও তার লেখনীতে (বিখ্যাত গ্রন্থ Monsoon) সম্ভাব্য চীন-ভারত আঁতাতের কথা উল্লেখ করেছিলেন। চীন ও ভারত যদি একমঞ্চে কাজ করতে পারে, তাহলে বদলে দিতে পারে বিশ্বকে। ভারত ও চীনের মোট এলাকার পরিমাণ ১,২৯,২৮০৬১ বর্গকিলোমিটার। বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠীর তিন ভাগের এক ভাগ (২৭২ কোটি) এ দুই দেশে বসবাস করে। দুটি দেশের মোট জিডিপির পরিমাণ (পিপিপি) ৩৫.৬২৪ ট্রিলিয়ন ডলার (সাধারণ নিয়মে ১৬.১৫ ট্রিলিয়ন ডলার)। অর্থনীতিতে ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে (পিপিপি) ২০১৬ সালে বিশ্বে চীনের অবস্থান ছিল এক নম্বরে (সাধারণ হিসেবে ২ নম্বরে)। ২০৫০ সালে জিডিপির যে প্রাক্কলন করা হয়েছে তাতেও চীন থাকবে এক নম্বরে (পিপিপি)। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ছিল ২ নম্বরে (পিপিপি, ২০১৬), তা নেমে আসবে (২০৫০) তিন নম্বরে। আর ভারত অবস্থান করবে ২ নম্বরে। ফলে চীন ও ভারত যদি একত্রিত হয়, তাহলে বদলে দেবে বিশ্বকে।
চীনকে এখন বলা হয় ‘উৎপাদনের কারখানা’- অর্থাৎ সব পণ্যই চীন উৎপাদন করে এবং সস্তায় তা বিশ্বের সর্বত্র পৌঁছে দেয়। অবকাঠামোগত উন্নয়নের স্রোতেও চীনের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোডের’ মাধ্যমে চীন ৬১টি দেশকে এক কাতারে নিয়ে এসেছে। অন্যদিকে সার্ভিস সেক্টর ও ইনফরমেশন টেকনোলজিতে ভারত নিজের একটা অবস্থান তৈরি করেছে। দেশ দুটি বিশ্বব্যাংকের বিকল্প হিসেবে ব্রিকস ব্যাংক (২০১৪) প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশ দুটি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সদস্য (২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত)। ফলে নয়া বিশ্বব্যবস্থা বিকাশে এ দেশ দুটি একত্রিত হয়ে যে একটি বড় ভূমিকা পালন করবে, তা বলাই বাহুল্য। তবে গালওয়ানের ঘটনাবলি দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা বড় ধরনের অনাস্থা সৃষ্টি করল কিনা, সেটিই প্রশ্ন। একটি অবিশ্বাসের জায়গা তো আছেই। লাদাখের দক্ষিণে রয়েছে ভারতের হিমাচল রাজ্য, আর এ রাজ্যের ওপর চীন তার অধিকার এখনও দাবি করে আসছে। একই সঙ্গে হিমাচল রাজ্যের ধর্মশালায় তিব্বতি নির্বাচিত সরকারের একটি অস্তিত্ব রয়েছে।
চীন ঝিন ঝিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলমানদের নিয়ে একটি সংকটে আছে। সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শক্তিশালী হচ্ছে। তাই চীন কখনই চাইবে না ঝিন ঝিয়াং এবং তিব্বত আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠুক। পশ্চিমা ইন্ধন এখানে রয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসে উইঘুর মুসলমান ও তিব্বত নিয়ে একটি আইন পাসও হয়েছে। ফলে এ সীমান্ত যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে চীন। ব্রিটিশরা এ অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার সময় তারা চীনের সঙ্গে ভারতের সীমানা চিহ্নিত করে যায়নি। এক ধরনের ‘স্ট্যাটাস কো’ বজায় ছিল এ এলাকায়। এ গালওয়ান ভ্যালির একদিকে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, অন্যদিকে চীন নিয়ন্ত্রিত আকসাই চিন, যা কিনা ভারত তার নিজের এলাকা বলে দাবি করে। এর উত্তরে রয়েছে সিয়াচিন হিমবাহ, যেখানে ১৯৮৪ সালে পাকিস্তান ও ভারত যুদ্ধে জড়িয়ে গিয়েছিল। এ সিয়াচিন হিমবাহ ভূমি থেকে ৫৪০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত, যার স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব অনেক। সিয়াচিন হিমবাহের ৭০ কিলোমিটার এলাকা ভারতের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল বালতিস্তানের সীমান্ত ঘেঁষে রয়েছে সিয়াচিন। সিয়াচিন হিমবাহের পাশে অবস্থিত একটি এলাকা Shaksgam Valley পাকিস্তান চুক্তি করে চীনকে দিয়ে দিয়েছিল। ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষ হলেও এ অঞ্চলের (পশ্চিম অংশ), অর্থাৎ লাদাখ ও আকসাই চিনের কর্তৃত্ব নিয়েই ১৯৬২ সালে ভারত ও চীন বহুল আলোচিত যুদ্ধে জড়িয়ে গিয়েছিল। ১৯৬৭ সালেও সংঘর্ষ হয়েছে সিকিমের নাথুলা ও চোলা গিরিপথের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে। ১৯৯৯ সালে কারগিল (লাদাখ অঞ্চলের অন্তর্র্ভুক্ত) যুদ্ধের খবরও আমরা জানি। আর ২০১৭ সালে দোকলামে ভারত-চীন একটি যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। এর অর্থ হচ্ছে, হিমালয় অঞ্চলে যুদ্ধ আর সংঘর্ষের খবর অনেক পুরনো। প্রথমে আকসাই চিন (১৯৬২), পরে নাথুলা ও চোলা গিরিপথ (১৯৬৭) ও দোকলাম (২০১৭), আর এরই ধারাবাহিকতায় গালওয়ান উপত্যকায় (২০২০) হল যুদ্ধ ও সংঘর্ষ। গালওয়ানের কর্তৃত্ব নিয়ে দু’দেশের যুদ্ধে না জড়িয়ে পড়া নিঃসন্দেহে দূরদর্শিতার পরিচায়ক। অজিত ডোভালের সাফল্য এখানেই।
প্রশ্ন হচ্ছে, ‘সাময়িক সমঝোতা’ শেষ পর্যন্ত দু’দেশকে কাছে টানবে কিনা? নাকি তৃতীয় কোনো পক্ষ ভারতকে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে ইন্ধন জোগাবে? হিমালয় অঞ্চল এবং সেই সঙ্গে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল আগামী দিনগুলোয় উত্তপ্ত থাকবে। সুতরাং হিমালয় অঞ্চলের পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটাই দেখার বিষয়।
Jugantor
12.7.2020
0 comments:
Post a Comment