যারা
মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির কিছুটা খোঁজখবর রাখেন, তাদের কাছে ‘জিওনবাদ’ বা
ইহুদিবাদ কোনও অপরিচিত নাম নয়। আজকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন যখন চার সপ্তাহ
ছুঁইছুঁই করছে এবং যুদ্ধবাজ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যখন
বলছেন- এই হামলা অব্যাহত থাকবে, তখন ‘জিওনবাদ’ ও একটি বৃহৎ ইসরায়েলি
রাষ্ট্র গঠনের কথাটা বারবার এসে যায়। ইতিহাসের ছাত্ররা জানেন, একসময়
ফিলিস্তিনিদের তাদের নিজস্ব এলাকা থেকে উৎখাত করে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল
প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এক সময় এই অঞ্চল ছিল অটোমান সাম্রাজ্যের আওতায়।
দীর্ঘ চার শতকের অটোমান সাম্রাজ্যের অবসান ঘটে ১৯১৭ সালে, যখন এই অঞ্চলের
নিয়ন্ত্রণভার চলে যায় ব্রিটেনের হাতে। আর বেলফোর ঘোষণার (ইধষভড়ঁৎ
ফবপষধৎধঃরড়হ) আলোকে ফিলিস্তিনি এলাকায় উদ্যোগ নেওয়া হয় ইহুদি রাষ্ট্র
ইসরায়েল গঠনের। সেটা ১৯২০ সালের কথা। এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর
বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে ইহুদিরা এ অঞ্চলে আসতে শুরু করে। যদিও তৎকালীন
আরব রাষ্ট্রগুলো বেলফোর এই ঘোষণা মেনে নেয়নি। ফলে ইতিহাস প্রত্যক্ষ করে
১৯২০, ১৯২১, ১৯২৯ ও ১৯৩৬ সালে বড় ধরনের সংঘর্ষের। কিন্তু আরব-ইহুদি
দ্বন্দ্ব অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও জাতিসংঘ ১৯৪৭ সালে এ অঞ্চলকে দুভাগে (আরব ও
ইহুদি রাষ্ট্র) ভাগ করার একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আর ১৯৪৮ সালে এ অঞ্চল
থেকে ব্রিটেন নিজেদের প্রত্যাহার করে নিলে জন্ম হয় ইহুদি রাষ্ট্র
ইসরায়েলের। তবে যে মতবাদের ওপর ভিত্তি করে এই রাষ্ট্রটির জন্ম, তা হচ্ছে
‘জিওনবাদ’ বা ইহুদিবাদ। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা গেছে, ‘জিওনবাদের’ স্বপ্নদ্রষ্টা
হচ্ছেন থিওডর হারজেল (ঞযবড়ফড়ৎ ঐবৎুষ)। ১৯০৪ সালে তিনি একটি বৃহত্তর ইহুদি
রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই রাষ্ট্রটির সীমানা হবে একদিকে নীল নদ,
অন্যদিকে ফোরাত নদী। এ লক্ষ্যেই ১৯৮২ সালে ইনন পরিকল্পনা (ড়ফবফ ুরহড়হ)
প্রণয়ন করা হয়েছিল। এই পরিকল্পনায় গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে ধর্মীয় ও
প্রাথমিকভাবে ছোট ছোট রাষ্ট্রে বিভক্ত করা হবে। ফলে আরব রাষ্ট্রগুলো দুর্বল
হবে এবং তা ইসরায়েলি রাষ্ট্রকে কোনও নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি করবে না। আজকে
ইরাকের দিকে তাকালে কিন্তু সেই ‘ইনন ফর্মুলা’র বাস্তব প্রতিফলন আমরা দেখতে
পাই। ইরাক আজ বাহ্যত তিন ভাগে বিভক্তির পথে- কুর্দি অঞ্চলে একটি স্বাধীন
রাষ্ট্র কুর্দিস্তান, শিয়া, ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে একটি শিয়া রাষ্ট্র এবং
সুন্নিরা আলাদা হয়ে একটি আলাদা রাষ্ট্র। এই পরিকল্পনা এখন অনেক দূর এগিয়ে
গেছে। কুর্দিরা স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য একটি গণভোটের কথা বলছে। অনেকে স্মরণ
করতে পারেন জো বাইডেন (বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট), ২০০৬
সালের ১ মে পররাষ্ট্র বিষয়ক সিনেট কমিটিতে (তখন তিনি একজন সিনেটর) এক ভাষণে
ইরাককে ভেঙে ৩টি রাষ্ট্র করার প্রস্তাব করেছিলেন। ২০০৭ সালে সিনেটে গৃহীত
এক প্রস্তাবে (৭৫-২৩ ভোটে) সেই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছিল। কুর্দিরা সেই
প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছিল। আজ যখন জো বাইডেন মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি
প্রতিষ্ঠার জন্য যান, তখন সঙ্গত কারণেই তার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই।
বলা ভালো জো বাইডেন নিজে একজন ইহুদি। ওবামার ইহুদিপ্রীতির খবরও ইতিহাসে
আছে। তরুণ সিনেটর হিসেবে প্রয়াত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী গোল্ডামায়ারের
সঙ্গে দেখা ও তার প্রশংসা করা এবং চলতি জানুয়ারিতে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী
শ্যারনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদান এবং নেতানিয়াহুর সঙ্গে দুঘণ্টা বৈঠক-
এসবই ছিল ইসরায়েলের প্রতি তার ভালবাসার প্রকাশ। এখানে আরও একটা কথা বলা
দরকার, ১৯৬০ সাল থেকেই কুর্দি নেতৃবৃন্দ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে এবং
সেখান থেকে সামরিক সাহায্য পেয়ে আসছে। চলতি জুন (২০১৪) মাসে নেতানিয়াহু
তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ভাষণে স্বাধীন কুর্দিস্তানের পক্ষে কথা বলেছেন।
ইতিহাসের কী অনিবার্য পরিণতি! দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন হিটলারের
দক্ষিণ হস্ত বলে পরিচিত আইসম্যানের ফর্মুলা অনুযায়ী হিটলার ইহুদিদের
বন্দিশিবিরে একত্রিত রাখা ও তাদের উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছিলেন। গ্যাস
চেম্বারে ইহুদিদের হত্যা করা হয়েছিল। আজ এত বছর পর সেই ইহুদি নেতৃত্ব একই
পন্থা অবলম্বন করে গাজায় ফিলিস্তিনিদের এক ধরনের বস্তি জীবনযাপনে বাধ্য
করছেন! ইতিহাস থেকে ইহুদি নেতৃত্ব কোনও শিক্ষাই নেননি।
এখানে ‘ইনন ফর্মুলা’ নিয়ে কিছু কথা বলা প্রয়োজন। ওডেড ইনন (ড়ফবফ ুরহড়হ) মূলত একজন কট্টর ইহুদি স্ট্র্যাটেজিস্ট। তিনি মূলত একজন গবেষক ও শিক্ষক। বলা যেতে পারে থিওডোর হারজেল যে স্বপ্ন এক সময় দেখতেন, তার বাস্তবে রূপ দিতেই ইনন সদূরপ্রসারী একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। আর তা বাস্তবে রূপ দিতে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ইনন হিব্রু ভাষায় একটি প্রবন্ধ লেখেন করাঁৎরস নামে একটি কট্টরপন্থী ম্যাগাজিনে। আশির মাঝামাঝি ওই প্রবন্ধটি ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছে এভাবে- ‘অ ংঃৎধঃবমু ভড়ৎ ওংৎধবষ রহ ঃযব ঘরহবঃববহ ঊরমযঃববং’। লেবাননকে ভেঙে ৫টি রাষ্ট্রে বিভক্ত করা কিংবা সিরিয়াকে ভেঙে একাধিক রাষ্ট্রে পরিণত করা এসবই ছিল ‘ইনন ফর্মুলার’ অন্তর্গত। ইসরায়েলের কট্টরপন্থী নেতারা এই ফর্মুলা এখন ধারণ করেন। আজ যদি আমরা মধ্যপ্রাচ্যের দিকে তাকাই, তাহলে দেখা যাবে এই ‘ইনন ফর্মুলাই’ এখন কার্যকর হচ্ছে। ইসরায়েল মূলত ফাতাহ ও হামাসের ভেতরকার দ্বন্দ্বকে কাজে লাগাচ্ছে। মাহমুদ আব্বাস ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট হলেও পার্লামেন্ট নিয়ন্ত্রণ করে হামাস। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বের কাছে হামাস গ্রহণযোগ্য হয়নি। এমনকী খোদ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছেও হামাসের (২০০৬) এই বিজয় নিয়ে প্রশ্ন ছিল। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, ফিলিস্তিনি স্বায়ত্তশাসন তথা স্বাধীন একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের ব্যাপারে ওয়াশিংটন চুক্তি (১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯৩) ছিল একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। ওই শান্তি চুক্তির ফলে ইসরায়েল অধিকৃত গাজা ও পশ্চিম তীরের জেরিকো শহরে সীমিত স্বায়ত্তশাসন স্বীকৃত হয়েছিল। পরে ১৯৯৭ সালের ১৫ জানুয়ারি অপর একটি চুক্তির বিনিময়ে হেবরন শহরে ফিলিস্তিনি শাসন সম্প্রসারিত হয়। ওয়াশিংটন চুক্তির পরপরই যে ফিলিস্তিনি স্বশাসিত এলাকার সৃষ্টি হয়েছিল, তা আজও স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা পায়নি। তবে ১৯৯৬ সালে ফিলিস্তিনি স্বশাসিত এলাকার প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং আরাফাত প্রেসিডেন্ট পদে বিজয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু ২০০৪ সালে আরাফাতের মৃত্যু ফিলিস্তিনি আন্দোলনের জন্য ছিল এক ছুরিকাঘাতের শামিল। জীবদ্দশায় আরাফাত একজন প্রেসিডেন্টের সম্মান পেয়ে গেছেন, কিন্তু স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র তিনি দেখে যেতে পারেননি। অভিযোগে আছে, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’ বিষ প্রয়োগ করে তাকে হত্যা করেছিল। এরপর ২০০৫ সালে মাহমুদ আব্বাস ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হন। কিন্তু হামাসের সঙ্গে তার সম্পর্ক কোনও পর্যায়েই ভালো ছিল না এবং দেখা গেল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মাঝে দুই কর্তৃপক্ষের জন্ম হয়েছে- একদিকে ফাতাহর নেতৃত্বে পশ্চিম তীরে একটি প্রশাসন, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাহমুদ আব্বাস। অন্যদিকে গাজায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হামাসের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন। এতে করে পুরো ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ দুর্বল হয়েছে। ইসরায়েলের সুবিধা এখানেই। ফিলিস্তিনি নেতৃত্বে বিভক্তি সৃষ্টি করে ইসরায়েলি নেতৃত্ব একটি বৃহত্তর ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছেন। আর এর পেছনে রয়েছে পশ্চিমা গোষ্ঠীর প্রচ্ছন্ন সমর্থন। অবাক করা সত্য কথা হচ্ছে, অনেক আরব রাষ্ট্রের পরোক্ষ সমর্থন পাচ্ছে ইসরায়েল। আমরা যদি সাম্প্রতিক ঘটনাবলির দিকে তাকাই, তাহলে দেখব হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি অভিযানের পেছনে সমর্থন রয়েছে মিসরের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল সিসির। বলা হচ্ছে জর্ডান ও সৌদি আরবও সমর্থন করছে হামাস উৎখাতে ইসরায়েলি সেনা অভিযানকে। হামাস এক ধরনের ‘র্যাডিকালিজমের’ জন্ম দিয়েছে। জর্ডান ও সৌদি আরবে রাজতন্ত্র রয়েছে। তাদের ভয়টা সেখানেই। এই ‘র্যাডিকালিজম’ এই দুটো দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং তাতে করে রাজতন্ত্র উচ্ছেদও হতে পারে। তাই দুঃখজনক হলেও সত্য, ইসরায়েলি হামলায় শত শত মানুষ মারা গেলেও, সৌদি আরবের কোনও প্রতিক্রিয়া এতে পাওয়া যায়নি। শুধু তুরস্ক ও কাতার সমর্থন করেছে হামাসকে। মনে রাখতে হবে কাতারে বর্তমানে বসবাস করছেন হামাসের শীর্ষ নেতা খালেদ মিশেল। অন্যদিকে তুরস্ক কোনও আরব রাষ্ট্র নয় এবং ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী এরদোগান দীর্ঘদিন ধরে হামাসের পাশে আছেন এবং তিনি নিজে ইসরায়েলি এই বর্বরতাকে হিটলারের নির্যাতনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।
গাজার বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে এটা স্পষ্ট যে, ইসরায়েল খুব সহসাই এই সামরিক স্ট্র্যাটেজি পরিত্যাগ করবে না। গাজার ব্যাপারে তাদের যথেষ্ট স্বার্থ রয়েছে। গাজায় যারা বসবাস করেন, তাদের সেখানে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় বসবাস করতে বাধ্য করে পুরো গাজাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় ইসরায়েল। তাদের এই স্ট্র্যাটেজি, অর্থাৎ নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ফিলিস্তিনিদের বসবাসকে ‘মবঃঃড়রংস’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন কেউ-কেউ। অর্থাৎ ‘ঘেটো’ বা বস্তিতে বসবাস করা। স্মরণ থাকতে পারে নাজিনেতা আইসম্যান ইউরোপে ইহুদিদের ক্ষেত্রে এই ‘ঘেটো তত্ত্ব’ ব্যবহার করে ইহুদিদের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে বসবাস করতে বাধ্য করেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ অবসানের পূর্ব যুগে কৃষ্ণাঙ্গদের মূল শহর থেকে সরিয়ে নিয়ে ১০টি ‘হোমল্যান্ডে’ বসবাস করতে বাধ্য করা হয়েছিল। আজ নেতানিয়াহু সরকার অনেকটা সেই ‘ঘেটো’ বা ‘বস্তি তত্ত্ব’ই ব্যবহার করতে চায় গাজায়। কিন্তু ইতিহাস বলে কখনোই এসব উদ্যোগ সফল হয়নি। আইসম্যান সফল হননি। ১৯৬০ সালে আইসম্যানকে আর্জেন্টিনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বিচারে তার ফাঁসি হয়েছিল। আর দক্ষিণ আফ্রিকায় ওই ‘হোমল্যান্ড তত্ত্ব’ও ভেঙে পড়েছিল। ইসরায়েল আজ নিরীহ শিশুদের হত্যা করে মহা অন্যায় করেছে। এর বিচার হওয়া প্রয়োজন। ইতিহাস মিলোসেভিচকে মুসলমানদের বসনিয়া থেকে উচ্ছেদের জন্য ক্ষমা করেনি। নেতানিয়াহুও ক্ষমা পাবেন না। মিলোসেভিচের বিচার হয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে। আজ জাতিসংঘ নিয়ন্ত্রিত স্কুলগুলোয় আশ্রয় নিয়েও যখন গাজার শিশুরা ইসরাইলি হামলা থেকে রেহাই পায় না তখন জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বৈকি! গাজায় এই মানবিক বিপর্যয় নিয়ে মুসলিম বিশ্বও আজ বিভক্ত ও নির্লিপ্ত। ইসরায়েল তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কোন সময়টা বেছে নিল, সেটাও ভেবে দেখার বিষয়। একদিকে ইরাকের মালিকি সরকারের অস্তিত্ব এখন কাগজ-কলমে। নিজেকে মুসলিম বিশ্বের ‘খলিফা’ দাবিকারী বুগদাদি ও তার জঙ্গি সেনারা ইরাকের প্রত্যন্ত অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে। বুগদাদি চরম সুন্নিদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি জঙ্গি গ্রুপের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি রাজধানী বাগদাদে অভিযান চালানোর কথা ঘোষণা করেছেন। ইসরায়েল একটি দুর্বল ইরাক চায় আর ‘ইনন ফর্মুলা’ অনুযায়ী ইরাক তিনটি রাষ্ট্রে ভাগ হোক- এ পরিকল্পনা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ইতোমধ্যে চুক্তি অনুযায়ী ধ্বংস করা হয়েছে। ফলে এক সময় সিরিয়া নিয়ে ইসরায়েলের যে ভয় ছিল, সেটাও আর নেই। উপরন্তু প্রেসিডেন্ট আসাদ এক দুর্বল সিরিয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সিরিয়া ভেঙে যাওয়া কিংবা চরম ইসলামপন্থীদের সিরিয়া-ইরাক সীমান্তে নতুন একটি রাষ্ট্রের জন্ম বিচিত্র কিছু নয়। আর মিসরে আরব বসন্তে ইসলামপন্থী ইসলামিক ব্রাদারহুডের উত্থান এখন অতীত। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা সেখানে ক্ষমতায় সিসিকে বসিয়েছে, যারা ইসরায়েলি স্বার্থরক্ষা করছে। লিবিয়ায় গাদ্দাফির নেতৃত্ব উৎখাতের পর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে লিবিয়া কার্যত একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। লিবিয়া থেকে হুমকির আশঙ্কা এখন কমে আসছে। ফলে সময়টা এখন ইসরায়েলের অনুকূলে। তাই অনেকটা পরিকল্পনা করেই ইসরায়েল গাজা আক্রমণ করেছে। এর আগেও ইসরায়েল দু’দুবার গাজায় অভিযান চালিয়েছিল। একবার ২০০৮-২০০৯ সালে শীতের সময়, আর দ্বিতীয়বার ২০১২ সালে। কিন্তু এবারের আগ্রাসনে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। মাত্র ৩৬০ বর্গকিলোমিটার আর ১৮ লাখ মানুষ নিয়ে যে গাজা, এই ছোট্ট এলাকাটির ইসরায়েলের তেমন আগ্রহ নেই। ইসরায়েল গাজায় তার প্রভাব সম্প্রসারিত করবে এবং বৃহত্তর একটি ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাবে। এটা কোনও সমাধান হতে পারে না। এটা ভুল স্ট্র্যাটেজি। এতে করে ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। এতে এই অঞ্চলে উত্তেজনা বজায় থাকবে এবং দীর্ঘস্থায়ী এক অস্থিরতার জন্ম দেবে। আপাতত ৭২ ঘণ্টার এক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। কিন্তু এই যুদ্ধবিরতি ভেঙে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামাস ও ইসরায়েল আলোচনায় রাজি হয়েছে। কিন্তু গাজার অবরোধ যদি প্রত্যাহার করা না হয়, তাহলে আলোচনা কোনও ফল দেবে না। - See more at: http://www.dainikamadershomoy.com/details_news.php?id=159908&&%20page_id=%209#sthash.GcppAPGb.dpuf
এখানে ‘ইনন ফর্মুলা’ নিয়ে কিছু কথা বলা প্রয়োজন। ওডেড ইনন (ড়ফবফ ুরহড়হ) মূলত একজন কট্টর ইহুদি স্ট্র্যাটেজিস্ট। তিনি মূলত একজন গবেষক ও শিক্ষক। বলা যেতে পারে থিওডোর হারজেল যে স্বপ্ন এক সময় দেখতেন, তার বাস্তবে রূপ দিতেই ইনন সদূরপ্রসারী একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। আর তা বাস্তবে রূপ দিতে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ইনন হিব্রু ভাষায় একটি প্রবন্ধ লেখেন করাঁৎরস নামে একটি কট্টরপন্থী ম্যাগাজিনে। আশির মাঝামাঝি ওই প্রবন্ধটি ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছে এভাবে- ‘অ ংঃৎধঃবমু ভড়ৎ ওংৎধবষ রহ ঃযব ঘরহবঃববহ ঊরমযঃববং’। লেবাননকে ভেঙে ৫টি রাষ্ট্রে বিভক্ত করা কিংবা সিরিয়াকে ভেঙে একাধিক রাষ্ট্রে পরিণত করা এসবই ছিল ‘ইনন ফর্মুলার’ অন্তর্গত। ইসরায়েলের কট্টরপন্থী নেতারা এই ফর্মুলা এখন ধারণ করেন। আজ যদি আমরা মধ্যপ্রাচ্যের দিকে তাকাই, তাহলে দেখা যাবে এই ‘ইনন ফর্মুলাই’ এখন কার্যকর হচ্ছে। ইসরায়েল মূলত ফাতাহ ও হামাসের ভেতরকার দ্বন্দ্বকে কাজে লাগাচ্ছে। মাহমুদ আব্বাস ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট হলেও পার্লামেন্ট নিয়ন্ত্রণ করে হামাস। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বের কাছে হামাস গ্রহণযোগ্য হয়নি। এমনকী খোদ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছেও হামাসের (২০০৬) এই বিজয় নিয়ে প্রশ্ন ছিল। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, ফিলিস্তিনি স্বায়ত্তশাসন তথা স্বাধীন একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের ব্যাপারে ওয়াশিংটন চুক্তি (১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯৩) ছিল একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। ওই শান্তি চুক্তির ফলে ইসরায়েল অধিকৃত গাজা ও পশ্চিম তীরের জেরিকো শহরে সীমিত স্বায়ত্তশাসন স্বীকৃত হয়েছিল। পরে ১৯৯৭ সালের ১৫ জানুয়ারি অপর একটি চুক্তির বিনিময়ে হেবরন শহরে ফিলিস্তিনি শাসন সম্প্রসারিত হয়। ওয়াশিংটন চুক্তির পরপরই যে ফিলিস্তিনি স্বশাসিত এলাকার সৃষ্টি হয়েছিল, তা আজও স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা পায়নি। তবে ১৯৯৬ সালে ফিলিস্তিনি স্বশাসিত এলাকার প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং আরাফাত প্রেসিডেন্ট পদে বিজয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু ২০০৪ সালে আরাফাতের মৃত্যু ফিলিস্তিনি আন্দোলনের জন্য ছিল এক ছুরিকাঘাতের শামিল। জীবদ্দশায় আরাফাত একজন প্রেসিডেন্টের সম্মান পেয়ে গেছেন, কিন্তু স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র তিনি দেখে যেতে পারেননি। অভিযোগে আছে, ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’ বিষ প্রয়োগ করে তাকে হত্যা করেছিল। এরপর ২০০৫ সালে মাহমুদ আব্বাস ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হন। কিন্তু হামাসের সঙ্গে তার সম্পর্ক কোনও পর্যায়েই ভালো ছিল না এবং দেখা গেল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মাঝে দুই কর্তৃপক্ষের জন্ম হয়েছে- একদিকে ফাতাহর নেতৃত্বে পশ্চিম তীরে একটি প্রশাসন, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাহমুদ আব্বাস। অন্যদিকে গাজায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হামাসের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন। এতে করে পুরো ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ দুর্বল হয়েছে। ইসরায়েলের সুবিধা এখানেই। ফিলিস্তিনি নেতৃত্বে বিভক্তি সৃষ্টি করে ইসরায়েলি নেতৃত্ব একটি বৃহত্তর ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছেন। আর এর পেছনে রয়েছে পশ্চিমা গোষ্ঠীর প্রচ্ছন্ন সমর্থন। অবাক করা সত্য কথা হচ্ছে, অনেক আরব রাষ্ট্রের পরোক্ষ সমর্থন পাচ্ছে ইসরায়েল। আমরা যদি সাম্প্রতিক ঘটনাবলির দিকে তাকাই, তাহলে দেখব হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি অভিযানের পেছনে সমর্থন রয়েছে মিসরের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল সিসির। বলা হচ্ছে জর্ডান ও সৌদি আরবও সমর্থন করছে হামাস উৎখাতে ইসরায়েলি সেনা অভিযানকে। হামাস এক ধরনের ‘র্যাডিকালিজমের’ জন্ম দিয়েছে। জর্ডান ও সৌদি আরবে রাজতন্ত্র রয়েছে। তাদের ভয়টা সেখানেই। এই ‘র্যাডিকালিজম’ এই দুটো দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং তাতে করে রাজতন্ত্র উচ্ছেদও হতে পারে। তাই দুঃখজনক হলেও সত্য, ইসরায়েলি হামলায় শত শত মানুষ মারা গেলেও, সৌদি আরবের কোনও প্রতিক্রিয়া এতে পাওয়া যায়নি। শুধু তুরস্ক ও কাতার সমর্থন করেছে হামাসকে। মনে রাখতে হবে কাতারে বর্তমানে বসবাস করছেন হামাসের শীর্ষ নেতা খালেদ মিশেল। অন্যদিকে তুরস্ক কোনও আরব রাষ্ট্র নয় এবং ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী এরদোগান দীর্ঘদিন ধরে হামাসের পাশে আছেন এবং তিনি নিজে ইসরায়েলি এই বর্বরতাকে হিটলারের নির্যাতনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।
গাজার বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে এটা স্পষ্ট যে, ইসরায়েল খুব সহসাই এই সামরিক স্ট্র্যাটেজি পরিত্যাগ করবে না। গাজার ব্যাপারে তাদের যথেষ্ট স্বার্থ রয়েছে। গাজায় যারা বসবাস করেন, তাদের সেখানে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় বসবাস করতে বাধ্য করে পুরো গাজাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় ইসরায়েল। তাদের এই স্ট্র্যাটেজি, অর্থাৎ নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ফিলিস্তিনিদের বসবাসকে ‘মবঃঃড়রংস’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন কেউ-কেউ। অর্থাৎ ‘ঘেটো’ বা বস্তিতে বসবাস করা। স্মরণ থাকতে পারে নাজিনেতা আইসম্যান ইউরোপে ইহুদিদের ক্ষেত্রে এই ‘ঘেটো তত্ত্ব’ ব্যবহার করে ইহুদিদের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে বসবাস করতে বাধ্য করেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ অবসানের পূর্ব যুগে কৃষ্ণাঙ্গদের মূল শহর থেকে সরিয়ে নিয়ে ১০টি ‘হোমল্যান্ডে’ বসবাস করতে বাধ্য করা হয়েছিল। আজ নেতানিয়াহু সরকার অনেকটা সেই ‘ঘেটো’ বা ‘বস্তি তত্ত্ব’ই ব্যবহার করতে চায় গাজায়। কিন্তু ইতিহাস বলে কখনোই এসব উদ্যোগ সফল হয়নি। আইসম্যান সফল হননি। ১৯৬০ সালে আইসম্যানকে আর্জেন্টিনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বিচারে তার ফাঁসি হয়েছিল। আর দক্ষিণ আফ্রিকায় ওই ‘হোমল্যান্ড তত্ত্ব’ও ভেঙে পড়েছিল। ইসরায়েল আজ নিরীহ শিশুদের হত্যা করে মহা অন্যায় করেছে। এর বিচার হওয়া প্রয়োজন। ইতিহাস মিলোসেভিচকে মুসলমানদের বসনিয়া থেকে উচ্ছেদের জন্য ক্ষমা করেনি। নেতানিয়াহুও ক্ষমা পাবেন না। মিলোসেভিচের বিচার হয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে। আজ জাতিসংঘ নিয়ন্ত্রিত স্কুলগুলোয় আশ্রয় নিয়েও যখন গাজার শিশুরা ইসরাইলি হামলা থেকে রেহাই পায় না তখন জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বৈকি! গাজায় এই মানবিক বিপর্যয় নিয়ে মুসলিম বিশ্বও আজ বিভক্ত ও নির্লিপ্ত। ইসরায়েল তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কোন সময়টা বেছে নিল, সেটাও ভেবে দেখার বিষয়। একদিকে ইরাকের মালিকি সরকারের অস্তিত্ব এখন কাগজ-কলমে। নিজেকে মুসলিম বিশ্বের ‘খলিফা’ দাবিকারী বুগদাদি ও তার জঙ্গি সেনারা ইরাকের প্রত্যন্ত অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে। বুগদাদি চরম সুন্নিদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি জঙ্গি গ্রুপের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি রাজধানী বাগদাদে অভিযান চালানোর কথা ঘোষণা করেছেন। ইসরায়েল একটি দুর্বল ইরাক চায় আর ‘ইনন ফর্মুলা’ অনুযায়ী ইরাক তিনটি রাষ্ট্রে ভাগ হোক- এ পরিকল্পনা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ইতোমধ্যে চুক্তি অনুযায়ী ধ্বংস করা হয়েছে। ফলে এক সময় সিরিয়া নিয়ে ইসরায়েলের যে ভয় ছিল, সেটাও আর নেই। উপরন্তু প্রেসিডেন্ট আসাদ এক দুর্বল সিরিয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সিরিয়া ভেঙে যাওয়া কিংবা চরম ইসলামপন্থীদের সিরিয়া-ইরাক সীমান্তে নতুন একটি রাষ্ট্রের জন্ম বিচিত্র কিছু নয়। আর মিসরে আরব বসন্তে ইসলামপন্থী ইসলামিক ব্রাদারহুডের উত্থান এখন অতীত। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা সেখানে ক্ষমতায় সিসিকে বসিয়েছে, যারা ইসরায়েলি স্বার্থরক্ষা করছে। লিবিয়ায় গাদ্দাফির নেতৃত্ব উৎখাতের পর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে লিবিয়া কার্যত একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। লিবিয়া থেকে হুমকির আশঙ্কা এখন কমে আসছে। ফলে সময়টা এখন ইসরায়েলের অনুকূলে। তাই অনেকটা পরিকল্পনা করেই ইসরায়েল গাজা আক্রমণ করেছে। এর আগেও ইসরায়েল দু’দুবার গাজায় অভিযান চালিয়েছিল। একবার ২০০৮-২০০৯ সালে শীতের সময়, আর দ্বিতীয়বার ২০১২ সালে। কিন্তু এবারের আগ্রাসনে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। মাত্র ৩৬০ বর্গকিলোমিটার আর ১৮ লাখ মানুষ নিয়ে যে গাজা, এই ছোট্ট এলাকাটির ইসরায়েলের তেমন আগ্রহ নেই। ইসরায়েল গাজায় তার প্রভাব সম্প্রসারিত করবে এবং বৃহত্তর একটি ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাবে। এটা কোনও সমাধান হতে পারে না। এটা ভুল স্ট্র্যাটেজি। এতে করে ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। এতে এই অঞ্চলে উত্তেজনা বজায় থাকবে এবং দীর্ঘস্থায়ী এক অস্থিরতার জন্ম দেবে। আপাতত ৭২ ঘণ্টার এক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। কিন্তু এই যুদ্ধবিরতি ভেঙে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামাস ও ইসরায়েল আলোচনায় রাজি হয়েছে। কিন্তু গাজার অবরোধ যদি প্রত্যাহার করা না হয়, তাহলে আলোচনা কোনও ফল দেবে না। - See more at: http://www.dainikamadershomoy.com/details_news.php?id=159908&&%20page_id=%209#sthash.GcppAPGb.dpuf
http://lovemguide.blogspot.com/
ReplyDeleteLove Text Messages| Romantic Poems
http://bit.ly/XwyFZs