রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

উত্তপ্ত কাশ্মীর, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ


ভারতের সংবিধানে ৩৭০নং ধারা

ভারতের সংবিধানে ৩৭০নং ধারাটি সংসদের উভয়কক্ষে বাতিল হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি বিল দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৫ আগস্ট রাজ্যসভায় প্রথমে উপস্থাপন করেছিলেন। রাজ্যসভায় এই বিলটি পাস হওয়ার পর লোকসভায়ও পাস হয়। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ পাস হওয়া ওই বিলে স্বাক্ষর করে তা আইনেও পরিণত করেছেন।
একইসঙ্গে সংবিধানের ৩৫-এ অনুচ্ছেদটিও বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীর এতদিন যে বিশেষ মর্যাদা ও রাজ্যের মর্যাদা পেত (৩৭০ ধারা অনুযায়ী), তা বাতিল হল।
জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে এখন দুটি অঞ্চলে পরিণত করা হয়েছে- জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ। দুটি অঞ্চলে এখন দু’জন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিয়োগ করবে কেন্দ্র। অন্যদিকে ৩৫-এ ধারা বাতিল হওয়ায় ভারতের অন্য অঞ্চলের নাগরিকরা এখন এ দুই এলাকায় গিয়ে বসবাস করতে পারবে, ব্যবসা করতে পারবে এবং সেখানকার স্থায়ী নাগরিকের মর্যাদা পাবে।
এমনকি তারা সেখানে জমিও কিনতে পারবে। আগে এ সুযোগটি ছিল না। বলাই বাহুল্য, ভারতের ৭২ বছরের ইতিহাসে এ ধরনের ‘পরিবর্তন’ আগে কখনও হয়নি।
মোদি সরকার এই যে পরিবর্তন আনল, এই পরিবর্তন শুধু জম্মু-কাশ্মীরের জনগণকেই উত্তেজিত করেনি, বরং খোদ ভারতকেই একরকম ‘বিভক্ত’ করে ফেলেছে। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ও বামপন্থী দলগুলো এর বিরোধিতা করছে। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিও জোটেও এ প্রশ্নে দ্বিমত দেখা দিয়েছে।
এই বিভক্তি (জম্মু-কাশ্মীরকে বিভক্ত করা) কতটুকু সংবিধানসম্মত, এটা নিয়েও বিতর্ক আছে। এ নিয়ে খোদ সুপ্রিমকোর্টে একটি রিট পিটিশন করা হয়েছে। উল্লেখ করা প্রয়োজন, নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার আগে ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এখন তিনি তা কার্যকর করলেন।
তবে এর পেছনে দুরভিসন্ধি রয়েছে, এমন অভিযোগও আছে। হিন্দুত্ববাদ ও চরম সাম্প্রদায়িক রাজনীতির যে ধারা নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে শুরু করেছিলেন, সেই ধরাবাহিকতায়ই মোদি-অমিত শাহ জুটি এ কাজটি করলেন।
এতে করে ভারতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হওয়ার একটি আশঙ্কা রয়েছে এটি যেমন সত্য, তেমনি এটাও সত্য, বহির্বিশ্বে ভারতের ভাবমূর্তি কিছুটা হলেও নষ্ট হল। উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি এতে করে শক্তিশালী হল মাত্র।
অনেক পর্যবেক্ষকের অভিমত হচ্ছে, ২০২৩ সালের সাধারণ নির্বাচনকে টার্গেট করেই মোদি এই সিদ্ধান্ত নিলেন এবং আগামী ৫ বছর তিনি এ ধরনের আরও অনেক সিদ্ধান্ত নেবেন, যা ভারতের সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আরও শক্তিশালী করবে।
সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করা নিয়ে পরস্পরবিরোধী মন্তব্য পাওয়া গেছে। অমিত শাহ বলেছেন, এই ৩৭০ ধারা কাশ্মীরকে দেশের সঙ্গে এক হতে দেয়নি। তিনি আরও বলেছেন, কাশ্মীরের তিনটি পরিবার সব সুবিধা ভোগ করেছে। অন্যদিকে কাশ্মীরের নেতারা এর সমালোচনা করেছেন।
ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।’ আরেকজন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি বলেছেন, ‘ভারতের গণতন্ত্রের জন্য এটা একটা কালো দিন। বিজেপির এই সিদ্ধান্ত বেআইনি ও অসাংবিধানিক।’
ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ বলেছেন, ‘ফখরুদ্দিন আলী আহমেদের (সাবেক রাষ্ট্রপতি) মতো কাজ করলেন রামনাথ কোবিন্দ।’ ভারতীয় কংগ্রেসও এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে।
কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘একতরফা জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে টুকরো করে, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জেলবন্দি করে, আমাদের সংবিধান লঙ্ঘন করে জাতীয় সংহতি মজবুত করা যায় না। এই দেশটাকে তৈরি করেছে তার জনগণ, জমিজিরেত নয়। সরকারি ক্ষমতার এই অপব্যবহারের ফল আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার ওপর মারাত্মক হবে।’
আরেকজন কংগ্রেস নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেছেন, ‘এখন থেকে শুরু হল ভারতের ভাঙন।’ আর রাজ্যসভায় বিরোধিদলীয় নেতা গুলাম নবী আজাদের ভাষায়- ‘এর মধ্য দিয়ে ভারতীয় সংবিধানকে হত্যা করা হল।’
কী হতে পরে এখন কাশ্মীরে? প্রথমত, জম্মু-কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’ বাতিল হওয়ায় সেখানকার অসন্তোষ আরও বাড়বে। জঙ্গিবাদী তৎপরতা আরও শক্তিশালী হবে। এবং এ জঙ্গিবাদী তৎপরতার সঙ্গে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা আরও বাড়বে, যা কিনা পাকিস্তানের রাজনৈতিক তথা সামরিক নেতারা স্পষ্ট করেছেন।
জঙ্গিবাদী তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার ফলে ট্রেডিশনাল স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলোর (ন্যাশনাল কংগ্রেস, পিডিপি) ভূমিকা সীমিত হয়ে যাবে। সেখানে স্থায়ীভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী মোতায়েনের একটা ‘সুযোগ’ তৈরি হবে। ‘ওয়েস্ট ব্যাংকের’ (ফিলিস্তিনি এলাকা, কিন্তু ইসরাইল নিয়ন্ত্রিত) মতো একটি পরিস্থিতি সেখানে সৃষ্টি হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, সংবিধানের ৩৭১-ডি ধারার (৩২তম সংশোধনী, ১৯৭৪) ওপর এখন হাত পড়তে পারে। এই ধারা বলে (স্থানীয় জনগণের শিক্ষা ও চাকরিতে অগ্রাধিকার) ভারতের ৯টি রাজ্য (কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, আসাম, মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল, অন্ধ্রপ্রদেশ) বেশকিছু সুবিধা ও অধিকার ভোগ করে।
এখন এটা বাতিল হতে পারে। সর্বত্র ভারতীয়করণের যে উদ্যোগে মোদি নিচ্ছেন এবং অমিত শাহের কথায় যা ফুটে উঠেছে, তাতে করে বোঝা যাচ্ছে, মোদি সরকারের পরবর্তী টার্গেট হল সংবিধানের ৩৭১-ডি ধারাটি বাতিল করা।
তৃতীয়ত, সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫-এ অনুচ্ছেদ বাতিল করে মোদি সরকার একটি বড় ধরনের ঝুঁকি নিয়েছে, যা কাশ্মীরের ক্ষেত্রে জনতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য নষ্ট করে দেবে। অর্থাৎ অন্য অঞ্চলের মানুষ এখন কাশ্মীরে গিয়ে বসবাস করবে, স্থানীয় নারীদের বিয়ে করে সেখানে সংসার পাতবে।
এতে করে স্থানীয় মুসলমান জনগোষ্ঠীর নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য নষ্ট হবে, জন্ম হবে এক সঙ্কর জাতির। মুসলমানদের একক কর্তৃত্ব ও ধর্মীয় প্রভাব এতে নষ্ট হবে। এজন্যই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি সতর্ক করেছিলেন যে, এই আইনের (৩৭০ ধারা) বিলোপ কাশ্মীরের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক পুরোপুরি ধ্বংস করে দেবে।
চতুর্থত, চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হবে। লাদাখ এলাকাটি চীনের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কৌশলগতভাবে এ এলাকাটির গুরুত্ব অনেক বেশি। চীন মনে করে, ভারত ওই আইন একতরফাভাবে সংশোধন করায় আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, যা চীনের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তবে কড়া মন্তব্য করেছে পাকিস্তান।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ভারতের বেআইনি সিদ্ধান্তে আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট হবে। তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘ভারতে ফের পুলওয়ামা হবে।’
উল্লেখ্য, এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার লেথপোরাতে পাকিস্তান সমর্থিত জইশ-ই-মোহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যদের পুঁতে রাখা মাইনের বিস্ফোরণে ভারতের রিজার্ভ ফোর্সের ৪০ সদস্য নিহত হন। ইমরান খান এ বিষয়েই ইঙ্গিত করেছেন। ব্যাপক আত্মঘাতী ও জঙ্গি তৎপরতা বাড়বে বলে তার আশঙ্কা।
আর পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কাশ্মীরের জনগণের ‘স্বাধীনতা’ আন্দোলনে শুধু সমর্থনই নয়, যা যা করার দরকার তা পাক সেনাবাহিনী করবে। এটাও এক ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য এবং পরোক্ষভাবে জঙ্গিবাদকে সেখানে উৎসাহ জোগাবে। পাকিস্তান সরকারিভাবে ভারত কর্তৃক ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে।
পঞ্চমত, ৩৭০নং ধারাটি বাতিল করায় আবদুল্লাহ পরিবার (ফারুক আবদুল্লাহ ও ওমর আবদুল্লাহ) এবং মুফতি পরিবারের (মুফতি মোহম্মদ সাঈদ, মেহবুবা সাঈদ) কর্তৃত্ব এখন কমবে। তারা শুধু ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেন। কেন্দ্র ও রাজ্যের রাজনীতিতে এ দুই পরিবার সক্রিয় থাকলেও স্থানীয় রাজনীতিতে তাদের কর্মকাণ্ড চোখে পড়ে না।
ষষ্ঠত, কাশ্মীরি গ্লোবালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ্মীরে গত তিন দশকে ৯৫ হাজার ২৩৮ কাশ্মীরিকে হত্যা করেছে ভারতীয় বাহিনী। এই পরিসংখ্যান ১৯৮৯ সালের জানুয়ারি থেকে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনেও ভারতীয় বাহিনীর নির্যাতন আর অত্যাচারের খবর রয়েছে। বহির্বিশ্বে ভারতের ভাবমূর্তির জন্য এটা কোনো ভালো খবর নয়।
এখানে কাশ্মীর নিয়ে কিছু কথা বলা দরকার। ১৯৪৭ সালে পাক-ভারত বিভক্তির সময় জম্মু-কাশ্মীরের তৎকালীন শাসক রাজা হরি সিং প্রথমে ভারত ও পাকিস্তানে যোগ না দিয়ে এই রাজ্যের আলাদা অস্তিত্ব বজায় রাখতে চেয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালের ২০ অক্টোবর পাকিস্তান সমর্থিত আদিবাসীরা কাশ্মীর দখল করতে চাইলে হরি সিংয়ের সমর্থকরা সেই হামলা প্রতিহত করেন।
২৭ অক্টোবর হরি সিং তৎকালীন ভারতের গভর্নর জেনারেল মাউন্টব্যাটেনের সহযোগিতা চান। এই ‘সাহায্যের’ প্রতিশ্রুতিতে তিনি জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতে যোগ দিতে বাধ্য করেন। অন্যদিকে বিদ্রোহীরা একটি এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে ‘আজাদ কাশ্মীর’ রাজ্য গঠন করে, যা এখন পাকিস্তানের একটি প্রদেশ।
কাশ্মীর নিয়ে এ যাবৎ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চারটি যুদ্ধ হয়েছে। স্বাধীনতার পরপরই কাশ্মীরের কর্তৃত্ব নিয়ে ১৯৪৭-৪৮ সালে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধে জড়িয়ে যায়, যা প্রথম কাশ্মীর যুদ্ধ নামে পরিচিত। কাশ্মীর বর্তমানে তিন ভাগে ভাগ হয়ে আছে।
এক ভাগ ভারতের, যা জম্মু-কাশ্মীর নামে পরিচিত। অপরভাগ পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে, যা আজাদ কাশ্মীর নামে পরিচিত। আর ‘আকসাই চীন’ নামে পরিচিত একটি অংশ চীনের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তান এক চুক্তি বলে ১৯৬৩ সালে Trans-Karakoram Tract নামের এলাকাটি চীনকে দেয়। পাকিস্তানের যুক্তি ছিল, এই এলাকাটি দুর্গম এবং এখানে কোনো বসতি নেই।
অন্যদিকে ভারতের যুক্তি ছিল, এই এলাকাটি ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের অন্তর্গত। পাকিস্তান কর্তৃক এলাকাটি চীনকে দেয়া অবৈধ। সিয়াচিন হিমবাহ নিয়েও বিরোধ আছে। ১৯৪৮ সালের পর সিয়াচিনের কর্তৃত্ব নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান একাধিকবার যুদ্ধে লিপ্ত হয়। প্রায় ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় বরফ আচ্ছাদিত এলাকায় ভারত ও পাকিস্তানের সেনা ক্যাম্প রয়েছে। কৌশলগত কারণে এ এলাকার গুরুত্ব অনেক বেশি।
কাশ্মীরে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে। সেখানে কাশ্মীরি নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সেবা বন্ধ রয়েছে। কারফিউ বলবৎ হয়েছে। এই যখন পরিস্থিতি, তখন পাকিস্তান নয়াদিল্লি থেকে তার হাইকমিশনারকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
অর্থনৈতিকভাবে জর্জরিত পাকিস্তানের পক্ষে ভারতের সঙ্গে আবারও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া এ মুহূর্তে হয়তো সম্ভব নয়; কিন্তু পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে উগ্রপন্থী জেনারেলরা আছেন; যারা ভারতের সঙ্গে আরেকবার যুদ্ধে যেতে চান!
দুর্বল প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পক্ষে সেনাবাহিনীর চাপ উপেক্ষা করা কতটুকু সম্ভব সেটাই দেখার বিষয়। এ অঞ্চলে উত্তেজনা কিংবা যুদ্ধে কারও জন্যই কোনো মঙ্গল ডেকে আনবে না। কাশ্মীরে অসন্তোষ বাড়ছে। এই অসন্তোষ দমনে সেনাবাহিনী ব্যবহার ভারতের গণতান্ত্রিক ভাবাদর্শ ও ভাবমূর্তির জন্য আদৌ কোনো ভালো খবর নয়।

১০ আগস্ট ২০১৯
ডালাস, যুক্তরাষ্ট্র
তারেক শামসুর রেহমান : প্রফেসর ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
tsrahmanbd@yahoo.com

0 comments:

Post a Comment