রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

তিউনিসিয়ায় জেসমিন বিপ্লব

তিউনিসিয়ায় একটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২৩ বছরের শাসক (১৯৮৭-২০১১) জাইন এল আবিদিন বেন আলীর পতনকে চিহ্নিত করা হয়েছে জেসমিন রেভল্যুশন বা জেসমিন বিপ্লব হিসেবে। আরববিশ্বে জেসমিনের একটি পরিচিতি আছে। সুগন্ধি। গন্ধ ছড়ায়। এই জেসমিন বিপ্লব এখন বড় ধরনের প্রশ্ন রেখেছে। এই জেসমিন বিপ্লব কি ছড়িয়ে যাবে অন্যান্য আরববিশ্বে, বিশেষ করে মাগরেবভুক্ত দেশগুলোতে? 'ফরেন পলিসি' ম্যাগাজিন পাঁচটি দেশের কথা উল্লেখ করেছে_মিসর, লিবিয়া, আলজেরিয়া, সুদান ও জর্ডান; যেখানে গণঅভ্যুত্থানের সম্ভাবনা প্রবল। তবে তিউনিসিয়ায় জেসমিন বিপ্লবের প্রাথমিক পর্ব সম্পন্ন হয়েছে মাত্র। স্পষ্টতই সেখানে আরো পরিবর্তন আসবে। দীর্ঘদিনের শাসক বেন আলীর পতন এবং নতুন সরকার গঠিত হলেও জটিলতা রয়ে গেছে। নয়া সরকার গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।

তিউনিসিয়ায় জেসমিন বিপ্লব মূলত 'কালার রেভল্যুশন'-এরই ধারাবাহিকতায় সম্পন্ন হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে যে বিপ্লব সম্পন্ন হতে পারে, তা প্রমাণ করেছিলেন সাবেক চেকোস্লোভাকিয়ার প্রেসিডেন্ট ন্যাটকার ভাসলাভ হাভেল, ১৯৮৯ সালে। শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে সমাজতন্ত্রের পতন ঘটিয়েছিলেন তিনি। ইতিহাসে ওই বিপ্লব চিহ্নিত হয়ে আছে 'ভেলভেট রেভল্যুশন' হিসেবে। শান্তিপূর্ণভাবেই পরবর্তীকালে চেকোস্লোভাকিয়া দুটি রাষ্ট্রে ভাগ হয়ে গিয়েছিল_চেক রিপাবলিক ও স্লোভাকিয়া। পরবর্তীকালে এ শান্তিপূর্ণ বিপ্লব ছড়িয়ে যায় পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে। ২০০৩ সালের ২৩ নভেম্বর জর্জিয়ায় 'গোলাপ বিপ্লব'-এ জর্জিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড শেভার্দনাদজেকে (সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রী) ক্ষমতাচ্যুত করেন। আন্দোলনকারীদের হাতে ছিল জর্জিয়ার বিখ্যাত গোলাপ ফুল। আন্দোলনকারীরা পার্লামেন্ট ভবন দখল করে শেভার্দনাদজেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিল। এর পরের ঘটনা ইউক্রেনে। ইউক্রেনের শান্তিপূর্ণ বিপ্লবকে চিহ্নিত করা হয়েছিল অরেঞ্জ রেভল্যুশন হিসেবে। ২০০৪ সালের ডিসেম্বর। সেখানে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ভিক্টর ইয়ুশ্চেনকো। গলায় ছিল হলুদ রঙের মাফলার। এই হলুদ রংই বিপ্লবের প্রতীক হিসেবে ধরা দেয়। হাজার হাজার মানুষ হলুদ রঙের সাফল্য নিয়ে শান্তিপূর্ণ বিপ্লব সম্পন্ন করল। ওই বিপ্লবকে চিহ্নিত করা হয়েছিল অরেঞ্জ রেভল্যুশন হিসেবে। ইয়ুশ্চেনকো সেদিন ক্ষমতাসীন হয়েছিলেন। একই প্রক্রিয়ায় ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট আসকার আকায়েভ (২৫ মার্চ, ২০০৫)। একটি শান্তিপূর্ণ গণঅভ্যুত্থান তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে। ক্ষমতায় বসায় বিরোধীদলীয় নেতা কুরমানবেক বাকিয়েভকে। টিউলিপ ফুলের দেশ কিরগিজস্তান। আন্দোলনকারীদের হাতে ছিল টিউলিপ ফুল।

তাই কিরগিজস্তানের বিপ্লবকে নামকরণ করা হলো 'টিউলিপ রেভল্যুশন' হিসেবে। দুঃখজনক হলেও সত্য, ইয়ুশ্চেনকো কিংবা বাকিয়েভ কেউই ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেননি। নির্বাচনে (২০১০) ইয়ুশ্চেনকো হেরে যান ইয়ানোকোভিচের কাছে। আর ২০১০ সালে কুরমানবেক ক্ষমতাচ্যুত হন আরেক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে। এই 'কালার রেভল্যুশন' আমরা প্রত্যক্ষ করি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডেও। সেখানে জন্ম হয়েছে 'রেডশার্ট মুভমেন্ট'-এর। তাঁরা লাল শার্ট গায়ে দিয়ে এখনো আন্দোলন করে যাচ্ছেন। কিন্তু সরকারের পতন ঘটাতে পারেননি। আরববিশ্বে এ ধরনের আন্দোলনের সঙ্গে আমরা পরিচিত নই। এই প্রথম তিউনিসিয়ার মতো দেশে এই বিপ্লব সম্পন্ন হলো, যদিও বিপ্লব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে_এটা বলা যাবে না। সেখানে ৭৩ ব্যক্তি বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে প্রাণ হারিয়েছেন বলে সরকারের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিউনিসিয়ায় এ বিপ্লব অনেককে অবাক করেছে। কেননা তুলনামূলক বিচারে তিউনিসিয়া বেশ প্রগতিশীল। এখানে মেয়েদের শিক্ষার হার আরববিশ্বের চেয়ে বেশি। এমনকি মেয়েরা যে অধিকার এখানে ভোগ করে থাকে, তা কোনো আরব দেশের নারীরা ভোগ করেন না। নারীদের জন্য পর্দা প্রথা (হিজাব) এখানে বাধ্যতামূলক নয়। পুরুষরা একাধিক বিয়ে করতে পারেন না, যা আরববিশ্বে খুব সাধারণ একটি বিষয়। তাহলে তিউনিসিয়ায় বিপ্লব হলো কেন? ইতিমধ্যে এ নিয়ে বিদেশের জার্নালগুলোতে প্রচুর লেখা হয়েছে। মূলত দীর্ঘদিনের অসন্তোষ, ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট জাইন এল আবিদিন বেন আলীর ক্ষমতা ধরে রাখার অপচেষ্টা (২৩ বছর ক্ষমতায় ছিলেন তিনি), তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব, সাবেক ফার্স্বলেডি লায়লা বেন আলীর দুর্নীতি এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের উদাসীনতাই তিউনিসিয়ায় জেসমিন বিপ্লবের জন্ম দিয়েছে। যে দেশের মেয়েরা তুলনামূলক বিচারে অনেক শিক্ষিত, সেখানে লায়লা বেন আলীর সাধারণ শিক্ষাও ছিল না। তিনি একজন সাবেক হেয়ার ড্রেসার। অত্যন্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী এ মহিলাকে বেন আলী বিয়ে করেন ১৯৯২ সালে। তিনি ছিলেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। বিয়ের পর তিনি হয়ে ওঠেন অত্যন্ত ক্ষমতাধর এক মহিলা। প্রচুর অর্থ ও বৈভবের মালিক হন তিনি। তাঁর সঙ্গে তুলনা করা যায় ফিলিপাইনের সাবেক ফার্স্বলেডি ইমেলদা মার্কোসের কিংবা ফরাসি বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের শাসক ষোড়শ লুইয়ের স্ত্রী রানি অ্যান্টোয়নেটের সঙ্গে। রানির সহচরী আর গৃহভৃত্যের সংখ্যা ছিল ৫০০।

ফ্রান্সের কৃষকরা যখন রুটির দাবিতে বিক্ষোভ (১৭৮৯) করছিল, তখন রানি অ্যান্টোয়নেট সহচরীদের নিয়ে প্রমোদ ভ্রমণে ব্যস্ত ছিলেন। সাধারণ মানুষের প্রতি উদাসীন এক শাসক ব্যস্ত ছিলেন নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে। বেন আলীর ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছিল। মোহাম্মদ বওকুজিজির মতো একজন তরুণ কম্পিউটার গ্র্যাজুয়েট চাকরি না পেয়ে যখন ফুটপাতে শাকসবজি আর ফলমূল বিক্রি করতে বাধ্য হন, তখন বেন আলীর জামাই শাখের আল-মেতেরি তিউনিসে অত্যন্ত দামি 'পরশি' গাড়ি চালাতেন। তাঁর পরশি গাড়ির শোরুমও ছিল। তিউনিসিয়ায় বিভিন্ন ব্যাংক-বীমা কম্পানি, পর্যটন এবং আবাসন ব্যবসার সিংহভাগ শেয়ার নিয়ন্ত্রণ করেন বেন আলী, স্ত্রী লায়লা আলী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তিউনিসিয়ায় তরুণদের মধ্যে ৪৬ শতাংশই বেকার। প্রতি বছর ৭৫ হাজার তরুণ গ্র্যাজুয়েশন করে জব মার্কেটে প্রবেশ করে। কিন্তু অনেকেরই চাকরি হয় না। বওকুজিজির মতো তরুণরা তখন বাধ্য হন বেঁচে থাকার জন্য অন্য পেশা গ্রহণ করতে। বওকুজিজিকে পুলিশ ব্যবসা করতে দেয়নি। কেননা তাঁর অনুমতি ছিল না। এর প্রতিবাদে শরীরে আগুন দিয়ে বওকুজিজি মৃত্যুবরণ করেছিলেন, যা জেসমিন বিপ্লব সম্পন্ন করেছিল।

ইতিহাস থেকে কেউই শিক্ষা নেন না। নেননি কুরমানবেক, নেননি বেন আলীর মতো শাসকও। সুইজারল্যান্ডের প্রখ্যাত ঐতিহাসিক জ্যাকব বুরচার্ডের (Jackob Burchardt) মতে, যেকোনো সংকট হচ্ছে একটি ডায়ালেকটিক প্রক্রিয়া। অতীতের বিভিন্ন সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, এ ডায়ালেকটিক প্রক্রিয়ার কারণেই ইতিহাসে কখনো কখনো বৃহৎ শক্তির উত্থান ঘটেছে। কখনো আবার সেই শক্তি ধীরে ধীরে ভেঙে পড়েছে। তাঁর মতে, ইতিহাসের শিক্ষা হচ্ছে, কোনো শক্তি যখন উন্নয়ন বা নতুন সৃষ্টির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তখন সেই শক্তির পতন অনিবার্য। একই ধরনের অভিমত পোষণ করেছেন অ্যালেঙ্সি ডি টকিউভিলে (Alexis de Tocgueville), যিনি ফরাসি বিপ্লবের বিশ্লেষণের জন্য আজও চিহ্নিত হয়ে আছেন। টকিউভিলে যেকোনো সংকটের সঙ্গে একটি বিপ্লবের সম্ভাবনাকে এক করে দেখেছেন। তাঁর মতে, সামগ্রিক অবস্থা যখন খারাপ থেকে খারাপের দিকে যেতে থাকে, শুধু তখনই বিপ্লব সংঘটিত হয় না। অনেক সময় এমনও ঘটে, যখন জনগণ দীর্ঘদিন নিষ্পেষিত থাকার পর হঠাৎ সরকারের শিথিলতার সুযোগ নিয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নেয় (Alexis de Tocqueville, The old Regime and the French Revolution, 1955, P-176)। আমি মার্কসীয় দৃষ্টিকোণ থেকে তিউনিসিয়ার বিপ্লবকে মূল্যায়ন করলাম না (যেখানে লেনিন বলেছিলেন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট সমাজকে একটি বিপ্লবী সংকটের দিকে ঠেলে দিতে পারে)। কিন্তু টকিউভিলে যেভাবে মূল্যায়ন করেছেন, তার একটি বাস্তব চিত্র আমরা খুঁজে পাই তিউনিসিয়ায়। তিউনিসিয়া কোনো সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ছিল না। সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শাসকরা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিলেন (বুলগেরিয়ায় সিভকভ ৩৫ বছর, রোমানিয়ায় চসেস্কু ২২ বছর, চেকোস্লোভাকিয়ায় হুসাক ২১, পূর্ব জামার্নিতে হোনেকার ১৩ বছর)। কিন্তু তিউনিসিয়ার ৫৪ বছরের ইতিহাসে দুই ব্যক্তি (হাবিব বরগুয়েবা ও বেন আলী) দেশটি শাসন করেছেন। আর বেন আলী ২৩ বছরের শাসনামলে তথাকথিত গণতন্ত্রের নামে দেশটিকে পরিণত করেছিলেন একনায়কতন্ত্রে।

জেসমিন বিপ্লব কি তার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে এখন? পরিবর্তনটা কী হচ্ছে সেখানে? আপাতত বেন আলী সৌদি আরবে পালিয়ে জীবন রক্ষা করেছেন। কিন্তু পুরনো কাঠামো রয়ে গেছে। তাঁর দলের (ডেমোক্রেটিক কনস্টিটিউশনাল র্যাকলি) বিলুপ্তি ঘটেনি। অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট ফুয়াদ মেবাজা এবং প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ ঘানুচি ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। ওই দল থেকেই আটজন মন্ত্রী নেওয়া হয়েছিল, যদিও তাঁরা পরে দল থেকে পদত্যাগ করেন। কিন্তু মানুষ তাঁদের অতীত ইতিহাস ভুলে যায়নি। তাই অসন্তোষ এখনো আছে। এখানে গণতন্ত্র আদৌ প্রতিষ্ঠিত হবে কি না, তা একটি বড় প্রশ্ন এখন। স্বাধীনতার পর থেকেই দেশটি শাসন করে আসছে ডেমোক্রেটিক কনস্টিটিউশনাল র্যা লি। অন্য দলের অস্তিত্ব এখানে নেই। তিনটি দলের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বটে, কিন্তু তারা সংগঠিত নয়। সংবিধানের আওতায় আগামী ছয় মাসের মধ্যে সেখানে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন হবে। কিন্তু বিরোধী দলের প্রার্থী নেই। ফরাসি বিপ্লবের সময়ও কারো একক নেতৃত্বে বিপ্লব সম্পন্ন হয়নি। কিন্তু জর্জিয়া, ইউক্রেন কিংবা কিরগিজস্তানে যে 'কালার রেভল্যুশন' সম্পন্ন হয়েছে, সেখানে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নেতা ছিলেন। কিন্তু তিউনিসিয়ায় সেই নেতা নেই। কোনো একক নেতৃত্বে জেসমিন বিপ্লব পরিচালিত হয়নি। সাধারণ মানুষের অসন্তোষই বিপ্লবের জন্ম দিয়েছে। জেসমিন বিপ্লব একই সঙ্গে একটি বার্তা পৌঁছে দিয়েছে আরববিশ্বের নেতাদের কাছে, সংস্কারটা কেন সেখানে জরুরি। বিখ্যাত 'ফরেন পলিসি' ম্যাগাজিন গত ২০ জানুয়ারি তাদের এক প্রতিবেদনে (The Tunesions) পাঁচটি দেশে (আলজেরিয়া, মিসর, লিবিয়া, সুদান ও জর্ডান) সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া ও পরিবর্তনের আভাস দিয়েছে। ওইসব দেশেও বেন আলীরা আছেন (আলজেরিয়ায় বুতেফ্লিকা ১৩ বছর, হোসনি মোবারক ৩০ বছর, গাদ্দাফি ৪২ বছর, বশির ১৫ বছর, হাশেমি পরিবার চতুর্থ জেনারেশন ১৯২১ থেকে)। বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও দুর্নীতি এ পাঁচটি দেশের খুবই সাধারণ চিত্র। এখন দেখার বিষয়, তিউনিসিয়ার জেসমিন বিপ্লব আরববিশ্বে কী ধরনের পরিবর্তন ডেকে আনে।
লেখক : অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
tsrahmanbd@yahoo.com
[সূত্রঃ কালের কণ্ঠ, ২৬/০১/১১]

2 comments: