রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

আরব বিশ্বে কী ধরনের পরিবর্তন আসছে

১৯ মার্চ মিসরে গণভোট অনুষ্ঠানের এক সপ্তাহের মধ্যে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটসের কায়রো সফর নানা জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়েছে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, গেটস মিসরের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃবৃন্দকে তড়িঘড়ি করে নির্বাচন না করার পরামর্শ দিয়েছেন। গণভোটে দেশটির মানুষ আগামী ছয় মাসের মধ্যে পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে রায় দিয়েছে। ওবামা প্রশাসন নির্বাচনটা আরও একটু পেছাতে চায়। কারণ ওবামার উপদেষ্টারা মনে করছেন, আগামী
ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন হলে ইসলামপন্থী দল হিসেবে পরিচিত মুসলিম ব্রাদারহুড ভালো ফল করবে। বলা ভালো, গণভোটের ফলাফলকে ‘মিসরীয় জনগণের জয়’ হিসেবে অভিহিত করেছে মুসলিম ব্রাদারহুড। একই সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত হোসনি মোবারকের দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টিও ফলাফলকে স্বাগত জানিয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে আরব বিশ্বে যে ‘বিপ্লব’ সম্পন্ন হয়েছে (তিউনিসিয়া ও মিসর), তাতে করে এমন একটি সম্ভাবনার জন্ম হয়েছে যে, একনায়কতান্ত্রিক সরকারগুলোর পতনের পর সেখানে যে রাজনৈতিক শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে, সেই রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ করতে যাচ্ছে মডারেট ইসলামিক দলগুলো। সম্ভবত এ কারণেই গেটস চাচ্ছেন না দ্রুত মিসরে নির্বাচন হোক, যাতে ইসলামপন্থীরা ক্ষমতাসীন হতে পারে। হোয়াইট হাউসের শংকার কারণ শুধু মিসরকে নিয়েই নয়; বরং তিউনিসিয়া, ইয়েমেন ও লিবিয়া তাদের চিন্তার অন্যতম কারণ। লিবিয়ায় যৌথ বাহিনীর বিমান আক্রমণের এক সপ্তাহ পার হলেও গাদ্দাফি ক্ষমতা ছেড়ে দিচ্ছেন, এমন কোন আভাস মিলছে না। যদিও সেখানে ওয়াশিংটনের সমর্থনপুষ্ট গাদ্দাফি বিরোধী একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন গঠিত হয়েছে (পূর্বাঞ্চলে), কিন্তু ভয়টা হচ্ছে এ অঞ্চলে ইসলামপন্থী দলগুলো গাদ্দাফির পতন থেকে ফায়দা লুটতে পারে। ইয়েমেনের অবস্থাও ঠিক তেমনি। ক্রমাগত বিক্ষোভের মুখে দীর্ঘদিনের শাসক (১৯৭৮ সাল থেকে) আলী আবদুল্লাহ সালেহ স্বীকার করেছেন চলতি বছরের শেষের দিকে তিনি ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন। ইয়েমেনে আল কায়দার শক্ত ঘাঁটি রয়েছে এবং আল কায়দার উত্থান ঠেকাতে ওয়াশিংটন এখানে বছরে বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। সিরিয়ায় আন্দোলন শুরু হয়েছে। দীর্ঘ ১১ বছরের শাসনে বাশার আল-আসাদ প্রথমবারের মতো বড় ধরনের হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন। আরব লীগভুক্ত ২২টি দেশে আদৌ কোন গণতন্ত্র নেই। প্রায় প্রতিটি দেশে একদলীয় শাসন বজায় রয়েছে। শাসকরা নিজেদের স্বার্থেই একটি পার্লামেন্ট ও দল ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন, যার সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোন সম্পর্ক নেই। প্রত্যেকটি আরব দেশেই ইসলামপন্থীরা শক্তিশালী। সাম্প্রতিক গণবিক্ষোভ তাদের আরও উজ্জীবিত করেছে।

এখন যে প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে, তা হচ্ছে সারা আরব বিশ্বেই আন্দোলন হচ্ছে সত্য, কিন্তু সেখানে বিকল্প কী? বিকল্প কোন শক্তি সেখানে ক্ষমতা গ্রহণ করবে? আগামী ২৪ জুলাই তিউনিসিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ইসলামপন্থী দল এন্নাহাদ্দার দিকে লক্ষ্য থাকবে অনেকের। গত ২০ বছর ধরে দলটি নিষিদ্ধ ছিল। সম্প্রতি এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে এন্নাহাদ্দার নেতা ও দীর্ঘদিন লন্ডনে নির্বাসিত জীবনযাপনরত রশিদ ঘানুচি সম্প্রতি দেশে ফিরে এসেছেন। ১৯৮৯ সালের নির্বাচনে দলটি ১৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। স্পষ্টতই এন্নাহাদ্দা যে তিউনিসিয়ার অন্যতম একটি শক্তি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এন্নাহাদ্দা সংসদ নির্বাচনের ওপরই গুরুত্ব দিচ্ছে। রশিদ ঘানুচি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। মিসরে ইসলামিক ব্রাদারহুড পার্টিও আলোচনায় এসেছে। বলা হচ্ছে, মোবারক-পরবর্তী মিসরে ইসলামিক ব্রাদারহুড হচ্ছে বিকল্প শক্তি। দলটি বর্তমানে নিষিদ্ধ। সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকার এখনও দলটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়নি। দলটির ইতিহাস অনেক পুরনো। জন্ম ১৯২৮ সালে। একজন স্কুল শিক্ষক হাসান আল বান্না দলটি গঠন করেছিলেন। মূলত ব্রিটিশ উপনেবিশবাদী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেই এই দলটির জন্ম। এটি ছিল মূলত একটি ধর্মীয় আন্দোলন। এদের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ আছে, এরা এক সময় জার্মানির নাজিবাদে উৎসাহিত হয়েছিল। ত্রিশ ও চল্লিশের দশকে এরা হিটলারের বিতর্কিত গ্রন্থ ‘মাইন ক্যাম্ফ’ এর প্রচুর কপি দলীয় কর্মীদের মাঝে বিতরণ করেছিল, এসব কথাও শোনা যায়। দলটি নিষিদ্ধ থাকার কারণে এর কর্মীরা বিভিন্ন দলের ভেতরে কাজ করে। মিসরের সর্বশেষ সংসদে এদের সদস্য সংখ্যা ছিল ৮৮, শতকরা ২০ ভাগ। এরা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এদের সঙ্গে চরমপন্থী আল কায়দার কী ধরনের যোগাযোগ রয়েছে, এটা নিয়েও বিতর্ক আছে। কেননা আল কায়দার দ্বিতীয় নেতা আইমান আল জাওয়াহিরি একসময় ইসলামিক ব্রাদারহুডেরও নেতা ছিলেন। যদিও ব্রাদারহুড ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছিল। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বে দলটি তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে পারেনি। এমনকি সেনাবাহিনীর কাছেও দলটি বিতর্কিত। এ কারণেই দলটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া হবে বলে মনে হয় না। তবে দলটি পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে। এ ক্ষেত্রে তারা ভিন্ন একটি রাজনৈতিক সংগঠনের জন্ম দিতে পারে। মিসরের সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে সংগঠনের তরুণ কর্মীরা অংশ নিয়েছিল। জানা যায়, ******** এর ব্যানারে ইসলামিক ব্রাদারহুডের কর্মীরা অংশ নিয়েছিল।**’র নেতা আব্বাসকেও দলটির ভবিষ্যৎ নেতা হিসেবে মনে করেন কেউ কেউ। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, দলটি নিষিদ্ধ থাকার কারণে এর একটি অংশ *** এর ব্যাপারে সংগঠিত হয়েছিল। ২০০৪ সালে ইসলামিক ব্রাদারহুডের নেতা আবু লা আলা মাদি এই ****-কে সংগঠিত করেছিলেন। একসময় দলটির পক্ষ থেকে *** পার্টিরও জন্ম দেয়া হয়েছিল। তাই সংসদ নির্বাচনে ইসলামিক ব্রাদারহুড অন্যতম পক্ষ হিসেবে আবির্ভূত হয়।

আলজেরিয়ায় ইসলামী পুনরুজ্জীবন আন্দোলনের ইতিহাস বেশ পুরনো। রুটির দামের প্রতিবাদে ১৯৮৮ সালে এই আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। পরবর্তীকালে এটাকে পুঁজি করেই জš§ হয়েছিল ইসলামিক স্যালভেশন ফ্রন্ট (আইএসএফ) এর। দলটির নেতা ছিলেন আব্বাস মাদানি। ১৯৮৮ সালের ডিসেম্বরে সেখানে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তাতে আইএসএফ পেয়েছিল ১৮৮টি সিট। আইএসএফের দাবির মুখে ১৯৮৯ সালে আলজেরিয়ায় গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তাতে শতকরা ৭৩ ভাগ ভোটে সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা পরিত্যাগ ও বহুদলীয় রাজনীতির একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। ১৯৯১ সালের নির্বাচনেও ফ্রন্ট ১৮৮টি সিট পেয়েছিল। অন্যদিকে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (এনএলএফ) পেয়েছিল মাত্র ১৫টি সিট আর সোস্যালিস্টরা ২৮টি। ১৯৬২ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই এনএলএফ এককভাবে ক্ষমতা পরিচালনা করে আসছিল। স্যালভেশন ফ্রন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হলেও দলটি ক্ষমতা পায়নি। বরং দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে ইসলামপন্থীরা সেখানে তৎপর ও যথেষ্ট শক্তিশালী। মাগরিবভুক্ত অপর একটি দেশ মরক্কোয় রাজতন্ত্র থাকলেও সেখানেও ইসলামপন্থীরা তৎপর। মরক্কোতে ইসলামী পুনরুজ্জীবন আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে ‘আল আদল ওয়াল ইহসান’ (জাস্টিস অ্যান্ড চ্যারিটি) নামে একটি সংগঠন। এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন আবদেল সালাম ইয়াসিন।

উত্তর আফ্রিকায় মাগরিবভুক্ত অঞ্চলে ইসলামী পুনরুজ্জীবন আন্দোলনের উত্থানের পেছনে কাজ করছে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর একনায়কতান্ত্রিক আচরণ। এখানে দীর্ঘদিন বিকল্প কোন শক্তি গড়ে ওঠেনি, যারা সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করবে। তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া কিংবা লিবিয়ায় তথাকথিত বামপন্থী, কমিউনিস্ট, সোস্যালিস্ট আর ন্যাশনালিস্টরা হয় ক্ষমতাসীন দলকে সমর্থন করেছেন, তাদের অংশীদার হয়েছেন, নতুবা তারা ঐক্যজোট গঠন করে সামরিক বাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে ক্ষমতা পরিচালনা করেছেন। এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের পুঞ্জীভূত সমস্যা নিয়ে কথা বলেছে ওইসব সংগঠন, যাদের রাজনৈতিক দল হিসেবে কোন পরিচিতি ছিল না। এদের কারও কারও পরিচিতি সংস্কারবাদী একটি আন্দোলন হিসেবে (যেমন এন্নাহাদ্দা)। তবে এটাও সত্য, মৌলবাদী চিন্তা-চেতনা এদের মাঝে ভর করেছে (যেমন আলজেরিয়া)। আলজেরিয়াতে মৌলবাদীরা সেনাক্যাম্পে আক্রমণ পর্যন্ত করেছিল। ভয়ের কারণ হচ্ছে, এ অঞ্চলজুড়ে রয়েছে*** এর বিশাল নেটওয়ার্ক। ঐতিহাসিকভাবেই অছওগ এর নেতা ছিলেন আবদেল মালেক ড্রউকডেল। ** এর আলজেরীয় অংশ ২০০৭ সালে গঠন করে ***। **-ই পরবর্তীকালে আল কায়দা নাম ধারণ করে। বিশ্বব্যাপী ‘জিহাদ’-এর অংশ হিসেবে এরা এখন অনেক দেশেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত।

আজ হঠাৎ করেই একদলীয় শাসকদের পতনের পর এই ইসলামিক শক্তিগুলো তৎপর হয়ে উঠেছে। বিকল্প কোন গণতান্ত্রিক শক্তি সেখানে গড়ে ওঠেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছুদিন ধরে গ্রেটার মিডল ইস্ট পলিসি নিয়ে কাজ করছে, যেখানে তারা মধ্যপ্রাচ্য তথা উত্তর আফ্রিকায় বিকল্প একটি শক্তি (এনজিও, তরুণ প্রতিনিধি) গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। মডারেট মুসলিম সংগঠনগুলোকেও তারা প্রমোট করছে। ফলে নরমপন্থী, আধুনিকমনস্ক, আল কায়দাবিরোধী একটি শক্তি যদি সব মাগরিবভুক্ত অঞ্চলে জন্ম হয় এবং তারা যদি নির্বাচনে বিজয়ী হয়, যুক্তরাষ্ট্রের তাতে আপত্তি থাকবে না। স্পষ্টতই আরব বিশ্ব পরবর্তী নেতৃত্বের জন্য তৈরি হচ্ছে। আর একটি মডারেট মুসলিম নেতৃত্বই (অনেকটা তুরস্ক মডেল) একুশ শতকে আরব জাহানকে বিশ্ব আসরে নেতৃত্ব দিতে পারে। তুরস্কে ইসলামিক শক্তি এখন ক্ষমতায়। এখানে ইসলামপন্থীদের সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষ বাদীদের দ্বন্দ্ব রয়েছে। সেনাবাহিনী ধর্মনিরপেক্ষতা সমর্থন করে। সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা হলেও গেল বছর কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে গণভোটের মাধ্যমে। সেখানে ইসলামিক জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি ক্ষমতায়। প্রধানমন্ত্রী এরদোগান কিংবা প্রেসিডেন্ট গুল কট্টরপন্থী নন। ইসলামিক ভাবধারায় দলটি পরিচালিত হলেও পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক ভালো। ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে তুরস্কের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। তুরস্ক ন্যাটোরও সদস্য। তুরস্ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হতে চায়। ইইউ কর্তৃক প্রণীত বিধি-বিধান তুরস্ক মেনে চলার চেষ্টা করে, যে কারণে মিসর কিংবা তিউনিসিয়ায় একটি তুরস্ক মডেলের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু মিসর কিংবা তিউনিসিয়ার ইসলামপন্থী দলগুলো পশ্চিমা বিশ্বে সেই আস্থা অর্জন করতে পারবে কিনা, সেটাই বড় প্রশ্ন এখন।

আরব বিশ্বে পরিবর্তন আসছে। এই পরিবর্তন সেখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একটা সম্ভাবনা সৃষ্টি করলেও আদৌ পশ্চিমা ধাঁচের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছি না। আরব বিশ্বে এক ধরনের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি রয়েছে। এই গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সঙ্গে পশ্চিমা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে মেলানো যাবে না। পরিবর্তনটা তাই কেমন হয়, সেটাই দেখার বিষয়।
ড. তারেক শামসুর রেহমান : অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

0 comments:

Post a Comment