রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

লিবিয়ার পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ রাজনীতি

মানবিক বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে লিবিয়াইতোমধ্যে এক হাজারের ওপরে মানুষের মৃতু্য হয়েছেশেষদিন পর্যন্ত গাদ্দাফি ত্রিপোলী ধরে রাখার চেষ্টা করবেনতবে স্পষ্টতই তার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছেতিনি ক্রমশই দুর্বল হয়ে পড়ছেনআজ না হোক কাল তাঁকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে

লিবিয়ার পরিস্থিতি ক্রমশই অনিশ্চিত হয়ে উঠছেলিবিয়ার সংকট শুরু হওয়ার দু'সপ্তাহের মধ্যে সেখানে এক মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হলেও এর চূড়ান্ত সমাধান কীভাবে হবে, তা এখনও স্পষ্ট হয়নিযুক্তরাষ্ট্র তথা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ গাদ্দাফিকে ক্ষমতা ছেড়ে দেবার কথা জানলেও, গাদ্দাফি এ ধরনের বক্তব্য আমলে নেননিবরং বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে গাদ্দাফি লিবিয়ার অসন্তোষের পেছনে আল-কায়দার সংশিস্নষ্টতার কথা বলেছেনতিনি দাবি করেছেন, লিবিয়ার জনগণ এখনও তার সাথে রয়েছেতার এই বক্তব্য যে কত অসার, তা লিবিয়ার বর্তমান পরিস্থিতির দিকে তাকালেই বোঝা যায়লিবিয়া কার্যত এখন দ্বিধাবিভক্তপূর্বাঞ্চল ইতোমধ্যে গাদ্দাফির কতর্ৃত্ব অস্বীকার করে সেখানে একটি 'মুক্তাঞ্চল' প্রতিষ্ঠা করেছেঅন্যদিকে রাজধানীসহ পশ্চিমাঞ্চল, অর্থাৎ ত্রিপোলী ও তার আশেপাশের অঞ্চলে এখনও গাদ্দাফির নিয়ন্ত্রণ বজায় রয়েছেতবে স্পষ্টতই গাদ্দাফির নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হয়ে আসছেএক সময় সেনাবাহিনীর উপর গাদ্দাফির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিলএখন তা নেইসেনাবাহিনী ভেংগে গেছেসেনাবাহিনীর একটা অংশ বিরোধী শিবিরে যোগ দিয়েছেলিবিয়ার বেশ ক'জন মন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত সরকারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিরোধী শিবিরে যোগ দিয়েছেনএমন কথাও বলা হচ্ছে যা গাদ্দাফির সাত ছেলের মাঝে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র গাদ্দাফি ও তার সহযোগিদের সম্পদ 'জব্দ' করার ঘোষণা করলেও তাতে খুব একটা প্রতিক্রিয়া দেখাননি গাদ্দাফি

লিবিয়ার সংকট শুরু হবার পর থেকে গাদ্দাফি যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে আসছেন, তা সংকটকে আরো গভীর থেকে গভীরতর করেছেবিমান থেকে বিক্ষোভকারীদের উপর বোমা বর্ষণ করা হয়েছে তিউনেসিয়ায় জেসমিন বিপস্নবের ফলশ্রুতিতে বেন আলীর সরকারের পতন ঘটালেও গাদ্দাফি তা থেকে খুব একটা 'শিক্ষা' নিয়েছেন বলে মনে হয় নাএমনকি মিসরের হোসনি মোবারক গণঅভু্যত্থানের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দিলেও, গাদ্দাফি আদৌ ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন, তার কোন ইংগিত তিনি দেননিতবে বাস্তবতা হচ্ছে গাদ্দাফির পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্রমধ্যপ্রাচ্য তথা উত্তর আফ্রিকায় যে গণঅভু্যত্থান তাকে ডমিনো তত্ত্বের সাথে তুলনা করা যায়এই গণঅভু্যত্থানে তিউনেসিয়া ও মিসর দীর্ঘদিনের শাসকদের (২৩ ও ৩০ বছর) পতন ঘটেছেএকই পথ অনুসরণ করে গাদ্দাফির ৪১ বছরের শাসন এখন 'তাসের ঘর'-এর মতই ভেঙ্গে পড়ছেলিবিয়া এখন বাস্তবিক অর্থেই দু' ভাগে ভাগ হয়ে গেছেপূর্বাঞ্চলে বিপস্নবীরা তাদের নিজস্ব প্রশাসন চালু করেছেডমিনো তত্ত্বের মতে পরের দেশ এখন কোনটি? ইয়েমেন, আলজিরিয়া নাকি বাহরাইন? প্রতিটি দেশেই গণবিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্ষমতাসীন সরকার নানা সুযোগ-সুবিধার কথা ঘোষণা করলেও (আলজিরিয়ায় ১৯৯২ সাল থেকে চালু হওয়া জরুরি অবস্থা তুলে নেয়া হয়েছেইয়েমেন প্রেসিডেন্ট সালেহ আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন নাবাহরাইনে বিরোধী দলের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে), এ অঞ্চলের পরিস্থিতি শান্ত তা বলা যাবে নাগণঅসন্তোষের ঢেউ এসে লেগেছে সৌদি আরবেও

আমরা যদি ডমিনো তত্ত্ব অনুসরণ করি তাহলে একটি সামরিক আগ্রাসন এখানে অনিবার্যযেমনটি আমরা প্রত্যক্ষ করেছিলাম ইন্দোচীনে কিংবা ল্যাতিন আমেরিকায়চিলি, নিকারাগুয়া, গ্রানাডা, এল সালভাদর কিংবা গুয়েতেমালার ইতিহাস আমাদের অনেকেরই জানাতাহলে কী যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব এখানে সামরিক হস্তক্ষেপ করবে? সামরিক হস্তক্ষেপের পথ প্রশস্ত করার জন্যই কী দেশে দেশে গণঅভু্যত্থানের 'সৃষ্টি' করা হচ্ছে? আমরা যেন ভুলে না যাই পারস্যিয় উপসাগরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের 'ষ্ট্রাইক ফোর্স'বাহরাইনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌ বাহিনীর ৫ম ফ্লিটের ঘাঁটিমধ্যপ্রাচ্যে বিশ্বের যে কোন অঞ্চলের চাইতে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ এখানে অনেক বেশিযারা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে কাজ করেন তারা জানেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বেশ কিছুদিন ধরে এৎবধঃবৎ গরফফষববধংঃ চড়ষরপু নিয়ে কাজ করছেআজকে মিসরে 'ফেসবুক' 'টুইটার' ভিত্তিক যে বিপস্নবের জন্ম (জবাড়ষঁঃরড়হ ২.০) তা প্রমোট করেছিল যুক্তরাষ্ট্রযারা ইন্টারনেটভিত্তিক এই গণবিক্ষোভকে সংগঠিত করেছিল, তাদের অনেকেই ওয়াশিংটনে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নিয়েছেনকধভধুধ গড়াবসবহঃ কিংবা অঢ়ৎরষ ৬ গড়াবসবহঃকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থা থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা দেয়া হয়েছিলউদ্দেশ্যে ছিল একটাই মিসরে বিকল্প নেতৃত্ব তৈরি করা, যাদের মাধ্যমে সেখানে একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করা যায়আল বারাদির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ওয়াশিংটনের সমর্থন ছিলএখন লিবিয়ার ব্যাপারেও দীর্ঘস্থায়ী একটি ষ্ট্রাটেজি কাজ করছেপ্রথমত, লিবিয়াতে যদি দীর্ঘদিন অস্থিতিশীলতা বজায় থাকে, তাহলে তা পাশর্্ববতর্ী নাইজার, আলজিরিয়া ও সুদানেও ছড়িয়ে যাবেফলশ্রুতিতে ব্যাপক অঞ্চল জুড়ে সৃষ্টি হবে অস্থিতিশীলতারআর এই অস্থিতিশীলতা বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করবেএমনি এক পরিস্থিতিতে অনেকটা 'ইরাকি মডেলে' সেখানে সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা তৈরি হবেএমনকি ন্যাটোর সৈন্য মোতায়েনের প্রশ্নও তখন উঠবেইতিমধ্যে জাতিসংঘ লিবিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রক্রিয়া শুরু করেছেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেসামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা তৈরী হচ্ছে দ্বিতীয়ত, লিবিয়ার তেল সম্পদের উপর (লিবিয়া ১২তম তেল রফতানিকারক দেশ) পশ্চিমা শক্তি, বিশেষ করে ইউরোপীয় শক্তিগুলোর আগ্রহ ব্যাপকতিনটি দেশ লিবিয়ার তেলের উপর বেশি মাত্রায় নির্ভরশীল (ইতালির ২৯ ভাগ, ফ্রান্সের ১৪ ভাগ, স্পেনের ১০ ভাগ)তারা চাইবে তেলের উপর তাদের কর্তৃত্ব বজায় রাখা প্রয়োজনে পশ্চিমা শক্তি এবং যুক্তরাষ্ট্র লিবিয়াকে ভাগ করতেও দ্বিধা করবে নালিবিয়া কার্যত এখন দু'ভাগে বিভক্তপূর্বাঞ্চলে গাদ্দাফি বিরোধী শক্তি ক্ষমতা দখল করেছেআর পশ্চিমাঞ্চল (ত্রিপোলিসহ) নিয়ন্ত্রণ করছে গাদ্দাফির সমর্থকরাপূর্বাঞ্চলেও তেল কূপ রয়েছে, যেখানে কাজ করছে ঊঘও (ইতালি), ঞঙঞঅখ (ফ্রান্স) ও জঊচঝঙ (স্পেন) এর মত বহুজাতিক সংস্থাগুলোতৃতীয়ত, লিবিয়ায় সংকট যদি অব্যাহত থাকে তাহলে অবধারিতভাবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়বে (তেলের দাম বেড়ে এখন ব্যারেল প্রতি ১১৯ ডলারে উন্নীত হয়েছে)ফলে বিশ্বে তেল সংকটের সৃষ্টি হবেএই সুযোগে গ্রীনল্যান্ডের পাশ ঘেঁষে আর্কটিক সাগরে (অৎপঃরপ ংবধ) তেল উত্তোলনের একটা সম্ভাবনা তৈরী হবেবহুজাতিক সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে এটা চেয়ে আসছেকিন্তু পরিবেশবাদীদের বাধার কারণে আর্কটিক সাগরে তেল অনুসন্ধান ও উত্তোলন শুরু হয়নিঅথচ এখানে তেলের বিপুল ভান্ডার রয়েছেগ্রীণল্যান্ডের একজন গবেষক উধারফ খুঁহমমৎবহ এর উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদসংস্থা রয়টার্স গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এ ধরনের একটি সংবাদই প্রকাশ করে চতুর্থত, লিবিয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ শুধু আজকেই তৈরী হয়নি কয়েক বছর আগে একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ওয়েসলি ক্লার্ক ৭টি দেশের কথা উলেস্নখ করেছিলেন, যেখানে ৫ বছরের মধ্যে সরকারের পতনের কথা বলেছিলেনওই ৭টি দেশ হচ্ছে ইরান, সিরিয়া, নেবানন, লিবিয়া, সোমালিয়া সুদান ও ইরাকইরাকে পরিবর্তন এসেছে অনেক আগেইএখন লিবিয়ার পালাআর ইরানের পরিস্থিতিও লক্ষ্য রাখার মত২০০৯ সাল থেকেই সেখানে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করা হচ্ছে সোমালিয়া ও সুদানে পরিবর্তন সময়ের ব্যাপারসুতরাং বোঝাই যাচ্ছে বড় ধরনের একটি পরিবর্তনের সম্ভাবনাকে সামনে রেখে স্ট্রাটেজি তৈরী করা হয়েছেলিবিয়া সেই পরিবর্তনেরই একটা অংশএকটি মানবিক বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে লিবিয়াইতোমধ্যে এক হাজারের ওপরে মানুষের মৃতু্য হয়েছেশেষদিন পর্যন্ত গাদ্দাফি ত্রিপোলী ধরে রাখার চেষ্টা করবেনতবে স্পষ্টতই তার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছেতিনি ক্রমশই দুর্বল হয়ে পড়ছেনআজ না হোক কাল তাঁকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবেএক্ষেত্রে বিকল্প কি? লিবিয়ায় কোন বিরোধী শক্তি নেই রাজনৈতিকভাবে সেখানে কোন রাজনৈতিক দল নেইগাদ্দাফির সমর্থকরা রয়েছেন বটে, কিন্তু কোন রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে তারা সংগঠিত ননগাদ্দাফির ক্ষমতার উৎস হচ্ছে তার নিজ গোত্র ও উপজাতীয়দের একটা অংশগাদ্দাফি ক্ষমতা পরিচালনা করেন জেনারেল 'পিপল্স কংগ্রেসের' মাধ্যমেএই 'পিপল্স কংগ্রেস' অনেকটা সংসদের মত কাজ করেগ্রাম তথা মিউনিসিপালিটি পর্যায়ে 'পিপলস কংগ্রেস' তথা 'পিপল্স কমিটির' শাখা রয়েছে

যাদের প্রতিনিধিদের নিয়েই গঠিত হয়েছে 'জেনারেল পিপল্স কংগ্রেস'গদ্দাফি সরকারের কোন পদ নেইকার্যত তিনি প্রেসিডেন্ট হলেও লিবিয়ায় তাকে সম্বোধন করা হয় বিপস্নবের নেতা হিসাবে১৯৬৯ সালে মাত্র ২৭ বছর বয়সে তিনি বাদশাহ ইদ্রিসকে উৎখাত করে ক্ষমতাসীন হয়েছিলেনআজো ৪১ বছর পরও তিনি বিপস্নবের নেতা

লিবিয়ায় পরিবর্তনটা জরুরীসত্যিকার অর্থেই সেখানে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নিজনগণের প্রতিনিধিত্বও সেখানে নিশ্চিত হয়নিব্যক্তি গাদ্দাফি সমস্ত ক্ষমতা নিজের হাতে কেন্দ্রীভূত করেছেনতার কথাই সেখানে আইনতার কথার বরখেলাপ করা যায় নামজার ব্যাপার লিবিয়াতে কোন সংবিধানও নেইকীভাবে সরকার কিংবা রাষ্ট্র প্রধানের পরিবর্তন সাধিত হবে, সে ব্যাপারে, কোন স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেইআর 'গ্রীণ বুক'-এ বলা হয়েছে বিপস্নবের নেতাকে অথাৎ গাদ্দাফির পরিবর্তন করা যাবে নাবিশ্বে দ্রুত পরিবর্তন এসেছেমানুষ তার অধিকারের ব্যাপারে আজ যথেষ্ট সচেতনতাই সারা আরব বিশ্ব জুড়েই চলছে গণবিক্ষোভইয়েমেন থেকে শুরু করে বাহরাইন সর্বত্রই পরিবর্তনের দাবিপ্রতিটি দেশেই ক্ষমতাসীনরা আছেন দীর্ঘদিন ধরেকিন্তু ওইসব দেশে আজো কোন গণতন্ত্র নেইআজ একটি সুযোগ এসেছেতিউনেসিয়া ও মিসরে আগামি ছ' মাসের মধ্যে নির্বাচন হতে যাচ্ছেসেই পথ অনুসরণ করে গাদ্দাফি ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে যদি লিবিয়ায় সংস্কার আনেন, যদি একটি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি সেখানে গড়ে তোলেন, তাহলে তিনি ভালো করবেন জনসমর্থনও পাবেনকিন্তু অস্ত্রের জোরে যদি ক্ষমতা ধরে রাখতে চান, তাহলে সেখানে রক্ত ঝরবেমানুষ মারা যাবেপশ্চিমা বিশ্বে তার বিচারের দাবি আরো শক্তিশালী হবেগাদ্দাফি হোসনি মাবারকের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারেনসেটাই তার জন্য মঙ্গল

[লেখক: অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

ঃংৎধযসধহনফ@ুধযড়ড়.পড়স]

0 comments:

Post a Comment