রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য ও ব্যর্থতা

শিক্ষাক্ষেত্রে মহাজোট সরকারের গত দু’বছরের সাফল্য ও ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে দুটো বিষয় প্রাধান্য পাবে বলে আমার বিশ্বাস। প্রথমটি, জাতীয় শিক্ষানীতি সংসদে পাস আর দ্বিতীয়টি, দেশজুড়ে ছাত্রলীগের তাণ্ডব। জাতীয় শিক্ষানীতি সংসদে পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাস হয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন। জাতীয় শিক্ষানীতি সম্পর্কে কোন কোন মহল থেকে আপত্তি উঠলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন সর্বমহলে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী একাধিক কারণে আলোচিত ছিলেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তিনি একাধিকবার সতর্কবাণী উচ্চারণ করলেও বাস্তবতা হচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সরকার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে সরকারের আইন না মানার অভিযোগ উঠলেও একটি ক্ষেত্রেও এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। আমার দৃষ্টিতে এটা ছিল সরকারের একটা ব্যর্থতা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে ‘সার্টিফিকেট বাণিজ্যের’ অভিযোগ উঠলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এ ‘সার্টিফিকেট বাণিজ্য’ বন্ধ করতে পারেনি। গত ২৫ ডিসেম্বর দৈনিক যুগান্তরে ছাপা হয়েছিল একটি সংবাদ- ‘দারুল ইহসান ভার্সিটির রংপুর কেন্দ্রে পরীক্ষায় নকলের মহোৎসব’। এই প্রতিবেদন প্রমাণ করে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কী ধরনের অরাজকতা বিরাজ করছে!

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী কোন বিশ্ববিদ্যালয় আউটার ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। কিন্তু খোদ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে বেশক’টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও আউটার ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে এবং হাজার হাজার তথাকথিত ছাত্রছাত্রীকে অনার্স-মাস্টার্স সার্টিফিকেট দিচ্ছে। একটি নয়, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ রয়েছে। মহাজোট সরকারের এটা একটা বড় ব্যর্থতা- তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। মহামান্য রাষ্ট্রপতি, যিনি বারবার উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের কথা বলছেন, সেই মানোন্নয়ন কিভাবে সম্ভব যেখানে শিক্ষার নামে সার্টিফিকেট বাণিজ্য হচ্ছে? রাষ্ট্রপতি যিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চ্যান্সেলরও বটে, তার নজর নিশ্চয়ই এড়ায়নি এসব সংবাদ। দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের নিয়ে একটি পর্যালোচনা কমিটি করা দরকার, যারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে কারিকুলাম, শিক্ষক নিয়োগ ইত্যাদি পর্যালোচনা করবে। সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে আরও একটি আতংকের খবর- ‘আরও ৪৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব মূল্যায়নের নির্দেশ’। অর্থাৎ আরও ৪৮টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আবেদন জমা পড়েছে। উদ্যোক্তাদের সবাই সরকারি দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা রাশেদ খান মেনন, যিনি সংসদের শিক্ষাবিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান, তিনিও আবেদনকারীদের মধ্যে একজন (সোনারগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়)। মহাজোট সরকারের তৃতীয় বছরে বেশক’টি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পাবে। তাহলে এটাকে কী আমরা উচ্চশিক্ষা খাতে উন্নয়ন বলব? যেখানে ৩১টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এবং আরও ন্যূনতম ৩টি থেকে ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় সরকার প্রতিষ্ঠা করবে, সেখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৪টি। এর সঙ্গে আরও যদি গোটা দশেক বিশ্ববিদ্যালয় যোগ হয়, তাহলে প্রায় একশ’টি বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের উচ্চশিক্ষাকে কোথায় নিয়ে যাবে? একজন শিক্ষক হিসেবে আমি সত্যিই আতংকিত আমাদের উচ্চশিক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়ে। এমনিতেই মহাজোট সরকারের গত দু’বছরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক নিয়োগ নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে (প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক) রাজনৈতিক বিবেচনা প্রাধান্য পেয়েছে- এ সংক্রান্ত সংবাদ একাধিকবার সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলেও এটা বন্ধের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। শিক্ষক নিয়োগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যতটা বিতর্কিত হয়েছেন, তার চেয়ে বেশি বিতর্কিত হয়েছেন প্রো-ভিসি, যিনি পদাধিকারবলে শিক্ষক নিয়োগ কমিটির (প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক) সভাপতি। গত দু’বছরে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কেও। নারী নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক। দলীয়করণ ও নিজের আত্মীয়-স্বজনকে শিক্ষকতা ও চাকরি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে একাধিক উপাচার্যের বিরুদ্ধে। এ সংক্রান্ত সংবাদ পত্রিকায় ছাপা হলেও মাত্র একজন অপসারিত হয়েছেন বর্তমান সরকারের সময়।

সরকারের দ্বিতীয় বছরে শিক্ষানীতি পাস হয়েছে, এটা সরকারের একটা সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। কিন্তু রাজনীতির মারপ্যাঁচে শিক্ষানীতিকেও বিতর্কিত করা হয়েছে। যেখানে জাতির স্বার্থ জড়িত, সেখানে এই শিক্ষানীতি সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি। মাদ্রাসা শিক্ষা ও অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার নতুন নিয়মের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল ক’টি শিক্ষক সংগঠন ও ইসলামী দল। সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদ ইসলামী শিক্ষাকে খাটো করার অভিযোগে গত ২৬ ডিসেম্বর হরতাল পালনের ঘোষণা দিয়েও পরে তা প্রত্যাহার করে নেয়। বলা ভালো, স্বাধীনতার পর দেশে প্রথমবারের মতো কোন শিক্ষানীতি জাতীয় সংসদে পাস হল। কিন্তু দুঃখজনক হল, এ শিক্ষানীতিটি যখন সংসদে পাস হয় (৭ ডিসেম্বর) তখন বিরোধী দল বিএনপি ছিল সংসদে অনুপস্থিত। অর্থাৎ বিরোধী দলের মতামত ছাড়াই এটি পাস হল। শিক্ষানীতিতে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের জন্য এক বছর মেয়াদি ব্র্যাক-প্রাথমিক শিক্ষা এবং অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক, সর্বজনীন ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মাধ্যমিক শিক্ষা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ইসলাম পছন্দ দলগুলোর বড় অভিযোগ, শিক্ষানীতিতে ইসলামী শিক্ষাকে খাটো করা হয়েছে।

মহাজোট সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে আরও যেসব কর্মসূচি নিয়েছিল (সব শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে নতুন বই, অষ্টম শ্রেণীর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা প্রবর্তন ইত্যাদি) তা ম্লান হয়ে গেছে সরকারি ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের দৌরাত্মা। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের কর্তৃত্ব একদিকে যেমন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ঠিক তেমনি ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের খবর একাধিকবার সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। বছরজুড়ে ছাত্রলীগের টেন্ডার বাণিজ্যের খবর সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলেও উচ্চমহল থেকে তা বন্ধের ব্যাপারে কোন বড় উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। তবে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদেরের একটি বক্তব্য গত মে মাসে বেশ আলোড়ন তুলেছিল। একটি সংবাদ সংস্থার সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ছাত্রলীগকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে তোলা উচিত। আক্ষেপ করে তিনি তখন বলেছিলেন, এমন বেসামাল ছাত্রলীগ আমি জীবনেও দেখিনি। ছাত্রলীগের ইতিহাসে এত বাড়াবাড়ি কখনও হয়নি। বেপরোয়া ক্যাডারদের সামলাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বেশকিছু সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেয়া দরকার বলেও তিনি মন্তব্য করেছিলেন (দিনকাল, ৭ মে, ২০১০)। ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের এক সময়ের সভাপতি। ছাত্রলীগের সদস্যদের টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি ওই মন্তব্য করেছিলেন। এমনকি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর টেন্ডারবাজির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, যারা টেন্ডারবাজি কিংবা চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত, তাদের দ্রুত বিচার করতে হবে। কিন্তু কোন টেন্ডারবাজ বা চাঁদাবাজকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেয়া হয়নি, বিচারও হয়নি। ফলে সরকারের অনেক অর্জন ম্লান হয়ে গেছে ছাত্রলীগের এসব অপতৎপরতার কারণে। চলতি বছরও যদি ছাত্রলীগের এ টেন্ডার বাণিজ্য অব্যাহত থাকে, তাহলে তা মহাজোট সরকারের জন্য একটি বাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এ ক্ষেত্রে বিরোধী ছাত্রদলের তৎপরতা তেমন দেখা না গেলেও কোন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদের মধ্যকার অন্তদ্বন্দ্বের খবরও প্রকাশিত হয়েছে।

উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে গেল বছর একটি ভালো খবর ছিল। সরকার ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ১৮২ কোটি টাকার ৯১টি উপপ্রকল্প অনুমোদন করেছে। মোট টাকার পরিমাণ ৬৮১ কোটি টাকা। এর ৮৮ শতাংশ টাকা বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে নেয়া হয়েছে। অবশ্য বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছিল ২০০৬-০৭ সালে। চলতি বছরেও নতুন প্রকল্পে টাকা বরাদ্দ করা হবে। এই প্রথমবারের মতো দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও অনুদান দেয়া হল। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এ ধরনের সাহায্যের প্রয়োজন ছিল। যে ৯১টি প্রকল্পের জন্য এ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, তাতে করে শিক্ষার মানোন্নয়ন কতটুকু হবে, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই। তবে অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, তরুণ শিক্ষকদের প্রশিক্ষণটা জরুরি। বর্তমানে সীমিত আকারে এ প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এবং তা খুব একটা কাজে আসছে না। প্রকল্পের টাকায় তরুণ শিক্ষকদের বিদেশে পাঠানো এবং বিদেশ থেকে ডিগ্রি নেয়াটা জরুরি হয়ে পড়েছে। আরও একটা কথা। আমি লক্ষ্য করছি, রাজধানী ঢাকা আর বিভাগীয় শহরগুলোতে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলোর মাঝে একটা বৈষম্য তৈরি হয়েছে। ভালো শিক্ষকের অভাবে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। শুধু অবকাঠামো নির্মাণই শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য যথেষ্ট নয়। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নতুন অনেক বিভাগ খোলা হয়েছে। কিন্তু সেখানে যোগ্য শিক্ষকের অভাব। মঞ্জুরি কমিশনকে এদিকে নজর দিতে হবে। প্রয়োজনে সিনিয়র শিক্ষকদের নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ট্রান্সফার’ করে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য পাঠদানের ব্যবস্থা করতে হবে। বর্তমান প্রচলিত নিয়মে তা সম্ভব নয়। আরও একটা কথা। এর আগে জাতীয় সংসদের স্পিকার একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেবে সরকার। প্রধানমন্ত্রীও গত ২ জানুয়ারি বললেন সে কথা। এর অর্থ বিষয়টি উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। আমার বিবেচনায়, এটি কোন ভালো সিদ্ধান্ত নয়। কেননা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদানের জন্য যে দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক দরকার, তা আমাদের নেই। প্রয়োজনে সরকার ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কোনটির ‘দ্বিতীয় ক্যাম্পাস’ করতে পারে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ভেঙে ৬টি বিভাগীয় শহরে ৬টি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করা যেতে পারে। একটি টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে এবং চট্টগ্রামে একটি মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুটোই ভালো সিদ্ধান্ত ও সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক ভালো-মন্দের মধ্য দিয়ে সরকার দ্বিতীয় বছর পার করল। বিগত বছরের ভুলগুলো থেকে সরকার যদি শিক্ষা নেয়, তাহলে তা হবে জাতির জন্য মঙ্গলজনক।
ড. তারেক শামসুর রেহমান : বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক সদস্য
tsrahmanbd@yahoo.com
সূত্রঃ যুগান্তর, ১২/০১/১১]

0 comments:

Post a Comment