আগামী ২০ আগষ্ট বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান সহিংসতা, তালেবানদের ক্ষমতাবৃদ্ধি আর ব্রিটিশ জেনারেল ডেভিড রিচার্ডসের আরও ৪০ বছর আফগানিস্তানে থাকার অভিপ্রায়ের মধ্য দিয়ে এ নির্বাচন যে কোনো বিবেচনায় অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। কেননা কোনো কোনো মহল থেকে আফগানিস্তানে শান্তি ও স্হিতিশীলতা নিশ্চিত করার স্বার্থে তালেবানদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করার যে আহ্বান জানানো হয়েছে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সে ব্যাপারে কী ভুমিকা নেন, তা নিয়ে আগ্রহ থাকবে অনেকের। গত প্রায় ৩০ বছর আফগানিস্তানে অস্হিতিশীলতা বিরাজ করছে।
যুদ্ধ, গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব, সংঘাত এখন আফগানিস্তানের নিত্যসঙ্গী। ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বরে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন দেশটি দখল করে নিয়েছিল। আর তার ঠিক ২২ বছর পর সেই একই ডিসেম্বর মাসে আফগানিস্তান ‘দখল’ করে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। আজও সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী আছে। আছে ন্যাটো বাহিনীও। কিন্তু যুদ্ধ থামেনি। আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসনের মধ্য দিয়ে যে গৃহযুদ্ধের সুচনা, সেই গৃহযুদ্ধ আজও চলছে। শুধু যুদ্ধের পক্ষগুলোর পরিবর্তন হয়েছে। এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন দেশটি দখল করে সোভিয়েত রাজনীতি সমর্থিত কমিউনিষ্ট পার্টির (পারচাম) নেতা বারবাক কারমালকে সেখানে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। তিনি ক্ষমতায় ছিলেন ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত। এরপর ক্রেমলিন নেতৃত্ব ক্ষমতায় বসিয়েছিল ডা. নাজিবুল্লাহকে। উদ্দেশ্য তৎকালীন যুদ্ধরত মুজাহিদীনদের সঙ্গে এক ধরনের সমঝোতায় গিয়ে তাদের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখা। বৃহৎ শক্তির সেই ষ্ট্যাটেজিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র খুঁজে পেয়েছিল ‘আরেক বারবাক কারমাল’ হামিদ কারজাইকে। ২০০১ সালের ২২ ডিসেম্বর কারজাই আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। আর ২০০৫ সালে তথাকথিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন। সেই অর্থে আগামী ২০ আগষ্ট যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তা দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কারজাই আবারও প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আফগান জনগণের জন্য আদৌ কি কোনো অর্থ বহন করে?
যুদ্ধ, গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব, সংঘাত এখন আফগানিস্তানের নিত্যসঙ্গী। ১৯৭৯ সালের ডিসেম্বরে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন দেশটি দখল করে নিয়েছিল। আর তার ঠিক ২২ বছর পর সেই একই ডিসেম্বর মাসে আফগানিস্তান ‘দখল’ করে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। আজও সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী আছে। আছে ন্যাটো বাহিনীও। কিন্তু যুদ্ধ থামেনি। আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসনের মধ্য দিয়ে যে গৃহযুদ্ধের সুচনা, সেই গৃহযুদ্ধ আজও চলছে। শুধু যুদ্ধের পক্ষগুলোর পরিবর্তন হয়েছে। এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন দেশটি দখল করে সোভিয়েত রাজনীতি সমর্থিত কমিউনিষ্ট পার্টির (পারচাম) নেতা বারবাক কারমালকে সেখানে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। তিনি ক্ষমতায় ছিলেন ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত। এরপর ক্রেমলিন নেতৃত্ব ক্ষমতায় বসিয়েছিল ডা. নাজিবুল্লাহকে। উদ্দেশ্য তৎকালীন যুদ্ধরত মুজাহিদীনদের সঙ্গে এক ধরনের সমঝোতায় গিয়ে তাদের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখা। বৃহৎ শক্তির সেই ষ্ট্যাটেজিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র খুঁজে পেয়েছিল ‘আরেক বারবাক কারমাল’ হামিদ কারজাইকে। ২০০১ সালের ২২ ডিসেম্বর কারজাই আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। আর ২০০৫ সালে তথাকথিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন। সেই অর্থে আগামী ২০ আগষ্ট যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তা দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কারজাই আবারও প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আফগান জনগণের জন্য আদৌ কি কোনো অর্থ বহন করে?
0 comments:
Post a Comment