রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

মধ্য এশিয়ায় গণতন্ত্রের স্বরূপ

মধ্য এশিয়ার দেশ কিরঘিজস্তানের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি প্রমাণ করল এ অঞ্চলের দেশগুলো সার্বজনীন গণতন্ত্রের জন্য এখনও উপযুক্ত নয়। ২০০৫ সালের মার্চ মাসের বিখ্যাত ‘টিউলিপ রেভ্যুলুশন’ কুরমানবেগ বাকিয়েভকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। কিন্তু মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবধানে সহিংস ঘটনাবলির মধ্য দিয়ে তার পতন ঘটল। ১৯৮৯ সালে সাবেক চেকোস্লে­াভাকিয়ায় (এখন চেক ও স্লে­াভাকিয়া দুটি রাষ্ট্র) যে ‘ভেলভেট রেভ্যুলুশন’ হয়েছিল, তা সাবেক পূর্ব ইউরোপ তথা ইউরো-এশিয়ার দেশগুলোতে এক ধরনের ‘গণতন্ত্রে’র জš§ দিয়েছে। মোট ২৮টি দেশ ইউরো-এশিয়ার অন্তর্ভুক্ত। এখানে যে ধরনের গণতন্ত্র বিকশিত হচ্ছে, তার সঙ্গে
পশ্চিমা ধাঁচের গণতন্ত্রকে মেলানো যাবে না। এখানে নির্বাচন হচ্ছে বটে, কিন্তু দেখা যাচ্ছে ইউরো-এশিয়ার এসব দেশে এক ধরনের কর্তৃত্ববাদী নেতৃত্বের জš§ হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই এসব নেতৃত্বের কোন দায়বদ্ধতা নেই। তথাকথিত নির্বাচনকে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য। এসব ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের নামে জš§ হয়েছে ব্যক্তি তথা গোষ্ঠীতন্ত্রের। যারা ক্ষমতা ধরে রেখেছেন, তারা একসময় সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙন ও সমাজতন্ত্রের পতনের সঙ্গে সঙ্গে নিজেরাও বদলে যান এবং তথাকথিত ‘গণতন্ত্রী’ হয়ে যান।

কিরঘিজস্তান স্বাধীন দেশ হিসেবে আÍপ্রকাশ করার আগে থেকেই ওই দেশটির ক্ষমতায় ছিলেন আসকার আকায়েভ। শান্তিপূর্ণ টিউলিপ রেভ্যুলুশনের আগ পর্যন্ত অর্থাৎ দীর্ঘ ১৫ বছর তিনি ছিলেন প্রেসিডেন্ট। ১৯৯০ সালের ২৮ অক্টোবর সমাজতান্ত্রিক কাঠামোয় তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন। শুধু আসকার আকায়েভের নাম বললে ভুল হবে। এ কাতারে আরও যাদের নাম উল্লেখ করা যায়, তারা হচ্ছেন হায়দার আলিয়েভ ও ইলহাম আলিয়েভ (আজারবাইজান), ইমোমালি রাহমানভ (তাজিকিস্তান), সুপারমুরাদ নিয়াজভ (তুর্কমেনিস্তান), করিমভ (উজবেকিস্তান)। তারা সবাই একসময় কমিউনিস্ট পার্টির ঊর্ধ্বতন নেতা ছিলেন। সমাজতন্ত্রের পতনের পর এরা হয়ে গেলেন বড় ‘গণতন্ত্রী’।
ইউরো-এশিয়ার ২৮টি সাবেক ‘সমাজতান্ত্রিক’ রাষ্ট্রে গণতন্ত্র যেভাবে বিকশিত হয়েছে, তাকে আমরা চার ভাগে ভাগ করতে পারি। গড়ফবৎধঃবষু অফাধহপব উবসড়পৎধপু বা অগ্রসরমান গণতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো হচ্ছে স্লোভেনিয়া, এস্টোনিয়া, লাটভিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, চেক রিপাবলিক, লিথুয়ানিয়া ও পোল্যান্ড। সার্বজনীন গণতন্ত্র বিকাশে এই দেশগুলোর অবস্থান ভালো।

দ্বিতীয় স্তরে অর্থাৎ ঊসবৎমবহপু উবসড়পৎধপরবং বা উদীয়মান গণতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে বুলগেরিয়া, রুমানিয়া, সার্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া, মেসিডোনিয়া, আলবেনিয়া ও মনটেনেগরো। তৃতীয় ভাগ, অর্থাৎ ঐুনৎরফ জবমরসবং বা মিশ্র শাসনব্যবস্থায় রয়েছে বসনিয়া-হারজেগোভিনা, ইউক্রেন, জর্জিয়া ও মলদোভা। চতুর্থ ভাগে অর্থাৎ অঁঃড়পৎধপরবং বা একনায়কতন্ত্রী শাসন ব্যবস্থায় রয়েছে আর্মেনিয়া, কিরঘিজস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, আজারবাইজান, কাজাখস্তান, বেলারুশ, উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তান। ‘ফ্রিডম হাউস’ এ দেশগুলোর গণতন্ত্রের বিকাশ নিয়ে র‌্যাংকিং করেছে। তাতে দেখা যায় ১.৮২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে স্লোভেনিয়া, আর ৬.৬ পয়েন্ট নিয়ে সর্বনিুে রয়েছে তুর্কমেনিস্তান। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিনির্মাণে স্লোভেনিয়া পশ্চিম ইউরোপের সমমানের পর্যায়ে পৌঁছেছে। অর্থাৎ স্বাধীন মিডিয়া, সিভিল সোসাইটির বিকাশ, নিয়মিত নির্বাচন, মানবাধিকার নিশ্চিতকরণ, বেসরকারি খাত ও বাজার অর্থনীতির বিকাশ এবং পশ্চিমা গণতান্ত্রিক সমাজের সঙ্গে ব্যাপক যোগাযোগসহ যেসব বিষয় পশ্চিম-ইউরোপের সমাজে বিরাজমান, স্লোভেনিয়ায় তা লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু তুর্কমেনিস্তানে তা লক্ষ্য করা যায় না (দেখুন লেখকের গ্রন্থ ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র’)।

সমাজতন্ত্র-পরবর্তী ইউরো-এশিয়ায় (যে দেশগুলো আগে সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল) তিনটি দেশে যে গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়েছিল এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার পটপরিবর্তন হয়েছিল, তা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকাশের ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছিল। ২০০৩ সালের ২৩ নভেম্বর জর্জিয়ার ‘গোলাপ বিপ্লব’ (রোজ রেভ্যুলুশন) জর্জিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট অ্যাডওয়ার্ড শেভার্দনাদজেকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। আন্দোলনকারীদের হাতে ছিল জর্জিয়ার বিখ্যাত গোলাপ ফুল, যে কারণে শান্তিপূর্ণ ওই বিপ্লব চিহ্নিত হয়েছিল গোলাপ বিপ্লব হিসেবে। ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে ইউক্রেনে শান্তিপূর্ণ বিপ্লবকে চিহ্নিত করা হয়েছিল ‘কমলা বিপ্লব’ বা অরেঞ্জ রেভ্যুলুশন হিসেবে। ওই বিপ্লব ভিক্টর ইয়ুশ্চেনকোকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। ইয়ুশ্চেনকো ও তার সমর্থক হাজার হাজার মানুষ গলায় কমলা রঙের মাফলার ব্যবহার করতেন। একসময় ওই কমলা রঙ একটি সিম্বলে পরিণত হয়। সে কারণে ওই বিপ্লবকে চিহ্নিত করা হয়েছিল কমলা বিপ্লব বা অরেঞ্জ রেভ্যুলুশন হিসেবে। একই ধারায় ২০০৫ সালের মার্চ মাসে কিরঘিজস্তানে যে শান্তিপূর্ণ বিপ্লব সম্পন্ন হয়েছিল, তা চিহ্নিত হয়েছিল ‘টিউলিপ রেভ্যুলেশন’ হিসেবে। কারণ বিপ্লবীরা ওই সময় হাতে টিউলিপ ফুল নিয়ে বিক্ষোভ করেছিল। আজকের থাইল্যান্ডে যে আন্দোলন চলছে, তাও একই ধাঁচের। লাল শার্ট পরা হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ চিহ্নিত হয়েছে ‘রেড শার্ট রেভ্যুলুশন’ হিসেবে। অনেকেরই স্মরণ থাকার কথা, ফিলিপাইনে একসময় কোরাজন আকিনোর নেতৃত্বে যে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সংঘটিত হয়েছিল তা চিহ্নিত হয়েছিল ‘ইয়েলো রেভ্যুলুশন’ হিসেবে। কারণ হাজার হাজার বিক্ষোভকারী হলুদ শার্ট পরতেন ও বিক্ষোভের সময় তাদের হাতে থাকত হলুদ পতাকা।

এ ধরনের শান্তিপূর্ণ বিপ্লব চিহ্নিত হয়ে আছে ‘কালার রেভ্যুলুশন’ হিসেবে। কিন্তু কিরঘিজস্তানের টিউলিপ রেভ্যুলুশনের দিন বোধ করি শেষ হয়ে গেল। প্রেসিডেন্ট কুরমানবেগ বাকিয়েভ, যিনি টিউলিপ রেভ্যুলুশনের জš§ দিয়ে বিখ্যাত হয়েছিলেন, তিনি ক্ষমতা থেকে উৎখাত হলেন হিংসাÍক ঘটনাবলির মধ্য দিয়ে। পত্রপত্রিকার খবর অনুযায়ী ওই ঘটনায় প্রায় একশ’ লোক মারা গেছেন। প্রশ্ন উঠতে পারে, কিরঘিজস্তানের টিউলিপ রেভ্যুলুশন ব্যর্থ হল কেন? প্রথমত, বাকিয়েভ স্বেচ্ছাচারী, দুর্নীতিগ্রস্ত, গোষ্ঠীতন্ত্রের আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি জš§ দিয়েছিলেন একটি অথোরেটরিয়ান নেতৃত্বের। অনেকটা ‘রাশিয়ান মডেল’ তিনি অনুসরণ করতে চাচ্ছিলেন। তার বিরুদ্ধে স্বয়ং জাতিসংঘের মহাসচিব মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ এনেছিলেন। বাহ্যত তিনি ইতিহাস থেকে কিছুই শেখেননি। দ্বিতীয়ত, কিরঘিজস্তানের স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র মানাস বিমানবন্দর ব্যবহার করে আসছে আফগান আগ্রাসনের পর থেকেই। এই বিমানবন্দর ব্যবহার করে আফগানিস্তানে সেনা ও রসদ পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। বাকিয়েভ ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে এই বিমানবন্দর ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে এক বছর চুক্তির সীমা বাড়ানো হয়। এজন্য যুক্তরাষ্ট্র কিরঘিজস্তানকে দিচ্ছে ১৭ মিলিয়ন ডলারের পরিবর্তে ৬০ মিলিয়ন ডলার (বছরে)। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র বিমানবন্দর উন্নয়নে আরও ৩৭ মিলিয়ন, নেভিগেশন যন্ত্রপাতি নেয়ার জন্য ৩০ মিলিয়ন ও সাহায্য হিসেবে ৫১.৫ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে।

অন্যদিকে কিরঘিজস্তানের কান্ট বিমানবন্দরে (রাজধানীর বিশকেক থেকে ১২ মাইল দূরে) তাদের নিজস্ব ঘাঁটি আছে, যেখানে তাদের ৪০০ সেনা রয়েছে। ২০০৩ সাল থেকেই রাশিয়া এ ঘাঁটি ব্যবহার করে আসছে। এ অঞ্চলে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতার প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাকিয়েভের পতন ঘটতে পারে। বাকিয়েভের অতিমাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীলতা রাশিয়ার পছন্দ না হওয়ারই কথা। তেলসম্পদে সমৃদ্ধ (৪০ মিলিয়ন ব্যারেল) এই দেশটির ব্যাপারে পরাশক্তির আগ্রহ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। চীনের সঙ্গেও ৫৩৩ মাইলব্যাপী সীমান্ত রয়েছে দেশটির। কিরঘিজস্তান চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে মিলে ‘সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার’ সদস্য। আঞ্চলিক রাজনীতি ও রাশিয়ার সম্ভাব্য জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে যখন নয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যুক্তরাষ্ট্রকে মানাস বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়ার কথা বলে।

কুরমানবেগ বাকিয়েভের পতন কি এখন মধ্য এশিয়ার বাকি ৫টি দেশের জন্য কোন ‘সিগন্যাল’ বয়ে আনবে? আজারবাইজানে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিলেন সাবেক কমিউনিস্ট নেতা হায়দার আলিয়েভ। তার মৃত্যুর পর ২০০৩ সাল থেকে এককভাবে ক্ষমতা পরিচালনা করে আসছেন তার ছেলে ইলহাম আলিয়েভ। ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য তারা দলও করেছেন, নিউ আজারবাইজান পার্টি। সাবেক কমিউনিস্ট সমর্থকদের নিয়েই গড়ে উঠছে এই দল। তাজিকিস্তানে সেই ১৯৯৪ সাল থেকেই ক্ষমতায় ইমোমালি রাহমানভ। ২০০৩ সালে সংবিধান পরিবর্তন করে তিনি নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেছেন। ৭ বছরের জন্য দু’দুবার তিনি প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারবেন। অর্থাৎ ২০০৬ সালের প্রথম দফা ও ২০১৩ সালে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের পর তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন ২০২০ সাল পর্যন্ত। ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য দলও আছে, পিপল্স ডেমোক্রেটিক পার্টি।

তুর্কমেনিস্তানে দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট ও ‘তুর্কমেনভাসি’ সুপারমুরাদ নিয়াজভের (১৯৮৫ সাল থেকেই ক্ষমতায় ছিলেন) ২০০৬ সালে মৃত্যুর পর গুবানগুলি বারদিমুহাম্মদেভ এখন ক্ষমতায়। নিয়াজভের জš§ দেয়া গোষ্ঠীতন্ত্রই (দল ডেমোক্রেটিক পার্টি) বারদিমুহাম্মদেভকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। আর উজবেকিস্তানে ১৯৯০ সাল থেকেই ইসলাম করিমভ ক্ষমতায়। ক্ষমতায় থাকার জন্য তিনি বারবার সংবিধান পরিবর্তন করেছেন। রেফারেন্ডাম করেছেন। দলও গঠন করেছেন (ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি)। নির্বাচন হচ্ছে, যার কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই বহির্বিশ্বে।

মধ্য এশিয়ার এই রাজনীতি গণতন্ত্র সম্মত নয়। এক ধরনের ব্যক্তিতন্ত্র, গোষ্ঠীতন্ত্র, সুবিধাভোগী শ্রেণী, দুুর্নীতি ইত্যাদি মধ্য এশিয়ার রাজনীতিকে আরও বিতর্কিত করছে। এর নাম আর যাই হোক গণতন্ত্র নয় এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বাকিয়েভের পতন তাই দেখিয়ে দিল বাকি দেশগুলোতেও পরিবর্তন আসন্ন। তবে সমস্যা হচ্ছে মধ্য এশিয়ায় ইসলামী জঙ্গিরা ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো সেখানে অতটা শক্তিশালী নয়। ফলে মধ্য এশিয়ার রাজনীতি নিয়ে একটা সংশয় থেকেই গেল।

ড. তারেক শামসুর রেহমান : আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশ্লেষক ও অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
tsrahmanbd@yahoo.com
[সূত্রঃ যুগান্তর, ১১/০৪/১০]

0 comments:

Post a Comment