রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

কেন অর্থমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন ?

শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ একটি রিট পিটিশন শুনানির জন্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যানকে ডেকেছিলেন গত ২৪ জানুয়ারি। চেয়ারম্যান আমার বন্ধু মানুষ। আমরা একসঙ্গে পড়াশোনা করেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে আর জিয়াউল হক খন্দকার অর্থনীতিতে। অত্যন্ত সজ্জন ও ভালো মানুষ হিসেবেই আমি জিয়াকে চিনি। আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু ওয়াহাব কামাল যখন জার্মানি থেকে ঢাকায় আসে, তখন দেখা হয় জিয়ার সঙ্গে। সেই জিয়াকেই হাইকোর্ট ডেকেছিলেন। সাধারণত হাইকোর্টে এভাবে কাউকে ডাকা হয় না; কিন্তু এসইসির চেয়ারম্যানকে যখন উচ্চ আদালতে ডাকা হয়, তখন বুঝতে হবে বিষয়টি কত গভীর। গত কিছুদিন যাবত্ শেয়ারবাজার নিয়ে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তাতে এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের হাইকোর্ট ডাকতেই পারেন। আমি এটাকে ‘পজিটিভলি’ দেখছি। হাইকোর্ট তখন যেসব মন্তব্য করেছেন; আমার কাছে তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছে। এসইসির চেয়ারম্যানকে দাঁড় করিয়ে আদালত শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির রেশ ধরে বলেছিলেন, ‘অন্য কোনো দেশ হলে এমন সংস্থার প্রধান পদত্যাগ করতেন।’ আদালতের এই মন্তব্য পত্র-পত্রিকায়ও ছাপা হয়েছে (কালের কণ্ঠ, ২৫ জানুয়ারি)। আদালতের এই মন্তব্য সঠিক। পৃথিবীর বহু দেশে এ ধরনের নজির রয়েছে; কিন্তু এসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগের চেয়েও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ। এসইসির চেয়ারম্যান চুনোপুঁটি। অন্যায় করলে অবশ্যই তিনি শাস্তি পাবেন; কিন্তু মাননীয় অর্থমন্ত্রী! তিনি তো বিজ্ঞ মানুষ। সাবেক আমলা। পাকিস্তানি সিএসপির গন্ধ তার শরীরে আছে। এ জন্য তার গর্বের শেষ নেই। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন তিনি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যখন বিরোধী দলের নেতা ছিলেন, তখন তাঁর অন্যতম উপদেষ্টার একজন ছিলেন তিনি। একটি গবেষণা সেল করে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করতেন। তার পুরস্কারও তিনি পেয়েছেন। সরাসরি অর্থমন্ত্রী।

একজন সিএসপি হলেই ভালো অর্থনীতি বুঝবেন, এটা সত্য নয়। তবুও তিনিই আমাদের অর্থমন্ত্রী। তবে তাঁর একটি বক্তব্যের জন্য আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। পুঁজিবাজার ধসের জন্য এসইসি ও নিজের ভুলের কথা তিনি স্বীকার করেছিলেন (যায়যায়দিন, ২২ জানুয়ারি)। বলেছিলেন, বর্তমান পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি রোধে ভুলগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে, তার একটি ফিরিস্তি তিনি দিয়েছেন সংবাদ সম্মেলন করে গত ২৩ জানুয়ারি। কিন্তু যে হাজার হাজার বিনিয়োগকারী শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে ফেললেন, তাদের কাছে এই ‘ভুল স্বীকারোক্তির’ কী মূল্য আছে? স্বল্পপুঁজির বিনিয়োগকারীরাই শেষ হয়ে গেছেন। এদের অনেকের করুণ কাহিনীও ছাপা হয়েছে পত্রপত্রিকায়। অনেকেরই সংসার চলতো এই আয় থেকে। তাদের কাছে এই ভুল স্বীকারোক্তির কোনো মূল্য নেই। অর্থমন্ত্রী যদি বিবেকের কাছে সত্ থাকতে চান, তাহলে তাঁর জন্য পদত্যাগ করাই মঙ্গল। একজন এসইসির চেয়ারম্যান পদত্যাগ করতে পারেন। তাতে করে কি অর্থমন্ত্রী তাঁর দায় এড়াতে পারবেন? না, পারবেন না। অর্থমন্ত্রীর নিশ্চয়ই ভারতের বর্তমান রেলমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কথা মনে আছে। এর আগের সরকারে তিনি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, একটি রেল দুর্ঘটনার দায়-দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন। রেল দুর্ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। তবুও বিবেকের কাছে সত্ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। শত অনুরোধও তাঁর মন গলাতে পারেনি। সম্প্রতি পাকিস্তানেও এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। পশ্চিমা বিশ্বের দৃষ্টান্ত দেয়া যায় হাজারটা; কিন্তু বাংলাদেশ বলে কথা! আমরা দৃষ্টান্ত রাখতে পারি না। তবে একটা বিষয়ে আমি অবশ্যই অর্থমন্ত্রীর প্রশংসা করব। তিনি শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে বিএনপির জড়িত থাকার (?) কোনো অভিযোগ করেননি। আমরা তো হরহামেশাই মহাজোট সরকারের মন্ত্রীদের এ ধরনের কথাবার্তা শুনে শুনে অভ্যস্ত। এই শীতেও বিদ্যুতের লোডশেডিং। দায়ী কে? বিএনপি। অথচ বিএনপি ক্ষমতা ছেড়েছিল ২০০৬ সালের মাঝামাঝি। বাজারে এই শীতের মৌসুমেও সবজিতে হাত দেয়া যায় না। মধ্যবিত্তের চাল এখন ৫০ টাকা কেজি।

বাণিজ্যমন্ত্রী ‘বাঘের মতো’ বারে বারে হুঙ্কার দিয়ে যাচ্ছেন। ‘মগের মুল্লুক’-এর কথা বলে ব্যবসায়ীদের একচোট নিলেন; কিন্তু তেলের দাম কমল না। আমরা আবার শুনলাম সেই ‘সিন্ডিকেটের’ কথা। দাম বাড়ল, এখানেও বিএনপির হাত! এখানে মন্ত্রীদের ব্যর্থতা নেই। সব দায় বিএনপির!
আমি শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ নই; কিন্তু মাত্র ৫ মিনিটের ব্যবধানে শেয়ারের সূচক যখন ৬০০ পয়েন্ট নিচে নেমে যায়, তখন বুঝতে কারও বাকি থাকে না যে একটি অসাধু চক্র এর সঙ্গে জড়িত। সরকার কি এদের চেনে না? সরকারপ্রধানের হাতে কি এদের নাম-ঠিকানা নেই? তাহলে সরকার অ্যাকশনে যাচ্ছে না কেন? প্রশ্ন তো এখানেই। গত ক’দিন ধরেই পত্রপত্রিকায় এ সংক্রান্ত নানা খবরাখবর ছাপা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রীও বলেছেন, দুষ্টচক্রের হোতাদেরও গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু ১৯৯৬ সালের দৃষ্টান্ত আমাদের কাছে আছে। ওই সময়ও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল; কিন্তু দোষীদের শাস্তি হয়নি। আর শাস্তি হয়নি বলেই তারা এ ধরনের অনিয়ম করতে সাহস পায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ প্রকাশ্যেই বলেছেন, ‘১৫ ব্যবসায়ী রাজনীতিক লুটে নিয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা।’ তিনি নিশ্চয়ই তাদের নাম-ঠিকানা জানেন। তদন্ত কমিটির প্রধান তিনি। এই ১৫ জনের নাম-ঠিকানা তিনি তদন্ত কমিটিকে জানাবেন। হাইকোর্ট, যেখানে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি নিয়ে শুনানি হচ্ছে, ওই কোর্ট কি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই ১৫ জনের নাম-ঠিকানা চাইতে পারেন? আমি ঠিক জানি না। তবে অনেক সময় উচ্চ আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ ধরনের কাজ করেন—আমরা সে সংবাদ পত্রিকাতে দেখি। আর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বরাবরই সরকারের খুব কাছের লোক। কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি আবারও পুনঃনিয়োগ পেয়েছেন। লেখালেখি, টিভিতে তিনি সরকারের গুণগানই বেশি করেন। এখন তিনি যখন বলছেন ১৫ জন ব্যবসায়ীর কথা, তদন্ত কমিটির উচিত তাঁর কথা শোনা। নিদেনপক্ষে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর কথা শুনতে পারে। পত্রপত্রিকায় সামিট গ্রুপের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এই সামিট গ্রুপ বাণিজ্যমন্ত্রীর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। সামিট গ্রুপের অঙ্গসংগঠন ওশান কনটেইনার ও কেপিসিএল বাজারে শেয়ার বিক্রয় করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। এই টাকায় তারা মালয়েশিয়ায় ব্যাংক কিনেছে (আমাদের সময়, ২৪ জানুয়ারি)।

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদও বলেছেন, যে ১৫ হাজার কোটি টাকা বাজার থেকে চলে গেছে তা আর কোনোদিন পুঁজিবাজারে ফিরে আসবে না। অর্থমন্ত্রী যেসব পদক্ষেপের কথা বলেছিলেন, তাতেও তিনি কেপিসিএল ও ওশান কনটেইনারের লেনদেন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর অর্থ পরিষ্কার। সামিট গ্রুপের কর্তাব্যক্তিরা এই শেয়ার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। অভিযোগ উঠেছে বেক্সিমকোর বিরুদ্ধেও (দি সান, ২৫ জানুয়ারি)। অভিযোগ যখন উঠেছে, তখন দোষীদের শাস্তি হবে না কেন? মাত্র ২০ দিনে ৮৪ হাজার ৪৬০ কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা বাজার থেকে চলে গেছে। ৫ অক্টোবর যেখানে ঢাকা স্টক বাজারে মূলধন ছিল ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭১ কোটি ৪১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, সেই মূলধন এখন এসে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৬১১ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকায়। বোঝাই যাচ্ছে, পরিস্থিতি কত ভয়াবহ। খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ আরও জানিয়েছিলেন, ১৯৯৬ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে আওয়ামী লীগের এক নেতা কাম ব্যবসায়ী জড়িত ছিলেন (আমার দেশ, ২৩ জানুুয়ারি)। তিনি তাঁর নাম জানেন। এমনকি সংবাদপত্র মহলেও তাঁর নাম অপরিচিত নয়। সরকারের উচিত হবে তাকে গ্রেফতার করা। কেননা, ২০১১ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির সঙ্গেও তাঁর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। অর্থমন্ত্রী যতই বলুন সাক্ষীর অভাবে ১৯৯৬ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির বিচার করা যাচ্ছে না, এই যুক্তি ধোপে টেকে না। সরকার যদি না পারে, এটা সরকারের ব্যর্থতা।

গণতন্ত্রের সঙ্গে সুশাসনের প্রশ্নটি জড়িত। জনগণের ভোটে একটি সরকার নির্বাচিত হয় বটে; কিন্তু সুশাসন যদি নিশ্চিত করা না যায় তাহলে সেই গণতন্ত্র মূল্যহীন। সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পুঁজিবাজারকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে পথে বসিয়ে সংসদে বড় বড় কথা বলবেন, এর নাম গণতন্ত্র নয়। গণতন্ত্র দায়বদ্ধতাও শেখায়। আজ একজন গৃহশিক্ষক মজিদ শেয়ারবাজারে সর্বস্ব হারিয়ে সেই ক্ষতি পোষাতে নিজ ছাত্রীকে মাত্র ৫ লাখ টাকার জন্য অপহরণ করেন (কালের কণ্ঠ, ২৩ জানুয়ারি), তাকে আমি দোষ দেই কীভাবে? সামিট গ্রুপের সঙ্গে গৃহশিক্ষক মজিদের পার্থক্য কোথায়? পার্থক্য আছে এক জায়গায়। মজিদ নিঃসন্দেহে অন্যায় করেছেন। তিনি শাস্তি পাবেন। আর কেপিসিএল ও ওশান কনটেইনারের সঙ্গে যারা জড়িত, তারাও গৃহশিক্ষক আবদুল মজিদের মতো অপরাধী। তাদের গ্রেফতার করতে পারে না পুলিশ। গ্রেফতার করতে পারে আবদুল মজিদকে। এই সমাজে পার্থক্যটা এখানেই।

মাননীয় বিচারপতি এসইসির চেয়ারম্যানকে কোর্টে ডেকে তাকে ভর্ত্সনা করে সম্ভবত একটি মেসেজই পৌঁছে দিতে চেয়েছেন। আর তা হচ্ছে দায়িত্ব পালনে কেউ যদি ব্যর্থ হন, দুর্নীতি করেন, তার প্রাপ্য তাঁকে ভোগ করতে হয়। আদালত শুধু তা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এ থেকে মাননীয় অর্থমন্ত্রী যদি কিছু বুঝে থাকেন, আমি খুশি হবো। আমি জানি, মাননীয় অর্থমন্ত্রী সনাতন রাজনীতিবিদ নন। সনাতন রাজনীতিবিদের মতো তিনি কথা বলবেন না। এ জন্য সবকিছুর জন্য দোষ চাপাবেন না বিরোধী দলের ঘাড়ে। তবে পদত্যাগ করলে তিনি ভালো করবেন। আরও একটা কথা। সরকারের ‘খুব ঘনিষ্ঠজন’ হিসেবে পরিচিত খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে স্বচ্ছতাই আমরা আশা করি। অতীতে (১৯৯৬) অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম চৌধুরী শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির তদন্ত করেছিলেন। তিনি ৩৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। তাদের বিচার হয়নি। আজ ইব্রাহিম খালেদ কী তদন্ত করবেন, আমরা জানি না। দোষীরা ক্ষমতাবান। হাজার কোটি টাকার মালিক। রাজনীতিও করেন। দোষীরা শাস্তি পাবে, এটা আশা করতেই পারি। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যেখানে দোষীরা নানা ফাঁক-ফোকর দিয়ে বের হয়ে যায়। শাস্তি পায় না। একটা ‘সভ্য’ দেশে দোষী ব্যক্তি যত ক্ষমতাবানই হোক না কেন, আইনের কাছে তাঁর জবাবদিহি করতে হয়। তিনি শাস্তি পান। আমরা বাংলাদেশে এটা নিশ্চিত করতে পারি না বিধায় ‘ব্যর্থ রাষ্ট্র’-এর অভিযোগ ওঠে আমাদের বিরুদ্ধে। সুশাসন নেই—এমন অভিযোগও আমরা শুনি। এই বৃত্ত যদি আমরা ভাঙতে না পারি, তাহলে আমাদের দেশে ‘গণতন্ত্র’ মূল্যহীন হয়ে পড়বে।
লেখক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক,
tsrahmanbd@yahoo.com
[সূত্রঃ আমার দেশ, ৩০/০১/১১]

0 comments:

Post a Comment