রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

দীপু মনির একটি সাক্ষাত্কার প্রসঙ্গে দুটি কথা

ডা. দীপু মনি আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যথেষ্ট আস্থাভাজন। না হলে অনভিজ্ঞ দীপু মনিকে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কেন দিলেন। আমি পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে একটু লেখালেখি করি। এ বিষয়ে আমার কিছু গবেষণাও আছে। ছাত্রদের পড়াইও এ বিষয়ে। গত ২০ বছরে ঢাকায় পররাষ্ট্র তথা নিরাপত্তা নিয়ে যেসব সেমিনার হয়েছে, আমি সেখানে অবশ্যম্ভাবী ভাবে থাকার চেষ্টা করেছি। আন্তর্জাতিক রাজনীতি, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে আমার বেশ ক’টি বই, গবেষণা প্রবন্ধও রয়েছে। তাই আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যখনই কোনো সেমিনারে যান, বক্তব্য রাখেন, আমি আগ্রহভরে তা থেকে জানার ও শেখার চেষ্টা করি কিছু। বুঝতে চেষ্টা করি আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে আদৌ কোনো পরিবর্তন আসছে কি না কিংবা নয়া বিশ্বব্যবস্থার আলোকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির সাফল্য কোথায়। গত ২৫ ডিসেম্বর চ্যানেল আইতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি সাক্ষাত্কার প্রচারিত হয়েছে। দৈনিক মানবজমিন-এ ওই সাক্ষাত্কারটি প্রকাশিত হয় ২৬ ডিসেম্বর। আর সাক্ষাত্কারটি যিনি নিয়েছেন, তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং মতিউর রহমান চৌধুরী, যিনি মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। খুব আগ্রহ সহকারে সাক্ষাত্কারটি আমি পড়েছি। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির প্রেক্ষাপটে যেসব বিষয় আমার জানার দরকার ছিল, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে তা আমি পাইনি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির আলোকে এমন অনেক বিষয় রয়ে গেছে, সেসব প্রশ্ন কেন যে মতি ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে করলেন না, আমি বুঝতে অক্ষম। মতি ভাইকে আমি চিনি ও জানি অনেক অনেক দিন থেকে। তিনি শুধু সিনিয়র কিংবা সাহসী একজন সাংবাদিক, এটা বললে ভুল হবে। তিনি পররাষ্ট্রনীতি তথা কূটনীতি ভালো বোঝেন। দীর্ঘদিন কূটনৈতিক সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেছেন। অনেক বিষয় তিনি জানেন ও বোঝেন। এসব প্রশ্ন তিনি কেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে করলেন না, আমি সত্যিই বুঝতে অক্ষম। সাংবাদিকদের কাজ তো এটাই। ইতালির মহিলা সাংবাদিক প্রয়াত অরিআনা ফাল্লাসির কথা আমার মনে পড়ে। আয়াতুল্লা খোমেনি তখন বেঁচে আছেন। মাথায় ‘চাদর’ জড়িয়ে তিনি খোমেনির কাছে গিয়েছিলেন; কিন্তু শক্ত প্রশ্ন করতে এতটুকুও পিছপা হননি ফাল্লাসি। মতি ভাইর মধ্যে আমি একজন ফাল্লাসিকে দেখতে চাইনি বটে; কিন্তু আমি হলে যে প্রশ্নগুলো ডাক্তার দীপু মনিকে করতাম, মতি ভাই তা করেননি। পাঠক, আসুন মতি ভাইর সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলাপচারিতা নিয়ে কিছুটা আলোচনা করা যাক।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ১৯৫৪ সালে তত্কালীন আওয়ামী লীগের যে পররাষ্ট্রনীতি, সেই নীতিই আওয়ামী লীগ এখন অনুসরণ করছে। তাই? ১৯৫৪ সালের নীতি, ২০১০ সালে? ১৯৫৪ সালে তত্কালীন পূর্বপাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট বিজয়ী হয়েছিল (ইসলামপন্থী দল নেজামে ইসলামীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ যুক্তফ্রেন্ট ছিল)। যুক্তফ্রন্টের ২১ দফায় বৈদেশিক নীতি সম্পর্কে কোনো কথা বলা হয়নি। তবে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছিল ১৯৫৫ সালের ২১, ২২ ও ২৩ অক্টোবর তারিখে অনুষ্ঠিত পূর্বপাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিল অধিবেশন। ওই কাউন্সিল অধিবেশনে পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তির বিরোধিতা করা হয়েছিল; কিন্তু দেখা গেল আওয়ামী লীগের একটা অংশ ১৯৫৬ সালে ক্ষমতা পেয়ে ওই সামরিক চুক্তির সমর্থক বনে যায়। অলি আহাদ লিখেছেন, ‘গদির মোহে পড়িয়া জনাব আতাউর রহমান খান ও শেখ মুজিবুর রহমান প্রমুখ আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারি পার্টি সদস্যই প্রধানমন্ত্রী শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নির্দেশিত পথে সংগঠনের বৈদেশিক নীতির বরখেলাপে পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তি, বাগদাদ চুক্তি ও সিয়াটো চুক্তির গোঁড়া সমর্থকে পরিণত হন’ (জাতীয় রাজনীতি, ১৯৪৫ থেকে ১৯৭৫, পৃষ্ঠা : ১৭৯)।

দীপু মনি কি এ কথাটাই বলতে চাচ্ছেন? সেদিন কিন্তু কাগমারী সম্মেলনে (১৯৫৭) পূর্বপাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি মওলানা ভাসানী পাক-মার্কিন সামরিক আঁতাতের সমালোচনা করেছিলেন। ভাসানী হচ্ছেন সেই ব্যক্তি, যিনি ১৯৫৫ সালের ১৭ জুন ঢাকার পল্টন ময়দানে উচ্চারণ করেছিলেন ‘আসসালামু আলাইকুম’। জানিয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তানি শাসকচক্র যদি শোষণ-শাসনের মনোবৃত্তি ত্যাগ না করে, তাহলে পূর্বপাকিস্তান আলাদা হয়ে যাবে। এসব তো ইতিহাস। ইতিহাস তো অস্বীকার করা যায় না। দীপু মনি যদি সেই পাক-মার্কিন ‘মৈত্রী’ ও আওয়ামী লীগের সমর্থনের কথা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন, তাহলে কি তা ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের রাষ্ট্র পরিচালনার (৮ নং অনুচ্ছেদ) নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়? আওয়ামী লীগ তো এখন ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানেই ফিরে যেতে চাইছে। দীপু মনি আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন সংবিধানের ২৫নং ধারার কথা, যেখানে বৈদেশিক নীতির মূলনীতির কথা বলা হয়েছে। আমি খুশি হতাম যদি মতি ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ২৫(২) ধারা নিয়ে একটা প্রশ্ন করতেন। এখানে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্র ইসলামী সংহতির ভিত্তিতে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব সম্পর্ক সংহত, সংরক্ষণ এবং জোরদার করিতে সচেষ্ট হইবেন।’ প্রশ্ন হচ্ছে উচ্চ আদালতের রায় অনুসরণ করে সংবিধান এখন সংশোধন করা হচ্ছে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম (সংবিধানের ২ক) এখন আর থাকছে না। খুব সঙ্গত কারণেই তাই ২৫(২) ধারাটাও থাকছে না।

আমি খুশি হতাম যদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সম্পর্কে কোনো কথা বলতেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আরেকটি বক্তব্য—‘আমাদের সম্পর্কের ১২ আনাই ভারতের সঙ্গে নয়। তবে বড় কথা আমাদের মনোজগতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বড় অবস্থানে আছে। সেটা একটা বড় দিক।’ এই বক্তব্যে আমার বিবেচনায় ভারতের সঙ্গে ‘বিশেষ সম্পর্ক’-এর কথা তিনি স্বীকার করলেন। বাংলাদেশ তো সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের নীতি অনুসরণ করে আসছে। সংবিধানে এমন কথাই আছে। তাহলে ‘ভারতের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক’ কেন? এতে করে কি বর্তমান সরকারের ভারতপ্রীতির কথাই প্রকারান্তরে দীপু মনি স্বীকার করলেন না? আমরা অবশ্যই ভারতের বন্ধুত্ব চাই। কিন্তু প্রায় প্রতিদিনই যখন ভারতীয় বিএসএফ বাংলাদেশীদের সীমান্তে হত্যা করে, তা কি বন্ধুত্বের নিদর্শনের কথা বলে? বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে একাধিক সমস্যা, তার সমাধানের উদ্যোগ কি ভারত কখনও নিয়েছে? দীপু মনি যখন ভারতের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কের কথা বলেন, তখন কি মতি ভাই তাকে বাংলাদেশ-ভারত সমস্যাগুলো নিয়ে প্রশ্ন করতে পারতেন না? কেন করলেন না তিনি? ভারতের সঙ্গে যৌথ বিদ্যুকেন্দ্র হচ্ছে খুলনায়। খসড়া চুক্তিতে উপেক্ষিত হয়েছে পিডিবির স্বার্থ (কালের কণ্ঠ, ১১ ডিসেম্বর)। বহুল আলোচিত ভারতের ১০০ কোটি ডলারের ঋণ এখন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত প্রকল্পের জন্যই কেবল ব্যয় হবে। ৮৫ ভাগ পণ্য ও সেবা কিনতে হবে ভারত থেকে। বাকি ১৫ ভাগ কিনতে হবে ভারতের পরামর্শে। ইট-বালু পর্যন্ত ভারত থেকে আনতে হবে (আমার দেশ, ২৭ ডিসেম্বর)। এটা কি বন্ধুত্বের নিদর্শন? পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলো না কেন? আমি জানতে চাই সরকারের নীতি-নির্ধারক একজন যিনি, তিনি কী বলেন এ সম্পর্কে। তাকে প্রশ্ন করা হলো না। আমরা জানলামও না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের জানালেন ট্রানজিট নিয়ে কোনো চুক্তি হয়নি। এটা বলে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন, আমরা জানি না; কিন্তু আমরা তো এরই মধ্যে জেনে গেছি ভারতকে ট্রানজিট দেয়াসংক্রান্ত একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এমনকি ট্রানজিটের জন্য কি ‘ফি’ নির্ধারণ করা হবে কিংবা আদৌ ফি নেয়া হবে কি না, সে সম্পর্কে খোদ সরকারের মধ্যেই দ্বিমত আছে। সরকার ট্রানজিট ১১ খাতের লাভ-ক্ষতির হিসাব শুরু করে দিয়েছে (কালের কণ্ঠ, ১২ ডিসেম্বর)। এডিবি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ট্রানজিট চালু হলে বছরে সরকার পাবে এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা। আর বিআইডিএসের মতে, এই টাকার পরিমাণ ৪০০ কোটি টাকা; কিন্তু ভারত আদৌ ট্রানজিট ‘ফি’ দিতে রাজি নয়। যখন প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের সময় ট্রানজিটসংক্রান্ত একটি চুক্তি করেন, তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কী করে বলেন ‘কোনো চুক্তি হয়নি’। সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী যখন বলেন, ‘ভারতের মতো বড় রাষ্ট্র সক্রিয় না হলে সাফটা অকেজো হয়ে পড়বে’ (যুগান্তর, ২৬ ডিসেম্বর), সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারতপ্রীতি চোখে লাগার মতো বৈকি! কে না জানে শুধু ভারতের কারণেই সার্ক কার্যকর হচ্ছে না। সার্ক হয়ে পড়ছে একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানে। বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর গত দুই বছরে অর্ধশত উলফা নেতাকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করেছে (আমার দেশ, ২৫ ডিসেম্বর); কিন্তু কই আমরা কি একজনও বাংলাদেশী সন্ত্রাসীকে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরত নিয়ে আসতে পেরেছি? সঞ্চালক একবারের জন্যও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্নটা করলেন না। টিপাইমুখ নিয়ে এত শঙ্কা ও উত্কণ্ঠা বাংলাদেশের মানুষের। সিলেটের মানুষ এক ধরনের ভয় ও আশঙ্কার মাঝে আছেন। খোদ ভারতেই (আসামের শিলচরে) টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও জনমত সংগঠিত হচ্ছে (আমার দেশ, ২৬ ডিসেম্বর), সেখানে সিলেটের মানুষ মতিউর রহমান চৌধুরী ভুলে গেলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ কথাটা জিজ্ঞেস করতে? এটা কি ইচ্ছাকৃত?

গঙ্গার পানিচুক্তি অনুযায়ী আমরা পানি পাচ্ছি না। এ কথাটা স্বীকার করলেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বললেন, বিশেষজ্ঞরা তো এমন কথা বলেন না! মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দয়া করে ১২ ডিসেম্বরের সংবাদপত্রটি দেখবেন কি? সেখানে বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়েই বলা হচ্ছে, জানুয়ারির (২০১০) ৩ কিস্তিতে বাংলাদেশ ৫৬ হাজার ৩৭১ কিউসেক কম পানি পেয়েছে। আর গত বছর (২০০৯) কম পেয়েছে ৬০ হাজার কিউসেক। পত্রিকায় ২০০৫, ২০০৬ ও ২০০৭ সালের পরিসংখ্যানও আছে (নয়া দিগন্ত)। দেখে নিতে পারেন। এবারও কি বলবেন, কই বিশেষজ্ঞরা তো কিছু বলছে না!

মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে ক্ষমা করবেন—গোয়েবলসের সেই বিখ্যাত উক্তিটি আমরা জানি। মাননীয় মন্ত্রী বললেন, শ্রমবাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে। সঞ্চালক, নিজে একজন সম্পাদক, পারতেন ১৩ ডিসেম্বরের একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করতে। তিনি করেননি, আমি করছি। কালের কণ্ঠ আমাদের জানাচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি রফতানি কমেছে, এবং রেমিট্যান্সও কমে গেছে। কত কমেছে তার তথ্যও আছে এই প্রতিবেদনে। যারা জনশক্তি নিয়ে গবেষণা করে, সেই রামরুর একটি প্রতিবেদন বিবিসির বাংলা বিভাগ উপস্থাপন করেছে গত ২৫ ডিসেম্বর সকালে। সেখানে জনশক্তি রফতানি কমছে বলেই রামরু আমাদের জানাচ্ছে। দৈনিক যুগান্তরও রামরুর প্রতিবেদনটি ছাপা হয়েছে গত ২৯ ডিসেম্বর। তাহলে দীপু মনি, আপনার কথা কি সত্য হলো?

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশ সফর করতে ভালোবাসেন। যখন এই লেখাটি ছাপা হবে, ধারণা করছি তিনি তখন বিদেশে। তার এই ঘন ঘন বিদেশ সফর কি আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে আদৌ কোনো সাফল্য আনতে পেরেছে? জলবায়ু কূটনীতিতেও আমরা ব্যর্থ। এনজিওর প্রতিনিধিরা, যারা কানকুনে গিয়েছিলেন, তারা এসে বলেছেন আমাদের ব্যর্থতার কথা। পররাষ্ট্রনীতিতে আমাদের ‘সাফল্য’ এক জায়গায়। আর তা হচ্ছে ভারতের ওপর অতি নির্ভরতা, যা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হয়। পররাষ্ট্রনীতিতে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য, মহাজোট সরকারের দুই বছরের পররাষ্ট্রনীতিতে এই জাতীয় স্বার্থ রক্ষিত হয়নি।
লেখক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক
tsrahmanbd@yahoo.com
[সূত্রঃ আমার দেশ, ০২/০১/২০১১]

2 comments:

  1. সুন্দর! এই রকম প্রয়োজনীয় একটা পোস্ট দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আসা করি এই রকম পোস্ট আরও পাব। সময় থাকলে আমার online shopping bangladesh সাইটে ঘুরে আস্তে পারেন।

    ReplyDelete
  2. www.bd-career.com
    This post is very useful for us. Because we have a lot of
    tips and tricks from this post. Thank you for this amazing post share. I many
    tips about bd jobs as well. If you want to know more about a career sites, please visit our website.

    www.bd-career.com

    ReplyDelete