আফ্রিকার ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধিদলের লিবিয়া সফরের পর যে প্রশ্নটি এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে তা হচ্ছে, এই সফরের মধ্য দিয়ে সেখানে সমঝোতা আদৌ প্রতিষ্ঠিত হবে কি? গত ২০ মার্চ লিবিয়া যৌথ বাহিনীর বিমান হামলার মধ্য দিয়ে সেখানে যে গৃহযুদ্ধের শুরু হয়েছে, তা লিবিয়ার সমস্যার কোনো সমাধান বয়ে আনেনি। গত প্রায় এক মাসে লিবিয়ার নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচু্যত করা সম্ভব হয়নি। এমনকি বিদ্রোহীরা লিবিয়ার একটা বড় অংশ দখল করে নিয়েছে, তাও বলা যাবে না। বরং এমনও দেখা গেছে,
বিদ্রোহী বাহিনী সরকারি বাহিনীর পাল্টা আক্রমণের মুখে দখলকৃত এলাকা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। এমনি এক পরিস্থিতিতে আফ্রিকার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গত ১০ এপ্রিল ত্রিপলি সফর করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার সাথে আছেন মৌরিতাদিয়া ও মালির প্রেসিডেন্ট। তারা বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্বাঞ্চলের বেনগাজিতে ন্যাশনাল কাউন্সিলের নেতাদের সাথেও কথা বলেছেন।
লিবিয়া আফ্রিকান ইউনিয়নের অন্যতম সদস্য দেশ। সঙ্গত কারণেই আফ্রিকান ইউনিয়নের একটি মধ্যস্থতা লিবিয়া সংকটের একটা সমাধান বয়ে আনতে পারে। কিন্তু সমঝোতাটা যে কী, তার বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়নি। যুদ্ধ বন্ধ হবে, এমন একটা আভাস দেওয়া হয়েছে এবং রাজনৈতিক সংস্কারের ব্যাপারে গাদ্দাফি রাজি হয়েছে, এমন কথাও বলেছেন ত্রিপলি সফররত আফ্রিকান ইউনিয়নের নেতারা। তারা বলেছেন, একটি শান্তি প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে লিবিয়ায় গণতন্ত্র, শান্তি ও দীর্ঘস্থায়ী নিরাপত্তা বিঘি্নত হবে। নিঃসন্দেহে এটা আমার কথা। কিন্তু মূল সমস্যার কোনো সমাধান হয়েছে বলে মনে হয় না। মূল সমস্যা হচ্ছে যে কোনো আপস ফমর্ুলায় গাদ্দাফি কিংবা তার পরিবারের সদস্যরা থাকবেন কি থাকবেন না। বিদ্রোহীরা সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, গাদ্দাফিকে রেখে কোনো সমঝোতায় তারা রাজি নন। অর্থাৎ গাদ্দাফিকে রাখা যাবে না। এর আগে গাদ্দাফির বড় ছেলে সাইফ আল-ইসলাম একটি ফমর্ুলা উপস্থাপন করেছিলেন, যেখানে গাদ্দাফি তার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন এবং সাইফ সংস্কার কর্মসূচি চালু করবেন। বিদ্রোহীরা তাতে রাজি হয়নি।
এখন আফ্রিকান ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় গাদ্দাফিকে রেখে যদি কোনো সমাধান খোজা হয়, তাহলে তারও কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। বিদ্রোহীরা এ ধরনের কোনো আপস ফমর্ুলায় রাজি হবে না। সুতরাং আফ্রিকান ইউনিয়নের সমঝোতা প্রস্তাব নিয়ে একটি আশঙ্কা থেকেই গেল।
সাম্প্রতিক সময়ে সমগ্র আরব বিশ্বে সরকারবিরোধী যে আন্দোলন গড়ে উঠেছে (আরব বসন্ত) তা থেকে লিবিয়া কোনো ব্যতিক্রম ছিল না। এই আন্দোলন প্রথমে শুরু হয়েছিল তিউনিসিয়ায়। একজন বেকার কম্পিউটার গ্র্যাজুয়েট মোহাম্মদ বওকুজিজি পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদ করে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। তার ওই আত্মহত্যা তিউনিসিয়ায় জেসমিন বিপস্নবের সূচনা করেছিল। যা কিনা আলীর ২৩ বছরের শাসনের পতন ঘটায়। এর পরের ঘটনা মিসরে। হোসনি মোবারক সেখানে ১৯৮১ সাল থেকে ক্ষমতায় ছিলেন; কিন্তু কায়রোর তাহরির স্কোয়ারের গণবিক্ষোভ তাকে ক্ষমতাচু্যত করে। মিসরের পর এখন লিবিয়া। গাদ্দাফির ৪১ বছরের শাসন এখন বড় ধরনের হুমকির মুখে। স্পষ্টতই গাদ্দাফির পতন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সূক্ষ্মভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, আরব বিশ্বের ২২টি দেশের প্রায় প্রতিটি দেশেই গণবিক্ষোভ হচ্ছে। একনায়কতন্ত্রী শাসন, পারিবারিক শাসন তথা দুর্নীতি, গণতন্ত্রহীনতা, তরুণ সমাজের মাঝে বেকারত্ব বৃদ্ধি পাওয়া ইত্যাদি কারণে প্রায় প্রতিটি দেশেই এক ধরনের অসন্তোষ বিরাজ করছে। আলজেরিয়ায় প্রেসিডেন্ট আবদেল আজিজ বুতেফ্লিকা ক্ষমতায় আছেন ১৯৯৯ সাল থেকে। এখানে গণতন্ত্র নেই। বাহরাইন শাসন করছে সংখ্যালঘু সুনি্নরা। সংখ্যাগরিষ্ঠ সিয়ারা এখানে অবহেলিত। বাহরাইনের শাসক হাম্মাদ বিন ইসা আ. খলিফা ক্ষমতায় আছেন ১৯৯৯ সাল থেকে। আরও গণতন্ত্রের দাবিতে সেখানে আন্দোলন হচ্ছে। ইয়েমেনে আলী আবদুলস্নাহ সালেহ ক্ষমতায় আছে ১৯৭৮ সাল থেকে। গণতন্ত্রের দাবিতে সেখানেও আন্দোলন চলছে। গালফ সহযোগিতা সংস্থার একটি মধ্যস্থতা (ভাইস প্রেসিডেন্টের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর) সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট সালেহ প্রত্যাখ্যান করেছেন, ফলে সেখানে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় আছেন ওমর আল বসির (সুদান ১৯৮৯ সাল থেকে), বাসার আল-আসাদ (সিরিযা ২০০০ সাল থেকে বাদশাহ মুহাম্মদ-৬ (মরক্কো, ১৯৯৯ সাল থেকে), বাদশাহ আবদুলস্নাহ-২ (জর্ডান, ১৯৯৯ সাল থেকে) প্রতিটি দেশেই আরও গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলন হচ্ছে। সিরিয়ায় আন্দোলনকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী গুলি ছুঁড়েছে এবং তাতে প্রায় ২৩ ব্যক্তি মারা গেছেন। সিরিয়ার রাজনীতির জন্য এটি একটি উলেস্নখযোগ্য ঘটনা। সেখানে সরকারবিরোধী আন্দোলন শক্তিশালী হচ্ছে। বাহরাইনে সৌদি সেনাবাহিনী প্রবেশ করে সেখানকার সরকারবিরোধী আন্দোলনকে নস্যাৎ করে দিয়েছে। কিন্তু আন্দোলন সেখানে থেমে গেছে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। আলজেরিয়াতেও আন্দোলন হচ্ছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, আরব বিশ্বে বিকল্প কী? মিসর ইসলামপন্থি সংগঠন ইসলামিক ব্রাদারহুডকে সেখানে বিকল্প ভাবা হচ্ছে। এমনিতেই সংগঠনটি এখন নিষিদ্ধ। কিন্তু তা ভিন্ন নামে, ভিন্ন ব্যানারে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কাজ করছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তারা প্রার্থী না দিলেও পার্লামেন্ট নির্বাচনে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। তিউনিসিয়ায় ইসলামিক এন্মাহাদদা অত্যন্ত শক্তিশালী। এন্মাহাদদার নেতা রশিদ ঘানুচি সম্প্রতি দেশে ফিরে এসেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিউনিসিয়ার সংসদ নির্বাচনে দলটি অংশ নেবে এবং তারা ভালো করবে। তাদের টার্গেট হচ্ছে সংসদকে নিয়ন্ত্রণ করা, অনেকটা ইসলামিক ব্রাদারহুডের মতো। আলজেরিয়ায় ইসলামিক স্যালভেশন ফ্রন্টের আত্মপ্রকাশ ও নির্বাচনে বিজয়ের ইতিহাস সারা বিশ্ববাসীকে অবাক করেছিল। ১৯৯১ সালের ওই নির্বাচনে বিজয়ী স্যালভেশন ফ্রন্টকে সেদিন ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেখানে আবার নির্বাচন হলে ইসলামপন্থি দলগুলো যে ভালো করবে তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। এ অঞ্চলে অষ-ছধবফধ রহ ঃযব ওংষধসরপ গধমযৎবন (অছওগ) অত্যন্ত শক্তিশালী। ইয়েমনেও আল-কায়দার শক্তিশালী ঘাঁটি রয়েছে। বিশেষ করে দেশটির পূর্বাঞ্চলে এদের শক্তিশালী ঘাঁটি রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রেসিডেন্ট আবদুলস্নাহ সালেহর বিরুদ্ধে যে আন্দোলন গড়ে উঠছে, সেখানে ইসলামপন্থিদের সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে। আর লিবিয়া থেকে এসেছে একটি আশঙ্কাজনক খবর। সেখানে কট্টরপন্থি ইসলামিক সংগঠন আল জামাআ আল মুকাতিলাহ বি লিবিয়া (লিবিয়া ইসলামিক ফাইটিং গ্রুপ) গাদ্দাফিবিরোধী আন্দোলনে অত্যন্ত সক্রিয়। যুক্তরাষ্ট্র যে কটি সংগঠনকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে, তার মাঝে এই সংগঠনটি অন্যতম। এমনটি ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যে কটি সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছিল, তার মাঝে এই সংগঠনটির নামও ছিল। ফলে লিবিয়া নিয়ে একটা ভয় থেকেই গেল গাদ্দাফি লিবিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হলে তার অস্ত্রভাণ্ডার খুলে দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র চলে গেছে আল-কায়দার হাতে। এই অস্ত্র এখন সমগ্র মাগরেবভুক্ত অঞ্চলে একটি বড় ধরনের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে।
তাই আফ্রিকান ইউনিয়নের নেতারা যখন একটি সমঝোতার কথা বলেন, তখন লিবিয়ার জন্য একটি আশার বাণী শোনালেও লিবিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাবেই। মনে রাখতে হবে, লিবিয়ার তেল-সম্পদের ব্যাপারে পশ্চিমা বিশ্বের আগ্রহ অনেক বেশি। আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তেলের রিজার্ভ রয়েছে লিবিয়ায়, যার রিজার্ভের পরিমাণ ৪৬ দশমিক ৫ মিলিয়ন ব্যারেল। যদিও সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গেছে, রিজার্ভের এই পরিমাণ ৬০ বিলিয়ন ব্যারেল। আর গ্যাসের রিজার্ভ রয়েছে ১৫শ' বিলিয়ন কিউবিক ফিট। এই গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল ইতালি। ঠিক তেমনি লিবিয়ার তেলের ওপর নির্ভরশীল ইতালি, স্পেন ও গ্রিস। যুক্তরাষ্ট্রের তেল কোম্পানিগুলোর বড় বিনিয়োগ রয়েছে লিবিয়ায়। এই তেল উৎপাদন বিঘি্নত হয় কিংবা রফতানি বাধাগ্রস্ত হয়, এটা বিদেশি তেল কোম্পানিগুলো চাইবে না। তেলকূপগুলোর ৮০ ভাগই লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। আর কার্যত পূর্বাঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিদ্রোহীদের ঘাঁটি। পূর্বাঞ্চলে গাদ্দাফির কোনো কতর্ৃত্ব নেই।
লিবিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরও বিদ্রোহীরা খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না। এর বড় কারণ বিদ্রোহীরা সংগঠিত নয়। একক কোনো সংগঠনের ব্যাপারেও এই আন্দোলন পরিচালিত হচ্ছে না। একটি ন্যাশনাল কাউন্সিল গঠিত হয়েছে বটে, কিন্তু সেখানেও নেতৃত্বের প্রশ্নে দ্বন্দ্ব রয়েছে। সাবেক বিচারমন্ত্রী মুস্তফা আবদেল জলিলের নেতৃত্বে এই কাউন্সিল গঠিত হয়েছে বটে, কিন্তু কাউন্সিলে এমন অনেকে রয়েছেন, তারা সাময়িক সুবিধা ও সুযোগের আশায় বিদ্রোহীর দলে নাম লিখিয়েছেন। যারা যুদ্ধ করছেন, তারা তেমন প্রশিক্ষিতও নন। অস্ত্রও তেমন তাদের নেই। ফলে একটি সংগঠিত বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হওয়া সহজ কাজ নয়। এজন্যই সম্ভবত সিনেট শুনানিতে যুক্তরাষ্ট্রের আফ্রিকান কমান্ডের প্রধান জেনারেল কার্টার হ্যাম বলেছেন, বিদ্রোহী বাহিনী দিয়ে গাদ্দাফির পতন ঘটানো সম্ভব নয়। তিনি মার্কিন নীতি-নির্ধারকদেরও লিবিয়ার ব্যাপারে সতর্ক করে দেন। জেনারেল হ্যামের এই বক্তব্যের মধ্যে যথেষ্ট সত্যতা রয়েছে। তিউনিসিয়া কিংবা মিসরে আমরা যা প্রত্যক্ষ করেছিলাম, লিবিয়ায় আমরা তা প্রত্যক্ষ করছি না। ওই দুটো দেশে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, সরকার সমর্থকদের সংখ্যা ছিল কম। কিন্তু লিবিয়ায় দেখা গেল গাদ্দাফির সমর্থকরা এখনও সক্রিয়। মূলত লিবিয়া হচ্ছে এথলিক তথা উপজাতিনির্ভর একটি আধুনিক রাষ্ট্র। এখানে গোষ্ঠী প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়। গাদ্দাফি মূলত তার নিজের উপজাতির লোকদের সমন্বয়ে ক্ষমতার একটি বলয় গড়ে তুলছেন। সেনাবাহিনী তথা প্রশাসনে তার নিজ গোষ্ঠীর প্রাধান্য রয়েছে। এরাই এখন গাদ্দাফির পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। বিরোধিতা সংঘবদ্ধ না হওয়ায় বড় ধরনের কোনো সাফল্য অর্জন করতে পারছেন না। এখন আফ্রিকান ইউনিয়নের উদ্যোগে সমঝোতাটা কীভাবে হয়, সেটাই দেখার বিষয়। গাদ্দাফিকে রেখে যে কোনো সমঝোতা বিদ্রোহীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। লিবিয়ায় কোনো সংবিধান নেই। গাদ্দাফি প্রচলিত অর্থে লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট নন। একজন ভাইস প্রেসিডেন্টও নেই লিবিয়াতে, যার কাছে গাদ্দাফি ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারেন। লিবিয়ায় গাদ্দাফির অবস্থান, 'বিপস্নবের নেতা'। তিনি ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন কার কাছে? এখন আফ্রিকান ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় বিরোধীদের সমন্বয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন গঠিত হতে পারে, যারা একটি সংবিধান প্রণয়ন করবেন এবং আগামী ছয় মাসের মধ্যে সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে সেখানে আফ্রিকান ইউনিয়নের পক্ষ থেকে একটি সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা যেতে পারে। যে কোনো অবস্থাতেই ন্যাটোর সেনাবাহিনী সেখানে মোতায়েন করা ঠিক হবে না, যা সেখানে বির্তকের মাত্রা বাড়াতে পারে। এই মুহূর্তে সংস্কারটা জরুরি। একটি সংবিধান, রাজনৈতিক ব্যবস্থা, সংসদ প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। আফ্রিকান ইউনিয়নের তত্ত্বাবধানে এই কাজগুলো হতে পারে। যৌথ বাহিনীর বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু গাদ্দাফির পতন হয়নি। বরং গাদ্দাফির পক্ষ আরও শক্তিশালী হয়েছে। এক্ষেত্রে একটি যুদ্ধবিরতি লিবিয়ায় একটি রাজনৈতিক সমাধানের পথ প্রশস্ত করতে পারে।
দৈনিক ইত্তেফাক এর লিংক
GwcÖj 12, 2011
লেখক: অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
0 comments:
Post a Comment