রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

ওবামা ডকট্রিন ও লিবিয়ার পরিস্থিতি

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০০৯ সালে। কিন্তু লিবিয়ার বিরুদ্ধেযুদ্ধ ঘোষণাতার ভূমিকাকে এখন প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। শুধু তাই নয়, খোদ মার্কিন কংগ্রেসে তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তিনি সংবিধান লংঘন করেছেন, এমন কথাও উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রে। বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে যুদ্ধ ঘোষণা করার অধিকার রাখে কংগ্রেস, প্রেসিডেন্টযুদ্ধঘোষণা করতে পারেন না ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর মার্কিন কংগ্রেস War Powers Resolution নামে একটি আইন পাস করেছিল। তাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে এককভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করার অধিকার দিয়েছিল বটে। কিন্তু বলা হয়েছিল, প্রেসিডেন্ট যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে, যদি যুক্তরাষ্ট্র শত্রু দেশ দ্বারা আক্রান্ত হয়, অথবা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীকে শত্রু পক্ষ আক্রমণ করে। এমনি এক পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্টকে ৬০ দিন সময় দেয়া হয়েছে কংগ্রেসের সম্মতি আদায় করার। কিন্তু গেল ২০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের বিমানগুলো যখন লিবিয়ায় বোমাবর্ষণ করে, তখন দেশটি কিংবা দেশটির সেনাবাহিনী লিবিয়া সেনাবাহিনী দ্বারা আক্রান্ত হয়নি। যদিও নিরাপত্তা পরিষদ একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছিল বটে, কিন্তু তাতে লিবিয়ায় বোমাবর্ষণের কোন অধিকার দেয়নি মিত্রপক্ষকে। ওবামাঅসামরিক ব্যক্তিদের রক্ষারযুক্তি তুলে লিবিয়ায় বোমাবর্ষণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় দেশগুলোর বিমান হামলায় যে এরই মধ্যে কতঅসামরিক ব্যক্তিপ্রাণ হারিয়েছেন, এর বিচার এখন কে করবে! ‘ওবামা ডকট্রিন অসামরিক ব্যক্তিদের রক্ষায় বিমান হামলার কথা স্বীকার করে নেয়া হলেও অতীতে রুয়ান্ডায় গণহত্যা কিংবা ইসরাইলি বাহিনী কর্তৃক ফিলিস্তিনিদের হত্যার সময় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্টকে ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায়নি। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ২০০১ সালে আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালিয়ে আফগানিস্তান দখল করে নিয়েছিলেন। তখন যুক্তি তোলা হয়েছিল, ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কিংবা ২০০৩ সালে ইরাকে হামলাও বিতর্কিত হয়েছিল। কেননা, ইরাকের কাছে কোনো মরণাস্ত্র পাওয়া যায়নি। প্রকৃত অর্থে যুক্তরাষ্ট্রের ওই ভূমিকা দেশটির উপনিবেশবাদী মনোভাবেরই ফলশ্রুতি। তাই ব্রুস অ্যাকারম্যান (Bruce Ackermann) ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনে এভাবে মন্তব্য করেন : 'By unilaterally going to war against Libya, Obama is bringing America closer to the imperial Presidency than Bush ever did' (The Imperial Presidency of Barack Obama, Foreign Policy, 24 March) অ্যাকারম্যান মিথ্যা বলেননি। বিশ্ব ইতিহাসে উপনিবেশবাদী শক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো পরিচিতি নেই। অর্থাত্ যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটেন, ফ্রান্স, পর্তুগাল কিংবা স্পেনের মতো পৃথিবীর কোথাও কোনো উপনিবেশ তৈরি করেনি। কিন্তু দেশটির নেতৃবৃন্দের মাঝে সেই মানসিকতা তৈরি হয়েছে। উপনিবেশবাদী শক্তিগুলো যেমনি কাঁচামাল সংগ্রহ করে তার নিজ দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো টিকিয়ে রাখত এবং উপনিবেশগুলোকে তাদের উত্পাদিত পণ্যের বাজারে পরিণত করেছিল, আজ যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃবৃন্দের মানসিকতা ঠিক তেমনি। ইরাকে যুদ্ধ হয়েছিল তেলের জন্য। ওই তেলের মালিক এখন আর ইরাকি জনগণ নন। মালিক এখন আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলো। আর এখন লিবিয়ার তেলের দিকে দৃষ্টি পড়েছে আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলোর। জন্য যুদ্ধটা বড় প্রয়োজন। আফ্রিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি তেলের রিজার্ভ রয়েছে লিবিয়াতে। রিজার্ভের পরিমাণ ৪৬ দশমিক বিলিয়ন ব্যারেল। রিজার্ভের এই পরিমাণ মিসরের রিজার্ভের চেয়ে ১০ গুণ বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে তেলের যে রিজার্ভ রয়েছে, তার চাইতে দুই গুণেরও বেশি রিজার্ভ রয়েছে লিবিয়াতে। বহুজাতিক তেল কোম্পানিগুলো (আইওসি) এখন তেলের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। পরিসংখ্যান বলে, বিশ্বের যে তেল গ্যাসের রিজার্ভ রয়েছে তার ৬০ ভাগের মালিক হচ্ছে আইওসি। এমনকি বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের যে বিশাল পাইপ লাইন নেটওয়ার্ক রয়েছে, তারও মালিক আইওসি। আইওসি এত শক্তিশালী যে তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলে তারা সরকার পর্যন্ত পরিবর্তন করে ফেলে। ধরনের অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে। তেল এখন বড় ব্যবসা। ১৯৯৭ সালে ব্যারেল প্রতি যে তেলের মূল্য ছিল মাত্র ২০ ডলার, লিবিয়ার সঙ্কটের কারণে সেই তেলের মূল্য এখন ১১০ ডলারে উঠেছে। এখন লিবিয়ার তেলের নিয়ন্ত্রণ যদি নেয়া যায়, তাহলে থেকে বড় মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। অভ্যন্তরীণভাবে লিবিয়ায় ব্যারেল প্রতি তেলের মূল্য এক ডলারের সমতুল্য। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে ওই তেলের মূল্য ১১০ ডলার। আর কারণেই সঙ্কট সৃষ্টি করে কৃত্রিম উপায়ে তেলের দাম বাড়ানো হয়।
আরব বিশ্ব তথা মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোতে তেলের রিজার্ভ ৬৬ দশমিক ভাগ থেকে ৭৫ দশমিক ভাগ। এর মাঝে এককভাবে মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছে ৫৬ ভাগ তেলের রিজার্ভ। আফ্রিকাতে রয়েছে ভাগ, ইউরো-এশিয়াতে ভাগ, উত্তর আমেরিকায় ১৬ ভাগ, মধ্য দক্ষিণ আমেরিকায় ভাগ। ইউরোপে তেলের রিজার্ভ মাত্র ভাগ। আফ্রিকাতে যে তেল রয়েছে তার বড় রিজার্ভ লিবিয়াতে (৪৬. বিলিয়ন, কারও মতে, ৬০ বিলিয়ন ব্যারেল), নাইজেরিয়াতে রয়েছে ৩৭. বিলিয়ন, আলজেরিয়াতে ১২. বিলিয়ন, আর এঙ্গোলাতে . বিলিয়ন ব্যারেল। তেলসমৃদ্ধ নাইজেরিয়াকে আইওসি কীভাবে একটি গরিব দেশে পরিণত করেছিল, তার ইতিহাস অনেকেই জানেন। তেলসম্পদ থাকা সত্ত্বেও নাইজেরিয়ার দারিদ্র্য কমেনি। বরং আইওসি সেনানায়কদের সঙ্গে হাত করে (যেমন জেনারেল সানি আবাচা) দেশটির তেলসম্পদ নিজেদের কব্জায় নিয়ে নিয়েছে। আজকে লিবিয়ার পরিস্থিতিও সেদিকে যাচ্ছে। পাঠক, স্মরণ করুন ইরাকের করুণ ইতিহাস। বিশ্বের দ্বিতীয় তেল রিজার্ভ ইরাকে। এই সম্পদের মালিক এখন আর ইরাকের জনগণ নন। এর মালিক এখন আইওসি। ২০০৩ সালের যুদ্ধ আইওসিকে সেই সুযোগটিই করে দিয়েছে। যুদ্ধ মানেই তো ব্যবসা। ইরাক তার বড় প্রমাণ। আজ লিবিয়ার ক্ষেত্রেও তেমনটি হতে যাচ্ছে। ওবামা স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, গাদ্দাফির পতন নিশ্চিত করাই তার লক্ষ্য। ইউরোপের দেশগুলোরও যথেষ্ট স্বার্থ রয়েছে লিবিয়ায়। বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় আইওসি (ফ্রান্সের Total, ইতালির ENI, স্পেনের REPSOL) লিবিয়াতে তেল উত্তোলন রফতানির সঙ্গে জড়িত। লিবিয়া যে তেল রফতানি করে (অর্থাত্ বিক্রি করে) তার ২৫ ভাগ একা উত্পাদন করে ঊঘও (প্রতিদিন লাখ ৪৪ হাজার ব্যারেল) আর প্রতিদিন যে গ্যাস উত্পাদন হয় (২৬০০ মিলিয়ন কিউবিক ফুট), তা Mellitah গ্যাস কেন্দ্র থেকে Greenstream Pipeline-এর মাধ্যমে ভূমধ্যসাগরের ওপারে সিসিলির (ইতালি) গেলা এন্মা বন্দরে সরবরাহ করা হয়। সঙ্গত কারণেই তাই ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বার্থ থাকবে লিবিয়ার ব্যাপারে। এরই মধ্যে ইইউর নেতৃবৃন্দ গাদ্দাফি বিরোধীদের রাজনৈতিক সমর্থন দেয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছেন। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট হোসে ম্যানুয়েল বারোসো ওবামার সুরে সুর মিলিয়ে গাদ্দাফির পদত্যাগ দাবি করেছেন। হিলারি ক্লিনটন গেল সপ্তাহেই গিয়েছিলেন পূর্ব লিবিয়াতে, যেখানে তিনি গাদ্দাফিবিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর মধ্য দিয়ে এটা স্পষ্ট হয়ে গেল যে, যুক্তরাষ্ট্র গাদ্দাফিবিরোধী গ্রুপকে সমর্থন করছে। মনে রাখতে হবে, লিবিয়ার তেলকূপগুলোর ৮০ ভাগই পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। এই অঞ্চল বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকার অর্থ হচ্ছে তেলসম্পদের উপর বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। এই তেলসম্পদের উপরই যুক্তরাষ্ট্র তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়। গেল বছর দুটি মার্কিনী আইওসি শেভরন অক্সিডেন্টাল লিবিয়াতে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছিল। এখন তারাই আবার ফিরে আসছে। পূর্বাঞ্চল যদি সত্যি সত্যিই আলাদা হয়ে যায় তাহলে তেলসম্পদের উপর লিবিয়ান ন্যাশনাল অয়েল কর্পোরেশনের কর্তৃত্ব আর থাকবে না। আইওসি এটাও চাইছে। কেননা বিশ্বের ১০০টি তেল কোম্পানির মধ্যে লিবিয়ার ন্যাশনাল অয়েল কর্পোরেশনের অবস্থান ২৫তম। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্র্যাটেজিতে আরও একটা জিনিস কাজ করছে। আর তা হচ্ছে লিবিয়ায় চীনের প্রভাব কমানো। ইরানের মতো লিবিয়ার তেল সেক্টরে চীনের যথেষ্ট বিনিয়োগ রয়েছে। চীনের সরকারি ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিবিয়ায় তেল উত্তোলনে নিয়োজিত। লিবিয়া যে তেল রফতানি করে তার ১১ ভাগ যায় চীনে। চীনে তেলের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। যে কারণে আফ্রিকাতে চীনের (যেমন সুদানে) বিনিয়োগ অনেক বেশি। প্রায় ৩০ হাজার চীনা বিশেষজ্ঞ শ্রমিক লিবিয়ায় তেল উত্তোলনে জড়িত ছিল। তাদের উদ্ধারের জন্য চীন ভূমধ্যসাগরে তার নৌবাহিনীর একটি ইউনিটকে পর্যন্ত পাঠিয়েছিল। লিবিয়ায় চীনের প্রভাব যদি কমানো যায়, তাহলে আইওসির জন্য তেলসম্পদ পুরো নিয়ন্ত্রণে নেয়া অনেক সহজ।
লিবিয়ার সঙ্কট স্পষ্টতই সমগ্র আফ্রিকার ভূ-রাজনৈতিক দৃশ্যপটকে বদলে দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র আফ্রিকায় প্রতিষ্ঠা করেছে একটি কমান্ড। AFRICO AFRICOM-এর মাধ্যমে গোটা আফ্রিকাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
একটি দেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র তথা ইউরোপীয় শক্তিগুলো হস্তক্ষেপ করতে পারে না। জাতিসংঘ সনদের ৭নং ধারায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, 'All members shall settle their international disputes by Peaceful means in such a manner that international peace & security, and justice are not endangered. All members shall refrain in their international relations from the threat of use of force against the territorial integrity or political independence of any state or in any other manner in consistent with the purpose of the United Nations'. এই ধারা কোনো বিদেশী রাষ্ট্রকে লিবিয়ার অভ্যন্তরীণ ঘটনায় হস্তক্ষেপের অনুুমতি দেয় না। অতীতে গাদ্দাফিকে এক সময় ব্যবহার করেছিল যুক্তরাষ্ট্র সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে। আজ গাদ্দাফি নিজেই টার্গেট হলেন।
লিবিয়ার গৃহযুদ্ধ দেশটিকে পরিপূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিমান আক্রমণ শুরু হওয়ার প্রায় দুসপ্তাহ অতিক্রান্ত হওয়ার পরও এই যুদ্ধের কোনো সমাধান লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। লন্ডনে সম্প্রতি প্রায় ৪০টি দেশ সংস্থা লিবিয়ার সঙ্কট নিয়ে যে বৈঠক করল, তাতে লিবিয়ার বিদ্রোহীদের সমর্থন করার ব্যাপারে একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে বটে, কিন্তু তা লিবিয়ার সঙ্কট সমাধানে কোনো বড় ভূমিকা রাখতে পারবে না। এই সিদ্ধান্ত জাতিসংঘ সনদের নং ধারার পরিপন্থী। বাহ্যত বুশ প্রশাসন ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণ করে হোয়াইট হাউস প্রশাসনের যেযুদ্ধবাজনীতি রচনা করেছিলেন, ওবামা সেই বৃত্ত থেকে বেরুতে পারলেন না। বুশ আর ওবামা মূলত একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। লিবিয়া এখনআরেকটি ইরাকহতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী এখন ইরাকের মতো লিবিয়ায় অবতরণ না করলে, ন্যাটোর সেনাবাহিনী সেখানে অবতরণ করবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকেই রক্ষা করবে মাত্র।ওবামা ডকট্রিনযুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবাজ নীতিকেই সমর্থন করল। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নয়, এমন দেশগুলো এক ধরনের আতঙ্কের মধ্যে থাকবে। এটা বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন করে এক ধরনের স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা করতে পারে।
লেখক : অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
tsrahmanbd@yahoo.com

1 comments:

  1. Bush Doctrine & Obama Doctrine are same.Though Obama has changed the name of the doctrine, the inherent objective is same i.e. to establish hegemony all over the world. It's a new type of colonialism.

    ReplyDelete