রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

দৃষ্টি এখন পশ্চিমবঙ্গের দিকে

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচন নিয়ে ভারতব্যাপী আলোচনা এখন তুঙ্গে। এ নির্বাচনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন হচ্ছে নন্দীগ্রাম। মমতা ব্যানার্জি এ আসনের প্রার্থী। তার প্রতিদ্বন্দ্বী শুভেন্দু অধিকারী, যিনি এক সময় মমতার কাছের মানুষ ছিলেন, কিন্তু এখন দলবদল করে চলে গেছেন বিজেপিতে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি তো বটেই, দিল্লিও এখন সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে শুভেন্দুকে জিতিয়ে আনতে। এ কারণেই মোদি থেকে শুরু করে অমিত শাহ নাড্ডা (বিজেপি সভাপতি) পর্যন্ত ছুটে গেছেন নন্দীগ্রামে। বিজেপির জন্য এটি একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে তৃণমূলকে হারানো চাট্টিখানি কথা নয়। এটা তৃণমূলের সিট। ২০১৬ সালের বিধানসভার নির্বাচনে এ আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তখন তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সিপিআই প্রার্থী আবদুল কবির শেখ। ভোটের পার্থক্য ছিল ৮১ হাজারের উপরে। ওই সময় বিজেপিও প্রার্থী দিয়েছিল (বিজন কুমার দাস)। তিনি পেয়েছিলেন মাত্র ১০ হাজার ভোট। ২০১১ সালের বিধানসভার নির্বাচনেও তৃণমূল প্রার্থী ফিরোজা বিবি বিজয়ী হয়েছিলেন। ২০০১ ও ২০০৬ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিল সিপিআই। এর আগে এ আসন ছিল কংগ্রেসের। কিন্তু এবারের দৃশ্যপট ভিন্ন। আগেই বলা হয়েছে, তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি এবার প্রার্থী। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারই এক সময়ের শিষ্য শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। যদিও ধরে নেওয়া হচ্ছে, মমতাই শেষ পর্যন্ত এ আসনে বিজয়ী হবেন। গত ১ এপ্রিল এখানে নির্বাচন হয়ে গেল। এ আসনের নির্বাচন নিয়ে ‘জল’ কম ঘোলা হয়নি। জনসভায় যোগ দিতে গিয়ে পায়ে আঘাত পান মমতা। পায়ে প্লাস্টার নিয়ে তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপির বহিরাগত গুণ্ডারা তাকে আঘাত করেছে। যদিও প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে সমর্থকদের চাপে গাড়ির দরজা লাগাতে গিয়ে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। খোদ অমিত শাহ পর্যন্ত এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। বলা ভালো, গত ২৭ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচন শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় ৩০ আসনে এবং ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায়ও ভোট হয়েছে ৩০ আসনে। ছয় পর্যায়ে ভোট শেষ হবে ২৯ এপ্রিল। ফলাফল জানা যাবে ২ মে। ইতোমধ্যে নন্দীগ্রামের নির্বাচন নিয়ে বড় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মমতা ব্যানার্জিকে ‘বেগম’ হিসাবে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয়েছে। সেখানে সংঘর্ষ হয়েছে। মানুষ মারা গেছে। মমতা নিজে অভিযোগ করেছেন, ভোটকেন্দ্র দখল করে ‘সিল’ মারা হয়েছে ব্যালটে। মোদি ঘোষণা করেছেন, মমতার দিন শেষ। আর শুভেন্দু বলেছেন, তিনি নন্দীগ্রামে বিজয়ী হয়েছেন এবং মমতা ব্যানার্জি ২ মে পদত্যাগ করবেন। নন্দীগ্রামের পরিস্থিতিই বলে দেয় রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে বিরোধ, দ্বন্দ্ব ও সংঘাত কোন পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। নন্দীগ্রাম হচ্ছে এমন একটি এলাকা, যা আজ থেকে ১০ বছর আগে বদলে দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি, সেই সঙ্গে ভারতের রাজনীতিও। ২০১১ সালে দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে অবিসংবাদিত নেত্রীরূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। ছোটখাটো একজন মানুষ, অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করা একজন মানুষ মমতা ব্যানার্জির ‘রাজনৈতিকভাবেই’ জন্ম হয়েছিল এ নন্দীগ্রামে। বলতে দ্বিধা নেই, পশ্চিমবঙ্গের বাম শাসনের বিরুদ্ধে একাকী লড়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। ২০০৬ সালে হুগলির সিন্দুরে মোটর কারখানা গড়ার বিরুদ্ধে তিনি কৃষকদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে কৃষি জমি অধিগ্রহণ করার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। ২০০৭ সালে এ নন্দীগ্রামে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যখন কৃষি জমিতে কেমিক্যাল কারখানা প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছিল, তখন তিনি এর প্রতিবাদ করে সেখানে কৃষকদের সংগঠিত করেছিলেন। নন্দীগ্রামে পুলিশ গুলি চালিয়ে ১৪ জন কৃষককে হত্যা করেছিল। তিনি দীর্ঘ ২৬ দিন সিঙ্গুর আর নন্দীগ্রামের ঘটনার প্রতিবাদে অনশন পর্যন্ত করেছিলেন। ‘আজীবন প্রতিবাদী’ ও ‘পাশের বাড়ির মেয়েটি’র মতো মমতা ব্যানার্জি একটি ইমেজ গড়ে তুলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে। এ রাজ্যের মানুষ মমতা ও তৃণমূল কংগ্রেসের মাঝে সিপিআই (এম)-এর বিকল্প একটি ‘শক্তি’ খুঁজে পেয়েছিল। তার রাজনীতিতে উত্থান কংগ্রেসের রাজনীতির মধ্য দিয়ে। তিনি ছিলেন সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি। কিন্তু কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গেও তিনি থাকতে পারেননি। কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘ ২৬ বছরের সম্পর্কের অবসান ঘটিয়ে ১৯৯৮ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও এখন অবধি তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় একটি জাতীয় দল হিসাবে স্বীকৃতি পায়নি। ৫৪৩ আসনের লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের আসন (কংগ্রেসের মাত্র ৫২) ২০, আর ২৪৫টি রাজ্যসভার আসনে তৃণমূলের আসন ১২। লোকসভায় ২০১৪ সালে দলটির আসন ছিল ৩৪। এর মধ্য দিয়ে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে মমতা ব্যানার্জি তার প্রয়োজনীয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছিলেন। ২০১১ সালে তিনি যখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন, তখন কিন্তু তিনি বিধানসভার সদস্য ছিলেন না। ছিলেন কেন্দ্রের রেলমন্ত্রী। সেখান থেকে পদত্যাগ করে তিনি ছয় মাসের মধ্যে বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজয়ী হন। তৃণমূল গঠিত হওয়ার পর দলটি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতেই নিজেদের কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ রেখেছে। পরিসংখ্যান বলে, ২০০১ সালে বিধানসভায় তৃণমূলের আসন ছিল ৬০ (মোট আসন ২৯৪), ২০০৬ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৩০-এ। কিন্তু দৃশ্যপট বদলে যায় ২০১১ সালে, যখন তৃণমূল ১৮৪ আসনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। ২০১৬ সালের সর্বশেষ নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছিল ২১১ আসন। কিন্তু ২০২১ সালে পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। বিজেপি মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূলকে পরাজিত করতে। তাই বিজেপির শীর্ষ নেতাদের প্রায় সবাই পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন এবং এখনও নিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, মিঠুন চক্রবর্তী এবং ফিল্মের অনেক নায়ক-নায়িকাকে ভিড় করিয়েছে বিজেপি। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় ছিল মিঠুন চক্রবর্তীর বিজেপিতে যোগদান। মোদির উপস্থিতিতে কলকাতার প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপিতে যোগ দেন। এক সময় স্বঘোষিত নকশাল, পরবর্তী সময়ে বাম রাজনীতির সমর্থক এবং এক সময় তৃণমূলে যোগ দিয়ে রাজ্যসভার সদস্য- সেই মিঠুনই কিনা সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপিতে যোগদান করলেন নির্বাচনের আগে, এটা ছিল অবাক করার মতো ঘটনা। তখন থেকেই মিঠুনকে নিয়ে গুজবের ডালপালা গজাতে থাকে। এমন কথাও বলা হয়, মিঠুন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী! কিন্তু প্রার্থী তালিকায় তার নাম না থাকায় জল্পনা-কল্পনা থেমে যায়। মিঠুনের বিজেপিতে যোগদানের পর যতগুলো টিভি সাক্ষাৎকার দেখেছি, প্রতিটিতে বলেছেন তিনি রাজনীতি করেন না। মমতা ব্যানার্জি এখনও তার বোন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন এবং একটি পরিবর্তন তিনি চাচ্ছেন। তবে এটা ঠিক, মমতা সম্পর্কে তিনি কোনো খারাপ মন্তব্য করেননি। শুধু মিঠুন চক্রবর্তী কেন, তৃণমূলের অনেক নেতা, বর্তমান ও সাবেক বিধানসভার সদস্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন এবং নির্বাচন করছেন। এখানে রাজনীতির চেয়ে এক ধরনের সুবিধাবাদ কাজ করছে। বর্তমানে এ সুবিধাবাদের প্রবণতা বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। সমাজে যারা বিশিষ্ট ব্যক্তি, ক্রীড়াঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তি, তাদের সবাইকে মোদি-অমিত শাহ জুটি চাচ্ছেন বিজেপির ব্যানারে নিয়ে আসতে। অতীতে ছবিপাড়ার ব্যক্তিরা এভাবে গণহারে রাজনীতিতে আসেননি। ‘দিদি’ অর্থাৎ মমতা ব্যানার্জি প্রথম তাদের অনেককে তৃণমূলের ব্যানারে নিয়ে আসেন। মোদি-অমিত শাহরা একই পথে গেছেন। তবে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে নতুন একটি ‘শক্তি’র উত্থান ঘটেছে; আর তা হচ্ছে হুগলির ফুরফুরা শরীফের পীরের ছেলে আব্বাস সিদ্দিকীর নেতৃত্বে নতুন একটি ‘ফ্রন্ট’-‘ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টে’র (আইএসএফ) আত্মপ্রকাশ। আইএসএফ ইতোমধ্যে কংগ্রেস ও বামদের (সিপিআই-সিপিএম) সঙ্গে এক ধরনের নির্বাচনী আঁতাত করেছে। যদিও প্রার্থী মনোনয়নের প্রশ্নে তাদের মাঝে দ্বিমত রয়ে গেছে। আব্বাস সিদ্দিকী পীরের বংশধর, তার একটি ব্যাপক আবেদন আছে। তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয়। প্যারেড গ্রাউন্ডের (কলকাতা) অনুষ্ঠানে তার বক্তৃতা মানুষ শুনেছে। ৯ কোটি ১২ লাখ মানুষের বাস পশ্চিমবঙ্গে। এর মধ্যে ৬ কোটি ৪ লাখ (শতকরা ৭০ দশমিক ৫৪ ভাগ) মানুষ সনাতন ধর্মাবলম্বী। আর ২ কোটি ৪ লাখ, অর্থাৎ জনগোষ্ঠীর ২৭ ভাগ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। মুসলমানরা সবাই যে আইএসএফকে সমর্থন করবে, এর কোনো গ্যারান্টি নেই। অনেক মুসলমান তৃণমূলের সমর্থক। তবে আব্বাস সিদ্দিকীর উত্থান নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। মমতা ব্যানার্জি অভিযোগ করেছেন, এ ফ্রন্ট বিজেপির ‘দ্বিতীয় ফ্রন্ট’ হিসাবে কাজ করবে। আইএসএফ-কংগ্রেস-বাম ‘ঐক্য’ নিঃসন্দেহে একটি ‘শক্তি’। নির্বাচনে তাদের বড় প্রভাব না থাকলেও তারা ভোট কাটবে তৃণমূলের। মমতা ব্যানার্জির রাজনীতির একটি ব্যর্থতা এখানেই যে, তিনি সাম্প্রদায়িকবিরোধী এ তিন শক্তির সঙ্গে কোনো ‘ঐক্য’ করতে পারেননি। এর অর্থ হচ্ছে, এই তিন শক্তি যেখানেই নির্বাচন করবে, সেখানেই ভোট কাটবে তৃণমূলের। আর তাতে করে লাভবান হবে বিজেপি। ২৯৪ আসনের বিধানসভার নির্বাচনে সরকার গঠন করার জন্য দরকার ১৪৮ আসন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে বিধানসভার আসন বিন্যাস ছিল এরূপ : তৃণমূল কংগ্রেস ২১১ আসন, বিজেপি ৩৫, কংগ্রেস ২৩, সিপিআই(এম) ১৯, রেভ্যুলেশনারি সোশ্যালিস্ট পার্টি ২, ফরোয়ার্ড ব্লক ২, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চ্চা ২, নিরপেক্ষ ১। তৃণমূলের সঙ্গে আছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চ্চা। বিজেপি বিরোধী দলে নেই। কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট (মোট আসন ৪৬) বিরোধী দল বা ফ্রন্ট হিসাবে স্বীকৃত। এ আসন বিন্যাসে এখন পরিবর্তন আসবে। ধারণা করা হচ্ছে তৃণমূলের আসন কমবে, আর বিজেপির আসন বাড়বে। তবে বিজেপি সরকার গঠন করতে পারবে না। এটাই পর্যবেক্ষকদের ধারণা। তবে এটা বলতেই হবে, মোদির জন্য পশ্চিমবঙ্গের এ নির্বাচন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিজেপি সরকার গঠন করতে না পারলেও মমতা ব্যানার্জি একটা ‘চাপে’ থাকবেন। বিধানসভায় বিজেপির আসন বাড়লে এবং দলটি প্রধান বিরোধী দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করলে মমতা ব্যানার্জির পক্ষে অনেক কিছু করা সম্ভব হবে না। দ্বিতীয়ত, ২০২৪ সালের এপ্রিল-মে মাসে ভারতে লোকসভার নির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গের এ নির্বাচনের ফলাফল লোকসভা নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে। তৃতীয়ত, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনের আগে মমতা ব্যানার্জি সর্বভারতীয় অবিজেপি নেতা-নেত্রীকে এক মঞ্চে থাকার জন্য একটি পত্র লিখেছিলেন। মমতার অভিযোগ, বিজেপি ভারতে একদলীয় একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। বিধানসভার নির্বাচনের পর এক মঞ্চ গড়ার প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত হতে পারে। চতুর্থত, তৃণমূল বিজয়ী হলে তিস্তা চুক্তির সম্ভাবনা আরও পিছিয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের সামনে চীনা অর্থায়নে তিস্তা পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা ছাড়া বিকল্প কিছু থাকবে না। তাই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। Jugantor 4.4.2021

1 comments: