রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ : যেতে হবে অনেক দূর

বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পালন করছে। স্বাধীনতার এই সুবর্ণজয়ন্তী পালন উপলক্ষে দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচ নেতা বাংলাদেশ সফর করে গেছেন এবং বাংলাদেশের প্রশংসা করে গেছেন। বাংলাদেশ যখন তার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে, তখন World Happiness report 2021 প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যায় বিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় (মোট ১৪৯ দেশ) বাংলাদেশের অবস্থান ১০১। অথচ ভারতের অবস্থান (১৩৯)। অর্থাৎ ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের মানুষ বেশি সুখী! বলা ভালো, সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ফিনল্যান্ড। UN Sustainable Development Solution Networkএই তালিকা প্রণয়ন করেছে। বাংলাদেশের মানুষ অনেক সমস্যায় রয়েছে। দুর্নীতি, ব্যাংকের টাকা লুট, দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন পিয়নের কাছে যখন অবৈধ শতকোটি টাকা থাকে, তখন এসব নেতিবাচক সংবাদের পাশে বাংলাদেশের মানুষ ভারত ও পাকিস্তানের জনগণের চেয়েও সুখীএমন একটা ভালো সংবাদ শুনতে ভালোই লাগে। ভালো সংবাদ আরও আছে২০৩৫ সালে বাংলাদেশ হবে বিশে^র ২৫তম অর্থনীতির দেশ। ওই সময়সীমায় বিশ্ব অর্থনীতিতে পাকিস্তানের অবস্থান হবে ৩৬, শ্রীলঙ্কার ৬৭, নেপালের ৯৫, আফগানিস্তানের ১২৯, মালদ্বীপের ১৫০, আর ভুটানের অবস্থান হবে ১৬৪। অর্থাৎ ওই সময় দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান হবে ভারতের পর দ্বিতীয়। এটা আমাদের জন্য বড় অর্জন। সুবর্ণজয়ন্তীতে (২০২১) বিশ^ অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৪১তম, পাকিস্তান ৪৮, আর ভারতের ৬। বাংলাদেশকে এ অবস্থান ধরে রাখতে হবে, যেতে হবে অনেক দূর। স্বাধীনতার পরপরই কিসিঞ্জার যে দেশটিকে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘বটমলেস বাস্কেট’ বা তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে, সেই দেশটি চলতি ২০২১ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সব বাধা অতিক্রম করবে। উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি আসবে ২০২৬ সালে। এটা নিঃসন্দেহে একটা মর্যাদার বিষয়। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের দিক দিয়ে অনেক দেশকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এখন সামনের কাতারে। ১৯৭৪ সালে দেশটির রিজার্ভের পরিমাণ যেখানে ছিল মাত্র ৪২.৫ মিলিয়ন ডলার (CEYTC Data.com), সেখানে ফেব্রুয়ারি (২০২১) মাসে এসে রিজার্ভের পরিমাণ ৪৪ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। অথচ পাকিস্তানের রিজার্ভের পরিমাণ ২০.৫১২ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ বাংলাদেশের অর্ধেকেরও কম। যদিও ভারতের রিজার্ভের পরিমাণ অনেক বেশি, ৫৮১ বিলিয়ন ডলার। গেল ১০ বছরে রিজার্ভের পরিমাণ শতকরা ৪৪১ ভাগ হারে বেড়েছে। বাংলাদেশের যে রিজার্ভ রয়েছে, তা দিয়ে ১১ মাসের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে যে জনসংখ্যা ছিল, গেল ৫০ বছরে তা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, যেখানে ১৯৭২-৭৩ সালে মাথাপিছু আয় ছিল ১২৯ ডলার, ২০১৯-২০ সালে তা বেড়েছে ২০৭৯ ডলারে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার যেখানে ছিল শতকরা ২.৭৫ ভাগ (১৯৭২-৭৩), সেখানে ২০১৮-১৯ সময়সীমায় উন্নীত হয়েছিল শতকরা ৮.১৫ ভাগে। তবে করোনাকালে পৃথিবীর সব দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও শ্লথগতি আসে। এডিবির মতে, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২০২০ সালে প্রাক্কলন করা হয়েছিল শতকরা ৫.২ ভাগ, আর ২০২১ সালে শতকরা ৬.৮ ভাগ। অথচ এডিবিই বলছে ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে ভারতে মাইনাস শতকরা ৯ ভাগ, শ্রীলঙ্কায় মাইনাস শতকরা ৫.৫ ভাগ, আফগানিস্তানে মাইনাস শতকরা ৫ ভাগ, আর পাকিস্তানে মাইনাস শতকরা ০.৪ ভাগ। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি শতকরা ৫.২ ভাগ বলে দেয় করোনাকালেও বাংলাদেশের অর্থনীতি সঠিক পথে ছিল। অর্থনীতির ক্ষেত্রে আরও কিছু পরিসংখ্যান দিয়ে আমরা বোঝাতে পারব আমাদের অর্জন গেল ৫০ বছরে অনেক দেশের চেয়ে বেশি। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে মূল্যস্ফীতি ছিল শতকরা ৪.৭ ভাগ, ডলারপ্রতি বিনিময় মূল্য ছিল ৭.৩০ টাকা, রপ্তানি আয় ছিল ৩৩ কোটি টাকা, আমদানিব্যয় ছিল ২৮.৭৩ টাকা, রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ০.৮৩ কোটি ডলার, সেখানে প্রায় ৫০ বছরের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতি শতকরা ৫.৫ ভাগে, ৮৬ টাকা ডলার প্রতি মূল্য, রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩৬০০ কোটি ডলারে, আবার আমদানিব্যয়ও বেড়েছে ৫৪০০ কোটি ডলারে। রেমিট্যান্সের পরিমাণও বেড়েছে ৪৫০০ কোটি ডলারে। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে দুই বা তিনটি পক্ষের ওপর নির্ভরশীল ছিল আমাদের রপ্তানি খাত। বিশেষ করে পাটজাত দ্রব্য, চা ও চামড়া চামড়াজাত পণ্যের বদলে এখন স্থান করে নিয়েছে তৈরি পোশাক ও জনশক্তি। ওষুধশিল্পও বিকশিত হচ্ছে। বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর তথ্য মতে (২০১৯-২০) বাংলাদেশ ১১৮টি দেশে বাংলাদেশ তৈরি ওষুধ রপ্তানি করেছে। স্বাধীনতার আগে আমাদের খাদ্যশস্যের উৎপাদনের পরিমাণ ছিল কমবেশি এক কোটি টন। তখন লোকসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি। সর্বশেষ তথ্য বলছে, আমাদের মোট খাদ্যশস্যের উৎপাদনের পরিমাণ সাড়ে চার কোটি টন। উৎপাদনের পরিমাণ সাড়ে চার গুণেরও বেশি। এর মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি। গত ৫০ বছরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সেবা খাতে যেসব উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে, তার একটি চিত্র আমরা পাব হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স এইচডিআই-এ (ইউএনডিপি কর্তৃক প্রণীত)। কোনো কোনো ক্ষেত্রে (শিশুশিক্ষা, মাতৃমৃত্যু) আমাদের অগ্রগতি ভারতের চেয়েও ভালো এ কথা স্বীকার করেছেন স্বয়ং অমর্ত্য সেন। প্রাপ্ত তথ্য মতে এইচডিআই সূচকে ২০০০ সালে বাংলাদেশের অবস্থান যেখানে ছিল শূন্য দশমিক ৪৫, সেখানে ২০১৭ সালে তা উন্নীত হয় শূন্য দশমিক ৬১-এ। ২০১৯ সালে অবস্থান ছিল ০.৬৩-এ। প্রথম অবস্থান নরওয়ের (০.৯৫৭)। ভারতের স্কোর (০.৬৪৫, ১৮৯টি দেশের মধ্যে ১৩১, আর বাংলাদেশের ১৩৩)। প্রাথমিক শিক্ষায় নিট ভর্তির সংখ্যা এখন শতকরা ৯৭.৯ ভাগ। মাতৃমৃত্যুর হার এখন মাত্র শতকরা ১৬.৫ ভাগ। ৭০ বছরের ওপরের বয়স্ক নাগরিকদের সাক্ষরতার হার এখন শত ভাগ। ২০০৬ সালে গড় আয়ুষ্কাল যেখানে ছিল ৬৪.৪, ২০১৯ সালে তা বেড়েছে শতকরা ৭২.৪ ভাগে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ২০.৫-এ কমে এলেও (বিবিএস রিপোর্ট), করোনার কারণে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সানেম-এর গবেষণা অনুযায়ী সার্বিক দারিদ্র্যের হার বেড়ে এখন ৪২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। টেকসই প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচকে বাংলাদেশ (জিএসসিআই-২০২০) ১৭ ধাপ এগিয়ে (১৮০ দেশের মধ্যে ১১৫তম, বাংলাদেশের স্কোর ৪৩.৩, ভারতের অবস্থান ১২৭তম, অর্থাৎ ভারত পিছিয়ে আছে বাংলাদেশের চেয়ে) গেলেও বৈষম্য গত ৫০ বছরে আমরা দূর করতে পারিনি। বৈষম্য মাপা হয় ‘গিনি সহগ’ দিয়ে। ২০১৬ সালে আমাদের ‘গিনি সহগ’ ছিল শূন্য দশমিক ৪৮৩। শূন্য দশমিক ৫ হলেই অতি উচ্চবৈষম্যের দেশ হয়ে যায়। মাথাপিছু ঋণের বোঝা বাড়ছে এটা আমরা কমাতে পারিনি। ২০১৫ সালের শেষ দিকে মাথাপিছু ঋণ ছিল ১৩ হাজার ১৬০ টাকা, এখন তার পরিমাণ অর্থনীতি সমিতির মতে প্রায় ৭৯ হাজার টাকা। সাম্প্রতিককালে আমাদের অর্থনীতির জন্য দুটো খারাপ খবর এক. বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার, আর দুই. খেলাপি ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি। ২০২০ সালে এই খেলাপি ঋণের পরিমাণ এখন সাড়ে ৪৪ হাজার কোটি টাকা (যুগান্তর, ৬ ডিসেম্বর ২০২০)। বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রগতি গত ৫০ বছরে একেবারে কম নয়। বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ তার সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বহির্বিশে^ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। বাংলাদেশের গত ৫০ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও চীনের সম্পর্ক বেশি করে আলোচিত হয়েছে। এটা ঠিক গত ১২ বছরে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। একই সঙ্গে চীনা প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর (২০১৬) ও প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর (২০১৪) এবং চীন কর্তৃক শতকরা ৯৭ ভাগ বাংলাদেশি পণ্যের চীনে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার (২০২০) চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও জোরদার করেছে। বাংলাদেশ অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে একটি ‘ভারসাম্যমূলক’ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে। ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে দীর্ঘদিন যে সমুদ্রসীমানা বিরোধ ছিল, তা বাংলাদেশ (২০১২) অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে সমাধান করেছে। ভারতের সঙ্গে সীমান্তে বিরোধেরও সমাধান হয়েছে। তবে তিস্তার পানিবণ্টনের সমাধান না হওয়া এবং ব্যাপকসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশে আশ্রয়, কূটনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের সব অর্জনকে কিছুটা হলেও ম্লান করে দেয়। এশীয়-প্যাসিফিক অঞ্চল ক্রমান্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এ ক্ষেত্রে আগামী দিনে বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়বে। বাংলাদেশ সুবর্ণজয়ন্তী পালন করে এখন হীরকজয়ন্তী (৬০ বছর) পালনে একধাপ এগিয়ে গেল। সামনে রয়েছে প্লাটিনামজয়ন্তী (৭৫), তারপর শতবর্ষজয়ন্তী। এ ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া প্রয়োজন। তবে বলতেই হবে আমাদের সব অর্জন মøান হয়ে যাবে যদি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ন্যূনতম ইস্যুতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত না হয়। এটাই এ মুহূর্তের অগ্রাধিকার। এখন থেকেই আমাদের দীর্ঘ পরিকল্পনা করা প্রয়োজন, কীভাবে আমরা হীরকজয়ন্তী অনুষ্ঠানে সমস্যাগুলো ও যুগের চাহিদা মোকাবিলা করব। বিশ^ এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর গুরুত্ব ও চাহিদা বাড়ছে। ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রসার বেড়েছে। কভিড-১৯-এর কারণে সারা বিশ^ যখন স্থবির হয়ে গেল, তখন ইন্টারনেটের দুনিয়া একটা বিশাল সম্ভাবনা তৈরি করল। ইন্টারনেট পুরো ব্যবস্থাকে বদলে দিয়েছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা আমেরিকায় ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারব। শিল্পে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর চাহিদা বেড়েছে। এই প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি আমাদের গড়ে তুলতে হবে। বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষাকার্যক্রম ঢেলে সাজাতে হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে। Generation Z, বা যারা তরুণ প্রজন্ম, তাদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সনাতন সিলেবাসের পরিবর্তে প্রযুক্তি তথা আইটিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এটা করতে আমরা যদি ব্যর্থ হই, তাহলে আমরা পিছিয়ে পড়ব। আমাদের আছে এক তরুণ প্রজন্ম। এরা আমাদের শক্তি। এই শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। এজন্য দরকার যোগ্য নেতৃত্ব। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে অদক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করার চেয়ে প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে দরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে যোগ্য নেতৃত্ব। উপাচার্যদের নানা কাহিনী আমাদের আহত করে। দলীয় বিবেচনায় উপাচার্য নিয়োগ না দিয়ে যোগ্য ও মেধাবী নেতৃত্ব যদি শিক্ষা ক্ষেত্রে আনা না যায়, তাহলে হীরকজয়ন্তীতে আমরা জাতিকে কোনো ভালো খবর শোনাতে পারব না। সুবর্ণজয়ন্তীতে এটাই আমাদের শিক্ষা আমাদের যেতে হবে অনেক দূর। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে একটা ‘সফট পাওয়ার’ হিসেবে বিশে্ব পরিচিত করতে প্রস্তুতিটা নিতে হবে এখন থেকেই। Desh Tupsntor 29.3.2021

1 comments:

  1. বাংলাদেশ যতদিন না পর্যন্ত একটা মেরিটাইম দেশ হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ না করতে পাটবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের অর্থনীতি পিছিয়ে থাকবে। তাই, ব্লু ইকোনোমির দিকে আমাদের নজর দেয়া উচিত। এইক্ষেএে যোগ্য নেতৃত্বের ভূমিকা থাকবে সবচেয়ে বেশী।

    ReplyDelete