রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

সুবর্ণজয়ন্তীতে মোদির ঢাকা সফর

বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২৬ মার্চ ঢাকায় আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সফর চূড়ান্ত করতে গত ৪ মার্চ ঢাকায় এসেছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ঢাকায় তিনি এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্যও রাখেন। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আলোচিত হলেও, দুদেশের মধ্যে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে, যার সমাধান হয়নি এবং এর রেশ ধরে বাংলাদেশে একটি মিশ্রপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। বিশেষ করে তিস্তার পানি বণ্টন ও এনআরসির মতো ইস্যু দুদেশের সম্পর্কের মধ্যে অন্যতম অন্তরায়। ভারতে এনআরসি (ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনস) এবং সিএএ’র (সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট) কারণে ভারত জুড়ে যে বড় ধরনের গণ-আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, তার প্রভাব বাংলাদেশে এসেও লেগেছিল। আসামে এনআরসির কারণে প্রায় ১৯ লাখ মানুষ (বিবিসি) ভারতের নাগরিক অধিকার হারিয়েছেন। ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট আসামের নাগরিকপঞ্জির যে তালিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে বাংলাভাষী পাঁচ লাখ হিন্দু ও সাত লাখ মুসলমান ভারতের নাগরিকত্ব হারান। এই নাগরিকপঞ্জি পশ্চিম বাংলায় বড় বিতর্ক তোলে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে এনআরসির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায়। চলতি ২০২১ সালে এই এনআরসি পশ্চিম বাংলার রাজনীতিতে অন্যতম একটি ইস্যু হয়ে থাকবে। বাংলাদেশে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এ কারণে যে, বলা হচ্ছে নাগরিকত্ব হারানো প্রায় ১৯ লাখ মানুষ সবাই বাংলাদেশি এবং এরা বাংলাদেশ থেকে গিয়ে আসামে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছিলেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ২০১৯ সালে ‘পুশইন’র ঘটনাও ঘটেছে। কিছু কিছু বাংলাভাষী মানুষ যশোরের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এমন খবরও বিদেশি মিডিয়ায় পরিবেশিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটা ‘দুর্বল’ অবস্থানে গেছে বলে মনে হয়। এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এনআরসি নিয়ে বাংলাদেশকে কোনো চিন্তা না করতে আশ্বাস দিলেও বাংলাদেশ বেশ বড় ধরনের অস্বস্তিতেই ছিল এবং এখনো আছে। একপর্যায়ে বাংলাদেশের দুজন মন্ত্রী (২০১৯) তাদের ভারত সফর স্থগিত করেন। তখন এর সঙ্গে এনআরসির একটা যোগসূত্র আছে বলেও কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেছেন। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে। এনআরসির বিষয়টি একটু পুরনো। ২০১৩ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এই নাগরিকপঞ্জি নিয়ে একটি রায় দেয়। ওই রায় অনুসরণ করেই আসামে নাগরিক তালিকা তৈরি করা হয়। তবে এটা বিতর্ক বাড়ায় যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর লোকসভায় ঘোষণা করেন ভারতের সব রাজ্যে এনআরসি করা হবে। এরপরই পশ্চিম বাংলায় এনআরসিবিরোধী বড় আন্দোলন গড়ে ওঠে। এনআরসি নিয়ে বিতর্কের রেশ ফুরিয়ে আসার আগেই ভারতের সংসদে সিএএ পাস হয়। এটি বর্তমানে একটি আইন। এই আইন বলে উপমহাদেশের তিনটি দেশের (বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান) মুসলমান বাদে অন্য সব ধর্মের নাগরিকদের ভারতীয় নাগরিকত্ব অর্জনের পথ সহজ করা হয়। মুসলমানদের নাগরিকত্ব অর্জনে বঞ্চিত রাখা হয়। এই আইনও ভারতে বড় বিতর্ক তৈরি করে। এনআরসি ও সিএএ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোনো ভূমিকা নেই এবং বাংলাদেশ কোনো মন্তব্যও করতে পারে না। তবে অত্যন্ত ক্ষমতাবান অমিত শাহ যখন বাংলাদেশিদের ‘ছারপোকা’র সঙ্গে তুলনা করেন এবং প্রকাশ্যে জনসভায় বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্য রাখেন, তখন বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে তা প্রভাব ফেলে বৈকি! এই ইস্যু দুটি দুদেশের সম্পর্কের জন্য একটি ‘টেস্ট কেইস’। বাংলাদেশের ক্ষমতাবান জনৈক মন্ত্রীর একটি উক্তিও (‘যারা বাংলাদেশি তাদের ফেরত নেওয়া হবে’) মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিল। তবে আশার কথা বাংলাদেশে তথাকথিত ভারতীয় বাঙালি নাগরিকদের, যারা মুসলমান তাদের ‘পুশইন’ করা হয়নি। বলার অপেক্ষা রাখে না বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আগামী ২৭ মার্চ থেকে পশ্চিম বাংলার বিধান সভার নির্বাচন শুরু হচ্ছে। আর আসামে শুরু হচ্ছে ২ মে থেকে। পশ্চিম বাংলা আর আসামে মুসলমান ভোটাররা একটি ফ্যাক্টর। যে কারণ এনআরসি ও সিএএ’র বিষয়টি সেখানে যে আলোচনায় থাকবে তা বলাই বাহুল্য। তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি স্পর্শকাতর। এর সমাধান হচ্ছে না। এর আগে নরেন্দ্র মোদি একবার ঢাকা ঘুরে গেছেন (২০১৫)। নরেন্দ্র মোদি তার পররাষ্ট্রনীতিতে পাশর্^বর্তী দেশগুলোকে গুরুত্ব দেন। তার ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ পলিসির কারণে ভারতের সঙ্গে তার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সম্পর্ক আরও উন্নত হয়েছে। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে মালদ্বীপ, নেপাল কিংবা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের বিষয়টি উল্লেখ করতে পারি। মিয়ানমারের সঙ্গেও ভারত সম্পর্ক উন্নত করেছে। ভারতের নীতিনির্ধারকরা বাংলাদেশকে যে কত বেশি গুরুত্ব দেন, তার বড় প্রমাণ বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে মোদির ঢাকা সফর। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন গত ১৭ ডিসেম্বর। করোনাকালে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এই বৈঠকের গুরুত্ব ছিল অনেক বেশি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত অতিক্রম করছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ৫০তম বছরেও পা রেখেছে বাংলাদেশ। ভার্চুয়াল বৈঠকের পর যে যৌথ ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, তাতে ভারত তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি ও সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার আশ্বাস আবারও দিয়েছে। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারত, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের মধ্যে যে আঞ্চলিক সড়ক হচ্ছে, তাতে বাংলাদেশ যুক্ত হতে চায়। এ ধরনের একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই ভার্চুয়াল বৈঠকের আগে সাতটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল। যেসব বিষয়ে সমঝোতা হয়েছিল, তার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সিইও ফোরাম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সহযোগিতা, জ¦ালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে হাইড্রো-কার্বন বিষয়ে সহযোগিতা, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে হাতি সংরক্ষণ বিষয়ে সহযোগিতা, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল জাদুঘর ও ভারতীয় জাতীয় জাদুঘরের মধ্যে সহযোগিতা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সঙ্গে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ও বরিশাল স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট-সংক্রান্ত সহযোগিতা চুক্তি। পরে দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল সামিটে ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া নীলফামারীর চিলাহাটি সীমান্ত থেকে পশ্চিমবঙ্গের হলদিবাড়ি পর্যন্ত রেল যোগাযোগ উদ্বোধন করা হয়। দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর সম্মানে ভারতের ডাক বিভাগের একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত ও বঙ্গবন্ধু-বাপুজি ডিজিটাল এক্সিবিশনের উদ্বোধন করেন। ভার্চুয়াল বৈঠকে দুই প্রধানমন্ত্রী করোনা মোকাবিলা ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় একসঙ্গে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ভারত থেকে ‘বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ’ ২০ লাখ ডোজ করোনা টিকা পেয়েছে। এটাকে তারা বলছে ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’। কভিড-১৯ একটি বৈশি^ক সমস্যা। এ সমস্যা মোকাবিলায় একটি আঞ্চলিক সহযোগিতা দরকার। এ ক্ষেত্রে ভারতের অভিজ্ঞতা আমরা কাজে লাগাতে পারি। বলা ভালো, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ৩ কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন কিনছে বাংলাদেশ। ভ্যাকসিন ক্রয়ের জন্য যে ১ হাজার ২৭১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছিল, তার মধ্যে ৭৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়। অক্সফোর্ড বিশ^বিদ্যালয় ও বায়োফার্ম অ্যাস্ট্রাজেনেকা কভিড-১৯-এর যে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে, তা এখন ভারতের পুনায় সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত হচ্ছে। সেরাম কর্তৃক উৎপাদিত ভ্যাকসিন (১ কোটি ডোজ প্রতি মাসে) দক্ষিণ এশিয়া তথা উন্নয়নশীল বিশে্বর জন্য একটি আশীর্বাদ। ভারত জনবহুল দেশ। বাংলাদেশের জনসংখ্যাও ১৭ কোটির মতো। সুতরাং এই দুদেশে করোনা ভ্যাকসিনের (দুই ডোজ দিতে হবে) চাহিদা বিশাল। সুতরাং সেরাম আমাদের চাহিদার একটা অংশ মেটাতে পারে। এমনকি বাংলাদেশের কোনো ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে এই ভ্যাকসিনটি আগামীতে উৎপাদন করা যায় কি না, তাও বিবেচনা করে দেখা যেতে পারে। বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক ৫০ বছরে পা দিয়েছে। ২৬ মার্চ (২০২১) বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবে। এই সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতি আমাদের জন্য একটি বড় পাওয়া। নিঃসন্দেহে তার উপস্থিতি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা দুদেশের মধ্যে বিরাজমান সমস্যার সমাধান হোক। বিশেষ করে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, বাণিজ্য ঘাটতি কমানো ইত্যাদির ব্যাপারে ভারত একটি বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এ প্রত্যাশা বাংলাদেশের জনগণের। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর (২০১৭) কিংবা নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর (২০১৫) এবং পরে ভার্চুয়াল বৈঠকেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তিস্তার পানি বণ্টনের। ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, বিশেষ করে মমতা ব্যানার্জির আপত্তির কারণে তিস্তা চুক্তি হয়নি। সমস্যাটা ভারতের। এর সমাধান ভারতকেই করতে হবে। এভাবে বারবার যদি আশ্বাস দেওয়া হয় এবং সমস্যার যদি কোনো সমাধান না হয়, তাহলে তা দুদেশের বন্ধুত্বের জন্য কোনো ভালো খবর নয়। বারবার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয়নি। অথচ ভারত-নেপাল সীমান্ত কিংবা ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত এ ধরনের হত্যাকা- হয় না। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি এখন সম্পর্ক উন্নয়নের পথে অন্যতম অন্তরায়। তাই ঘাটতির পরিমাণ এখন হাজার হাজার কোটি টাকা। ভারতীয় শুল্কনীতির কারণেই বাংলাদেশি পণ্য ভারতে প্রবেশ করতে পারছে না। সাফটা চুক্তিতে বেশ কয়েকটি পণ্যের ব্যাপারে শুল্ক হ্রাসের কথা বলা হলেও, ভারত তা কার্যকর করেনি। ইতিপূর্বে ভারতের পক্ষ থেকে যে ৫১৩টি পণ্যের ছাড় দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে ৩৫০টি পণ্য বাংলাদেশের পক্ষে কোনোভাবেই রপ্তানি করা সম্ভব নয়। ভারত বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কহার না কমালেও বাংলাদেশ ভারতীয় পণ্যের শুল্কহার কমিয়েছে। ১৯৯৩-৯৪ সালে বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্কহার ধার্য ছিল শতকরা ৩০০ ভাগ। ১৯৯৪-৯৫ সালে তা কমিয়ে আনা হয় ৬০ ভাগে। এখন শুল্কহার দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ৫ ভাগে। দুদেশের মধ্যকার বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ বাংলাদেশ চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরে ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধায় জাহাজযোগে ভারতীয় পণ্য আমদানি-রপ্তানির সুযোগ দিয়েছে। বাংলাদেশ ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করছে। অথচ নেপালে ত্রিদেশীয় জলবিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। ভারত এটা করছে দ্বিপক্ষীয়ভাবে (ভারত-নেপাল)। শুষ্ক মৌসুমের জন্য বাংলাদেশ (রাজবাড়ীর পাংশা থেকে ভারত সীমান্ত পর্যন্ত) একটি জলাধার নির্মাণ করতে চায় (গঙ্গা ব্যারেজ), সে ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা ভারতের বন্ধুত্ব চাই। কিন্তু তা যেন হয় পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট। বারবার আশ্বাস দেওয়া হলে এবং বিরাজমান সমস্যাগুলোর সমাধান না হলে, প্রশ্ন উঠবেই। Desh Rupsntor 9.3.2021

0 comments:

Post a Comment