রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশ ও কিছু শঙ্কার জায়গা

আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশ পঞ্চাশ বছরে পা দেবে। এ পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের অর্জন অনেক। তবে শঙ্কার জায়গাও রয়েছে। বাংলাদেশ যখন পঞ্চাশ বছরে পা দিতে যাচ্ছে, তখনই ২০২১ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার বাধা অতিক্রম করেছে। তবে স্বীকৃতিটি পেতে অপেক্ষা করতে হবে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। এটা আমাদের জন্য বড় পাওয়া। এই প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে বড় শঙ্কার জায়গাও রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা এবং বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশে উপস্থিতি সংকটকে আরও গভীরতর করবে। আমাদের জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে, যে ১১টি দেশ আগামীতে অর্থনৈতিক শক্তির দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ তার অন্যতম। করোনার কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬.৮ ভাগে থাকবে বলে এডিবি মনে করছে। আর মাথাপিছু আয় এখন ২০৬৪ ডলার (আইএমএফ)। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। খাদ্য ও এনার্জিতে এক রকম স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এশিয়ায় ইন্টারনেট ব্যবহারের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। ১৬০ মিলিয়ন জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সংখ্যা প্রায় ১৫০ মিলিয়ন এবং ৯০ মিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে (প্রধানমন্ত্রীর স্বীকারোক্তি, সিএফআর, নিউইয়র্ক, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। আর এরাই অর্থনীতিতে পরিবর্তনটা ডেকে আনতে পেরেছেন। সামাজিক ক্ষেত্রে যেসব অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তা কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে, যা অমর্ত্য সেন নিজেও স্বীকার করেছেন। বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবস্থান এখনো শীর্ষে। যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থানকে অনেক উঁচুতে নিয়ে গেছে। তবে বলতেই হয়, সমস্যাও আছে। রোহিঙ্গা সংকটে এক ধরনের ঝুঁকির মুখে আছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সারাবিশ্ব প্রশংসা করেছে বাংলাদেশের। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় (বাংলাদেশ-মিয়ানমার) বাংলাদেশ সর্বক্ষেত্রে সফল, তা বলা যাবে না। আইসিজেতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এখন দেখার পালা আইসিজেতে চূড়ান্ত কী রায় আসে। আরেকটি শঙ্কার জায়গা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। বাংলাদেশ বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী না হলেও যে কটি দেশ জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতি হবে, বাংলাদেশ তার অন্যতম। সম্প্রতি গ্লোবাল ক্লাইমেট ইনডেস্ক ২০২০ প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। তালিকার শীর্ষে রয়েছে পুর্তোরিকো। বিশ্বের উষ্ণতা বেড়ে গেলে সাগর-মহাসাগরের পানি বেড়ে যাবে। এতে বাংলাদেশের মতো সাগরপারের দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এটা দীর্ঘদিন ধরেই বলা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সফলতার সঙ্গে আন্তর্জাতিক আসরে অর্থায়নের ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে পেরেছে তা বলা যাবে না। এজন্যই পরিবেশ তথা জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে একটি দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমরা তা পারিনি। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে (‘কপ’ সম্মেলনসমূহ) আগ্রহ দেখা যায় বেশি। আন্তর্জাতিকভাবে বহুপাক্ষিক আলোচনায় বাংলাদেশ কখনই শক্ত অবস্থানে যেতে পেরেছে বলে মনে হয় না। ঠিক একই অবস্থা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আলোচনায়ও। বাণিজ্যসংক্রান্ত আইনকানুন বেশ জটিল। এখানে দরকার দক্ষ আলোচক, দক্ষ জ্ঞানসম্পন্ন বাণিজ্য কর্মকর্তা, যা আমাদের নেই। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও যথেষ্ট দুর্বল। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় আমরা আমাদের ‘অবস্থান’ ধরে রাখতে পারিনি। তাই কয়েকশ কোটি টাকা খরচ করে আমলাদের হার্ভার্ডে পাঠিয়ে তাদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা পারব না। এটা হবে এক ধরনের ‘প্রমোদভ্রমণ’! বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে যখন বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে প্রশংসা করা হয় তখন বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য আমাদের দরকার একটি দক্ষ আমলা শ্রেণি। বর্তমান কাঠামোয় দক্ষ আমলা শ্রেণি আমরা পাচ্ছি না, যারা বাংলাদেশকে ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার যে ‘স্বপ্ন’, তা বাস্তবে রূপ দেওয়ার উদ্যোগ নেবে। এ ক্ষেত্রে ভারতের দৃষ্টান্ত আমরা অনুসরণ করতে পারি, যেখানে বেসরকারি খাত থেকে দক্ষ জনশক্তি নিয়ে প্রশাসন পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ২০২০ সালের শেষের দিকে এসেও আমরা অর্থনীতিকে সচল হতে দেখেছি। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের অবদান সবচেয়ে বেশি। মনে রাখতে হবে ২০২৬ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের ‘তকমা’ ছেড়ে বেরিয়ে যাবে। বিশ্বের শীর্ষ ২৪টি অর্থনীতির দেশের একটিতে পরিণত হবে তখন। আইসিটি খাতকে বাংলাদেশ গুরুত্ব দিয়েছে। ১২০টি কোম্পানি বর্তমানে ৩৫টি দেশে তথ্যপ্রযুক্তিসংক্রান্ত প্রযুক্তি রপ্তানি করছে। এর পরিমাণ বছরে এক বিলিয়ন ডলার, যা কিনা বাংলাদেশ ২০২২ সালে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায়। বাংলাদেশ আইসিটিতে বিশ্বে বড় ভূমিকা রাখতে চায়। ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল অর্থনীতিতে পরিণত হতে চায় দেশটি। অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের মতে, বাংলাদেশে অনলাইনে যে জনশক্তি নিয়োজিত তা বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। এখানে একটি বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এই সেক্টরটিও গার্মেন্টসের মতো যথেষ্ট সম্ভাবনাময়। বাংলাদেশ এই সেক্টরকে গুরুত্ব দিয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ শতকরা একশ ভাগ ‘ইন্টারনেট কানেকটিভিটি’ অর্জন করতে চায়। কিন্তু কিছু কিছু নীতিগত ত্রুটি থাকার কারণে লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ ব্যর্থ হতে পারে! বাংলাদেশে সম্ভাবনাময় একটি তরুণ প্রজন্ম থাকা সত্ত্বেও তাদের আমরা দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারিনি। এই তরুণ প্রজন্মকে আমরা জেনারেশন ‘জেড’ বলছি (এবহবৎধঃরড়হ-ু)। যাদের জন্ম ১৯৯৫ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে, তাদেরই ‘জেনারেশন জেড’ নামে অভিহিত করা হয়। এই জেনারেশন জেড চীনকে বদলে দিয়েছে। বাংলাদেশে এই জেনারেশন জেড গ্রুপের একটি বিশাল সম্ভাবনা থাকলেও আমাদের ভ্রান্ত নীতির কারণে এদের আমরা যুগোপযোগী শ্রমশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে পারিনি। দেশে বর্তমানে এমএ তথা মাস্টার্স পাস করা তরুণ প্রজন্মের মাঝে শতকরা ৩৪ জনই বেকার। প্রতিবছর ২০ লাখ মানুষ শ্রমবাজারে আসছে, যারা অদক্ষ। অথচ আইটি সেক্টরে যোগ্য করে গড়ে তুলে আমরা বিদেশি বাজারের জন্য এদের তৈরি করতে পারতাম। আমরা তা পারিনি। নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। অথচ বহির্বিশ্বে এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও আইটি সেক্টরের যে চাহিদা, সেদিকে আমাদের কারোরই নজর নেই। তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরে নতুন নতুন যে প্রযুক্তি ঃযব রহঃবৎহবঃ ড়ভ ঃযরহমং, নষড়পশপযধরহ ধৎঃরভরপরধষ রহঃবষষবমবহপব নরম ফধঃধ ধহফ ধহধষুঃরপং এসব প্রযুক্তির সঙ্গে আমরা জেনারেশন জেড প্রজন্মের সঙ্গে ব্যাপক পরিচয় করিয়ে দিতে পারিনি। অথচ এসব প্রযুক্তির সঙ্গে যারা জড়িত এবং দক্ষ তাদের চাকরির বাজারের একটি বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে। যারা আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নেতৃত্ব দেবেন, তাদের বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়িয়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত শিক্ষা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু আগামী ৫০ বছর পর্যন্ত বাংলাদেশে কোন ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা প্রয়োজন সে ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে কম। তবে আশার কথা, বহির্বিশ্বে কোনো কোনো গবেষকের লেখায় বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় জনশক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, বাংলাদেশের উচিত এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো। বিশ্বের উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ার কারণে উন্নত দেশগুলোতে জ্বালানি তেলের ব্যবহার কমিয়ে ‘সবুজ এনার্জির’ দিকে ঝুঁকছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে আছে। এখানে সবুজ এনার্জি নিয়ে তেমন গবেষণাও হয় না। উপরন্তু বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধ করার ব্যাপারে উন্নত বিশ্বের কাছে নয়া প্রযুক্তি থাকলেও তাদের অনীহা রয়েছে উন্নয়নশীল বিশ্বে এ প্রযুক্তি সরবরাহের। সোলার এনার্জির একটা বিপুল সম্ভাবনা থাকলেও উন্নয়নশীল বিশ্বে এ এনার্জির ব্যবহার বাড়ছে না। বাংলাদেশে যে পরিমাণ সোলার এনার্জি ব্যবহার করা উচিত ছিল সে পরিমাণ ব্যবহার হচ্ছে না। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সোলার এনার্জি ব্যবহারে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। ভারতের মতো দেশে যেখানে সোলার এনার্জির ব্যবহার বাড়ছে, সেখানে আমরা বাংলাদেশে তা বাড়াতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা। আমাদের নীতিনির্ধারকরা বিষয়টি বোঝেন বলেও মনে হয় না। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা ‘কপ’ সম্মেলন হলেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন সম্মেলনে যোগ দিতে। কিন্তু তারা সম্মেলনে গিয়ে কী শিখলেন, তার প্রয়োগ বাংলাদেশে কীভাবে সম্ভব, তা নিয়ে আদৌ ভাবেন না। একটি দৃষ্টান্ত দিই। গবেষণাধর্মী জার্নাল সায়েন্সে (ঝপরবহপব) গত ৫ জুলাই (২০১৯) একটি গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। বেশ কয়েকজন গবেষক লিখেছেন ঞযব মষড়নধষ ঃৎবব ৎবংঃড়ৎধঃরড়হ ঢ়ড়ঃবহঃরধষ. গবেষণার মূল বক্তব্য হচ্ছে যদি কয়েকশ বিলিয়ন গাছ লাগানো যায়, তা হলে জলবায়ু পরিবর্তনে পৃথিবীর উষ্ণতা যে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা রোধ করা সম্ভব। গবেষকরা বলছেন, যদি ৫০০ বিলিয়ন গাছ লাগানো যায় তা হলে বায়ুম-লে যে কার্বন ডাই-অক্সাইড রয়েছে তার শতকরা ২৫ ভাগ শোষণ করে কার্বন ডাই-অক্সাইডের নিঃসরণের হার কমিয়ে আনতে পারবে। গাছ যে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এটা আমরা সবাই জানি। ভারতের উত্তরপ্রদেশে ব্যাপক বৃক্ষরোপণ, নিউজিল্যান্ডে কয়েক কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা কিংবা ফিলিপাইনে এ গাছ লাগানো ছাড়া কোনো শিক্ষার্থীকে স্নাতক ডিগ্রি দেওয়া হবে না- এ ধরনের সংবাদ পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে, যা আমাদের উজ্জীবিত করে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের সংবাদের গুরুত্ব রয়েছে। দুঃখজনক সংবাদ হলো, উত্তরপ্রদেশের একটি কট্টরপন্থি সরকার ব্যাপকভাবে গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিলেও আমরা বাংলাদেশে এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সবাইকে তিনটি করে গাছ লাগানোর কথা বলেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সেই উপদেশ বাস্তবায়নের ব্যাপারেও তেমন কোনো উদ্যোগ আমাদের চোখে ধরা পড়ে না। দাতব্য সংস্থা অক্সফামের এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি দুই সেকেন্ডে একজন মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। এটি একটি উদ্বেগের বিষয়। এরা জলবায়ু উদবাস্তু। বাংলাদেশেও এই জলবায়ু উদবাস্তুর সংখ্যা বাড়ছে। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশকে আগামীতে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। দরিদ্র মানুষের সংখ্যা আর বৈষম্য বাড়ছে বাংলাদেশে। করোনার কারণে এই বৈষম্য আরও বেড়েছে। মাথাপিছু ঋণের বোঝা বেড়েছে- এটা আমরা কমাতে পারিনি। এটাও একটা চ্যালেঞ্জ। ২০১৫ সালে মাথাপিছু ঋণের বোঝা ছিল ১৩ হাজার ১৬০ টাকা। এটা এখন প্রায় ৭৯ হাজার টাকা। আমাদের শঙ্কার জায়গা এখানেই। সুবর্ণজয়ন্তীতে আমাদের আশাবাদী হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। বাংলাদেশ আর ‘বটমলেস বাস্কেট’ নয়। বিশ্বকে বাংলাদেশ অনেক কিছু দিতে পারে। তাই হীরকজয়ন্তী ( 60 বছর) পালনে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হব এখনই। খাতগুলো চিহ্নিত করতে হবে। আর নিতে হবে মহাপরিকল্পনা। Daily Amader Somoy 9.3.2021

0 comments:

Post a Comment