রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

খোলা জানালা: এ কোন বাংলাদেশকে আমরা দেখছি?

ক্যাসিনো

স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর এ কোন বাংলাদেশ আমরা দেখছি? ক্যাসিনোতে টাকা, রাস্তায় টাকা, সিন্দুকের ভল্টে টাকা। লাখ লাখ নয়, কোটি কোটি। টাকা তো কাগজ! তাতে ভরসা নেই, তাই কিনে রাখা হয়েছে স্বর্ণ। কেউ নাকি জানত না মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় ক্যাসিনো আছে! মতিঝিল আর ফকিরেরপুলের কাছাকাছি আছে একটি থানা। এই এলাকার আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব ওসির হাতে।
আছে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। ডিসি, এডিসি, এসি, কত কী! কেউ জানল না- এখানে, এসব ক্লাবে জুয়ার আসর বসে রাতে। ২৪ ঘণ্টাই নাকি ক্যাসিনোতে জুয়ার আসর বসে। শত শত নষ্ট যুবক দিন-রাত পড়ে থাকে জুয়ার আড্ডায়। পুলিশ তা জানল না! র‌্যাব তা আগে জানল না! গোয়েন্দারা আগে জানল না! শুভঙ্করের মধ্যে কি কোনো ফাঁক আছে? এটা জাতি জানল প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেয়ার পর। তাহলে কি সবকিছু প্রধানমন্ত্রীকেই দেখতে হবে?
ঢাকায় ডিএমপির থানা তো অনেক। জনবলও অনেক। পুলিশের জন্য সুযোগ-সুবিধা অনেক বেড়েছে। তাহলে তাদের নাকের ডগায় বসে দিব্যি কিছু লোক, তারা আবার সরকারি ছত্রছায়ায় যুবলীগের সব সিনিয়র নেতা, তারা মাসের পর মাস এই জুয়ার ব্যবসা চালিয়ে গেলেন! আমরা কেউ তা জানলাম না। কী অদ্ভুত এই দেশ- এক প্রধানমন্ত্রীকে সব সামলাতে হয়।
দেরিতে হলেও র‌্যাবকে ধন্যবাদ দিতে হয়। তারা অভিযানে নেমেছেন। অপরাধীদের খুঁজে খুঁজে বের করছেন। গ্রেফতার করছেন। কিন্তু আমার মধ্যে একটা শঙ্কা কাজ করে- দু’দিন পর না আবার আমরা দেখব ওইসব ‘টাকার কুমির’ আর ‘ক্যাসিনোসম্রাট’ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন! এ দেশেও জন্ম হয় শামীমদের, যারা বোধহয় ‘টাকার গাছ’ লাগিয়েছিলেন। ৩০০ কোটি টাকা ব্যাংকে, মায়ের নামে এফডিআর! টাকার গাছে ফল ধরছে! অবাক হয়ে শুনলাম একজন এমপির কথা- ‘জুয়া খেলতে না দিলে নাকি ছেলেরা রাস্তায় ছিনতাই করে’! কী যুক্তি? একজন এমপি, জনগণের তিনি প্রতিনিধি, যুক্তি দেখালেন জুয়া খেলার! পুলিশ আর র‌্যাব যখন ‘ক্যাসিনোসম্রাট’দের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে, তিনি তখন চট্টগ্রামে বসে অনেকটা বলতে চাইলেন, ক্লাবে জুয়া খেলা কোনো অপরাধ নয়!
এই বাংলাদেশই কি আমরা চেয়েছিলাম? একজন এমপি কি এ ধরনের কথা বলতে পারেন? একজন সংসদ সদস্য যখন এ ধরনের কথা বলেন, তখন কি তা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করার শামিল নয়? প্রধানমন্ত্রী তো ‘ক্যাসিনোসম্রাট’দের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়ে সর্বমহল থেকে প্রশংসা পেয়েছেন। এখন তার দলীয় এক এমপি অবস্থান নিলেন জুয়াড়িদের পক্ষে! এটা দুঃখজনক। ওই সংসদ সদস্য চট্টগ্রামে একটি ক্লাব চালান।
পত্রিকায় দেখলাম পুলিশের পরিদর্শক সাইফ আমিন নিজের ফেসবুক পেজের ওয়ালে লিখেছেন, ক্লাবের জুয়া খেলা থেকে ওই সংসদ সদস্যের ৫ বছরের আয় ১৮০ কোটি টাকা। (একুশে পত্রিকা, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯)! থানার ওসিরা প্রতিদিন ক্লাব থেকে কত টাকা আয় করেন তারও হিসাব আছে তাতে। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, তিনি দায়িত্ব নিয়েই এ কথা লিখেছেন। এর সত্যতা কতটুকু আমি জানি না। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এটা ভালো বলতে পারবে। ইতিমধ্যে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে অভিযোগটি গুরুতর। এটাও তদন্ত করা প্রয়োজন।
‘ঠিকাদার মোগল’ জি কে শামীম আওয়ামী-যুবলীগের একজন নেতা। সরকারের এ শুদ্ধি অভিযানে তার নিকেতন অফিসে পাওয়া গেছে ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর আর নগদ প্রায় ২ কোটি টাকা। ‘টাকার কুমির’ এই ঠিকাদারের বিভিন্ন ব্যাংকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আছে বলে সংবাদপত্রগুলো জানাচ্ছে। তিনি রূপপুরের ‘বালিশ কেলেঙ্কারির’ সঙ্গেও জড়িত। তার সম্পর্কে আরও যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তা রীতিমতো আঁতকে ওঠার মতো।
কয়েক হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারির কাজ তিনি পেয়েছেন। এসব কাজ পেতে গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীকে দিয়েছেন শত শত কোটি টাকা (সমকাল, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। একজন শামীম ব্যবসা করতেই পারেন। কিন্তু ব্যবসার নামে তিনি যে ‘ঘুষ বাণিজ্য’ করেছেন, তা যে কোনো সাধারণ মানুষকে অবাক করে দেবে। কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা না থাকলে তিনি এভাবে অবৈধভাবে ঠিকাদারি বাগিয়ে নিতে পারতেন না।
প্রতিদিন যখন এ ধরনের সংবাদ ছাপা হয়, তখন এক ‘ভিন্ন বাংলাদেশের’ ছবি ভেসে ওঠে! রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার নামে এই যে দুর্নীতি, তা আমাদের হতাশার মাঝে ঠেলে দেয়। বাংলাদেশের মানুষ কি এজন্যই এত রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছে? যিনিই দুর্নীতি করবেন, তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তিনি যত ‘বড়ই’ হোন না কেন, আইনের ঊর্ধ্বে নন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে পারিবারিক দুর্নীতির অভিযোগে ওঠার পরই সরকার যুবলীগ নেতাদের নিয়ন্ত্রিত ‘ক্যাসিনো সম্রাট’দের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। এ ক্ষেত্রে জাহাঙ্গীরনগরের দুর্নীতির অভিযোগটি যেন ধামাচাপা পড়ে না যায়! সেখানে দুর্নীতি হয়েছে কী হয়নি, এটা জানা দরকার। একজন উপাচার্যের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ গুরুতর। যারা অভিযোগটি এনেছিলেন, তারা এখনও আন্দোলন করছেন।
সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থেই এর তদন্ত হওয়া দরকার। ইউজিসি একটি তদন্ত কমিটি করেছে; কিন্তু এটা যথেষ্ট নয়। দুদক বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে পারে। ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অপসারিত হয়েছেন এ কারণেই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী যে শক্ত অবস্থানে গেছেন, এটা তার বড় প্রমাণ। তিনি ছাত্রলীগ, যুবলীগ কাউকেই ছাড় দেননি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও এন্তার অভিযোগ রয়েছে। এদের বিরুদ্ধেও অভিযান পরিচালনা করা উচিত।
এ ধরনের শুদ্ধি অভিযান অনেক মেসেজ দেবে। অবৈধ পন্থায় যারা অর্থ আয় করেন, তারা এখন সতর্ক হবেন। আওয়ামী লীগের নাম করে যে দুর্নীতি করা যাবে না, এই ‘সত্যটি’ এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হবে। আওয়ামী লীগ করলেই সবকিছু ‘মাফ’- এটা বলা ও চিন্তা করার দিন এখন শেষ। যারা ঘুষ নেন ও ঘুষ দেন তারা উভয়েই অপরাধী। উভয়কেই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউকের মতো প্রতিষ্ঠানেও শুদ্ধি অভিযান চালানো উচিত। এ সেক্টরগুলোতে রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি। অতীতে যারা শীর্ষ পদগুলোতে ছিলেন, তাদের অর্থের উৎস খুঁজে বের করা উচিত। এ কাজে দুদককে ব্যবহার করা যেতে পারে। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি শামীমদের মতো ‘টাকার কুমির’দের জন্ম দিয়েছে। এখন টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কীভাবে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়, তা ভেবে দেখতে হবে। ই-টেন্ডার নিয়েও কথা আছে। ই-টেন্ডারও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারছে না। শামীমদের মতো লোকেরা দলকে ব্যবহার করে। তার সঙ্গে মন্ত্রীদের কারও কারও সখ্য আছে।
এটা যেন তার বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো বাধা সৃষ্টি না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে। যারাই ছাত্রলীগ তথা যুবলীগের নেতৃত্বে আছেন বা থাকবেন, তাদের অতীত আমলনামা দেখা প্রয়োজন। যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেছেন, তিনি অভিযুক্ত দুর্নীতিবাজ যুবলীগ নেতাদের ট্রাইব্যুনালে বিচার করবেন! এতে করে তো স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে না, বরং তা নিজের হাতে আইন তুলে নেয়ার শামিল। দুর্নীতি হলে প্রচলিত আইনে এর বিচার হবে। এজন্য দেশে আইন আছে। যুবলীগ চেয়ারম্যান নিজে কেন বিচার করবেন?
‘ক্যাসিনো সম্রাট’দের বিরুদ্ধে যখন সারা দেশে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে, তখন ‘শিক্ষা সম্রাট’দের কী হবে? যুবলীগের নেতারা ক্যাসিনো বানিয়েছেন। আর আমাদের কিছু উপাচার্য নিজেরা নিজেদের ‘সম্রাট’ বানিয়েছেন! জাহাঙ্গীরনগরের উপাচার্য ছাত্রলীগের ছেলেদের ‘ঈদের সালামি’ দিয়েছিলেন ২ কোটি টাকা, যদিও তা এখনও প্রমাণিত হয়নি। শিক্ষকরা তাকে কালো পতাকা দেখাচ্ছেন প্রতিদিন। গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষার্থীদের ‘জানোয়ার’ বলে গালি দিয়েছেন এমন সংবাদ গণমাধ্যমে ছাপা হয়েছে। সেখানকার শিক্ষকরা যে ১৬ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন তার ৩নং দফায় ভিসির বাসায় বিউটি পার্লার তৈরির অভিযোগ রয়েছে। গেল বছর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী কর্মচারী তার সন্তানের পিতৃত্ব দাবি করে ভিসির বাসার সামনে অনশন পর্যন্ত করেছিলেন। অথচ উপাচার্য দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব পেয়েছেন। এক সময় ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এই ভিসি শুধু গোপালগঞ্জ বাড়ি হওয়ার কারণেই কি বারবার ভিসি হচ্ছেন?
নিজ বাসভবনের বর্ধিত অংশে প্রতিষ্ঠিত বিউটি পার্লারে তিনি নিজে সিরিয়াল দিচ্ছেন, এমন একটি ছবিও পত্রিকায় ছাপা হয়েছে (ক্যাম্পাস লাইভ, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। সম্প্রতি শাবিপ্রবির উপাচার্যের বিরুদ্ধে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশিত হয়েছে। এই শ্বেতপত্রে তার বিরুদ্ধে ৫৩টি অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে- আর্থিক অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, টিএ/ডিএসহ প্রতি সপ্তাহে পারিবারিক ও ব্যবসায়িক কাজে ঢাকায় যাওয়া, নিজে একজন গার্মেন্ট ব্যবসায়ী, ব্যক্তিগত আক্রোশে কিছু শিক্ষকের ‘আপগ্রেডেশন’ স্থগিত করা ইত্যাদি।
একটি জাতীয় দৈনিক উপাচার্যদের আমলনামা নিয়ে একটি বিস্তারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল (প্রথম আলো) কিছুদিন আগে। আর বর্তমানে ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে ইউজিসি (জাগো নিউজ, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। এগুলোর মধ্যে আছে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা, রোকেয়া ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কী দেখে তাদের মনোনয়ন দিয়ে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়েছিল? তাদের আয়-সম্পত্তির হিসাব কি এনবিআর ক্ষতিয়ে দেখবে? যুবলীগ নেতাদের যদি আমলনামা নেয়া হয়, যদি তাদের ব্যাংক হিসাব চাওয়া হয়, তাহলে অভিযুক্ত ভিসিদের ব্যাংক হিসাব চাওয়া হবে না কেন?
দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে গেছেন প্রধানমন্ত্রী। কাউকে তিনি ছাড় দেবেন না। একজন প্রধানমন্ত্রী কত সাহসী হলে নিজ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যেতে র‌্যাবকে নির্দেশ দেন। অন্যায় আর দুর্নীতি যারা যারা করবে, তাদের কারও মাফ নেই। এ দুর্নীতিবিরোধী অভিযান সর্বত্র পরিচালিত হোক। যারা ব্যাংকের টাকা মেরে দিয়ে, দলের নাম ভাঙিয়ে দিব্যি আরাম-আয়েশে দিন কাটাচ্ছেন, তাদেরও আনা হোক আইনের আওতায়।
আওয়ামী লীগ এসব দুর্নীতিবাজকে ধারণ করতে পারে না। ব্যাংকার, ব্যবসায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি- সবাই আজ অভিযোগের কাঠগড়ায়। ব্যাংকের টাকা মেরে দিয়ে মালয়েশিয়ায় ‘দ্বিতীয় হোম’ বানাবেন, ঢাকার বাইরে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হয়ে ঢাকায় বসে গার্মেন্ট ব্যবসা করবেন, এনজিও চালাবেন, সকালের ফ্লাইটে ক্যাম্পাসে গিয়ে বিকালের ফ্লাইটে ঢাকায় ফিরে আসবেন- এসবও অন্যায়। যুবলীগের নেতারা যদি অন্যায় করে থাকেন, এসব ভিসিও অন্যায় করেছেন। যুবলীগ নেতাদের ক্যাসিনো, আর ভিসিদের ‘নিজস্ব রাজত্ব’- এগুলোও একেকটি ‘ক্যাসিনো’- আমি কোনো পার্থক্য খুঁজে পাই না, অন্তত অন্যায় আর দুর্নীতির প্রশ্নে উভয়েই সমান অপরাধী।
সংবিধানে সমঅধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। তাই শুধু যুবলীগের নেতাদের কাঠগড়ায় দাঁড়া না করিয়ে দোষী সবার ক্ষেত্রে একই শাস্তি প্রযোজ্য হোক। ইতিহাস শেখ হাসিনাকে বারবার স্মরণ করবে, যদি তিনি দুর্নীতিবিরোধী অভিযান থেকে এক পাও সরে না আসেন। দুর্নীতিবিরোধী অভিযান সফল হোক, এ প্রত্যাশা আমাদের সবার
Daily Jugantor
28.09.2019

0 comments:

Post a Comment