রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

নেহরু সাম্রাজ্যের পতন কি ঘনিয়ে আসছে

ভারতে ষোড়শ লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে যত জনমত সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে, তার কোনো একটিতেও কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটকে সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি। আসন প্রাপ্তির দিক থেকে জনমত জরিপে কংগ্রেস বিজেপির কাছ থেকে পিছিয়ে আছে ন্যূনতম একশ’ আসনে। এর মধ্য দিয়ে ভারতের রাজনীতিতে নেহরু সাম্রাজ্যের পতন হতে যাচ্ছে। কেননা কংগ্রেস বিজয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী হতেন নেহরু পরিবারের সর্বশেষ প্রতিনিধি রাহুল গান্ধী, সম্পর্কে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নাতি আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর জ্যেষ্ঠসন্তান। বিশাল এক সম্ভাবনা নিয়ে তিনি এসেছিলেন। তারুণ্যের প্রতীক তিনি। কিন্তু ভারতীয় ভোটাররা তার তারুণ্যে আকৃষ্ট হয়নি। ইতোমধ্যে যে প্রশ্নটি উঠেছে, তা হচ্ছে রাহুল গান্ধী কি ব্যর্থ হলেন? সাম্প্রতিক সময়গুলোতে তিনি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল চষে বেড়িয়েছেন। বারানসিতে গিয়ে সেখানকার রিকশাওয়ালাদের সঙ্গে রাস্তায় এসে বৈঠক করেছেন (একদিন রিকশা চালানোর কথাও বলেছেন তিনি)। দিল্লি রেলস্টেশনে গিয়ে কুলিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ভুপালে নারীদের সঙ্গে বৈঠক করার সময় হিজড়াদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ফুটপাতের হকারদেরও ডেকেছেন নিজের বাসায়। মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গবাদে উপজাতিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যেমনি, তেমনি বৈঠক করেছেন শিল্পপতিদের সঙ্গেও। এতে বোঝা যায়, রাহুল নতুন এক ইমেজ নিয়ে এসেছেন। তৃণমূল পর্যায়ে গরিব ও নিুমধ্যবিত্ত শ্রেণীর জীবনমানের উন্নতি করতে চান তিনি। ভারতে এদের সংখ্যাই প্রায় সত্তর কোটি। এদের নিয়েই বিহারের লালু প্রসাদ, মায়াবতী আর মুলায়েম সিংরা রাজনীতি করেন। মায়াবতী এদের নিয়ে রাজনীতি করে বিশাল এক আর্থিক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। এরা একটি শক্তি। বিশ্বব্যাংকের (২০১৩) প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের ৩ ভাগের ২ ভাগ গরিব মানুষ বাস করে ভারতে। সুতরাং রাহুল গান্ধী এদের টার্গেট করেছেন। কিন্তু তাতেও তিনি তার নিজের তথা দলের জনপ্রিয়তা বাড়াতে পারেননি। তাই রাহুল গান্ধীর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অনেকেই বলার চেষ্টা করেন কংগ্রেস যদি রাহুলের পরিবর্তে ছোট বোন প্রিয়াংকা ভদ্রকে ‘প্রমোট’ করত, তাহলে বোধকরি ভালো ফলাফল পাওয়া যেত। প্রিয়াংকা বরাবরই মা সোনিয়া গান্ধীর নির্বাচনী এলাকার (রায়বেরলি) দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচনে কখনো প্রার্থী হন না। তবে ভারতের রাজনীতিতে নেহেরু পরিবার বরাবরই একটি ‘ভোটব্যাংক।’ কংগ্রেস নেতারা বরাবরই নেহরুর পরিবারকে ব্যবহার করেছেন। রাজনীতিতে এই পরিবারের একক কর্তৃত্ব গড়ে তুলেছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর দাদা মতিলাল নেহরু। আর রাহুল গান্ধী হচ্ছেন ইন্দিরা গান্ধীর  নাতি। মতিলাল নেহরু ১৯২১ সালে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ইন্দিরা গান্ধীর  পিতা জওহরলাল নেহরু ছিলেন কংগ্রেসের সভাপতি। জওহরলাল জীবদ্দশায় কন্যা ইন্দিরাকে কংগ্রেসের সভাপতি বানিয়েছিলেন ১৯৫৯ সালে। আর সেই একই প্রক্রিয়ায় রাহুলের পিতা রাজীব গান্ধীও কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন ১৯৮৩ সালে। পরে তিনি কংগ্রেসের সভাপতিও হন। এখন কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। মার নেতৃত্বেই রাহুল প্রথমে একজন সাধারণ সম্পাদক ও পরে অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী, এটা নির্ধারিতই ছিল। মনমোহন সিংও স্পষ্ট করেছিলেন তা। কিন্তু অঙ্কের হিসাবটা কেন যেন বদলে যাচ্ছে। এই ব্যর্থতা কি রাহুলের? মানুষ কী পরিবর্তন চাচ্ছে? শেষ অবধি কি মোদিই প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন? নাকি জন্ম হতে যাচ্ছে একটি ‘ঝুলন্ত পার্লামেন্টের?’ভারতের রাজনীতির যারা কিছুটা খোঁজখবর রাখেন, তারা জানেন, একাদশ লোকসভা নির্বাচনের পর একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় যে, সরকার তার স্থায়িত্ব পাচ্ছে না। একাদশ লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯৬ সালের মে মাসে। আর দ্বাদশ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৮ সালের ফেব্র“য়ারিতে। একাদশ লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপির নেতৃত্বে একটি সরকার সেখানে গঠিত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। তার প্রধানমন্ত্রীর বয়স ছিল মাত্র ১৩ দিন। বাজপেয়ী পদত্যাগ করলে জনতা দলের নেতৃত্বে একটি যুক্তফ্রন্ট সরকার সেখানে গঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী হন দেবগৌড়া। দেবগৌড়া সরকারকে সমর্থন করেছিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের আস্থা হারিয়ে আস্থাভোটে হেরে যান দেবগৌড়া। পরে গুজরাল যুক্তফ্রন্টের নেতা নির্বাচিত হলে কংগ্রেস তাকে সমর্থন করে। কিন্তু জৈন কমিশনের রিপোর্ট (রাজীব গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ডিএমকের জড়িত থাকার প্রমাণ) প্রকাশিত হলে পতন ঘটে গুজরাট সরকারের (২৮ নভেম্বর ১৯৯৭)। দ্বাদশ লোকসভা নির্বাচনেও কংগ্রেসের ভরাডুবি ঘটে। তারা আসন পেয়েছিল ১৪২ (১০ম লোকসভায় ২৩২ ও ২৫২, ১১তম ১৪২) যেখানে বিজেপি পেয়েছিল ১৮২ আসন। ত্রয়োদশ লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার সেখানে গঠিত হয়েছিল। তাদের শরিক ছিল আঞ্চলিক দলগুলো। আঞ্চলিক দলগুলোর সহযোগিতা নিয়েই বাজপেয়ীর পক্ষে সম্ভব হয়েছিল সরকার গঠন করার। ২০০৪ সালে ১৪তম ও ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত ১৫তম লোকসভা নির্বাচনের পর পর দু’টার্ম ইউপিএ জোট বিজয়ী হয়েছিল এবং দু’দুবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন মনমোহন সিং। এখানে বিজেপির উত্থান নিয়ে কিছু কথা বলা প্রয়োজন। ভারতব্যাপী কংগ্রেসের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী এখন এই বিজেপি অথচ ১৯৮৪ সালে বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ২টি আসন। ১৯৮৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৮টিতে। আর ১৯৯১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১১৭টিতে। ১৯৯৬ সালে এ সংখ্যা ১৬২, ১৯৯৮ সালে ১৮২। পর্যায়ক্রমে বিজেপি যে তাদের জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে এবং কংগ্রেসের বিকল্প একটি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিজেদের দাঁড় করাতে পেরেছে, পরিসংখ্যানই আমাদের এ কথা বলে। এ ক্ষেত্রে ১৬তম লোকসভা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিজেপি যদি পুনরায় সরকার গঠন করে, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। জনমত জরিপ যদি সত্য হয় এবং কংগ্রেস যদি হেরে যায়, তাহলে রাহুল গান্ধীর জন্য তা হবে একটা বড় ধরনের পরাজয়। একই সঙ্গে তার নেতৃত্বের জন্য সৃষ্টি হবে বড় ধরনের হুমকি। এই নির্বাচন বাংলাদেশকে কি কোনো মেসেজ দেবে? এ ক্ষেত্রে সেটা স্পষ্ট করেই বলা যায়, তা হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারতীয় নীতিতে আদৌ কোনো পরিবর্তন আসবে না। নরেন্দ্র মোদির কট্টর ‘হিন্দুত্ববাদ’ এক ধরনের আশঙ্কা সৃষ্টি করলেও আঞ্চলিক দলগুলোর উত্থান এক ধরনের ‘চেকস অ্যান্ড ব্যালেন্স’ হিসেবে কাজ করবে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক যে সমস্যা, বিশেষ করে তিস্তার পানি বণ্টন, ভারতের আন্তঃনদীসংযোগ প্রকল্প, টিপাইমুখ বাঁধ ও ফুলেরতল ব্যারাজ, বাণিজ্য ঘাটতি, ভারতের শুল্ক ও অশুল্ক বাধা, ট্রানজিটের নামে করিডর, সীমান্ত সমস্যা তথা ছিটমহল বিনিময় ইত্যাদির ক্ষেত্রে চটজলদি কোনো সমাধান আসবে বলেও মনে হয় না। আমাদের একটা বড় সমস্যা দরকষাকষিতে আমরা খুব একটা সাফল্য দেখাতে পারিনি। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ কথাটা প্রযোজ্য। গত পাঁচ বছরে আমাদের জাতীয় স্বার্থে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করতে পারিনি। সাফল্যের ক্ষেত্রে ভারতের পাল্লাটা ভারী। এখন মোদি প্রধানমন্ত্রী হলেও সম্পর্কের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হবে না। মোদি বিজয়ী হলেও তার জন্য আগামি দিনগুলো খুব সুখের হবে না। ভারতে মুসলমানদের আস্থা তিনি অর্জন করতে পারেননি। সেই সঙ্গে আঞ্চলিক রাজনীতিতে তিনজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মমতা ব্যানার্জি, মায়াবতী এবং জয়ললিতা এদের কারো সঙ্গেই মোদির সম্পর্ক ভালো নয়। কংগ্রেসের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা দেশরক্ষামন্ত্রী এন্টোনিও এমন কথাও বলেছেন যে, প্রয়োজনে তারা মমতা ব্যানার্জিকে প্রধানমন্ত্রী পদে সমর্থন করবেন। কিন্তু বাস্তবতা বলে ভিন্ন কথা। বিজেপির সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ২৭২ আসন। বিজেপি বা এনডিএ জোট ২৭২ আসন না পেলেও ছোট ছোট দলগুলোর সমর্থন নিয়ে বিজেপি সরকার গঠন করতে পারে। মোদির জন্য বড় সমস্যা হবে বহিঃবিশ্বে বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার ইমেজ পুনরুদ্ধার করা। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের মানবাধিকার কমিশনের এক শুনানিতে বিজেপির প্রার্থী নরেন্দ্র মোদি বিজয়ী হলে ভারতের মুসলমান ও খ্রিস্টানদের সঙ্গে তার সরকারের আচরণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের রিপাবলিকান দলীয় সদস্য জো পিটস বলেছেন, ভারতে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকারীদের ছাড় দেয়ার প্রবণতা রয়েছে। তিনি বলেন, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার তর্কাতীত উত্থানে ভারতের প্রতিটি সমাজই কোনো না কোনোভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয় ধর্মীয় সহিংসতা। ২০০২ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর থেকে গুজরাটে অব্যাহত মেরুকরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ডেমোক্র্যাট দলীয় মুসলমান আইনপ্রণেতা কেইথ এলিসন। গুজরাট দাঙ্গার জন্য মোদি অভিযুক্ত হয়েছিলেন। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র ২০০৫ সালে মোদিকে ভিসা দিতে অস্বীকার করে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখন বলছে তারা নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে ভিসা দেবে।
ভারতে ষোড়শ লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে। চলবে ১২ জুন পর্যন্ত। কিন্তু যে আশঙ্কা শক্তিশালী হচ্ছে, নয়া সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে পারে। ৭ এপ্রিল থেকে সেখানে শুরু হয়েছে নির্বাচন যা মোট ৯ ধাপে ভোটগ্রহণ শেষ হবে ১২ মে এবং ১৬ মে এবং নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। সর্বশেষ নির্বাচনী জরিপে দেখা গেছে, বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পাবে ২৩৩টি আসন, আর কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট পাবে ১১৯টি আসন। এনডিএ জোটের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদি নিজেও আস্থাশীল। চন্ডিগড়ে গেল সপ্তাহে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় নরেন্দ্র মোদি নিজেই বলেছেন তিনি হতে যাচ্ছেন ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় মোদির বিজয়কে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর জন্য বিপদ বলে মন্তব্য করা হয়েছে। হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী গুজরাট দাঙ্গার খলনায়ক মোদি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে আঞ্চলিক বিরোধ নিয়ে প্রতিবেশী দেশ চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে কঠোর আচরণ করবে এমনটা জানিয়েছেন মোদির দুজন উপদেষ্টা। বিজেপির এই দুই উপদেষ্টা বাংলাদেশের ব্যাপারে বিজেপির নীতি কী হবে, সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য না করলেও অনেকটা স্পষ্ট করেছেন দলটির সভাপতি রাজনাথ সিং। তিনি বলেছেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ থেকে যেসব অভিবাসী এসে আসাম বা অন্যান্য জায়গায় বসতি গড়েছে তাদের অবৈধ ঘোষণা ও তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাংলাদেশের জন্য এটা একটা অশনি সংকেত। অতীতে পুশব্যাকের অনেক ঘটনা ঘটেছে। বাংলা ভাষাভাষী, যারা অনেকেই ভারতের নাগরিক, তাদের যদি বাংলাদেশ পাঠানোর চেষ্টা করা হয় তাহলে দু’দেশের মাঝে সম্পর্কের অবনতি হতে বাধ্য। এই নির্বাচন নিঃসন্দেহে কংগ্রেসের জন্য একটি মেসেজ। ব্যক্তি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি পারলেন না জনগণকে তার ওপর আস্থায় রাখতে। ভোটাররা আস্থা রাখেনি। তারা আরো একবার নেহেরুর পরিবারকে প্রত্যাখ্যান করল। অতীতে একবার ভোটাররা ইন্দিরা গান্ধীকেও প্রত্যাখ্যান করেছিল। কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী আবার ফিরে এসেছিলেন। রাহুল গান্ধী কি তা পারবেন? দলে রাহুল গান্ধী বিরোধিতা সক্রিয় হয়েছে। তার নির্বাচন স্ট্রাটেজিরও সমালোচনা করেছেন কেউ কেউ। কংগ্রেস সভানেত্রী, সোনিয়া গান্ধীর জন্যও একটা চ্যালেঞ্জ বটে। তবে বলতে দ্বিধা নেই এই নির্বাচন নেহরু-গান্ধী পরিবারের গ্রহণযোগ্যতা একটা প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিল। Daily MANOBKONTHO মঙ্গলবার ঢাকা ৮ এপ্রিল ২০১৪, ২৫ চৈত্র ১৪২০,

0 comments:

Post a Comment