ঢাকায় সুষমা স্বরাজ তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়াটাই দীর্ঘমেয়াদি সমাধান, যা বাংলাদেশের অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’ তবে তিনি বলেছেন, ‘রোহিঙ্গারা ফেরত যাবে!’ ঢাকায় সুষমা স্বরাজ ভারতীয় হাইকমিশনের নতুন চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সের উদ্বোধনকালে আরও একটি গরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘পড়শি পহলে, লেকিন বাংলাদেশ সবসে পহলে।’
সুষমা স্বরাজ ঢাকা এসেছিলেন। চলেও গেছেন। ২২ অক্টোবর তিনি যখন দুই দিনের সফরে ঢাকা আসেন, তখন তার ঢাকা সফর নিয়ে প্রত্যাশা কম ছিল না; কিন্তু সব প্রত্যাশা কি পূরণ হয়েছে? বাংলাদেশ যা চেয়েছিল, তা কি সুষমা স্বরাজের ওই সফরের মধ্য দিয়ে পূরণ হয়েছে? তার সফরের পর একটা হিসাব নেয়া যেতে পারে। আমার বিবেচনায় তার সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের দুইটি প্রত্যাশা ছিলÑ এক. বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসার ব্যাপারে তিনি আদৌ কোনো উদ্যোগ নেবেন কিনা; দুই. রোহিঙ্গাদের প্রশ্নে ভারত তার অবস্থান পরিবর্তন করবে কিনা। উভয় ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে, এটা আমি বলব না। তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তাকে ১৫ মিনিটের বেশি সময় দিয়েছেন। এ খবর সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে। ‘সব দলের অংশগ্রহণে’ একটি নির্বাচনের কথা তিনি বলে গেছেন। এটা কূটনৈতিক ভাষা। ভারত কেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইইউও চায় আগামী নির্বাচনে সব দল অংশ নিক। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্র কি তা বলে? বিএনপি কি নির্বাচনে অংশ নেবে? বিএনপি একটি নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলে আসছে; কিন্তু সে ব্যাপারে কি আদৌ কোনো অগ্রগতি হয়েছে? এটা সত্য, সংবিধানে যে ধারণা দেয়া হয়েছে, তাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রেখেই নির্বাচন হওয়ার কথা। এক্ষেত্রে বিএনপিকে সে প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসা যাবে কীভাবে? উভয়পক্ষ যদি কিছু ছাড় না দেয়, তাহলে এ ‘জটিলতার’ অবসান হবে না।
রোহিঙ্গা সমস্যা ও এর সমাধান এ মুহূর্তে বাংলাদেশের এক নম্বর অগ্রাধিকার। রোহিঙ্গা প্রশ্নে ভারতের অবস্থান বাংলাদেশের পক্ষে নয়; বরং রোহিঙ্গা প্রশ্নে ভারতের অবস্থান মিয়ানমারের পক্ষে। এর কারণ কীÑ এটা নিয়ে এর আগে আমরা আলোচনা করেছি। এক্ষেত্রে সুষমা স্বরাজের বক্তব্য আমি উল্লেখ করতে চাই। ঢাকায় সুষমা স্বরাজ তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়াটাই দীর্ঘমেয়াদি সমাধান, যা বাংলাদেশের অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’ তবে তিনি বলেছেন, ‘রোহিঙ্গারা ফেরত যাবে!’ ঢাকায় সুষমা স্বরাজ ভারতীয় হাইকমিশনের নতুন চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সের উদ্বোধনকালে আরও একটি গরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘পড়শি পহলে, লেকিন বাংলাদেশ সবসে পহলে।’ (আনন্দবাজার, ২৩ অক্টোবর)। অর্থাৎ ‘পড়শি আগে, কিন্তু বাংলাদেশ সর্বাগ্রে’। মোদি যখন ঢাকায় এসেছিলেন, তখনও তার মুখ থেকে আমরা এ ধরনের কথা শুনেছিলাম। ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে বাংলাদেশ এ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। মোদির ঢাকা সফরের সময় উপাঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা বিবিআইএন স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ফলে আজ যখন সুষমা স্বরাজ বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশের কথা প্রথমে গুরুত্ব দেয়ার কথা বলেন, আমি তাতে অবাক হই না। কিন্তু আমরা দেখতে চাই, ভারত এগুরুত্বের কথাটি বাস্তবে প্রমাণ করুক। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারত একটি ভূমিকা পালন করতে পারে। ভারত মিয়ানমার সরকারের ওপর ‘চাপ’ প্রয়োগ করতে পারে। মিয়ানমারে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে পারে। ভারত বড় আঞ্চলিক শক্তি। মিয়ানমার তাকে অবজ্ঞা করতে পারে না। ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে বাংলাদেশের স্বার্থ যেখানে সর্বাগ্রে (অন্তত সুষমা স্বরাজের কথা অনুযায়ী), সেখানে ভারত বাংলাদেশের স্বার্থে কতটুকু এগিয়ে আসবেÑ সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ২৩ অক্টোবর মিয়ানমার সফরে যান। এ সফরকে কি মিয়ানমার গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে যখন মিয়ানমারের উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর জেনারেল অং সয়ি অভ্যর্থনা জানান, তখনই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়, মিয়ানমার এ সফরকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি। গুরুত্বের সঙ্গে নিলে স্বয়ং সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকতেন। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন মিয়ানমারে, তখন রাখাইনের সিটওয়ে শহরে কট্টরপন্থী বৌদ্ধরা বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফেরত না নেয়ার জন্য বিক্ষোভ করেছে। মিয়ানমার টাইমস বিক্ষোভের ছবিও ছেপেছে। এর অর্থ আমার কাছে পরিষ্কার। মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা সময়ক্ষেপণ ছাড়া আর কিছুই নয়। মিয়ানমার আদৌ রোহিঙ্গাদের নেবে বলে আমার মনে হয় না। সবচেয়ে বড় কথা, সেখানে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে কীভাবে? যে হারে বৌদ্ধভিক্ষুরা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে এবং তাদের ফেলে যাওয়া বাড়িঘর দখল করছে, সেখানে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা একটা প্রশ্নের মুখে থাকবে। কিছুদিন আগে মিয়ানমারের এক মন্ত্রী কিয়ন্ট মিন্ট শোয়ে এসেছিলেন। তার সফরে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। মিয়ানমারের মন্ত্রী হাসিমুখে জানিয়েছিলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া হবে! এ আশ্বাস কি মিয়ানমারের গণহত্যাকারীদের আড়াল করা হলো? সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক উত্থাপিত ৫ দফা আলোচিত হয়নি। পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছিলেন, এ আলোচনা পাঁচ দফা সম্পর্কিত নয়। আমরা একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। প্রক্রিয়াটি শুরু হলো। পররাষ্ট্রমন্ত্রী যখন এ ধরনের কথা বলেন, তখন আমি তাতে অবাক না হয়ে পারি না। কেননা প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে উত্থাপিত তার পাঁচ দফায় বাংলাদেশের নীতিগত অবস্থান তুলে ধরেছেন। দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় এ পাঁচ দফা কেন উত্থাপিত হলো না, আমি বুঝতে অক্ষম। নিঃসন্দেহে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন মূল ইস্যু। কিন্তু ৫ দফার মাঝে সুস্পষ্ট রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান আছে। এ তথাকথিত ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনও সমস্যা সমাধান করতে পারবে না। আমরা মোটামুটিভাবে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার ফল জানি। অতীতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে; কিন্তু ফল শূন্য। প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ রোহিঙ্গা আগে থেকেই কক্সবাজার এলাকায় শরণার্থী ক্যাম্পে ও এর আশপাশের এলাকায় বসবাস করে আসছিল। এখন এদের সঙ্গে যুক্ত হলো আরও ৫ লাখের উপরে। অর্থাৎ প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা এখন অবৈধভাবে বাংলাদেশে বসবাস করছে। আন্তর্জাতিক চাপের কারণে মিয়ানমারের মন্ত্রী এসে বলে গেলেন, তাদের নাগরিকদের তারা ফিরিয়ে নেবেন! এটা যে স্রেফ ভাঁওতাবাজি ও সময়ক্ষেপণ, তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের নামে মিয়ানমার আমাদের স্রেফ ‘ব্লাফ’ দিল মাত্র! আমরা তাদের আশ্বাসকে যদি বিশ্বাস করি, ভুল করব। আমি দিব্যি দিয়ে বলতে পারি, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে না। আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা মিয়ানমারের ওপর ‘চাপ’ সৃষ্টি করতে পারলাম না। ‘চাপ’ সৃষ্টি করার একটা কৌশল হচ্ছে মিয়ানমারে গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচার দাবি করা। এ গণহত্যার খবর আন্তর্জাতিক মিডিয়া বলছে; জাতিসংঘের শরণার্থীসংক্রান্ত কমিশনের প্রধান বলেছেন। সুতরাং বাংলাদেশ এ প্রশ্ন তুলতেই পারে এবং এর মাধ্যমে মিয়ানমারকে ‘চাপ’ এ রাখা সম্ভব। কিন্তু বাংলাদেশ এ পথটি এড়িয়ে গেল। এতে কি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে মিয়ানমার? আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ অতিসম্প্রতি ছাপা হয়েছে, যা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। প্রথম খবরটি এসেছে মালয়েশিয়া থেকে। মিয়ানমারে গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচারের জন্য সেখানে একটি গণআদালত গঠিত হয়েছিল। ২২ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্ট পিপলস ট্রাইব্যুনাল (পিপিটি) নামে এ আন্তর্জাতিক গণআদালত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অং সান সু চি ও দেশটির সেনাপ্রধানকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। রোহিঙ্গা ও কাচিনদের ওপর চালানো গণহত্যা এবং নিষ্ঠুর নিপীড়নের তদন্তে যুক্ত বিশিষ্টজন ও খ্যাতনামা আইনজীবীদের সমন্বয়ে গঠিত সদস্যদের বিচারক প্যানেল এ রায় দেন। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ মাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোসাইড স্টাডিজ অ্যান্ড প্রিভেনশনের গবেষক অধ্যাপক গ্রেগরি স্ট্যানটনও জবানবন্দি দেন। আদালত ওই রায়ের আলোকে ১৭টি সুপারিশ করেন, যা জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে পাঠানো হবে। দ্বিতীয় খবরটি এসেছে জাতিসংঘ থেকে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে ইরাকে একটি তথ্যানুসন্ধান টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ টিমের উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসলামিক এস্টেটের (আইএস) জঙ্গিরা সেখানে কী ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, সে ব্যাপারে তথ্য অনুসন্ধান করা ও ইরাক সরকারকে সাহায্য করা। ব্রিটেন এ প্রস্তাবটি উত্থাপন করে এবং ১০ লাখ পাউন্ড (১৩ লাখ ৩৫ হজার ডলার) প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়। যারা আইএস কর্তৃক নির্যাতিত হয়েছে, তাদের কিছুটা ‘শান্তি’ দেয়ার জন্যই এ অর্থ দেয়া হবে। এখানে বলে রাখা ভালো, ২০১৪ সালে আইএসের জঙ্গিরা ইরাকের উত্তরাঞ্চলে সিনজির পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের ওপর বড় ধরনের জাতিগত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। যাকে পরবর্তী সময়ে জাতিসংঘ ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছিল। ওই সময় শত শত তরুণী ইয়াজিদি মেয়েকে ধরে এনে তাদের যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করা হতো। তাদের করুণ কাহিনী ওই সময় সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল। এখন নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের ওপর যে নির্যাতন ও গণহত্যা হয়েছে, তা তদন্তে একটি তথ্যানুসন্ধান টিম গঠন করা হবে।
উপরে উল্লিখিত দুইটি সংবাদ বিচ্ছিন্ন হলেও একটা মিল আছে। আর তা হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধের বিচার ও দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা। এটা সত্য, মালয়েশিয়ার পিপিটির কোনো আইনগত বৈধতা নেই। এটা সিম্বলিক অর্থাৎ প্রতীকী আদালত; কিন্তু এর একটি প্রতিক্রিয়া আছে। এ ধরনের ঘটনায় একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গঠনে সহায়তা করে থাকে। রোম স্ট্যাটিটিউটে (১৯৯৮, কার্যকর ২০০২) এ ধরনের আদালত গঠন করার কথা বলা হয়েছে। ইরাকে এ ধরনের আদালত আগামীতে গঠিত হবে এবং আমার ধারণা, আমরা যদি মিয়ানমারের গণহত্যার ঘটনা সত্যিকারভাবে আন্তর্জাতিক আসরে তুলে ধরতে পারি, তাহলে মিয়ানমারের ব্যাপারে একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গঠন করা সম্ভব।
জসুয়া কুরলানটসিক (Joshua Kurlantyick) ১ অক্টোবর the National-এ একটি প্রবন্ধ লিখেছেন। প্রবন্ধটির শিরোনাম Aung san suu ïi is the bad Gyuing the Rohingga crisis, But what about the man directly responsible for massacres? শিরোনাম থেকেই বোঝা যায়, কী বলতে চাচ্ছেন তিনি। যে কথাটা আমরা বারবার বলে আসছি, সে কথাটাই বলেছেন তিনি; অর্থাৎ গণহত্যা ও উচ্ছেদ অভিযানের দায় সু চি এড়াতে পারেন না। তবে তিনি বেশি দায়ী করেছেন সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল অং হ্লাইংকে। তার মন্তব্য অনেকটা এরকম It needs to give the ¸anmar generals a serious warning. Doing so might lead the military to holt its attraction, but more importantly, it would suggest that army leaders can not continue a scorched earth policy and let Ms Suu Kyi take all the public criticism. পশ্চিমাদের উচিত জেনারেল অং হ্লাইংকে একটা কড়া মেসেজ দেয়া। ব্যবসায়িক ও করপোরেট স্বার্থ এখানে এত বেশি যে, পশ্চিমা বিশ্ব এ জেনারেলকে এখনও সমীহ করে চলছেন। জেনারেল হ্লাইং ভারত সফরেও এসেছিলেন। তখন তিনি মোদির পাশাপাশি ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাপ্রধান অজিত দোভালের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। সুতরাং জেনারেল হ্লাইংয়ের ওপর যদি ‘চাপ’ প্রয়োগ করা না যায়, তাহলে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান আদৌ হবে না। এখন ভারতের জাতীয় স্বার্থের আলোকে ভারত কি আদৌ জেনারেল হ্লাইংয়ের ওপর কোনো চাপ প্রয়োগ করবে? সু চি এখানে গৌণ। জেনারেল হ্লাইংয়ের ওপর এখন সবকিছু নির্ভর করছে। সুষমা স্বরাজ এসে গেছেন। বলেছেন, বাংলাদেশের স্বার্থ তিনি আগে দেখবেন। এসব কথার কথা। বাংলাদেশের স্বার্থ যদি তিনি আগে দেখেন (?), তাহলে তিনি এখন মিয়ানমার যাবেন। কিন্তু তার আগামী সফরসূচিতে মিয়ানমার নেই। তাই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান বাংলাদেশকেই করতে হবে। রোহিঙ্গা সমস্যার আন্তর্জাতিকীকরণ করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
রোহিঙ্গা সমস্যা ও এর সমাধান এ মুহূর্তে বাংলাদেশের এক নম্বর অগ্রাধিকার। রোহিঙ্গা প্রশ্নে ভারতের অবস্থান বাংলাদেশের পক্ষে নয়; বরং রোহিঙ্গা প্রশ্নে ভারতের অবস্থান মিয়ানমারের পক্ষে। এর কারণ কীÑ এটা নিয়ে এর আগে আমরা আলোচনা করেছি। এক্ষেত্রে সুষমা স্বরাজের বক্তব্য আমি উল্লেখ করতে চাই। ঢাকায় সুষমা স্বরাজ তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়াটাই দীর্ঘমেয়াদি সমাধান, যা বাংলাদেশের অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’ তবে তিনি বলেছেন, ‘রোহিঙ্গারা ফেরত যাবে!’ ঢাকায় সুষমা স্বরাজ ভারতীয় হাইকমিশনের নতুন চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সের উদ্বোধনকালে আরও একটি গরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘পড়শি পহলে, লেকিন বাংলাদেশ সবসে পহলে।’ (আনন্দবাজার, ২৩ অক্টোবর)। অর্থাৎ ‘পড়শি আগে, কিন্তু বাংলাদেশ সর্বাগ্রে’। মোদি যখন ঢাকায় এসেছিলেন, তখনও তার মুখ থেকে আমরা এ ধরনের কথা শুনেছিলাম। ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে বাংলাদেশ এ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। মোদির ঢাকা সফরের সময় উপাঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা বিবিআইএন স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ফলে আজ যখন সুষমা স্বরাজ বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশের কথা প্রথমে গুরুত্ব দেয়ার কথা বলেন, আমি তাতে অবাক হই না। কিন্তু আমরা দেখতে চাই, ভারত এগুরুত্বের কথাটি বাস্তবে প্রমাণ করুক। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারত একটি ভূমিকা পালন করতে পারে। ভারত মিয়ানমার সরকারের ওপর ‘চাপ’ প্রয়োগ করতে পারে। মিয়ানমারে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে পারে। ভারত বড় আঞ্চলিক শক্তি। মিয়ানমার তাকে অবজ্ঞা করতে পারে না। ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে বাংলাদেশের স্বার্থ যেখানে সর্বাগ্রে (অন্তত সুষমা স্বরাজের কথা অনুযায়ী), সেখানে ভারত বাংলাদেশের স্বার্থে কতটুকু এগিয়ে আসবেÑ সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ২৩ অক্টোবর মিয়ানমার সফরে যান। এ সফরকে কি মিয়ানমার গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে যখন মিয়ানমারের উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর জেনারেল অং সয়ি অভ্যর্থনা জানান, তখনই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়, মিয়ানমার এ সফরকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি। গুরুত্বের সঙ্গে নিলে স্বয়ং সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকতেন। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন মিয়ানমারে, তখন রাখাইনের সিটওয়ে শহরে কট্টরপন্থী বৌদ্ধরা বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ফেরত না নেয়ার জন্য বিক্ষোভ করেছে। মিয়ানমার টাইমস বিক্ষোভের ছবিও ছেপেছে। এর অর্থ আমার কাছে পরিষ্কার। মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা সময়ক্ষেপণ ছাড়া আর কিছুই নয়। মিয়ানমার আদৌ রোহিঙ্গাদের নেবে বলে আমার মনে হয় না। সবচেয়ে বড় কথা, সেখানে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে কীভাবে? যে হারে বৌদ্ধভিক্ষুরা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে এবং তাদের ফেলে যাওয়া বাড়িঘর দখল করছে, সেখানে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা একটা প্রশ্নের মুখে থাকবে। কিছুদিন আগে মিয়ানমারের এক মন্ত্রী কিয়ন্ট মিন্ট শোয়ে এসেছিলেন। তার সফরে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। মিয়ানমারের মন্ত্রী হাসিমুখে জানিয়েছিলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া হবে! এ আশ্বাস কি মিয়ানমারের গণহত্যাকারীদের আড়াল করা হলো? সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক উত্থাপিত ৫ দফা আলোচিত হয়নি। পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছিলেন, এ আলোচনা পাঁচ দফা সম্পর্কিত নয়। আমরা একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। প্রক্রিয়াটি শুরু হলো। পররাষ্ট্রমন্ত্রী যখন এ ধরনের কথা বলেন, তখন আমি তাতে অবাক না হয়ে পারি না। কেননা প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে উত্থাপিত তার পাঁচ দফায় বাংলাদেশের নীতিগত অবস্থান তুলে ধরেছেন। দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় এ পাঁচ দফা কেন উত্থাপিত হলো না, আমি বুঝতে অক্ষম। নিঃসন্দেহে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন মূল ইস্যু। কিন্তু ৫ দফার মাঝে সুস্পষ্ট রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান আছে। এ তথাকথিত ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনও সমস্যা সমাধান করতে পারবে না। আমরা মোটামুটিভাবে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার ফল জানি। অতীতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে; কিন্তু ফল শূন্য। প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ রোহিঙ্গা আগে থেকেই কক্সবাজার এলাকায় শরণার্থী ক্যাম্পে ও এর আশপাশের এলাকায় বসবাস করে আসছিল। এখন এদের সঙ্গে যুক্ত হলো আরও ৫ লাখের উপরে। অর্থাৎ প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা এখন অবৈধভাবে বাংলাদেশে বসবাস করছে। আন্তর্জাতিক চাপের কারণে মিয়ানমারের মন্ত্রী এসে বলে গেলেন, তাদের নাগরিকদের তারা ফিরিয়ে নেবেন! এটা যে স্রেফ ভাঁওতাবাজি ও সময়ক্ষেপণ, তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের নামে মিয়ানমার আমাদের স্রেফ ‘ব্লাফ’ দিল মাত্র! আমরা তাদের আশ্বাসকে যদি বিশ্বাস করি, ভুল করব। আমি দিব্যি দিয়ে বলতে পারি, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে না। আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা মিয়ানমারের ওপর ‘চাপ’ সৃষ্টি করতে পারলাম না। ‘চাপ’ সৃষ্টি করার একটা কৌশল হচ্ছে মিয়ানমারে গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচার দাবি করা। এ গণহত্যার খবর আন্তর্জাতিক মিডিয়া বলছে; জাতিসংঘের শরণার্থীসংক্রান্ত কমিশনের প্রধান বলেছেন। সুতরাং বাংলাদেশ এ প্রশ্ন তুলতেই পারে এবং এর মাধ্যমে মিয়ানমারকে ‘চাপ’ এ রাখা সম্ভব। কিন্তু বাংলাদেশ এ পথটি এড়িয়ে গেল। এতে কি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে মিয়ানমার? আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ অতিসম্প্রতি ছাপা হয়েছে, যা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। প্রথম খবরটি এসেছে মালয়েশিয়া থেকে। মিয়ানমারে গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচারের জন্য সেখানে একটি গণআদালত গঠিত হয়েছিল। ২২ সেপ্টেম্বর পার্লামেন্ট পিপলস ট্রাইব্যুনাল (পিপিটি) নামে এ আন্তর্জাতিক গণআদালত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অং সান সু চি ও দেশটির সেনাপ্রধানকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। রোহিঙ্গা ও কাচিনদের ওপর চালানো গণহত্যা এবং নিষ্ঠুর নিপীড়নের তদন্তে যুক্ত বিশিষ্টজন ও খ্যাতনামা আইনজীবীদের সমন্বয়ে গঠিত সদস্যদের বিচারক প্যানেল এ রায় দেন। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ মাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোসাইড স্টাডিজ অ্যান্ড প্রিভেনশনের গবেষক অধ্যাপক গ্রেগরি স্ট্যানটনও জবানবন্দি দেন। আদালত ওই রায়ের আলোকে ১৭টি সুপারিশ করেন, যা জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে পাঠানো হবে। দ্বিতীয় খবরটি এসেছে জাতিসংঘ থেকে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে ইরাকে একটি তথ্যানুসন্ধান টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ টিমের উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসলামিক এস্টেটের (আইএস) জঙ্গিরা সেখানে কী ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, সে ব্যাপারে তথ্য অনুসন্ধান করা ও ইরাক সরকারকে সাহায্য করা। ব্রিটেন এ প্রস্তাবটি উত্থাপন করে এবং ১০ লাখ পাউন্ড (১৩ লাখ ৩৫ হজার ডলার) প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়। যারা আইএস কর্তৃক নির্যাতিত হয়েছে, তাদের কিছুটা ‘শান্তি’ দেয়ার জন্যই এ অর্থ দেয়া হবে। এখানে বলে রাখা ভালো, ২০১৪ সালে আইএসের জঙ্গিরা ইরাকের উত্তরাঞ্চলে সিনজির পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের ওপর বড় ধরনের জাতিগত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। যাকে পরবর্তী সময়ে জাতিসংঘ ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছিল। ওই সময় শত শত তরুণী ইয়াজিদি মেয়েকে ধরে এনে তাদের যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করা হতো। তাদের করুণ কাহিনী ওই সময় সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল। এখন নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের ওপর যে নির্যাতন ও গণহত্যা হয়েছে, তা তদন্তে একটি তথ্যানুসন্ধান টিম গঠন করা হবে।
উপরে উল্লিখিত দুইটি সংবাদ বিচ্ছিন্ন হলেও একটা মিল আছে। আর তা হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধের বিচার ও দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা। এটা সত্য, মালয়েশিয়ার পিপিটির কোনো আইনগত বৈধতা নেই। এটা সিম্বলিক অর্থাৎ প্রতীকী আদালত; কিন্তু এর একটি প্রতিক্রিয়া আছে। এ ধরনের ঘটনায় একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গঠনে সহায়তা করে থাকে। রোম স্ট্যাটিটিউটে (১৯৯৮, কার্যকর ২০০২) এ ধরনের আদালত গঠন করার কথা বলা হয়েছে। ইরাকে এ ধরনের আদালত আগামীতে গঠিত হবে এবং আমার ধারণা, আমরা যদি মিয়ানমারের গণহত্যার ঘটনা সত্যিকারভাবে আন্তর্জাতিক আসরে তুলে ধরতে পারি, তাহলে মিয়ানমারের ব্যাপারে একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গঠন করা সম্ভব।
জসুয়া কুরলানটসিক (Joshua Kurlantyick) ১ অক্টোবর the National-এ একটি প্রবন্ধ লিখেছেন। প্রবন্ধটির শিরোনাম Aung san suu ïi is the bad Gyuing the Rohingga crisis, But what about the man directly responsible for massacres? শিরোনাম থেকেই বোঝা যায়, কী বলতে চাচ্ছেন তিনি। যে কথাটা আমরা বারবার বলে আসছি, সে কথাটাই বলেছেন তিনি; অর্থাৎ গণহত্যা ও উচ্ছেদ অভিযানের দায় সু চি এড়াতে পারেন না। তবে তিনি বেশি দায়ী করেছেন সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল অং হ্লাইংকে। তার মন্তব্য অনেকটা এরকম It needs to give the ¸anmar generals a serious warning. Doing so might lead the military to holt its attraction, but more importantly, it would suggest that army leaders can not continue a scorched earth policy and let Ms Suu Kyi take all the public criticism. পশ্চিমাদের উচিত জেনারেল অং হ্লাইংকে একটা কড়া মেসেজ দেয়া। ব্যবসায়িক ও করপোরেট স্বার্থ এখানে এত বেশি যে, পশ্চিমা বিশ্ব এ জেনারেলকে এখনও সমীহ করে চলছেন। জেনারেল হ্লাইং ভারত সফরেও এসেছিলেন। তখন তিনি মোদির পাশাপাশি ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাপ্রধান অজিত দোভালের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। সুতরাং জেনারেল হ্লাইংয়ের ওপর যদি ‘চাপ’ প্রয়োগ করা না যায়, তাহলে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান আদৌ হবে না। এখন ভারতের জাতীয় স্বার্থের আলোকে ভারত কি আদৌ জেনারেল হ্লাইংয়ের ওপর কোনো চাপ প্রয়োগ করবে? সু চি এখানে গৌণ। জেনারেল হ্লাইংয়ের ওপর এখন সবকিছু নির্ভর করছে। সুষমা স্বরাজ এসে গেছেন। বলেছেন, বাংলাদেশের স্বার্থ তিনি আগে দেখবেন। এসব কথার কথা। বাংলাদেশের স্বার্থ যদি তিনি আগে দেখেন (?), তাহলে তিনি এখন মিয়ানমার যাবেন। কিন্তু তার আগামী সফরসূচিতে মিয়ানমার নেই। তাই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান বাংলাদেশকেই করতে হবে। রোহিঙ্গা সমস্যার আন্তর্জাতিকীকরণ করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।