রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

লাস ভেগাসে হত্যাকাণ্ড, আইএস-সংশ্লিষ্টতা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি

লাস ভেগাস হত্যাকা-ের সঙ্গে আইএসের সম্পৃক্ততা আছে কি নেই, আমার কাছে তা বিবেচ্য নয়। বিবেচ্য হচ্ছে, আইএস এর দায় স্বীকার করেছে। এ হত্যাকা-ের আগে স্টিফেন প্যাডক যে ১ লাখ ডলার ফিলিপাইনে পাঠিয়েছিলেন, এটা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে ফিলিপাইনের জঙ্গি কার্যক্রমে তিনি সহায়তা দিয়ে থাকতে পারেন! এখন রোহিঙ্গা মুসলমানদের দুরবস্থার সুযোগে এ রকম দাতা এগিয়ে আসতে পারে। আরেকজন স্টিফেন প্যাডকের জন্ম হতে পারে! তাই রোহিঙ্গা পরিস্থিতির দিকে সবার দৃষ্টি থাকবেই। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ক্যাম্পে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন
ডালাস থেকে লাস ভেগাসের দূরত্ব গাড়িতে ১ হাজার ২১৮ মাইল। ডালাসে আমি বসবাস করি। ছোট শহর, হাইল্যান্ড ভিলেজ। ছিমছাম। মূলত কিছুটা ধনী ব্যক্তিরাই এখানে থাকেন। কোনো অ্যাপার্টমেন্ট নেই। সব নিজস্ব বাড়ি। দীর্ঘমেয়াদি লিজে বাড়ি কিনতে হয়। আমাদের এক প্রতিবেশী গেল ২ অক্টোবর গিয়েছিলেন লাস ভেগাসে। উদ্দেশ্য জুয়া খেলা। পাঠকমাত্রই জানেন, লাস ভেগাস কী জন্য বিখ্যাত। সেখানে রয়েছে বেশ কয়েকটি বড় বড় ক্যাসিনো, যেখানে জুয়া খেলা হয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, যেসব হোটেলে জুয়া খেলা হয়, সাধারণত সেসব হোটেলে রাত্রীবাস ফ্রি; অর্থাৎ যারা জুয়া খেলতে আসেন, তারা থাকেন ফ্রি, আর জুয়া খেলে হয় হেরে যান, নয়তো আবার জিতে নিয়ে যান মিলিয়ন ডলার। গত ২ অক্টোবর ওই লাস ভেগাসেই ঘটল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম হত্যাকা-। একজন পেশাদার জুয়াড়ি স্টিফেন প্যাডক গুলি করে মারল ৫৯ জন সাধারণ মানুষকে। এ ঘটনায় হতবাক সারা যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ। আরও অবাক হয়েছে এটা শুনে যে, আইএস অর্থাৎ চরমপন্থী সংগঠন ইসলামিক স্টেট এ হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত। আইএস তার দায় স্বীকারও করেছে। আইএসের জড়িত থাকার বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে নানা গুজব তৈরি হয়েছে। আসলেই কি আইএস জড়িত? আইএস দাবি করেছে, ৬৪ বছরের প্যাডক এক মাস আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এর সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। অনেকটা নিরীহ গোছের মানুষ ছিলেন প্যাডক। তার তথাকথিত ইসলামিক স্টেট জঙ্গি দলে যোগদান, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ এফবিআই কিংবা হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কেউ জানল না? নাকি আইএসের দাবি মিথ্যা? সত্যি হোক, মিথ্যা হোক, আইএস নিয়ে এ দেশে সন্দেহ বাড়ছে। এ ধরনের হত্যাকা- অতীতেও ঘটেছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, এককভাবেই এসব হত্যাকা- সংঘটিত হয়েছে, যেসব ঘটনাকে Lone wolf attackহিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
লন্ডনের দি ইনডিপেন্ডেন্ট পত্রিকা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে গেল ২৭৫ দিনে ২৭৩টিLone wolf attack-এর ঘটনা ঘটেছে। আর বিখ্যাত সংবাদ সাময়িকী ইকোনমিস্ট ১৯৮২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে যত সন্ত্রাসী হত্যাকা- ঘটেছে, তার একটি বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে। তাতে দেখা যায়, ২০১২ সালের পর থেকে এ ধরনের হামলার প্রবণতা বেড়েছে। পাঠক নিশ্চয়ই স্মরণ করতে পারেন অরল্যান্ডো নাইটক্লাবে হামলার কথা (২০১৬, মৃত্যু ৪৯ জন); ক্যালিফোর্নিয়ার সানমারডিনোতে হত্যাকা-ের খবর (২০১৫, মৃত্যু ১৪ জন) কিংবা নিউটাউন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হত্যাকা-ের কথা (২০১২, মৃত্যু ২৭ জন)। সেসব হত্যাকা-ের সঙ্গে কখনোই কোনো জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠেনি; এখন উঠছে। উঠেছে এ কারণে যে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ইউরোপে, বিশেষ করে ফ্রান্স, ব্রাসেলস, জার্মানি কিংবা লন্ডনে জঙ্গি আক্রমণ বেড়েছে। আইএসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জঙ্গিরা, যারা একসময় সিরিয়ায় যুদ্ধে করেছে, তারা এখন ইউরোপে ফিরে গিয়ে জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে গেল ২ বছরে যেসব জঙ্গি আক্রমণ হয়েছে, তাতে আইএসের সংশ্লিষ্টতা থাকা অবিশ্বাস্য কোনো বিষয় নয়। তবে লাস ভেগাসের হত্যাকা-ের সঙ্গে আইএসের সংশ্লিষ্টতা থাকলেও তা যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো স্বীকার করবে কিনা, এটা একটা বড় প্রশ্ন।
যারা বিশ্বব্যাপী জঙ্গি কার্যক্রম নিয়ে কাজ করেন, তারা লক্ষ করেছেন, সিরিয়া-ইরাকের আইএসের কার্যক্রম সীমিত হয়ে আসছে। আইএস সেখানে পরাজিত হয়েছে অনেকটা। তবে এখানে যেসব জঙ্গি
যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল, তারা এখন সেখান থেকে সটকে পড়েছে। আগামীতে জঙ্গি কার্যক্রম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিস্তৃত হবে বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। এক্ষেত্রে দুইটি দেশের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন অনেকে। একটি ফিলিপাইনে অপরটি মিয়ানমারÑ বাংলাদেশে রোহিঙ্গা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে। দ্য ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিন অক্টোবর (২০১৭) সংখ্যায় অধ্যাপক জাকারি আবুজার (Zachary Abuza)একটি প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে ফিলিপাইনের জঙ্গিবাদের প্রসার নিয়ে। অধ্যাপক আবুজা যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত  National War Collageএর একজন অধ্যাপক। তার প্রবন্ধের নাম Mayhem in Marawi ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলের একটি শহর মারাবি ((Marawi))সেখানে গত মে (২০১৭) থেকে ফিলিপাইনের সেনাবাহিনী আইএস-সংশ্লিষ্ট আবু সায়াফ গ্রুপের সঙ্গে যে যুদ্ধে লিপ্ত, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। গত ৪ মাসে সেখানে জঙ্গিদের সঙ্গে যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন সেনাবাহিনীর ১৪৭ সদস্য এবং ৪৭ জন সিভিলিয়ান। জঙ্গিদের সঙ্গে যুদ্ধে ওই শহরটি পরিপূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। এ যুদ্ধের সঙ্গে সিরিয়া-ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে সিরিয়া ও ইরাকি বাহিনী যে যুদ্ধ পরিচালনা করছে, তার কথা মনে করিয়ে দেয়। সেনাবাহিনী এখনও মারাবি শহরের নিরাপত্তার নিয়ন্ত্রণভার নিতে পারেনি। শহরটি এখন পরিপূর্ণভাবে পরিত্যক্ত। শহরের শতভাগ বসতবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এখন সম্প্রসারিত হয়েছে ফিলিপাইনে। সিএনএন গেল ২৯ মে (২০১৭) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেÑPhillippines; The next ISIS stronghold?অর্থাৎ ফিলিপাইন কি হতে যাচ্ছে আইএসের পরবর্তী শক্তিশালী ঘাঁটি? ওই প্রতিবেদনে একটি মসজিদে আইএস কর্তৃত্ব তাদের পতাকা উত্তোলন করার দৃশ্য আমরা দেখেছিলাম। এ অঞ্চলের তিনটি দেশেÑ ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া আর ইন্দোনেশিয়ায় গত ২ বছরে যেসব জঙ্গি কর্মকা- হয়েছে এবং যার সঙ্গে আইএস জড়িত, তার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে সিএনএনের প্রতিবেদনে। পাঠকদের সেখান থেকে কিছু তুলে দিচ্ছিÑ জুন ২৮, ২০১৬ কুয়ালালামপুরের একটি নাইটক্লাবে জঙ্গি হামলায় আটজনের মৃত্যু। জানুয়ারি ১৪, ২০১৬ জাকার্তায় সন্ত্রাসী হামলায় চারজনের মৃত্যু। জাকার্তায় মে ২৪, ২০১৭ সন্ত্রাসী হামলায় তিনজনের মৃত্যু। ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ফিলিপাইনের দাভাও শহরÑ সন্ত্রাসী বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু ১৪ জন। আর মারাবির ঘটনা আমরা আগেই উল্লেখ করেছি। প্রতিটি ঘটনায় আইএস তার দায় স্বীকার করেছে। গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন তৎপর, যাদের সঙ্গে আইএসের যোগাযোগ রয়েছে। যেমন বলা যেতে পারে মরো লিবারেশন ফ্রন্টের (এমআইএলএফ) কথা। এরা তৎপর সুলু দ্বীপপুঞ্জ এলাকায়। সুলু দীপপুঞ্জ এলাকায় Bangsamoro Islamic Freedom Fighters-I (BIFF) তৎপর। জাকার্তায় তৎপর জামেইয়া ইসলামিয়া। আবু সায়াফ গ্রুপ ও মাউটে গ্রুপও তৎপর দক্ষিণাঞ্চলে। আবার ব্রুনাইয়ে আবু সায়াফ গ্রুপ তাদের তৎপরতা সম্প্রসারিত করেছে। সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক Centre for Political Violence and Terrorism Research তাদের এক গবেষণায় উল্লেখ করেছে, আইএস সম্প্রতি সিরিয়া-ফেরত জঙ্গিদের নিয়ে এ অঞ্চলে নতুন একটি ব্রিগেড তৈরি করেছে, যার নাম Katibah Al Muhajirপুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এ ব্রিগেডের তৎপরতা রয়েছে। এ ব্রিগেডের নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাপিলন নামে এক জঙ্গি। হাপিলন এসেছেন সুলু অঞ্চল থেকে। ২০১৬ সালে আইএস তাকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আমির হিসেবে ঘোষণা করে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, মার্কিনি গোয়েন্দাদের মতে হাপিলন ইংরেজি বা আরবি ভাষা কিছুই বোঝেন না এবং ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে তার জ্ঞানও সীমিত। যুক্তরাষ্ট্র তাকে ধরার জন্য ৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেছে। কয়েক হাজার জঙ্গি বর্তমানে এ অঞ্চলে জঙ্গি তৎপরতায় লিপ্ত। ফলে আগামী দিনগুলোয় এ অঞ্চলে যে অস্থিরতা বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য। এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ওই জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত হলো রোহিঙ্গাদের নাম। ফিলিপাইনে জঙ্গি উত্থানের পাশাপাশি এখন রোহিঙ্গা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে যেতে পারে বলে অনেক গবেষক আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সিএনবিসি (যুক্তরাষ্ট্র) টিভি চ্যানেল তাদের এক প্রতিবেদনে (১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭) বলেছে, রোহিঙ্গা সংকটকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো সুযোগ নিতে পারে। একটি আশঙ্কার কথা বলছেন অনেকে যে, রাখাইন অঞ্চল সমুদ্রবেষ্টিত হওয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়, বিশেষ করে সুলু অঞ্চলে (মিন্দানাও) অবস্থানরত জিহাদিরা সমুদ্রপথে রাখাইনে যেতে পারে এবং সেখানে সন্ত্রাসী তৎপরতায় লিপ্ত হতে পারে। সুলু অঞ্চল (ফিলিপাইন) আর রাখাইন অঞ্চলের অনেক মিল আছে। অস্ত্র আনা-নেয়া কিংবা সন্ত্রাসীদের মুভমেন্টের জন্য সমুদ্রপথ খুবই উপযোগী। ফলে ফিলিপাইনের জিহাদিরা যদি ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর মারাবি থেকে উৎখাত হয়ে আরাকানে আশ্রয় নেয়, আমি অবাক হব না। এখন পর্যন্ত আরাকানে আরাকান সালভেশন আর্মির খবর আমরা জানি, যাদের মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়ি আক্রমণের কারণে বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এর বাইরেও আরও কয়েকটি গ্রুপের অস্তিত্ব রয়েছে। মজার ব্যাপার, সালভেশন আর্মি খুব বড় সশস্ত্র সংগঠন নয়। কোচিন লিবারেশন ফোর্স মিয়ানমারের বড় বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ। এরা কোচিন প্রদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। কিন্তু মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সেখানে জাতিগত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেনি। কোচিনরা ধর্মীয়ভাবে খ্রিস্ট ধর্মে বিশ্বাসী। বোঝাই যায়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ ভিক্ষুরা মুসলমানদের টার্গেট করেছে। এখন সালভেশন আর্মি কতটুকু রোহিঙ্গাদের স্বার্থ দেখে, সেটা নিয়েও প্রশ্ন আছে। রোহিঙ্গারা অনেকেই বলেছেন, তারা এ সংগঠনটির ব্যাপারে তেমন কিছু জানেন না। এরই মধ্যে এ সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের সঙ্গে আইএসের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে এ অঞ্চলের ব্যাপারে আইএসের আগ্রহ আছে, এটা বোগদাদির একটি বক্তব্যে আমরা জেনেছিলাম ২০১৪ সালেই। এখন নতুন করে ৭ লাখ রোহিঙ্গা (পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর স্ট্যাটাস অনুযায়ী) বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এদের যে জঙ্গিরা টার্গেট করবে, এটা বলাই বাহুল্য। জঙ্গিরা সুযোগটি নেবে। রোহিঙ্গাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে জঙ্গি কার্যক্রম বৃদ্ধি পেতে পারে, যা বাংলাদেশের নিরাপত্তাকে একটি সংকটের মুখে ঠেলে দিতে পারে। 
লাস ভেগাস হত্যাকা-ের সঙ্গে আইএসের সম্পৃক্ততা আছে কি নেই, আমার কাছে তা বিবেচ্য নয়। বিবেচ্য হচ্ছে, আইএস এর দায় স্বীকার করেছে। এ হত্যাকা-ের আগে স্টিফেন প্যাডক যে ১ লাখ ডলার ফিলিপাইনে পাঠিয়েছিলেন, এটা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে ফিলিপাইনের জঙ্গি কার্যক্রমে তিনি সহায়তা দিয়ে থাকতে পারেন! এখন রোহিঙ্গা মুসলমানদের দুরবস্থার সুযোগে এ রকম দাতা এগিয়ে আসতে পারে। আরেকজন স্টিফেন প্যাডকের জন্ম হতে পারে! তাই রোহিঙ্গা পরিস্থিতির দিকে সবার দৃষ্টি থাকবেই। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ক্যাম্পে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন। ফিলিপাইনে জঙ্গি কার্যক্রমের পর রাখাইন রাজ্যে জঙ্গি কার্যক্রম কোন দিকে যায়, সেটাই এখন আমাদের সবার দেখার বিষয়। 


আলোকিত বাংলাদেশ ৮ অক্টোবর ২০১৭

0 comments:

Post a Comment