রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

Prof Dr Tareque Shamsur Rehman

In his Office at UGC Bangladesh

Prof Dr Tareque Shamsur Rahman

During his stay in Germany

Prof Dr Tareque Shamsur Rahman

At Fatih University, Turkey during his recent visit.

Prof Dr Tareque Shamsur Rehman

In front of an Ethnic Mud House in Mexico

কোন দেশে আমরা বাস করছি


এ 


তারেক শামসুর রেহমান | ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০

ট্রাম্পের ভারত সফর, প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি


ট্রাম্পের ৩৬ ঘণ্টার ভারত সফর শেষ হয়েছে গত মঙ্গলবার। এই সফরে ভারতের প্রাপ্তি কী? আহমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে মোদি-ট্রাম্প কোলাকুলির দৃশ্য, তাজমহলের সামনে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প-মেলানিয়ার একসঙ্গে ছবি তোলা, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করার ঘোষণা কিংবা ৩০০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের ভারত সফর শেষ হয়েছে বটে; কিন্তু রেখে গেছে নানা প্রশ্ন। ট্রাম্পের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে আমন্ত্রণ না জানানোয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নৈশভোজ বর্জন এবং কলকাতাসহ আরো কয়েকটি শহরে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ কিছুটা হলেও ট্রাম্পের এই সফরকে ম্লান করে দিয়েছে। ট্রাম্পবিরোধী যে বিক্ষোভ হয়েছে, তাতে অভিযোগ করা হয়েছে যে এইচ-ওয়ান বি ভিসা থেকে শুরু করে রপ্তানি সমস্যা—কোনো কিছুরই কোনো আশ্বাস দিয়ে যাননি ট্রাম্প।
ট্রাম্প ও মোদির রাজনৈতিক দর্শন এক। উভয়েই একে অপরের প্রশংসা করেন। উভয়ই বলার চেষ্টা করেন যে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র ‘গণতান্ত্রিক দেশ’ ও ‘কৌশলগত অংশীদার।’ চীনের বিরুদ্ধে দুজনের অবস্থান এক ও অভিন্ন। উভয় দেশেই কট্টরপন্থী জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটেছে। ট্রাম্প যে অর্থে ‘হোয়াইট সুপ্রেমেসি’-কে তাঁর স্বার্থে ব্যবহার করছেন, সেখানে মোদি ধর্মকে ব্যবহার করছেন তাঁর স্বার্থে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ট্রাম্পের ভারত সফর প্রাক্কালে এক বিবৃতিতে বলেছিল, ‘মুসলিম বিদ্বেষ যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতকে এক কাতারে নিয়ে এসেছে  (Scroll.in) এই বক্তব্যের পেছনে সত্যতা যে আছে, তা অস্বীকার করা যাবে না।
সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্পের মুসলমানবিরোধী নানা কর্মকাণ্ড এবং মোদি তথা বিজেপি সরকারের মুসলমানবিরোধী ভূমিকা খোদ যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। তাই পি কে বালাচন্দ্রন যখন সাউথ এশিয়া মনিটরে গেলেন, ট্রাম্পের সফরে ভারতের প্রাপ্তি শূন্য; তখন তিনি মিথ্যা কোনো কথা বলেননি’ (২৩ ফেব্রুয়ারি)। আড়ালে ওই সফর ছিল লোক দেখানো। একটি ৩০০ কোটি ডলারের চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির ফলে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে কিছু হেলিকপ্টার ও অন্যান্য সরঞ্জাম বিক্রি করবে। এই হেলিকপ্টারগুলো এমএইচ-৬০  (MH-60)  ধরনের, যা কি না ভারতে পুরনো ‘সি কিং’ ধরনের ব্রিটিশ হেলিকপ্টারের স্থলাভিষিক্ত হবে। এই হেলিকপ্টার সরবরাহ নিঃসন্দেহে পাকিস্তান ও চীনের বিরুদ্ধে এক ধরনের হুঁশিয়ারি। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে তিনি যে মন্তব্য করেছেন, তাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এক ধরনের হুঁশিয়ারি ছিল বলে অনেকে মনে করেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি মোদির প্রশংসা করেছেন এবং ভারতকে এক মহান দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ট্রাম্প মোতেরা স্টেডিয়ামে বলেছেন, ভারত এমন একটি দেশ, যেখানে হিন্দু, মুসলমান, শিখ, জৈন ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা একসঙ্গে বসবাস করেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মোদি সরকার মুসলমানবিরোধী যেসব কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছেন, তা এড়িয়ে গেছেন। মোদিকে খুশি করে ট্রাম্প বক্তব্য দিলেও দেখা গেছে এই সফরে ভারতের ‘লাভটা’ কম। ‘লাভের’ পাল্লাটা যুক্তরাষ্ট্রের দিকেই বেশি ঝুঁকে গেছে। ভারতের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
ট্রাম্প তাঁর ভারত সফর শুরু করার আগে গেল বছরই (জুন ২০১৯) ভারত বাণিজ্যে যে জিএসপি  (GSP-Generalised system of preference) সুবিধা পেত, তা বাতিল করে দিয়েছিলেন, যা ভারতে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছিল। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র অনুন্নত দেশগুলোকে তাদের রপ্তানি পণ্যে বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে ভারত বর্তমানে আর অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নেই। ভারত ধীরে ধীরে উন্নত দেশের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতি ভারতের (জিডিপি সাধারণ হিসাবে ২.৯৪ ট্রিলিয়ন ডলার, আর ক্রয় ক্ষমতার হিসাবে পিপিপিতে এর পরিমাণ ১০.৫১ ট্রিলিয়ন)। সুতরাং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারত যে ট্যারিফ সুবিধা পেত, ট্রাম্প প্রশাসন তা বাতিল করে দিয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন একটি বার্তা দিয়েছিল তারা কী চায়।
ট্রাম্প এও বলেছিলেন যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারত তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে না। সেই থেকে অর্থাৎ গত বছরের জুন থেকে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য এক ধরনের ‘অবিশ্বাস ও আস্থাহীনতার’ মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তাদের মাঝে স্পষ্ট মতানৈক্য রয়েছে। দিল্লি চায় ভারতীয় ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করুক ওয়াশিংটন। বিনা শুল্কে মার্কিন বাজারে নির্দিষ্ট কিছু ভারতীয় পণ্যকে ঢুকতে দেওয়া হোক। অন্যদিকে কৃষিজাত পণ্য ও চিকিৎসা যন্ত্রাংশের ব্যবসা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। ডিজিটাল পণ্যসহ তাদের একাধিক পণ্য থেকে ভারত শুল্ক প্রত্যাহার করুক—এমনটাই দাবি তাদের। ট্রাম্প এর আগে প্রকাশ্যেই অভিযোগ করেছিলেন যে মার্কিন বাজারে ভারত বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করলেও ভারতীয় বাজারে মার্কিন পণ্যকে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয় না। বড় ধরনের বাণিজ্য চুক্তি নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। ব্যক্তিগতভাবে তিনি নরেন্দ্র মোদিকে পছন্দ করেন—এ কথাটা তিনি আগেও জানিয়েছেন। এবারও বলেছেন সে কথা। পাঠক, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে প্রবাসী ভারতীয়দের উন্মুক্ত অনুষ্ঠান ‘Howdy Modi’র  কথা স্মরণ করতে পারেন। ওই অনুষ্ঠানেও মোদি ও ট্রাম্প একসঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেই একই আদলে এবার ট্রাম্পের ভারত সফরের সময় আহমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে ট্রাম্প ও মোদি একসঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। ‘নমস্তে ট্রাম্প’ হিন্দি ভাষা। এর অর্থ শুভেচ্ছা ট্রাম্প। এক লাখ লোক উপস্থিত ছিল ওই অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে ট্রাম্প নিজেও হিন্দি ভাষায় ‘নমস্তে’ বলে বক্তৃতা শুরু করেছিলেন।
ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মোদি এই মুহূর্তে খুব ভালো আছেন, এটা বলা যাবে না। কাশ্মীর প্রশ্নে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ বাতিল করে দিয়ে মোদি যে বিতর্কের সূচনা করেছিলেন, তার অবসান হয়নি। কাশ্মীর মূলত এখন এক ধরনের ‘বন্দি শিবিরে’ পরিণত হয়েছে। কাশ্মীরি নেতারা এখন সেখানে গৃহবন্দি। পাকিস্তান একাধিকবার কাশ্মীর প্রশ্নটি জাতিসংঘে উত্থাপন করেছে। আর ট্রাম্প নিজে কাশ্মীর প্রশ্নে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব করেছিলেন, যা কিনা ভারত সরকার শুধু প্রত্যাখ্যানই করেনি; বরং জানিয়ে দিয়েছিল এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বেশ কয়েকটি ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে মতানৈক্য থাকলেও ট্রাম্প ভারত সফরকে বেছে নিলেন কেন? এর পেছনে রয়েছে ভারতের স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব।
আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দু-দুবার ভারত সফর করেছেন। ওবামা ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘defining partnership'। একুশ শতকে বিশ্বরাজনীতির গতি-প্রকৃতি অনেকটাই নির্ভর করবে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ওপর—এমন মন্তব্যই ছিল ওবামার। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ওবামা ভারতের ‘রিপাবলিকান ডে’র অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ওই সময় প্রায় ২০০ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল নিয়ে ওবামা ভারত সফর করেছিলেন। ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করার মাত্র ছয় মাসের মাথায় মোদি যখন রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে ওয়াশিংটনে আমন্ত্রিত হন (২০১৭) তখনই এটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে দুই দেশের সম্পর্ক আরো উন্নত হবে। মোদির ওই সফরে যে চুক্তি হয়েছিল, তাতে দেখা যায় ভারত প্রায় ২.৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান ক্রয় করে। এর মাঝে ড্রোন বিমানও ছিল। এটি পাকিস্তানের জন্য একটি আলাদা ‘চাপ’ সৃষ্টি করেছিল। কেননা এরই মাঝে ঘোষিত হয়েছে যে পাকিস্তান চীন থেকে ১০০টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ক্রয় করবে। ভারত কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান ক্রয় করার সিদ্ধান্ত উপমহাদেশে এক ধরনের অস্ত্র প্রতিযোগিতার জন্ম দিল।
ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে চীন একটি ফ্যাক্টর। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষকদের কাছে এটা এখন স্পষ্ট যে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনা প্রভাব কমাতে ট্রাম্প প্রশাসন আগামী দিনে ভারতকে ব্যবহার করবে। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে বিরোধ, তাতে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে তার পাশে চায়। ভারত দক্ষিণ চীন সাগরে ভিয়েতনাম নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কিছুদিন আগে চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছিল, যা চীন খুব ভালো চোখে দেখেনি। এমনিতেই দোকলাম  ঘটনার পর (২০১৭) চীন-ভারত উত্তেজনা কিছুটা হ্রাস পেলেও এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত হয়েছে, এটা বলা যাবে না। চীনের মহাপরিকল্পনা ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোডে’ ভারত যোগ দেয়নি। চীনের এই মহাপরিকল্পনার ব্যাপারে ভারতের সন্দেহ রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় চীন তার প্রভাব বাড়াতে চায়, এটা ভারতের পছন্দ নয়। এখানে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এক। আফগান প্রশ্নেও দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন চাচ্ছে আফগানিস্তানে ভারত একটি বড় ভূমিকা পালন করুক। ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি ও ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করলেও ভারত যখন ইরানের চাহবাহার (সিসতান বেলুচিস্তানের বন্দর) বন্দর উন্নয়নের উদ্যোগ নেয় এবং চাহবাহার থেকে আফগানিস্তান পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ করছে, তখন এই পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আপত্তি ছিল না। চীন যখন গাওদার (পাকিস্তান, বেলুচিস্তান) বন্দর নির্মাণ করে ভারত মহাসাগরে তার প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়াতে চাইছে, ঠিক তখনই ভারত চাহবাহার বন্দরটি নির্মাণ করছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ সমর্থন রয়েছে।
ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের একটি সামরিক দিকও রয়েছে। ওবামা প্রশাসনের আমলে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একটি সামরিক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিল। ওই চুক্তি বলে উভয় দেশ তার নিজ দেশের সামরিক ঘাঁটি অন্য দেশকে ব্যবহার করতে দেবে। এর অর্থ হচ্ছে আগামী দিনে মধ্যপ্রাচ্যে কিংবা পারসীয় অঞ্চলের সংকটে যুক্তরাষ্ট্র যদি সামরিকভাবে জড়িত হয়, তাহলে ভারতীয় বিমান ঘাঁটিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী রিফুয়েলিংয়ের জন্য ব্যবহার করতে পারবে। অতীতে চন্দ্রশেখর সরকার (নভেম্বর ১৯৯০-জুুন ১৯৯১) যুক্তরাষ্ট্রকে এই অধিকার দিয়েছিল। ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা চুক্তিও রয়েছে। ২০০৮ সালে বিগত ইউপিএ সরকার চুক্তিটি স্বাক্ষর করলেও মোদি সরকারের সময় এটি অনুমোদিত হয়। এই  চুক্তির ফলে যুক্তরাষ্ট্র ভারতে একটি পারমাণবিক চুল্লি বসাবে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত হবে। একটি বীমা তহবিলও গঠন করা হবে। ওবামা প্রশাসনের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের যে চুক্তি হয়েছিল, তাতে ভারত ছোট আকারের ‘সাঙেন মিনি’ নামে ছোট ড্রোন বিমান তৈরি করবে। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ওই চুক্তি বলে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিন টাটা কম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে ভারতে এফ-১৬ বিমান নির্মাণ করবে।
ট্রাম্পের ভারত সফরে ভারতের প্রাপ্তি খুব বেশি না হলেও ব্যক্তি মোদি উপকৃত হয়েছেন। অভ্যন্তরীণ নানা ইস্যুকে পাশ কাটিয়ে তিনি যে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন, ট্রাম্পের প্রশংসা তার বড় প্রমাণ।
Kalerkontho
27.02.2020

করোনা ভাইরাস নিয়ে নানা কথা


advertisement
করোনা ভাইরাস বা কভিড-১৯ এখন বিশ্ব মিডিয়ায় অন্যতম আলোচিত একটি বিষয়। এটি ভাইরাসজনিত একটি মারাত্মক রোগ, যা চীনের উহান শহরে প্রাদুর্ভাব ঘটালেও ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দুটি সম্ভাবনাকে সামনে নিয়ে আসছে। এক. এটা এক ধরনের জীবাণু অস্ত্র, যা বিশেষ ল্যাবে তৈরি হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তা ল্যাব থেকে ‘লিক’ হয়ে যায়। অভিযোগ আছে, চীন উহান শহরের কোনো একটি ল্যাবে এ ধরনের জীবাণু অস্ত্র তৈরি করছিল। দুই. আবার এমন আশঙ্কার কথাও বলা হচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের জীবাণু অস্ত্র তৈরি করে তা কৌশলে চীনে ছড়িয়ে দেয়। উদ্দেশ্য পরিষ্কারÑ চীনের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা। গেল ডিসেম্বরে চীনের হুবাই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রথম করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এর পর দুমাসের বেশি সময় পার হয়ে যাওয়ার পর এবং দুহাজারের বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর জানা গেলেও এখন অবধি করোনা ভাইরাসকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এখনো নতুন নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর ছাপা হচ্ছে সংবাদপত্রে। করোনা ভাইরাসে বিদেশিদের মৃত্যুর খবরও পত্রিকায় এসেছে। চীনের ভূখ- ছাড়িয়ে এ ভাইরাসটি এখন ছড়িয়ে পড়ছে অন্যান্য দেশে।
করোনা ভাইরাস এখন এক আতঙ্কের নাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। এই মুহূর্তে এটা এখন আর শুধু চীনের কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা নয়, এটা একটা বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। অক্সফোর্ডের একজন গবেষকের মতে, চলতি বছরের শেষের দিকে এর কারণে বিশ্ব জিডিপি ১ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হবে (এশিয়া টাইমস, ২০ ফেব্রুয়ারি)। আর ‘গ্লোবাল ভয়েজ’-এর মতে, উহানের একটি কাঁচা ও মৎস্যবাজার থেকে যে ভাইরাসের জন্ম হয়েছে বলে ধরা হয়, তা শুধু চীনই নয়, পুরো বিশ্বব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। কভিড-১৯ এর ব্যাপক প্রাদুর্ভাব এবং তা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা খোদ চীনের রাজনৈতিক কাঠামোয় বড় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে যাচ্ছে। ২০০২-২০০৩ সালে চীনে সার্সের প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিল। এখন কভিড-১৯ তাকেও ছাড়িয়ে গেছে। একটি বড় সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব।
করোনা ভাইরাসের কারণে আজ যে চীনেরই ক্ষতি হলো তেমনটি নয়, বরং দেখা যাবে বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থায়ও এর একটা প্রভাব পড়বে। যেসব দেশের সঙ্গে চীনের ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে, প্রতিটি দেশে এর প্রভাব পড়বে। বিশ্ব জিডিপির পাঁচ ভাগের এক ভাগ চীনের। চীন বিশ্বের অন্যতম রপ্তানিকারক দেশ। চীনা পণ্যের ওপর, চীনা কাঁচামালের ওপর অনেক দেশ নির্ভরশীল। বাংলাদেশের মতো দেশও তার গার্মেন্টসশিল্পের কাঁচামালের জন্য চীনের ওপর নির্ভরশীল। এখন সেই সরবরাহে যদি বিঘœ ঘটে, তা হলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পে বিপর্যয় আসতে বাধ্য। বাংলাদেশের রপ্তানি খাতও এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গত এক মাসের ওপরে চীনের উৎপাদন ব্যবস্থায় বিপর্যয় ঘটেছে, রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যা বিশ্ব অর্থনীতিতে কিছুটা হলেও আঘাত হানবে। আমরা একটা পরিসংখ্যান দিয়ে বোঝাতে চেষ্টা করব যে, চীনের রপ্তানি খাত কীভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে। ২০১৮ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী চীনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক (চীন থেকে আমদানির হিসাবে) নিম্নরূপ : যুক্তরাষ্ট্রের আমদানির ১৯ দশমিক ২ ভাগ সম্পন্ন হয় চীনের সঙ্গে (৪৭৯.৭ বিলিয়ন ডলার)। পরের অবস্থান হংকংয়ের। হংকং আমদানি করে (চীন থেকে) ৩০৩ বিলিয়ন ডলার (১২.১ ভাগ)। তৃতীয় অবস্থানে আছে জাপান, ১৪৭.২ বিলিয়ন ডলার, ৫.৯ ভাগ। চতুর্থ অবস্থানে দক্ষিণ কোরিয়া, ১০৯ বিলিয়ন (৪.৪ ভাগ)। পঞ্চম অবস্থানে ভিয়েতনাম, ৮৪ বিলিয়ন (৩.৪ ভাগ)। ষষ্ঠ অবস্থানে জার্মানি ৭৭.৯ বিলিয়ন (৩.১ ভাগ)। 
করোনা ভাইরাসের কারণে চীনের রপ্তানি খাত এখন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যে ছয়টি দেশ চীনের ওপর নির্ভরশীল, তাদের এখন চীনের বিকল্প দেশ খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু কাজটি সহজ নয়। আরও একটি তথ্য দিই। ইতোমধ্যে কোনো কোনো গণমাধ্যমে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে শ্লথ গতি আসবে, তার একটি পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। প্রথম চার মাসের বিশ্ব জিডিপি প্রবৃদ্ধির যে প্রাক্কলন করা হয়েছে তা অনেকটা এ রকম : হংকং : মাইনাস ১.৭৩ ভাগ, বিশ্ব : মাইনাস ০.৪১৬ ভাগ, দক্ষিণ কোরিয়া : মাইনাস ০.৪০৮ ভাগ, যুক্তরাষ্ট্র : মাইনাস ০.১১৬ ভাগ, জাপান : মাইনাস ০.২২৩ ভাগ, জার্মানি : মাইনাস ০.১৬৭ ভাগ। অর্থাৎ বিশ্বের শীর্ষ শিল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতিটির ক্ষেত্রে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ‘মাইনাস’ প্রাক্কলন করা হয়েছে (ছতঊজঙ ১০ ফেব্রুয়ারি)। অভিযোগ আছে, করোনা ভাইরাসটি একটি জাতিগত বায়ো উইপন। উহানে যারা মারা গেছে তারা সবাই চৈনিক। তবে সেখানে একজন মার্কিন নাগরিকের মৃত্যুর খবরও ছাপা হয়েছে। এখন ওই মার্কিন নাগরিকের মাধ্যমেই কী এই ভাইরাসটি ছড়াল? যদিও বলা হচ্ছে, ৩১ ডিসেম্বর (২০১৯) চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের একটি সামুদ্রিক বাজারে প্রথম করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। আবার বলা হচ্ছে, বাদুড়জাতীয় প্রাণী থেকে এই ভাইরাসের উৎপত্তি। এর পেছনে আদৌ কোনো ‘ষড়যন্ত্র’ আছে কিনা কিংবা বাইরের কোনো ‘শক্তি’র কোনো ইন্ধন আছে কিনা তা কোনো চীনা সংবাদপত্রে এখনো প্রকাশিত হয়নি। কিংবা চীনের পক্ষ থেকেও এ ধরনের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়নি। তবে এটা তো বলতেই হবে, চীন একটি বড় শক্তি। ভাইরাস চিহ্নিত করার ব্যর্থতা কিংবা তথাকথিত ‘ষড়যন্ত্র’ রোধ করার ব্যর্থতা বিশ্বে চীনের গ্রহণযোগ্যতা অনেকাংশে হ্রাস করবে। হয়তো চীন এটা বিবেচনায় নিতে পারে! তবে কতগুলো বিষয় এখানে বিবেচনায় নিতে হবে। এক. চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’ এবং শেষ মুহূর্তে এই বাণিজ্যযুদ্ধ এড়াতে চীন-যুক্তরাষ্ট্র একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের পর পরই চীনের উহানে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটল। চীনের অর্থনীতিকে দুর্বল করা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আরও বেশি নির্ভরশীল করতে চীনকে বাধ্য করার উদ্দেশ্যেই এই ভাইরাস তথা জৈব অস্ত্র ব্যবহার করাÑ ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্বের’ সমর্থকরা এভাবে এর ব্যাখ্যা করতে পারেন। দুই. উহান কেন? উহানকে (হুবাই প্রদেশের রাজধানী) বলা হয় ‘চিকাগো অব দি ইস্ট’। শিল্প তথা গাড়ির খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহের কেন্দ্রস্থল হচ্ছে উহান। ‘হাইটেক’শিল্পের যন্ত্রাংশও জোগান দেয় উহান। ঞংরহমযঁধ টহরমৎড়ঁঢ় (একটি সেমিকনডাক্টর কোম্পানি) ইঙঊ ঞবপযহড়ষড়মু মৎড়ঁঢ়-এর মতো বিশ্ব বিখ্যাত কোম্পানির কারখানা উহানে অবস্থিত। স্মার্টফোন ঢরধড়সর’র নিজস্ব অৎঃরভরপরধষ ওহঃবষষরমবহপব উবাবষড়ঢ়সবহঃ সেন্টার রয়েছে উহানে। চীনের অটো শিল্পের সদর দপ্তর এই উহানে। অত্যাধুনিক বাস ও যানবাহন এখানে তৈরি হয়। টেসলার (ইলেকট্রিক কার) যন্ত্রাংশ এখানে তৈরি হয়। নিক্কি এশিয়ার রিভিউর মতে, হুবাই প্রদেশে যেসব কারখনা আছে, সেখানে ২০১৮ সালে ২.৪২ মিলিয়ন অর্থাৎ ২৪ লাখ ২ হাজার গাড়ি তৈরি হয়েছিল, যা কিনা ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও থাইল্যান্ডে যে গাড়ি তৈরি হয়, তার চেয়ে বেশি। অর্থাৎ মেসেজটি পরিষ্কারÑ অর্থনীতিতে বিপর্যয় আসছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই বিপর্যয় মোকাবিলায় বিশ্ব কতটুকু কী করতে পারবে? বিশ্ব এর জন্য প্রস্তুত ছিল না। একটা ভাইরাস (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যার নামকরণ করেছে ঈঙঠওউ-১৯) যে কত বড় বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, নভেল করোনা ভাইরাস এর বড় প্রমাণ। শিল্পোন্নত দেশগুলো হয়তো এ বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারবে। তাদের সেই প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক সামর্থ্য রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ? বাংলাদেশের আরএমজি সেক্টর এর মোকাবিলা কীভাবে করবে, সে ব্যাপারে দ্রুত একটি টাস্কফোর্স গঠন করা জরুরি। করোনা ভাইরাসকে একটি সাধারণ রোগ বা ভাইরাসজনিত রোগ ভাবলে আমরা ভুল করব। এতে মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়বে। আর এই ভাইরাসের কারণে চীনের পর আঘাত হেনেছে সিঙ্গাপুরেও। ফলে এই ভাইরাসটি একটি জৈব মারণাস্ত্র, কৃত্রিমভাবে জর্জিয়ার এক ল্যাবে এটি তৈরি করা হয়েছে, যা শুধু এশিয়ার মানুষদেরই আক্রান্ত করতে পারেÑ এই ধারণাটি শক্তিশালী হবে এখন।
বলা ভালো, জীবাণু অস্ত্র মানবসভ্যতার জন্য এক ধরনের হুমকি। এই হুমকি পারমাণবিক বিপর্যয়ের চেয়েও ভয়াবহ। জীবাণু অস্ত্রের মাধ্যমে মানবশরীরে ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া ফাংগি প্রবেশ করিয়ে তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়। এটা এতই মারাত্মক যে, এর মাধ্যমে পুরো মানবসভ্যতা ধ্বংস বা বিলুপ্ত করা সম্ভব! এর ভয়াবহতা উপলব্ধি করেই বিশ্ব ১৯৭২ সালে ইরড়ষড়মরপধষ বিধঢ়ড়হং পড়হাবহঃরড়হ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। ১০৯টি দেশ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল যা ১৯৭৫ সালের মার্চ থেকে কার্যকর রয়েছে (বর্তমানে ১৮২টি দেশ এই চুক্তিভুক্ত)। যুক্তরাষ্ট্র ওই চুক্তির স্বাক্ষরকারী দেশ এবং ১৯৭৫ সালে চুক্তিটি অনুমোদনও করে। চীন অনুমোদন করে ১৯৮৪ সালে আর বাংলাদেশ ১৯৮৫ সালে। কিন্তু তার পরও অনেক অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যে, যুক্তরাষ্ট্র গোপনে বিভিন্ন ল্যাবে এই জীবাণু অস্ত্র তৈরি করছে। চুক্তির ১নং ধারা অনুযায়ী কোনো দেশ যে কোনো অবস্থাতেই হোক না কেন, জীবাণু অস্ত্র সংগ্রহ করতে পারবে না। ধারা ২-এ এ ধরনের অস্ত্র ধ্বংস কিংবা ধারা ৩-এ অস্ত্রের ট্রান্সফার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একটি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এ ধরনের অস্ত্র উৎপাদন, গবেষণা, ট্রান্সফার যখন নিষিদ্ধ তখন যুক্তরাষ্ট্র গোপনে এই ধরনের অস্ত্র উৎপাদন ও গবেষণায় নিজেদের নিয়োজিত করেছে। ১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ‘দি প্রজেক্ট ফর অ্যা নিউ অ্যামেরিকান সেঞ্চুরি (চঘঅঈ) বলেছে, advanced forms of biological warfare that can target specific genotypes may transform biological warfare from the realm of teror to a politically useful tool পরিষ্কার বোঝা যায়, মার্কিন কনজারভেটিভদের উদ্দেশ্য কী। তাই পেপে এসকোবার (চবঢ়ব ঊংপড়নধৎ) ংঃৎধঃবমরপ পঁষঃঁৎব-এ একটি প্রবন্ধে (No weapons left behind : the american Hybrid War on China February 21, 2020) মন্তব্য করেছেন এভাবে Theres no question coronavirus so far has been a heaven sent politically useful tool, reaching with minimum investment the desired targets of maximized U.S global power-even it fleetingly enhanced by a non-stop propaganda offensive- and china relatively isolated with its economy semi paralyzed. এই মন্তব্যের পেছনে সত্যতা কতটুকু আছে তা হয়তো ভবিষ্যৎই বলতে পারবে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা বিশ্ব উপলব্ধি করতে পারছে। চীনের অর্থনীতিতে শ্লথগতি এসেছে। ঝুঁকির মুখে আছে চীনের অর্থনীতি 

Dainik Amader Somoy
24.02.2020