রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

ট্রাম্পের ভারত সফর, প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি


ট্রাম্পের ৩৬ ঘণ্টার ভারত সফর শেষ হয়েছে গত মঙ্গলবার। এই সফরে ভারতের প্রাপ্তি কী? আহমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে মোদি-ট্রাম্প কোলাকুলির দৃশ্য, তাজমহলের সামনে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প-মেলানিয়ার একসঙ্গে ছবি তোলা, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করার ঘোষণা কিংবা ৩০০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের ভারত সফর শেষ হয়েছে বটে; কিন্তু রেখে গেছে নানা প্রশ্ন। ট্রাম্পের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে আমন্ত্রণ না জানানোয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নৈশভোজ বর্জন এবং কলকাতাসহ আরো কয়েকটি শহরে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ কিছুটা হলেও ট্রাম্পের এই সফরকে ম্লান করে দিয়েছে। ট্রাম্পবিরোধী যে বিক্ষোভ হয়েছে, তাতে অভিযোগ করা হয়েছে যে এইচ-ওয়ান বি ভিসা থেকে শুরু করে রপ্তানি সমস্যা—কোনো কিছুরই কোনো আশ্বাস দিয়ে যাননি ট্রাম্প।
ট্রাম্প ও মোদির রাজনৈতিক দর্শন এক। উভয়েই একে অপরের প্রশংসা করেন। উভয়ই বলার চেষ্টা করেন যে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র ‘গণতান্ত্রিক দেশ’ ও ‘কৌশলগত অংশীদার।’ চীনের বিরুদ্ধে দুজনের অবস্থান এক ও অভিন্ন। উভয় দেশেই কট্টরপন্থী জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটেছে। ট্রাম্প যে অর্থে ‘হোয়াইট সুপ্রেমেসি’-কে তাঁর স্বার্থে ব্যবহার করছেন, সেখানে মোদি ধর্মকে ব্যবহার করছেন তাঁর স্বার্থে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ট্রাম্পের ভারত সফর প্রাক্কালে এক বিবৃতিতে বলেছিল, ‘মুসলিম বিদ্বেষ যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতকে এক কাতারে নিয়ে এসেছে  (Scroll.in) এই বক্তব্যের পেছনে সত্যতা যে আছে, তা অস্বীকার করা যাবে না।
সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্পের মুসলমানবিরোধী নানা কর্মকাণ্ড এবং মোদি তথা বিজেপি সরকারের মুসলমানবিরোধী ভূমিকা খোদ যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। তাই পি কে বালাচন্দ্রন যখন সাউথ এশিয়া মনিটরে গেলেন, ট্রাম্পের সফরে ভারতের প্রাপ্তি শূন্য; তখন তিনি মিথ্যা কোনো কথা বলেননি’ (২৩ ফেব্রুয়ারি)। আড়ালে ওই সফর ছিল লোক দেখানো। একটি ৩০০ কোটি ডলারের চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির ফলে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে কিছু হেলিকপ্টার ও অন্যান্য সরঞ্জাম বিক্রি করবে। এই হেলিকপ্টারগুলো এমএইচ-৬০  (MH-60)  ধরনের, যা কি না ভারতে পুরনো ‘সি কিং’ ধরনের ব্রিটিশ হেলিকপ্টারের স্থলাভিষিক্ত হবে। এই হেলিকপ্টার সরবরাহ নিঃসন্দেহে পাকিস্তান ও চীনের বিরুদ্ধে এক ধরনের হুঁশিয়ারি। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে তিনি যে মন্তব্য করেছেন, তাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এক ধরনের হুঁশিয়ারি ছিল বলে অনেকে মনে করেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি মোদির প্রশংসা করেছেন এবং ভারতকে এক মহান দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ট্রাম্প মোতেরা স্টেডিয়ামে বলেছেন, ভারত এমন একটি দেশ, যেখানে হিন্দু, মুসলমান, শিখ, জৈন ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা একসঙ্গে বসবাস করেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মোদি সরকার মুসলমানবিরোধী যেসব কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছেন, তা এড়িয়ে গেছেন। মোদিকে খুশি করে ট্রাম্প বক্তব্য দিলেও দেখা গেছে এই সফরে ভারতের ‘লাভটা’ কম। ‘লাভের’ পাল্লাটা যুক্তরাষ্ট্রের দিকেই বেশি ঝুঁকে গেছে। ভারতের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
ট্রাম্প তাঁর ভারত সফর শুরু করার আগে গেল বছরই (জুন ২০১৯) ভারত বাণিজ্যে যে জিএসপি  (GSP-Generalised system of preference) সুবিধা পেত, তা বাতিল করে দিয়েছিলেন, যা ভারতে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছিল। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র অনুন্নত দেশগুলোকে তাদের রপ্তানি পণ্যে বিশেষ সুবিধা দিয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে ভারত বর্তমানে আর অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নেই। ভারত ধীরে ধীরে উন্নত দেশের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। বিশ্বের পঞ্চম অর্থনীতি ভারতের (জিডিপি সাধারণ হিসাবে ২.৯৪ ট্রিলিয়ন ডলার, আর ক্রয় ক্ষমতার হিসাবে পিপিপিতে এর পরিমাণ ১০.৫১ ট্রিলিয়ন)। সুতরাং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারত যে ট্যারিফ সুবিধা পেত, ট্রাম্প প্রশাসন তা বাতিল করে দিয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন একটি বার্তা দিয়েছিল তারা কী চায়।
ট্রাম্প এও বলেছিলেন যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারত তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে না। সেই থেকে অর্থাৎ গত বছরের জুন থেকে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য এক ধরনের ‘অবিশ্বাস ও আস্থাহীনতার’ মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তাদের মাঝে স্পষ্ট মতানৈক্য রয়েছে। দিল্লি চায় ভারতীয় ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের পণ্যের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করুক ওয়াশিংটন। বিনা শুল্কে মার্কিন বাজারে নির্দিষ্ট কিছু ভারতীয় পণ্যকে ঢুকতে দেওয়া হোক। অন্যদিকে কৃষিজাত পণ্য ও চিকিৎসা যন্ত্রাংশের ব্যবসা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। ডিজিটাল পণ্যসহ তাদের একাধিক পণ্য থেকে ভারত শুল্ক প্রত্যাহার করুক—এমনটাই দাবি তাদের। ট্রাম্প এর আগে প্রকাশ্যেই অভিযোগ করেছিলেন যে মার্কিন বাজারে ভারত বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করলেও ভারতীয় বাজারে মার্কিন পণ্যকে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয় না। বড় ধরনের বাণিজ্য চুক্তি নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। ব্যক্তিগতভাবে তিনি নরেন্দ্র মোদিকে পছন্দ করেন—এ কথাটা তিনি আগেও জানিয়েছেন। এবারও বলেছেন সে কথা। পাঠক, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে প্রবাসী ভারতীয়দের উন্মুক্ত অনুষ্ঠান ‘Howdy Modi’র  কথা স্মরণ করতে পারেন। ওই অনুষ্ঠানেও মোদি ও ট্রাম্প একসঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেই একই আদলে এবার ট্রাম্পের ভারত সফরের সময় আহমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে ট্রাম্প ও মোদি একসঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। ‘নমস্তে ট্রাম্প’ হিন্দি ভাষা। এর অর্থ শুভেচ্ছা ট্রাম্প। এক লাখ লোক উপস্থিত ছিল ওই অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে ট্রাম্প নিজেও হিন্দি ভাষায় ‘নমস্তে’ বলে বক্তৃতা শুরু করেছিলেন।
ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মোদি এই মুহূর্তে খুব ভালো আছেন, এটা বলা যাবে না। কাশ্মীর প্রশ্নে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ বাতিল করে দিয়ে মোদি যে বিতর্কের সূচনা করেছিলেন, তার অবসান হয়নি। কাশ্মীর মূলত এখন এক ধরনের ‘বন্দি শিবিরে’ পরিণত হয়েছে। কাশ্মীরি নেতারা এখন সেখানে গৃহবন্দি। পাকিস্তান একাধিকবার কাশ্মীর প্রশ্নটি জাতিসংঘে উত্থাপন করেছে। আর ট্রাম্প নিজে কাশ্মীর প্রশ্নে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব করেছিলেন, যা কিনা ভারত সরকার শুধু প্রত্যাখ্যানই করেনি; বরং জানিয়ে দিয়েছিল এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বেশ কয়েকটি ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে মতানৈক্য থাকলেও ট্রাম্প ভারত সফরকে বেছে নিলেন কেন? এর পেছনে রয়েছে ভারতের স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব।
আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দু-দুবার ভারত সফর করেছেন। ওবামা ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘defining partnership'। একুশ শতকে বিশ্বরাজনীতির গতি-প্রকৃতি অনেকটাই নির্ভর করবে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ওপর—এমন মন্তব্যই ছিল ওবামার। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ওবামা ভারতের ‘রিপাবলিকান ডে’র অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ওই সময় প্রায় ২০০ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল নিয়ে ওবামা ভারত সফর করেছিলেন। ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করার মাত্র ছয় মাসের মাথায় মোদি যখন রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে ওয়াশিংটনে আমন্ত্রিত হন (২০১৭) তখনই এটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে দুই দেশের সম্পর্ক আরো উন্নত হবে। মোদির ওই সফরে যে চুক্তি হয়েছিল, তাতে দেখা যায় ভারত প্রায় ২.৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান ক্রয় করে। এর মাঝে ড্রোন বিমানও ছিল। এটি পাকিস্তানের জন্য একটি আলাদা ‘চাপ’ সৃষ্টি করেছিল। কেননা এরই মাঝে ঘোষিত হয়েছে যে পাকিস্তান চীন থেকে ১০০টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ক্রয় করবে। ভারত কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান ক্রয় করার সিদ্ধান্ত উপমহাদেশে এক ধরনের অস্ত্র প্রতিযোগিতার জন্ম দিল।
ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে চীন একটি ফ্যাক্টর। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষকদের কাছে এটা এখন স্পষ্ট যে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনা প্রভাব কমাতে ট্রাম্প প্রশাসন আগামী দিনে ভারতকে ব্যবহার করবে। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যে বিরোধ, তাতে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে তার পাশে চায়। ভারত দক্ষিণ চীন সাগরে ভিয়েতনাম নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কিছুদিন আগে চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছিল, যা চীন খুব ভালো চোখে দেখেনি। এমনিতেই দোকলাম  ঘটনার পর (২০১৭) চীন-ভারত উত্তেজনা কিছুটা হ্রাস পেলেও এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত হয়েছে, এটা বলা যাবে না। চীনের মহাপরিকল্পনা ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোডে’ ভারত যোগ দেয়নি। চীনের এই মহাপরিকল্পনার ব্যাপারে ভারতের সন্দেহ রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় চীন তার প্রভাব বাড়াতে চায়, এটা ভারতের পছন্দ নয়। এখানে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এক। আফগান প্রশ্নেও দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন চাচ্ছে আফগানিস্তানে ভারত একটি বড় ভূমিকা পালন করুক। ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি ও ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করলেও ভারত যখন ইরানের চাহবাহার (সিসতান বেলুচিস্তানের বন্দর) বন্দর উন্নয়নের উদ্যোগ নেয় এবং চাহবাহার থেকে আফগানিস্তান পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ করছে, তখন এই পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আপত্তি ছিল না। চীন যখন গাওদার (পাকিস্তান, বেলুচিস্তান) বন্দর নির্মাণ করে ভারত মহাসাগরে তার প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়াতে চাইছে, ঠিক তখনই ভারত চাহবাহার বন্দরটি নির্মাণ করছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ সমর্থন রয়েছে।
ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের একটি সামরিক দিকও রয়েছে। ওবামা প্রশাসনের আমলে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একটি সামরিক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিল। ওই চুক্তি বলে উভয় দেশ তার নিজ দেশের সামরিক ঘাঁটি অন্য দেশকে ব্যবহার করতে দেবে। এর অর্থ হচ্ছে আগামী দিনে মধ্যপ্রাচ্যে কিংবা পারসীয় অঞ্চলের সংকটে যুক্তরাষ্ট্র যদি সামরিকভাবে জড়িত হয়, তাহলে ভারতীয় বিমান ঘাঁটিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী রিফুয়েলিংয়ের জন্য ব্যবহার করতে পারবে। অতীতে চন্দ্রশেখর সরকার (নভেম্বর ১৯৯০-জুুন ১৯৯১) যুক্তরাষ্ট্রকে এই অধিকার দিয়েছিল। ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বেসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতা চুক্তিও রয়েছে। ২০০৮ সালে বিগত ইউপিএ সরকার চুক্তিটি স্বাক্ষর করলেও মোদি সরকারের সময় এটি অনুমোদিত হয়। এই  চুক্তির ফলে যুক্তরাষ্ট্র ভারতে একটি পারমাণবিক চুল্লি বসাবে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত হবে। একটি বীমা তহবিলও গঠন করা হবে। ওবামা প্রশাসনের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের যে চুক্তি হয়েছিল, তাতে ভারত ছোট আকারের ‘সাঙেন মিনি’ নামে ছোট ড্রোন বিমান তৈরি করবে। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ওই চুক্তি বলে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিন টাটা কম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে ভারতে এফ-১৬ বিমান নির্মাণ করবে।
ট্রাম্পের ভারত সফরে ভারতের প্রাপ্তি খুব বেশি না হলেও ব্যক্তি মোদি উপকৃত হয়েছেন। অভ্যন্তরীণ নানা ইস্যুকে পাশ কাটিয়ে তিনি যে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন, ট্রাম্পের প্রশংসা তার বড় প্রমাণ।
Kalerkontho
27.02.2020

0 comments:

Post a Comment