করোনাভাইরাস নিয়ে অনেক সংবাদ এখন পত্রপত্রিকায়। একটি সংবাদে বলা হয়েছে, ভয়ানক করোনাভাইরাসের জোরে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু হতে পারে ২২ লাখ মানুষের, আর ব্রিটেনে এ সংখ্যা পাঁচ লাখের মতো। একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন ইম্পিরিয়াল কলেজ অব লন্ডনের ম্যাথম্যাটিক্যাল বায়োলজির অধ্যাপক ফার্গুসন। ফার্গুসনের গবেষণাদল জানিয়েছে, সঠিক পদক্ষেপ না নিলে মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়বে। এর সঙ্গে তিনি ১৯১৮ সালে ফ্লু আউটব্রেকের তুলনা করেছেন। (নিউজ ১৮ বাংলা, ১৮ মার্চ) এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কি না জানি না, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সব ধরনের সামাজিক জীবনযাপন বন্ধ করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ৭০-এর বেশি বয়স্ক অসুস্থদের ক্ষেত্রে প্রতিষেধক পদক্ষেপ হিসেবে একেবারে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর মতো কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোও ‘সেলফ আইসোলেশনে’ গেছেন। সেলফ আইসোলেশনে যাওয়ার তালিকায় নাম আছে আরো অনেকের। আরো এটি সংবাদ—ব্লুমবার্গের মতে, ভারত
পারে পরবর্তী রাষ্ট্র, যেখানে করোনাভাইরাসের ধস নামতে পারে। মুনেজা নাকভির একটি লেখা, “India could be next virus hotspot with ‘Avalanche’ of cases” ছাপা হয়েছে ব্লুমবার্গ ম্যাগাজিনে গত ১৭ মার্চ। ওই প্রতিবেদনে উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে অধ্যাপক ডা. শ্রীনাথ রেড্ডির। অধ্যাপক রেড্ডি হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের অধ্যাপক। তিনি বলেছেন, Coronavirus spread puts demsely polulated India on high alert—ঘনবসতিপূর্ণ ভারতের জনগোষ্ঠীর জন্য হাই অ্যালার্ট। ভারত (কিংবা বাংলাদেশ) অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। ভারতে প্রতি বর্গকিলোমিটারে বাস করে ৪২০ জন মানুষ। এই ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়। যদি ‘প্রতিরোধের’ কোনো ব্যবস্থা করা না যায়, তাহলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ জন্যই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘সেলফ আইসোলেশন’ বা কোয়ারেন্টিনের কথা। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে একটি মহামারি। এই মহামারি এখন ছড়িয়ে গেছে চীন থেকে ইউরোপে। ইউরোপের অনেক দেশ এখন ‘লকডাউন’—অর্থাৎ বিশ্ব থপরিপূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। মানুষ এখন গৃহবন্দি। ইতালি, স্পেন এখন সংবাদপত্রের পাতায়। বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, পরবর্তী ‘হটস্পট’ হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া। ভারতে এরই মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে ১২২ জন আর বিদেশি ২৫ জন। সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়েছে মহারাষ্ট্রে, ৪১ জন।
পাকিস্তানেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশ আছে বড় ধরনের ঝুঁকিতে। বুধবার করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের ১১টি দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে জরুরি ভিত্তিতে এবং কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গ্রেব্রিয়েসিস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া প্রতিহত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে সন্দেহভাজনদের শনাক্ত করা, পরীক্ষা করা, আলাদা করা, চিকিৎসা করা এবং রোগীর সংস্পর্শে যারা এসেছিল, তাদের শনাক্ত করা (বিসিসি)। কিন্তু আমরা কি বিশ্ব সংস্থার উপদেশগুলো গ্রহণ করতে পেরেছি? গ্রহণ করতে পারলে কতটুকু করতে পেরেছি? বাংলাদেশ নিয়েও আছে আতঙ্কের খবর। পত্রিকার খবর—যাঁরা ইতালি থেকে এসেছেন, তাঁদের ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ থাকার কথা বলা হলেও তাঁরা দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছেন, বাজারে, যেখানে বিপুল মানুষের জমায়েত থাকে, সেখানে যাচ্ছেন। মানুষের সঙ্গে করমর্দন করছেন। তাঁরা যে কত বড় ঝুঁকি সৃষ্টি করেছেন, তা হয় তাঁরা বোঝেন না অথবা তাঁদের ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ রাখতে বাধ্য করা যায়নি। এ ব্যর্থতা কাদের? এটি কি এক ধরনের শৈথিল্য নয়? সরকার সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কায় স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছে, যাতে বহু মানুষের উপস্থিতির কারণে রোগটি সংক্রমিত হতে না পারে। কিন্তু আমরা কী দেখলাম? শত শত মানুষ ছুটে গেছে কক্সবাজারে। সি-বিচে শত শত মানুষ পাশাপাশি হাঁটছে—এ ছবি প্রকাশিত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। লক্ষ্মীপুরে লক্ষাধিক লোকের সমাবেশে করোনামুক্তির দোয়া চাওয়া হয়েছে—এসংক্রান্ত প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে একটি ইংরেজি দৈনিকে।
যেখানে যেকোনো ধরনের জমায়েতকে নিরুৎসাহ করা হয়েছে, যেখানে জমায়েত থেকে রোগটি সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি, সেখানে স্থানীয় প্রশাসন কী করে এবং কোন যুক্তিতে লক্ষাধিক লোকের জমায়েতের অনুমতি দিল? আমাদের সচেতনতা যে আদৌ বৃদ্ধি পায়নি, এটি একটি বড় দৃষ্টান্ত। ইন্দোনেশিয়ার একটি ছবি ছাপা হয়েছে—সেখানে দেখা যায়, স্বাস্থ্যকর্মীরা বিমানবন্দর, বাস-ট্রেন স্টেশন, এটিএম বুথ, দোকান ইত্যাদিতে নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে করছেন। কিন্তু বাংলাদেশে কি এ ধরনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে? অন্তত আমার চোখে তা ধরা পড়েনি। প্রতিদিনই প্রেস ব্রিফিং হচ্ছে। কিন্তু পাবলিক প্লেসে স্প্রে করার প্রয়োজনীয়তার কথা কি হচ্ছে সেখানে?
আবার ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম পাবলিক প্লেসে হাত ধোয়ার বেসিন স্থাপন করে একটি ‘ফটোসেশন’ করেছেন। হাত ধোয়া জরুরি, সন্দেহ নেই। সেটি প্রকাশ্যে পাবলিক প্লেসে না করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিচে স্থাপন করা জরুরি ছিল। এর চেয়েও জরুরি জীবাণুনাশক ওষুধ প্রতিদিন স্প্রে করা। সামনে আসছে ডেঙ্গুর ‘সিজন’। আমাদের কর্তব্য কী এখানে? দুই নির্বাচিত মেয়রের দায়িত্বটি কী? এমনিতেই করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা বিপদে আছি। এখন আসছে ডেঙ্গুর সিজন। আমরা কতটুকু সচেতন? আমরা যেন গেল বছরের ডেঙ্গু পরিস্থিতির কথা ভুলে না যাই।
আরো একটি কথা। দেশে মহামারি রোগ আইন চালু করা জরুরি। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সম্প্রতি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ১৮৯৭ সালের ‘দি এপিডেমিক ডিজিজেস অ্যাক্ট’ বা মহামারি রোগ আইন প্রয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ আইন হলো : ১. করোনা সন্দেহভাজন ভর্তি হতে না চাইলে বলপূর্বক ভর্তি করানো, ২. সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা, ৩. রোগী করোনাকবলিত দেশ থেকে এলে রিপোর্ট করা, ৪. রোগী শনাক্তে স্থানীয় প্রশাসনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা ইত্যাদি। এটি জরুরি এ কারণে যে বিদেশ থেকে প্রবাসী যেসব বাংলাদেশি দেশে এসেছেন, বিশেষ করে ইতালি থেকে যাঁরা ফেরত এসেছেন তাঁরা কোনো ধরনের ‘নির্দেশনা’ পালন করছেন না। তাঁদের ‘আইসোলেশনে’ থাকার কথা; কিন্তু থাকছেন না। এরই মধ্যে একজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। এ ধরনের একটি আইন করা হলে তা প্রশাসনের জন্য বিদেশ প্রত্যাগতদের ‘নিয়ন্ত্রণে’ আনতে সহজ হবে। বিশ্ব সত্যিকার অর্থেই বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে আছে, যাকে কেউ কেউ ‘স্বাস্থ্যযুদ্ধ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
করোনাভাইরাস যে শুধু চীন ও ইউরোপে একটি স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করল, তেমনটি নয়। বরং তা বিশ্বব্যবস্থায়ও আঘাত হেনেছে। করোনাভাইরাস প্রমাণ করল, পারমাণবিক অস্ত্রের ভয়াবহতার চেয়ে এই ভাইরাসের ঝুঁকি কম নয়। আমরা এটিকেই বলছি অপ্রচলিত নিরাপত্তাঝুঁকি। প্রচলিত নিরাপত্তাঝুঁকির চেয়েও এই ঝুঁকি অনেক বেশি। করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। সার্স (২০০২-২০০৩), মার্স (২০১২), ইবোলা (২০১৪), এইচওয়ান এনওয়ান ফ্লু (২০০৯), জিকা ভাইরাসে (২০১৫) আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষ মারা গিয়েছিল। ফলে ধারণা করছি, আমরা ভবিষ্যতে এ ধরনের অনেক নতুন মহামারি রোগের সংস্পর্শে আসব। এ ধরনের অনেক রোগ, যার প্রতিষেধক এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি, আমাদের জননিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেবে। বাংলাদেশ বিপুল জনসংখ্যাধিক্য দেশ। এখানে যেকোনো ধরনের মহামারি আমাদের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটাবে। চীন করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় যেসব উদ্যোগ হাতে নিয়েছে, পশ্চিম ইউরোপ কিংবা যুক্তরাষ্ট্র যা করতে পেরেছে, আমরা তা পারব বলে মনে হয় না। আমাদের দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। বিশেষায়িত হাসপাতালও আমাদের নেই। নেই ওষুধও। ফলে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যদি নিয়ন্ত্রণের মাধ্য আনা না যায়, বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ এ দেশের নিরাপত্তা বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে থাকবেই। তবে এটি ঠিক, একটি জনসচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে মানুষ বুঝতে পারছে না এর ভয়াবহতা। করোনাভাইরাসের কারণে মুজিববর্ষের মূল অনুষ্ঠানে কাটছাঁট করা হয়েছিল, বিদেশি অতিথিরাও আসেননি। পুরো অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাস করা হয়েছিল। তবে আরো কর্মসূচি নেওয়া প্রয়োজন। বিমানবন্দরগুলোতে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য যেসব থার্মাল স্ক্যানার রয়েছে, তা যথেষ্ট নয়। ইতালি থেকে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের কেউ কেউ কভিড-১৯-এর জীবাণু বহন করে থাকতে পারেন। আমাদের ভয় এখানেই। এরই মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের যে পরিসংখ্যান আমরা পেয়েছি, তা এ রকম : পাকিস্তানে ২৩৬ জন (মৃত্যু একজন), ভারতে ১৩৭ জন (মৃত্যু তিনজন), শ্রীলঙ্কায় ৪৩ জন, আফগানিস্তানে ২২ জন, মালদ্বীপে ১৩ জন, বাংলাদেশে ১৩ জন (মৃত্যু একজন), নেপালে একজন ও ভুটানে একজন। বাংলাদেশে ভয়াবহতা এখনো ছড়িয়ে পড়েনি—আমাদের আশার জায়গাটি এখানেই।
আন্তর্জাতিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের জানাচ্ছে করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে কী পরিমাণ ক্ষতি হতে যাচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বনেতাদের কেউ কেউ এরই মধ্যে ‘সেলফ কোয়ারেন্টিনে’ গেছেন। ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের ভয়ে বাকিংহাম প্রাসাদ ছেড়েছেন। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসোনারের আক্রান্ত হওয়ার খবর সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে পরীক্ষা করিয়েছেন। তবে তাঁর শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। আরো অনেক দেশের প্রেসিডেন্ট, শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্ব ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রাপ্ত তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত মোট চারটি দেশে (চীন, ইতালি, ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়া) ৯০ শতাংশ সংক্রমিত রোগীর অস্তিত্বের খবর পাওয়া গেছে। দ্য গ্লোবালিস্টের (The Globalist) তথ্য মতে, ইতালিতে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে সংক্রমিত রোগীর হার ২০.৬২ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ায় এই সংখ্যা ১৫.২ শতাংশ। বাকি দেশগুলোর পরিসংখ্যান অনেকটা এ রকম—ইরানে ১১, স্পেনে ৪.৮৭, যুক্তরাষ্ট্রে ০.৫৩। তবে এই পরিসংখ্যান দ্রুত বদলে যাচ্ছে। স্পেনে সংক্রমণের হার বাড়ছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এক মহাবিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন। ফলে জরুরি ভিত্তিতে আমাদের কিছু কাজ করা দরকার। ১. মন্ত্রীদের গণসংযোগ হ্রাস করা ও যেকোনো ধরনের গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা। মিলাদ মাহফিল কিংবা ওয়াজ মাহফিল আপাতত নিষিদ্ধ করা; ২. বিশেষ বিশেষ এলাকায় কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা। হাসপাতাল, স্কুল-কলেজগুলোকে কোয়ারেন্টিনে পরিণত করার ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া। কোনো বসতি এলাকায় কোয়ারেন্টিন করা যাবে না; ৩. সেনাবাহিনীর দক্ষতা ব্যবহার করা; ৪. চীনের সহযোগিতা নিয়ে দ্রুত স্বাস্থ্যকর্মী তৈরি করা; ৫. সাময়িকভাবে হলেও সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া; ৬. ঢাকার সঙ্গে অন্য জেলার যোগাযোগে বিধি-নিষেধ আরোপ করা। বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া; ৭. জনগণকে মাস্ক পরতে বাধ্য করা; ৮. বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত রাখা; ৯. অফিসে বসে যাতে কাজ করা যায়, সেই ওয়ার্ক কালচার কিছুদিনের জন্য হলেও চালু করা
Kalerkontho
22.03.2020