রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, ট্রাম্পের সফর ও বিবিধ প্রসঙ্গ



দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সাম্প্রতিক সময়ে একটি বড় বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। তাই দাঙ্গা অনুষ্ঠিত হলো এমন এক সময়, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারত সফর করেন। এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় সর্বশেষ খবর অনুযায়ী প্রাণহানি ৪০ ছাড়িয়ে গেছে। ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে যে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তাকে কেন্দ্র করেই এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সূত্রপাত।

ভারতের সাম্প্রতিক রাজনীতি, বিশেষ করে ২০১৪ সালে বিজেপির নির্বাচনে বিজয় ও নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্তির পর থেকেই ভারত তার সনাতন ধর্ম-নিরপেক্ষতার কাঠামো পরিত্যাগ করে ধীরে ধীরে একটি ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতে সাম্প্রতিক কালে যে হিন্দু জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের জন্ম হয়েছে, এটা ভারতীয় রাজনীতির নতুন একটি দিক। বিশ্ব এই ভারতকে কখনো দেখেনি। বলা যেতে পারে বাবরি মসজিদকে কেন্দ্র করেই এই হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনীতির জন্ম। বিজেপি এই হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রবক্তা। এরা ভারতকে একটি হিন্দু রাষ্ট্র বানাতে চায়। এদের সাফল্য এখানেই যে, এরা ভারতীয় নাগরিকদের একটা বড় অংশের মনোভাবের পরিবর্তন আনতে পেরেছে। রামরাজ্য গঠনের আর্তি এখন ভারতের হিন্দু জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশের। এরা ভারতের জনজীবনের সর্বত্র হিন্দু কালচারের প্রয়োগ দেখাতে চায়। এদের সমর্থন বাড়ছে। আর এদের প্রতিনিধি হিসেবে বিজেপি ভারতীয় রাজনীতিতে এক অপ্রতিদ্বনশক্তিরূপে আবির্ভূত হয়েছে। ১৯৮৪ সালের লোকসভার নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল মাত্র দুটি আসন। ১৯৮৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৮টিতে। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ১১৭টি আসন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে তারা পায় ১৬০টি আসন (বিজেপি স্বল্প সময়ের জন্য সরকারও গঠন করে, ১৬-২৮ মে ১৯৯৭)। ১৯৯৮ সালের দ্বাদশ লোকসভা নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বিজেপি সরকারও গঠন করেছিল (আসন ১৮২, সময়কাল ১০ মার্চ ১৯৯৮-২৬ এপ্রিল ১৯৯৯)। এরপর আর বিজেপিকে ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৩তম লোকসভায় বিজেপি ১৮০ আসন (১৯৯৯-০৪), ১৪তম লোকসভায় (২০০৪-০৯) ১৩০ আসন, ১৫তম লোকসভায় (২০০৯-১৪) ১১৭টি আসন, ১৬তম লোকসভায় (২০১৪-১৯) ২৬৭ আসন ও সর্বশেষ ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে (২০১৯) ৩০৩টি আসন পেয়ে বিজেপি সর্বভারতীয় রাজনীতিতে অন্যতম শক্তিরূপে আবির্ভূত হয়েছে। ২০১৪ সালে ১৬তম লোকসভায় বিজয়ী হয়ে এবং মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে একের পর এক যেসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন, তা কার্যত উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের উৎসাহিত করছে। আর গত বছর একটি বড় আসনে বিজয়ী হওয়ায় বিজেপি ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। চিন্তা করা যায় ৫৪৫ আসনের লোকসভায় কংগ্রেসের আসন এখন মাত্র ৫২টি। এত কমসংখ্যক আসন নিয়ে সংসদে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করাও যায় না। সর্বশেষ লোকসভা (২০১৯) নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বিজেপি সরকার দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক. ভারতীয় সংবিধানে ৩৭০ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যটি বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসছিল। ওই অধিকারবলে কাশ্মীরের আলাদা স্বতন্ত্রবোধ স্বীকৃত ছিল। কিন্তু মোদি সরকার সংবিধানের এই অনুচ্ছেদটি বাতিল করে দেয় এবং লাদাখ অঞ্চলকে জম্মু-কাশ্মীর থেকে আলাদা করে একটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। কাশ্মীর এখন এক বিচ্ছিন্ন অঞ্চল এবং কাশ্মীরের নেতারা এখন গৃহবন্দী। দুই. এরপর নাগরিক সংশোধনী আইন পাস করে বিজেপি সরকার। এখন ইসলাম ধর্মাবলম্বী কারও পক্ষে ভারতের নাগরিকত্ব অর্জন করতে পারাটা কঠিন হয়ে পড়বে। অথচ হিন্দু ধর্মসহ অন্য ধর্মাবলম্বীরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং তাদের আবেদন বিবেচনা করা হবে। সংবিধানের নাগরিকত্বসংক্রান্ত অনুচ্ছেদে বড় ধরনের পরিবর্তন এনে ভারত সরকার মূলত ইসলাম ধর্মের সঙ্গে অন্যান্য ধর্মের একটা ব্যবধান তৈরি করল। ইতোমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, এই সংশোধনী ভারতের সংবিধানের পরিপন্থী। সংবিধানের অনেকগুলো ধারা ও প্রস্তাবনা (চৎবধসনষব) সংবিধানের এই সংশোধনীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংবিধানের পরিপন্থীও বটে। সংবিধানের ১৪ নং আর্টিকেলটি এ সংশোধনীর পরিপন্থী। এই আর্টিকেলে সমতার কথা বলা হয়েছে। রাষ্ট্র ধর্মীয়ভাবে খ্রিস্টান, হিন্দু ও মুসলমান কাউকে আলাদা করতে পারে না। সংবিধান অনুযায়ী সবাই সমান। কিন্তু মোদি সরকারের মুসলমানদের বাদ দিয়ে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর নাগরিকত্ব দেওয়া, আইনের দৃষ্টিতে সংবিধান পরিপন্থী। সংবিধানের ৫ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ভারত হবে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। কিন্তু মোদি সরকার সেখান থেকে বের হয়ে আসছে। ৪ নং ধারায় যে ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে, তাও এখন কার্যত লঙ্ঘিত হচ্ছে। ফলে মোদি সরকার যখন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস করল, তখন ভারতজুড়েই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ উঠেছিল। পশ্চিম বাংলা ও দক্ষিণের কয়েকটি রাজ্য তাদের বিধান সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে এই সংশোধনী আইনটি প্রত্যাখ্যান করেছে। একই সঙ্গে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। দিল্লিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়েই এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার জন্ম, যেখানে টার্গেট করা হয়েছে শুধু মুসলমানদের আর তাদের ঘরবাড়ির। পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়েছে ৮০ বছরের এক নারীকে।

কোনো কোনো সংবাদপত্রে এমন মন্তব্যও করা হয়েছে যে, মোদি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন ২০০২ সালে সেখানে যে গণহত্যা হয়েছিল (সরকারি ভাষ্যে ৭৯০ জন মুসলমান ও ২৫৪ জন হিন্দুর মৃত্যুর খবর স্বীকৃত), সেই স্টাইলে দিল্লিতে দাঙ্গা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে যে, দিল্লির বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর তাদের বক্তৃতায় এই দাঙ্গা উসকে দিয়েছিলেন, অনেকটা নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা যা করেছিলেন গুজরাটে ২০০২ সালে (পাঠক গোধারা ট্রেনে অগ্নিসংযোগের কথা স্মরণ করতে পারেন)। টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়াও মন্তব্য করেছে, এভাবে দিল্লিতে চলছে গুজরাট মডেলের নৃশংসতা। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় গিয়ে এক ঘৃণার রাজনীতির জন্ম দিয়েছে। যারই ফলে আজকে দিল্লির সাম্প্রতিক দাঙ্গা।

মোদির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এক জায়গায় মিল খুঁজে পাওয়া যায়, আর তা হচ্ছে মুসলমান বিরোধিতা। ট্রাম্প তার উগ্র ইসলামবিরোধী কর্মকা-ের কারণে সারাবিশ্বে ব্যাপকভাবে সমালোচিত। মোদিও এই রাজনীতি ধারণ করেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মুসলিম বিদ্বেষ যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতকে এক কাতারে নিয়ে এসেছে।’ এ বক্তব্যের পেছনে সত্যতা আছে। সম্প্রতি ট্রাম্প ভারত সফর করে গেলেন। এ সফরে ভারতের প্রাপ্তি খুব বেশি না হলেও মোদির অবস্থান অনেক শক্তিশালী হয়েছে, এটা অস্বীকার করা যাবে না।

ট্রাম্পের ৩৬ ঘণ্টার ভারত সফর শেষ হয়েছে গত মঙ্গলবার। এ সফরে ভারতের প্রাপ্তি কী? আহমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে মোদি-ট্রাম্প কোলাকুলির দৃশ্য, তাজমহলের সামনে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প-মেলানিয়া একসঙ্গে ছবি তোলা, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করার ঘোষণা কিংবা ৩০০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের ভারত সফর শেষ হয়েছে বটে, কিন্তু রেখে গেছে নানা প্রশ্ন। ট্রাম্পের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে আমন্ত্রণ না জানানোয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নৈশভোজ বর্জন এবং কলকাতাসহ আরও কয়েকটি শহরে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ কিছুটা হলেও ট্রাম্পের এই সফরকে ম্লান করে দিয়েছে। ট্রাম্পবিরোধী যে বিক্ষোভ হয়েছে তাতে অভিযোগ করা হয়েছে যে, এইচওয়ানবি ভিসা থেকে শুরু করে রপ্তানি সমস্যা কোনো কিছুরই কোনো আশ্বাস দিয়ে যাননি ট্রাম্প।

ট্রাম্প ও মোদির রাজনৈতিক দর্শন এক। উভয়েই একে অন্যের প্রশংসা করেন। উভয়ই বলার চেষ্টা করেন যে, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র ‘গণতান্ত্রিক দেশ’ ও ‘কৌশলগত অংশীদার’। চীনের বিরুদ্ধে দুজনের অবস্থান এক ও অভিন্ন। উভয় দেশেই কট্টরপন্থি জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটেছে। ট্রাম্প যে অর্থে ‘হোয়াইট সুপ্রেমেসি’কে তার স্বার্থে ব্যবহার করছেন, সেখানে মোদি ধর্মকে ব্যবহার করেছেন তার স্বার্থে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ট্রাম্পের ভারত সফর প্রাক্কালে দেওয়া বিবৃতি এবং মোদি তথা বিজেপি সরকারের মুসলমানবিরোধী ভূমিকা খোদ যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।

একটি ৩০০ কোটি ডলারের চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির ফলে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে কিছু হেলিকপ্টার ও অন্যান্য সরঞ্জাম বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত বিতর্কের সৃষ্টি করলেও মোদি অত্যন্ত কৌশলে ট্রাম্পের সমর্থন নিশ্চিত করলেন। এই সমর্থন অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তার অবস্থানকে শক্তিশালী করবে এখন। ট্রাম্পের এই সফরের পর পরই ঘোষিত হয়েছে আগামী জুনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পাকিস্তান সফরে আসছেন। চীন পাকিস্তানকেও অস্ত্র সাহায্য করছে। ট্রাম্পের ভারত সফর ও জুনে শি জিনপিংয়ের পাকিস্তান সফর এবং এই দুই শক্তির উপমহাদেশে অস্ত্র বিক্রি নতুন করে এ অঞ্চলে অস্ত্র প্রতিযোগিতাকে উসকে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য নিয়েই যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে সঙ্গে নিয়ে এ অঞ্চলে একটি মোর্চা গড়ে তুলছে, যাতে বাংলাদেশকেও অন্যতম পার্টনার হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র এরই মাঝে বাংলাদেশের সঙ্গে ‘টিকফা’ চুক্তি করেছে। এখন ‘আকসা’ চুক্তি করতে চাচ্ছে। ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ দমনে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত একসঙ্গে কাজ করছে। তথাকথিত এই ‘ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ’ আগামী দিনে দক্ষিণ এশিয়ার ব্যাপারে মার্কিন নীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশ এর বাইরে থাকবে না।

ট্রাম্পের ভারত সফর নিঃসন্দেহে মোদির জন্য একটি প্লাস পয়েন্ট। কাশ্মীরের পাশাপাশি ভারতে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মোদিবিরোধী জনমত যখন শক্তিশালী হচ্ছে কিংবা দিল্লির নির্বাচনে আম আদমি পার্টির তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকাতে বিজেপির ব্যর্থতা যখন প্রকট হয়ে উঠেছিল, ঠিক তখনই বিজেপির নেতারা দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকে দিলেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ভারততে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার যে চিত্র বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে গেছে, তা ভারতের গণতান্ত্রিক চরিত্রকে আদৌ সমৃদ্ধ করবে কি? ট্রাম্প ভারতে এসে মোদির প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করে গেলেন বটে, কিন্তু অভ্যন্তরীণভাবে স্থিতিশীলতা যদি মোদি নিশ্চিত করতে না পারেন, তা হলে ভারত বড় ধরনের সংকটে পড়বে। একদিকে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির নিম্নগামিতা, অন্যদিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িকতা ব্যক্তি মোদির জন্য খুব ভালো খবর নয়। গত আট বছরে মোদি যা অর্জন করেছেন, দিল্লির দাঙ্গায় তা ম্লান হয়ে গেছে।
Daily Amader Somoy
3.3.2020

0 comments:

Post a Comment