রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

মোদির বিজয় ও আমাদের প্রত্যাশা

শেষ পর্যন্ত সব জল্পনা-কল্পনার অবসান হলো। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পরাজয় ঘটল দীর্ঘ ১০ বছর ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের। নির্বাচনের আগে কিংবা 'বুথ ফেরত' ভোটের সমীক্ষায় এটা পরিষ্কার হয়েছিল যে নয়াদিল্লিতে সরকারের পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। ১৬ মের ভোট গণনার মধ্য দিয়ে সেটাই প্রমাণিত হলো। চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা গেছে, এককভাবে বিজেপি পেয়েছে ২৮৪ আসন, আর এনডিএ জোটের আসন ৩৩৮। অন্যদিকে কংগ্রেস পেয়েছে ৪৪ আসন, জোটগতভাবে ইউপিএ জোট পেয়েছে ৫৯ আসন। এর বাইরে আঞ্চলিক দলগুলো পেয়েছে ১৪৭ আসন। তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে তার একক কর্তৃত্ব বজায় রেখেছে। পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসনের মধ্যে তৃণমূলের প্রাপ্তি ৩৪ আসন। বিজেপি এখানে পেয়েছে ২ আসন। এর মধ্য দিয়ে ভারতীয় রাজনীতিতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন আনল বিজেপি। বলতেই হবে এই বিজয়ের রূপকার হচ্ছেন গুজরাটের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদর মোদি। অতীতেও বিজেপি দিল্লিতে ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু এত বিপুল জনপ্রিয়তা অতীতে বিজেপি নিশ্চিত করতে পারেনি। ১৯৯৬ সালে ১১তম সংসদ (লোকসভা) নির্বাচনের পর মাত্র ১৩ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন বাজপেয়ি। কিন্তু আস্থাভোটের আগেই তিনি পদত্যাগ করেন। দেবগৌড়া এরপর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এরপর ১২তম লোকসভা নির্বাচনে (১৯৯৮) বাজপেয়ি আবার ফিরে আসেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ছয় বছর ৬৪ দিন। ১৩তম লোকসভা নির্বাচনের পরও বাজপেয়ি কিছুদিন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু ওই সংসদ স্থায়ী হয়নি। ২০০৪ সালের মে মাসের ১৪তম লোকসভা নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে কংগ্রেস যে সরকার গঠন করেছিল, ওই সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিং, যিনি লোকসভার সদস্য ছিলেন না। তিনি ছিলেন রাজ্যসভার সদস্য। এখনো তিনি রাজ্যসভার সদস্য। ষোড়শ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিজয়কে নানাভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। তবে বাস্তবতা এটাই বিজেপির হিন্দুত্ববাদ ভারতে মুসলমান জনগোষ্ঠীর মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি করলেও, ভোটাররা 'মোদি ম্যাজিকে' আকৃষ্ট হয়েছে। মোদি প্রমাণ করতে পেরেছেন তাঁর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ থাকলেও, ভারতীয় ভোটাররা তাঁর ওপর আস্থা রেখেছে। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের কাছে তিনি এক আদর্শ। কিন্তু এখন কী হবে? মোদি নির্বাচনের আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিংবা বিজেপির নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোতে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা কতটুকু রক্ষিত হবে? অভ্যন্তরীণ ও বহিঃসম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি কতটুকু পরিবর্তন আনতে পারবেন? আগামী বেশ কয়েক দিন এ বিষয়গুলো বারবার আলোচিত হতে থাকবে। মোদি নিঃসন্দেহে একটা ইমেজ তৈরি করতে পেরেছেন। আর তাঁর ইমেজটি হচ্ছে তিনি সারা ভারতে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দেবেন। গুজরাটে যেভাবে তিনি উন্নয়ন ঘটিয়েছেন, ঠিক একইভাবে তিনি ভারতের সর্বত্র উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দেবেন। কিন্তু এতে করে কতটুকু তিনি সফল হবেন, এ প্রশ্ন আছে। কেননা এক গুজরাটকে দিয়ে সারা ভারতবর্ষকে বিচার করা যাবে না। গুজরাটের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি আর উড়িষ্যা কিংবা ঝাড়খন্ডের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি এক নয়। ভারতে দরিদ্রতা একটা বড় সমস্যা। ২০১০ সালে দরিদ্রতা যেখানে ছিল ২৭.৫০ শতাংশ, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩৭.০২ শতাংশ (২০১০)। ২০১৪ সালের রিপোর্ট নিলে দেখা যাবে, এই সংখ্যা আরো বেড়েছে। প্রতিবছর বয়স পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ১৮ দশমিক ৩ লাখ শিশু মারা যায়। উত্তর প্রদেশে আর মধ্যপ্রদেশে শিশু মৃত্যুর হার প্রতি ১ হাজারে ৯১ ও ৯২ জন শিশু। ভারত বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। তা সত্ত্বেও ভারতে ৫৩ শতাংশ মানুষের কোনো টয়লেট সুবিধা নেই। যেখানে সেখানে রাস্তাঘাটে তারা মলমূত্র পরিত্যাগ করে। অথচ ৫৩ শতাংশ মানুষের হাতে রয়েছে মোবাইল ফোন, ৪৭ শতাংশ মানুষের রয়েছে টিভি, ৯ শতাংশ মানুষের রয়েছে কম্পিউটার। ৩৯ শতাংশ মানুষের কোনো পাকঘর নেই। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন আনার কাজটি খুব সহজ নয়। মোদি কতটুকু সফল হবেন- এ প্রশ্ন থাকবেই। একটি ক্ষুদ্র পরিসরে তিনি গুজরাটের অবকাঠামোতে পরিবর্তন এনে গুজরাটের উন্নয়ন সাধন করতে পেরেছিলেন। কিন্তু বৃহত্তর ভারতের প্রেক্ষাপটে, বিষয়টি অত সহজ নয়। উপরন্তু ভারতে রাজ্যের সংখ্যা এখন ২৯। প্রতিটি রাজ্যেই বলা যেতে পারে আঞ্চলিক শক্তিগুলো ক্ষমতা পরিচালনা করছে। এসব দলের সবার সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক যে ভালো, তা বলা যাবে না। বিজেপি-বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রের দ্বন্দ্ব শুধু উন্নয়নকেই বাধাগ্রস্ত করবে না; বরং বলা যেতে পারে, নতুন এক ধরনের 'রাজনৈতিক সংকট' সৃষ্টি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্র রাজ্যগুলোকে বিপুল আর্থিক সহযোগিতার প্রলোভন দিয়ে তাদের সমর্থন নিশ্চিত করতে পারে। প্রায় প্রতিটি রাজ্যই ঋণের ভারে জর্জরিত। এটাকে মোদি ব্যবহার করতে পারেন তাঁর স্বার্থে। নয়া সরকারের একটা বড় জায়গা হচ্ছে তার বৈদেশিক সম্পর্ক। পরিবর্তিত বিশ্ব রাজনীতির কারণে নতুন করে যে স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা হতে যাচ্ছে, তাতে ভারতের অবস্থান কী হবে? ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সম্পর্ক থাকলেও, ক্রিমিয়া প্রশ্নে ভারতের অবস্থান ছিল রাশিয়ার পক্ষে। সাবেক ইউপিএ জোট আমলে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত থেকে ভারত সরে আসতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক আরো উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। ভারতের পররাষ্ট্রনীতির একটা বড় জায়গা হচ্ছে ভারত-চীন সম্পর্ক। ইউপিএ জোট সরকারের সময় এই সম্পর্ক যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীরা দুই দেশের রাজধানী সফর করেছেন। বাণিজ্য হচ্ছে এই সম্পর্কের মূল ভিত্তি। ২০১১ সালে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৭৪ বিলিয়ন ডলার। ২০১২ সালে ছিল ৭৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন। কিন্তু ২০১৩ সালে এটা কমে এসে দাঁড়ায় ৬৫ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলারে। ভারতের পক্ষে ঘাটতি ৩১ বিলিয়ন ডলার। ভারতের রপ্তানির পরিমাণ কমেছে (১৭ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার। শতকরা হারে কমেছে ০.৪ হারে, আগের বছরের তুলনায়)। এই ঘাটতি কমানো হবে মোদির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। দুটো দেশই অর্থনৈতিক জোট 'ব্রিকস'-এর সদস্য। 'ব্রিকস'-এ রাশিয়াও আছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন অর্থনৈতিক বিশ্বব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করেই 'ব্রিকস'-এর জন্ম। 'ব্রিকস' আগামীতে অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে এবং মার্কিন আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। ফলে মোদির সময়ে চীন-ভারত সম্পর্ক যে আরো বৃদ্ধি পাবে, এটাই স্বাভাবিক। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মোদির সম্পর্ক কোন পর্যায়ে উন্নীত হয়, সে ব্যাপারেও দৃষ্টি থাকবে অনেকের। অনেকেই স্মরণ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মোদিকে ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। আসলে ১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে একটি আইন পাস হয়। ওই আইনে বলা আছে, কোনো ব্যক্তি যদি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত থাকেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফরের ভিসা পাবেন না। এই আইন অনুযায়ীই মোদিকে ভিসা দেওয়া হয়নি। মোদি গুজরাটের দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ আছে, যে দাঙ্গায় প্রায় দুই হাজার ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছিলেন। এখন দেখার বিষয়, প্রধানমন্ত্রী মোদির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র কী ভূমিকা নেয়। ভারতে বড় ধরনের মার্কিন বিনিয়োগ রয়েছে। দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ৫০ মিলিয়ন ডলারের ওপরে। ভারত-যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত সামরিক চুক্তিতে আবদ্ধ। ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১১ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে যুদ্ধ বিমান ক্রয় করছে। এর বাইরে ভারত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার দিয়ে অস্ত্রশস্ত্র ক্রয় করছে। ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে ১৫০ বিলিয়ন ডলারের পারমাণবিক প্রযুক্তির বাজার। অর্থাৎ ভারতে মার্কিন বিনিয়োগ অনেক বেশি। এই বিনিয়োগকে ওবামা প্রশাসন ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেবে না। তাই ব্যক্তি মোদি এখানে ফ্যাক্টর হবেন না। মোদির ব্যাপারে যে আপত্তি ছিল, চূড়ান্ত বিচারে সেই আপত্তিটি আর থাকবে না। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি না পেলেও, সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ২০০৪ সালে ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিল। তাতে বলা হয়েছিল, পাকিস্তান তাদের নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডে সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নির্মূল করবে। মোদি সরকার এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেবে এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক ধরনের 'স্ট্যাটাস কো' বজায় রাখবে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন আছে অনেকের। বাংলাদেশের অনেকেই মনে করেন বিগত কংগ্রেস সরকার ঢাকার আওয়ামী লীগ সরকারকে গুরুত্ব দিয়েছিল বেশি। এখন বিজেপি সরকারের ভূমিকা কী হবে? এক কথায় যেটা বলা যায়, তা হচ্ছে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হয় তার জাতীয় স্বার্থের আলোকে। ফলে নয়া সরকার তাদের জাতীয় স্বার্থের আলোকেই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রচনা করবে। তাই সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরিবর্তনের সম্ভাবনা ক্ষীণ। তিস্তার পানি বণ্টনের চুক্তিটি এখন অনির্দিষ্টকালের জন্য ঝুলে গেল। কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনো ধরনের বিবাদে যাবে না কেন্দ্র। ছিটমহল বিনিময়ের সম্ভাবনাও ক্ষীণ। কেননা এটা করতে গিয়ে সংবিধান সংশোধনের যে উদ্যোগ, তা বিজেপি নেবে না। বাণিজ্য ঘাটতি কমানোরও কোনো উদ্যোগ নেবে না নয়া সরকার। তবে মোদি নির্বাচনের আগে তথাকথিত 'অনুপ্রবেশকারীদের' বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর যে হুমকি দিয়েছিলেন- এ ব্যাপারেও তিনি কোনো উদ্যোগ নেবেন না। কেননা তিনি জানেন, ওটা করলে পশ্চিমবঙ্গে বড় বিতর্কের সৃষ্টি হবে এবং দেশে এক ধরনের অস্থিতিশীলতার জন্ম হবে। তাই তিনি এ ব্যাপারে চুপ থাকবেন। মোদি বিজয়ী হলেও তার সমস্যা অনেক। উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় (আসন ২৫০), কংগ্রেস তথা ইউপিএর জোটের আসন ৮২। এনডিএ জোটের রয়েছে ৬১ আসন। কংগ্রেসের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাদের সমর্থন না পেলে তিনি কোনো বিল পাস করাতে পারবেন না। তাই কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁকে সহাবস্থানে যেতে হবে। দ্বিতীয়ত, আঞ্চলিক দল তথা বিজেপি-বিরোধী (মোট ১২ রাজ্য) রাজ্যগুলো কেন্দ্রের বিরোধিতা করলে, তিনি উন্নয়নের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। মুসলমানরা এক ধরনের আতঙ্কের মধ্যে আছেন। তাদের আস্থায় নিতে হবে। এমন আইন তৈরি করার উদ্যোগ তিনি নেবেন না, যাতে মুসলমানরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কংগ্রেসের পরাজয় ঘটেছে। নিঃসন্দেহে এর পেছনে কারণ রয়েছে। তবে রাহুল গান্ধীর জন্য এটা একটা বড় পরাজয়। তিনি পারলেন না। তিনি তার দাদির মতো (ইন্দিরা গান্ধী) আবার কী 'লাইম লাইটে' ফিরে আসতে পারবেন? ১৯৭৭ সালে ক্ষমতা হারানো ইন্দিরা গান্ধী ফিরে এসেছিলেন ১৯৮০ সালে। তবে কংগ্রেস এখন রাহুলের পরিবর্তে প্রিয়াংকা গান্ধীকেও নেতৃত্বের সারিতে নিয়ে আসতে পারে। ভারতের মানুষ পরিবর্তন চেয়েছে। আর ষোড়শ লোকসভা নির্বাচনের মধ্য দিয়েই এই পরিবর্তনটুকু সাধিত হলো। Daily KALERKONTHO 19.05.14

0 comments:

Post a Comment