রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

বল এখন মোদির কোর্টে

আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি সম্ভাব্য বৈঠকের কথা ইতিমধ্যে চাউর হয়ে গেছে। এটা কোনো সরকারি বৈঠক নয়। এটা অনানুষ্ঠানিক বৈঠক। দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৯তম অধিবেশনে যোগ দেবেন। প্রতিবেশী দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে যোগ দেন, তখন পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টি সেদিকে থাকবেই। প্রশ্ন হচ্ছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির এই প্রথম বৈঠক দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে জটিলতা নিরসনে কোনো ভূমিকা রাখবে কি-না? ভারতে নরেন্দ্র মোদি দায়িত্ব গ্রহণ করে এটা স্পষ্ট করেছেন, তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়াকে গুরুত্ব দেন। দক্ষিণ এশিয়া তার অগ্রাধিকার তালিকায় প্রথম। এ কারণেই দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম সরকারি সফরে তিনি ভুটান গিয়েছিলেন। তারপর তিনি যান নেপালে। বাংলাদেশে তিনি আসেননি বটে, কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে পাঠিয়েছিলেন। বাংলাদেশ সরকারের মনোভাব এবং সেই সঙ্গে দেশের অপর বড় দল বিএনপির মনোভাব তার জানা প্রয়োজন ছিল। সেটা তিনি জেনেছেন। যতদূর জানা যায়, আগামী জানুয়ারির দিকে তিনি সরকারি সফরে বাংলাদেশে আসতে পারেন। তখন দ্বিপাক্ষিক বিষয়াদি নিয়ে সরকারি পর্যায়ে আলোচনা হওয়ার কথা। এর আগে নভেম্বরে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেও হাসিনা-মোদি বৈঠক হবে। তবে সার্ক সম্মেলনে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচানার সুযোগ কম। সৌজন্য সাক্ষাৎকারে সাধারণ কথাবার্তাই বেশি হয়। অনানুষ্ঠানিক কথাবার্তা হয়, যার কোনো ভিত্তি থাকে না। সার্ক চার্টারে দ্বিপাক্ষিক সমস্যা উত্থাপনেরও কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং নিউইয়র্কে যে বৈঠকটি হবে, সেখানে সিরিয়াস কোনো আলোচনা হবে না। দুই নেতা পরস্পর পরস্পরকে চিনবেন, জানবেন, একজন অপরজনকে তার দেশ সফরের আমন্ত্রণ জানাবেন। তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়তো সুযোগটি গ্রহণ করতে পারেন। সীমিত সুযোগে তিনি বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশার কথা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে পারেন।ভারত বড় দেশ। বড় অর্থনীতি। আমাদের উন্নয়নে ভারতের ভূমিকা আমরা অস্বীকার করতে পারি না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, ভারত সমমর্যাদার দৃষ্টিতে বাংলাদেশকে দেখছে না। বিগত বছরগুলোয় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশ ভারতকে যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। সে তুলনায় বাংলাদেশের যে প্রত্যাশা তা পূরণে ভারত এগিয়ে আসেনি। বরং ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের ভূমিকায় একটি বাংলাদেশবিরোধী মনোভাব আমরা লক্ষ করেছি। মোদি নির্বাচনের আগে বারবার বলে আসছিলেন, ভারতে বাংলাদেশীরা অবৈধভাবে বসবাস করেন। পশ্চিমবঙ্গকে তিনি টার্গেট করেছেন। ক্ষমতাসীন হয়েই তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায় আলাদা একটি সেল খুলেছেন, যাদের কাজ হবে তথাকথিত ‘বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের’ ব্যাপারে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা ও মনিটর করা। সম্প্রতি বিজেপির সভাপতি ও মোদির দক্ষিণ হস্ত বলে পরিচিত অমিত শাহ কলকাতায় বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে অবৈধ অধিবাসী ৫ গুণ বেড়েছে। সারদা কেলেংকারির ঘটনায় বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর নাম এসেছে। বলা হয়েছে, জামায়াতের মাধ্যমে জঙ্গি তৎপরতায় অর্থায়ন করেছে সারদা। ভারতের সিবিআই বিষয়টি তদন্ত করছে। যদিও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে তাদের অজ্ঞতার কথা জানিয়েছে। বিষয়টি যেহেতু স্পর্শকাতর, সেহেতু সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত।ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন তখনও বাংলাদেশ প্রত্যাশা করেছে, সমস্যাগুলোর সমাধানের ব্যাপারে তিনি একটি বড় উদ্যোগ নেবেন। কিন্তু তারপরও কংগ্রেস নেতাদের তিনি বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন ভারতীয় মন্ত্রিসভায় তিনি বাংলাদেশের বিষয়টি নিজেই দেখভাল করতেন- এ রকম একটি কথা আমরা বরাবরই শুনতে পেয়েছি। একজন বাঙালি হয়ে বাংলাদেশের সমস্যাগুলোর ব্যাপারে তিনি পূর্ণ অবগত ছিলেন। তবে রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার ভূমিকা সীমিত থাকায় তিনি সমাধানের কোনো পথ বের করতে পারেননি। আসলে ভারতের আমলাতন্ত্র অত্যন্ত শক্তিশালী। আমলারা নীতিনির্ধারণে প্রভাব খাটায়। এ আমলাতন্ত্রের কারণেই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক ধীরে ধীরে তিক্ততায় পরিণত হয়েছিল। তাই ব্যক্তিগতভাবে প্রণব বাবুর বাংলাদেশের সমস্যাগুলোর ব্যাপারে ‘সিমপ্যাথি’ থাকলেও সমস্যা সমাধানে কোনো অগ্রগতি হয়নি। ড. মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলাদেশ সফরে এসে আমাদের আশ্বাসবাণী শুনিয়েছিলেন, সমস্যার সমাধান হবে। বিশেষ করে সীমান্ত হত্যা বন্ধের প্রতিশ্র“তি দিলেও তিনি দিল্লি ফিরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সীমান্তে হত্যারঘটনা ঘটেছে। তার ঢাকা সফরের সময়ই আমরা শুনেছিলাম, মমতা ব্যানার্জির কারণে তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে মমতা ব্যানার্জিকে রাজি করানোর দায়িত্বটি কেন্দ্রীয় সরকারের, বাংলাদেশ সরকারের এখানে কোনো ভূমিকা নেই।তিস্তা চুক্তি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই ১৯৭২ সাল থেকেই তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা চলে আসছে। দু’বার ১৯৯৮ ও ২০০৭ সালে একটি চুক্তির কাছাকাছি আমরা চলে গিয়েছিলাম। সমানভাবে পানি বণ্টন করে কিছু পানি নদীতে রেখে দেয়ার একটি সিদ্ধান্তে দু’দেশ একপর্যায়ে রাজিও হয়েছিল। তারপরও চুক্তি হয়নি। এখন মূল সমস্যা পশ্চিমবঙ্গের আপত্তি। এতে বাংলাদেশের কোনো ভূমিকা নেই। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার চাই। কিন্তু ভারত আমাদের সেই অধিকার নিশ্চিত করছে না। টিপাইমুখ বাঁধ নিয়েও ভারত আমাদের বারবার মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছে। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং একাধিকবার বলেছেন, ভারত এমন কিছু করবে না যাতে বাংলাদেশের ক্ষতি হয়। কিন্তু বাস্তবতা কী বলে? নয়াদিল্লিতে ইতিমধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে সেখানে জলবিদুৎ কেন্দ্র নির্মাণের। প্রায় ৯ হাজার কোটি রুপিও ব্যয় করা হয়ে গেছে। বাঁধটি যদি নির্মিত হয় তাতে বাংলাদেশের কী ক্ষতি হবে, তা একাধিক সেমিনারে আলোচিত হয়েছে। এখানে আমাদের ব্যর্থতা, আমরা শক্ত অবস্থানে যেতে পারছি না। জেসিসির যৌথ ইশতেহারে এ সংক্রান্ত কোনো কথা বলা হয়নি। গঙ্গা চুক্তি আমরা করেছিলাম ১৯৯৬ সালে। চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৭ সালে। এর আগেই পদ্মায় পানি নেই। চুক্তি অনুযায়ী আমরা পানি পাচ্ছি না। ২০২৭ সালে লোকসংখ্যা বাড়বে তিনগুণ। যে বিপুল পানির চাহিদা থাকবে, তার কী হবে? চুক্তি অনুযায়ী পর্যালোচনার সুযোগ আছে। কিন্তু সেই সুযোগটি আমরা নিচ্ছি কোথায়? অতীতে কখনও আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা বোধ করিনি। সীমান্ত হত্যা আজও বন্ধ হয়নি। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পরও একের পর এক সীমান্ত হত্যা হচ্ছে। এমন দৃষ্টান্ত নেই যেখানে বিজিবির গুলিতে কোনো ভারতীয় নাগরিক মারা গেছেন। প্রতিমাসেই মারা যাচ্ছেন নিরপরাধ বাংলাদেশী নাগরিকরা। ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর এখন পর্যন্ত কতজন বাংলাদেশী মারা গেছেন তার পরিসংখ্যান মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছে আছে। এ নিয়ে একাধিক শীর্ষ বৈঠক হয়েছে। কিন্তু হত্যা বন্ধ হয়নি। সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফরের সময়ও এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। সীমান্ত চিহ্নিত ও অপদখলীয় ভূমির ব্যাপারেও তিনি মুখ খোলেননি ঢাকায়। গুরুত্ব আরোপ করা হয়নি কোনো। বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের ১১১টি ছিটমহল ও ভারতের ভেতর বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের ব্যাপারে আমরা সবাই অবগত। ভারতের ভেতরে যারা রয়েছেন, তারা ভারতেই থাকতে চান। ঠিক তেমনি বাংলাদেশের ভেতরে যারা রয়েছেন, তারা বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবেই থাকতে চান। ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল সেই ১৯৭৪ সালে। তারপর কখনোই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার উদ্যোগ নেয়নি সংবিধান সংশোধন করার। সমস্যাটা তো আমাদের নয়। সমস্যাটা ভারতের। আজ প্রায় ৪০ বছর পরও এ কথাগুলো আমাদের বলতে হয়। এটা কি ভারতের সদিচ্ছা প্রমাণ করে? ১০০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল ভারত। প্রণব বাবু ঢাকায় এসে ২০ কোটি ডলার অনুদানের কথা বলে গিয়েছিলেন। কিন্তু ঋণের টাকা দিয়ে তো প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না? ১৩ প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু সমন্বয়হীনতার অভাবে কিছু প্রকল্প আটকে আছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের রয়েছে বিশাল এক বাণিজ্য ঘাটতি। ২০০৯-১০ সালে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার। আর ২০১০-১১ সালে তা এসে দাঁড়ায় ৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে। ২০১৩-১৪ সালের পরিসংখ্যান যখন আমাদের হাতে আসবে, ধারণা করছি তা ৪ বিলিয়ন ডলারের অংক ছাড়িয়ে যাবে। ভারত মাঝেমধ্যে কিছু পণ্যের শুল্কমূল্য প্রবেশাধিকারের কথা বলে বটে, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশ এসব পণ্যের অনেকগুলোই রফতানি করে না। ভারতের অশুল্ক বাধা দূর করা নিয়েও ‘নানা কাহিনী’ আছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় নানা ধরনের শুল্ক দূর করা যাচ্ছে না। ফলে ভারতে বাংলাদেশের রফতানি সে তুলনায় বাড়ছে না। শুধু ঘাটতি বাড়ছেই। এটা আমাদের জন্য শংকার কারণ।ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টির একটা সমাধান হয়েছে সত্য, কিন্তু ২০১৫ সালে আমরা আদৌ বিদ্যুৎ পাব কি-না, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছি না। বাংলাদেশ বড় ধরনের বিদ্যুৎ সংকটের মুখে। বিদ্যুতের অভাবে উৎপাদন বন্ধ অনেক কারখানায়। অথচ ভারত যদি আন্তরিক হয়, তাহলে আমাদের বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান সম্ভব। মহাজোট ও বর্তমান সরকারের গত ৬৮ মাসের ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক যদি আমরা পর্যালোচনা করি, তাহলে দেখব ভারতের দিকে পাল্লা ভারি, আমাদের প্রাপ্তি কম। আমরা ভারতকে ট্রানজিট দিয়েছি (ট্রান্সশিপমেন্ট অথবা করিডর), কিন্তু ট্রানজিট ‘ফি’ এখনও নির্ধারণ হয়নি। বলা হচ্ছে, ট্রানজিটের বিষয়টি বহুপাক্ষিকতার আলোকে দেখা হবে। কিন্তু দেখা গেল, ভারত একপক্ষীয়ভাবে তা ব্যবহার করছে, ভুটান বা নেপাল এখনও ট্রানজিট পায়নি। ভারতের এ দুটি দেশকে ট্রানজিট সুবিধা দেয়ার কথা। কিন্তু ইতিমধ্যে এ সুবিধা এ দুটি দেশকে নিশ্চিত করা হয়েছে এমন তথ্য আমাদের জানা নেই। আগামীতে ভারতের ‘সাতবোন’ রাজ্যগুলো আমাদের চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করবে- এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা হয়েছে। অথচ আমাদের ন্যূনতম প্রাপ্তির ব্যাপারে এতটুকু ভারতীয় উদ্যোগ আমরা লক্ষ করিনি। আজ তাই নরেন্দ্র মোদি যখন ভারতের সর্বোচ্চ পদে আসীন হয়েছেন, আমরা চাইব তার প্রতি সম্মান দেখিয়েই ভারত সমস্যাগুলোর সমাধানের উদ্যোগ নেবে। মোদি সরকারের জন্য একটি বন্ধুপ্রতিম বাংলাদেশ বড় দরকার।ভারতের একগুঁয়েমির কারণে যদি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অবনতি ঘটে, তাহলে তা থেকে সুবিধা নেবে জঙ্গিরা, বিশেষ করে আল-কায়দা। জাওয়াহিরি তার একটি ভিডিও বার্তায় দক্ষিণ এশিয়া ও মিয়ানমারে আল-কায়দার শাখা খোলার কথা ঘোষণা করেছেন। এটা ভারত ও বাংলাদেশের জন্য চিন্তার অন্যতম কারণ। উভয় দেশেই জঙ্গিরা আছে। দু’দেশ জঙ্গি দমনে একসঙ্গে কাজ করতে পারে। মোদির জন্য বাংলাদেশের জনগণের আস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। শেখ হাসিনা-মোদির সৌজন্য সাক্ষাৎকারেই সব সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে না। আশা করাও ঠিক হবে না। তবে একটা আস্থার ভিত রচিত হতে পারে। নিঃসন্দেহে ‘বল’ এখন মোদির কোর্টে। উদ্যোগ নিতে হবে মোদি সরকারকেই। মোদি নিজে এবং তার উপদেষ্টারা যদি এটা না বোঝেন, তাহলে তা হবে আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের একটি বিষয়। মোদি তার পররাষ্ট্রনীতিতে দক্ষিণ এশিয়াকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। সুতরাং বাংলাদেশ তার অগ্রাধিকারের তালিকা থেকে বাদ যাবে না, এটা আমরা প্রত্যাশা করতেই পারি। Daily JUGANTOR 20.09.14

0 comments:

Post a Comment