রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

জেসিসির বৈঠক ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি

গামী 2০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) তৃতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে যোগ দিতে ১৮ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লি গেছেন আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় যে কাঠামোগত সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তারই অংশ হিসেবে গঠিত হয়েছিল জেসিসি। ২০১২ সালের মে মাসে নয়াদিল্লিতে জেসিসির প্রথম বৈঠক আর ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দুটি কারণে ওই জেসিসি বৈঠকের গুরুত্ব রয়েছে। প্রথমত, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের একাধিক দ্বিপক্ষীয় সমস্যা রয়েছে। ভারত বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও সেসব সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেনি। জেসিসি বৈঠকে বাংলাদেশ নতুন করে ওই সমস্যাগুলো উত্থাপন করবে এবং ভারতের নয়া সরকারের মনোভাব জানতে চাইবে। বিশেষ করে তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। সাম্প্রতিক সময়গুলোয় বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতিতে কিছু কিছু পরিবর্তন লক্ষণীয়। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ‘বিশেষ সম্পর্ক’ স্থাপন বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতির জন্য একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে বিবেচিত হতে বাধ্য। বিভিন্ন ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে টানাপড়েন চললেও ভারতীয় নয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর প্রমাণ করে ভারতের নীতিনির্ধারকরা বাংলাদেশকে কত গুরুত্ব দিচ্ছে। এর আগে নয়াদিল্লি বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার ভাষায়, সেটা ছিল ‘নিঃশব্দ রণকৌশল পরিবর্তন।’ আর সরকারি ভাষ্য হচ্ছে, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও বহুদলীয় ব্যবস্থার সঙ্গে ভারতের চলমান যোগাযোগের অংশ।’ নিঃসন্দেহে ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের এই মূল্যায়ন বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলবে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মস্কো সফরও যথেষ্ট গুরুত্বের দাবি রাখে। ‘পুরনো সম্পর্ককে নতুন করে ঝালাই’ করার একটি উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বৈদেশিক নীতিতে উজ্জ্বল একটি অধ্যায়। যদিও ১৯৭৫ সালের পর থেকে এই দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক উষ্ণ ছিল না। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন বা বর্তমান রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাননি আমাদের নীতিনির্ধারকরা। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ ও ১৯৭৪ সালে মস্কো গিয়েছিলেন। এরপর কোনো সরকারপ্রধান মস্কো সফরে যাননি। রাশিয়া একটি বিশ্বশক্তি। অথচ দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক উষ্ণ ছিল না। এখন প্রধানমন্ত্রীর মস্কো সফরের মধ্য দিয়ে নতুন করে সম্ভাবনার একটি ক্ষেত্র তৈরি হলো। এই সম্পর্ককে এখন আমাদের উন্নয়নের আলোকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যারা বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতি নিয়ে কাজ করেন, তারা জানেন ১৯৭৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গে সোভিয়েত ইউনিয়নের সম্পর্ক ছিল চমৎকার। মুক্তিযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাহায্য ও সহযোগিতা আমাদের বাধ্য করেছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে। স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক আসরে সোভিয়েত পক্ষ অবলম্বন করে বাংলাদেশ যে বৈদেশিক নীতি রচনা করেছিল, তা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি ভিন্ন ধারণার জন্ম দিয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে অতিসাম্প্রতিককাল পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক তেমন উষ্ণ ছিল না। যদিও ১৯৯১ সালের ডিসেম্বরে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর রাশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থাও তেমন ভালো ছিল না। বিশ্ব অর্থনীতিতেও রাশিয়া তেমন একটা ভূমিকা রাখতে পারছিল না। ফলে বাংলাদেশ রাশিয়ার ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পরই পুরনো সম্পর্ককে ঝালাই করার উদ্যোগ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন মস্কো গিয়েছিলেন, তখন সঙ্গত কারণেই পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টি এদিকে থাকে। শেখ হাসিনার মস্কো সফরের সময় তিনটি চুক্তি ও ছয়টি এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ছিল দুটি। এক. প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে রাশিয়া থেকে সেনাবাহিনীর জন্য অস্ত্র ক্রয়। দুই. পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পে প্রস্তুতিমূলক অর্থায়নে সহযোগিতা। এখানে বাংলাদেশ ৫০ কোটি ডলার ঋণ পাবে। রূপপুরের পারমাণবিক কেন্দ্রের কারিগরি গবেষণার জন্য এই অর্থ। কেন্দ্র নির্মাণে কত টাকা লাগবে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। এ ব্যাপারে পরে চুক্তি হবে। আপাতত দুবছরের মধ্যে এই ৫০ কোটি ডলার ব্যয় করা হবে কারিগরি গবেষণার জন্য। এর বাইরে যেসব এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র ক্রয় বিতর্ক বাড়াতে পারে। মহাজোট সরকারের শেষ সময়ে এসে (২০১৩) সরকার এত বিপুল অর্থ ব্যয় করার যখন উদ্যোগ নিয়েছিল তখন বিতর্ক থাকবেই। প্রথম বিতর্ক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরিতে বিনিয়োগ অনেক বেশি। তুলনামূলক বিচারে খরচ অনেক বেশি। সেই সঙ্গে রয়েছে নিরাপত্তার প্রশ্নটি। রাশিয়া বিশ্বের অস্ত্র বাজারের অন্যতম বিক্রেতা। তাদের বৈদেশিক আয়ের অন্যতম উৎস হচ্ছে এই অস্ত্র বিক্রি। পিস রিচার্স ইনস্টিটিউটের মতে, (সিপরি) রাশিয়া বর্তমানে অস্ত্র বিক্রির শীর্ষে। তাই বাংলাদেশের মতো একটি দেশ, যে দেশটি এখনো বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল, সেই দেশটি যখন ৮ হাজার কোটি টাকা দিয়ে অস্ত্র ক্রয় করে, তখন বিশ্বে বাংলাদেশের এই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই এবং তা উঠেছে রাশিয়ার ঋণের ধরন (যা দিয়ে অস্ত্র কেনা হবে) দেখে বলা যায় এটি নন-কনসেশনাল। বাংলাদেশে কোনো স্বীকৃত প্রতিরক্ষা নীতিমালা নেই। কাজেই কোন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই অস্ত্র কেনা হবে তা পরিষ্কার নয়। আমাদের সেনাবাহিনীর অস্ত্রের অন্যতম উৎস হচ্ছে চীন। এখন সেই স্বাভাবিক বাদ দিয়ে রাশিয়া থেকে অস্ত্র কেনা, সঙ্গত কারণেই আমাদের পররাষ্ট্র কোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিত কি না, তা শুধু আগামী দিনগুলোই বলতে পারে। তবে এটা যে পশ্চিমা বিশ্বে ভুল সিগন্যাল পৌঁছে দিতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। চীন বিষয়টি ভালো চোখে দেখবে না। চীনারা এখন ব্যবসা বোঝে। রাজনীতি তাদের কাছে এখন মুখ্য নয়, বরং গৌণ। তবে অবসরপ্রাপ্ত যে কারও অপছন্দও এটি। একজন সিনিয়র জেনারেল (অব.) একটি দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় অস্ত্র কেনা হয়েছে (আমার দেশ, ২০ জানুয়ারি)। অভিযোগ উঠেছে, রাশিয়ার অস্ত্র ক্রয়ে একটি ‘তৃতীয় পক্ষ’-এর উপস্থিতি রয়েছে। এই চুক্তি যে অস্পষ্টতা, তা হচ্ছে এর সঙ্গে কোনো শর্ত যুক্ত কি না। যদিও প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, শর্ত যুক্ত নেই। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, অস্ত্র কেনায় সুদ দিতে হবে চার শতাংশ। ব্যবহার করতে হবে এই ঋণ ২০১৩-১৭ সালের মধ্যে। আর ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০ কিস্তিতে ১০ বছর ধরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, অস্ত্র ক্রয়ে কোনো অস্বচ্ছতা নেই। বলা হয়েছে, এই অস্ত্র সেনাবাহিনী রক্ষা কার্যক্রমে ব্যবহার করবে। এই পরিসংখ্যান নিয়েও কথা বলা যায়। বিশেষ করে সুদের হার বেশি বলেই মনে হয়। তবে আমার কাছে যা মনে হয়, তা হচ্ছে এটি আমাদের বৈদেশিক ও সামরিক নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের একটি ইঙ্গিত বহন করে। কেননা আমাদের বৈদেশিক নীতি ও নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা চীনের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের বিমানবাহিনী চীনা বিমান ব্যবহার করে। সেনাবাহিনীর অস্ত্রশস্ত্রও চীনের তৈরি। আমাদের সামরিক নেতৃত্ব চীনা যুদ্ধাস্ত্রের ওপর অনেক দিন থেকেই নির্ভরশীল। আমাদের উন্নয়নে চীন অন্যতম অংশীদার। চীন আমাদের নিকট-প্রতিবেশীও। আমাদের উন্নয়নে চীনের উপস্থিতি ও প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেই সরকারপ্রধান চীনে গিয়েছিলেন। এমনকি প্রধান বিরোধী দলের নেত্রী বেগম জিয়াও অতিসম্প্রতি চীনে গিয়েছিলেন এবং তারা দুজন লালগালিচা সংবর্ধনা পেয়েছিলেন। চীন সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী কুনমিং-কক্সবাজার সড়ক ও গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে চীনের সহযোগিতা চেয়েছিলেন। যদিও কোনো চুক্তি হয়নি। বাংলাদেশের উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে এই মহাসড়ক ও গভীর সমুদ্রবন্দর বাংলাদেশের চেহারা আগামী দশকে বদলে দিতে পারে। বাংলাদেশ হতে পারে এ অঞ্চলের উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু। গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে চীনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। চীন শ্রীলংকার হামবানটোটায় (প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের জন্মস্থান) গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি করে দিয়েছে। সেখানে একটি বিমানবন্দরও চীন তৈরি করে দিয়েছে। এখন যতদূর জানা যায়, গভীর সমুদ্রবন্দরটি নির্মাণে ভারতের একটি কোম্পানি আগ্রহও দেখিয়েছে। এটা নির্মিত হলে অদূরভবিষ্যতে ভারতের সাত বোন রাজ্যগুলো যেমনি এটি ব্যবহার করতে পারবে, তেমনি পারবে চীন তথা মিয়ানমারও। এখন সঙ্গত কারণেই একদিকে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক, অন্যদিকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নানা কৌতূহলের জন্ম দেবে। বাংলাদেশ মূলত এই দুই নিকট-প্রতিবেশীর সঙ্গে ভারসাম্যমূলক সম্পর্ক রক্ষা করে চলছে। বাংলাদেশের স্বার্থ যেখানে বেশি, বাংলাদেশ সেখানেই যাবে। ভারতের ব্যাপারে আমাদের স্বার্থ অনেক বেশি। যে কারণে আমাদের পররাষ্ট্র নীতিতে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। ভারতের যেমনি প্রয়োজন রয়েছে আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করার, ঠিক তেমনি আমাদেরও প্রয়োজন রয়েছে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির। তবে সমস্যাগুলো যেভাবে ছিল, সেভাবেই রয়ে গেছে। কোনো সমাধান হয়নি। তিস্তার চুক্তি যেমনি হয়নি, ঠিক তেমনি টিপাইমুখ বাঁধ নিয়েও রয়ে গেছে এক ধরনের বিভ্রান্তি। বাণিজ্য ঘাটতি কমছে না। শুল্ক প্রত্যাহার করার কথা বলা হলেও বাস্তব ক্ষেত্রে এর কোনো প্রতিফলন নেই। সীমান্ত হত্যা বন্ধ হচ্ছে না। এর ওপর আবার যোগ হয়েছে তথাকথিত বাংলাদেশি খেদাও অভিযান। মোদি নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে অবৈধ বাংলাদেশিদের বসবাসের কথা বলে আসছিলেন। এখন ক্ষমতাসীন হয়ে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায় একটি ‘সেল’ গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন, যাদের কাজ হবে ‘বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীদের’ মনিটর করা। তাই নয়া সরকার দিল্লিতে ক্ষমতাসীন হয়েও পুরনো নীতিই অনুসরণ করছে। বরং আরও কিছুটা কঠোর হয়েছে। এতে করে দুদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরও জটিলতা তৈরি হবে। এমনি এক পরিস্থিতিতে জেসিসির বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে বড় ধরনের ‘ব্রেক থ্রু’ অর্থাৎ সমস্যার সমাধান হবে, এটা মনে করা ঠিক হবে না। ভারত যদি বাংলাদেশের ব্যাপারে তার মনোভাবের পরিবর্তন না ঘটায়, তাহলে সম্পর্ক উন্নত হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। হিতে বিপরীতও হতে পারে। বাংলাদেশে ভারতবিরোধী মনোভাব আরও শক্তিশালী হবে। ফলে বাংলাদেশকে ‘ভারতনির্ভর’ পররাষ্ট্র নীতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমরা ভারতকে ‘সবকিছু দেব’ বিনিময়ে আমরা আমাদের ন্যায্য হিস্যা পাব না, এটা হতে পারে না। ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় শক্ত অবস্থানে গেলে সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান হতে পারে। নয়তো শুধু ‘ভারতনির্ভর’ পররাষ্ট্রনীতি কোনো মঙ্গল ডেকে আনবে না। জেসিসি সভায় শুধু আলোচনা হবে। সমস্যার সমাধানের কোনো দিকনির্দেশনা আমরা পাব না যদি না ভারত তার মনোভাবে পরিবর্তন আনে। Daily Amader Somoy 20.09.14

0 comments:

Post a Comment