রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ



একজন আকায়েদ উল্লাহ নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে অবস্থিত পোর্ট অথরিটি বাস টার্মিনালের পাতালপথে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতে গিয়ে বড় ধরনের সংবাদের জন্ম দিয়েছেন। এই আকায়েদ উল্লাহ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত, তবে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা। ফ্যামিলি ভিসায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন এবং সেখানেই থাকতেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশে যেমনি তোলপাড় শুরু হয়েছে, ঠিক তেমনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মাঝেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা এখন ‘হেইট ক্রাইম’-এর শিকার হতে পারেন। একই সঙ্গে ব্যাপক স্কুট্রিনিরও শিকার হতে পারেন তারা। তবে এই ঘটনা প্রমাণ করল যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সিদ্ধান্তের ব্যাপারে মুসলমান সমাজে সর্বত্র অসন্তোষ আছে। বিশেষ করে ট্রাম্পের সর্বশেষ সিদ্ধান্তে, যেখানে তিনি জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় বইছে। পূর্ব জেরুজালেম হচ্ছে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী। এখানে রয়েছে মুসলমানদের পবিত্র মসজিদ আল আকসা। একজন মুসলমান হিসেবে আকায়েদ উল্লাহর কাছেও ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত মনঃপূত হয়নি। আকায়েদ উল্লাহ তার ফেসবুকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আগেই হুশিয়ারি দিয়েছিলেন। আকায়েদ জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে, জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস-এর জন্যই সে এ কাজটি করেছে। সে সিরিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মার্কিন বিমান হামলার জবাবে এই হামলা বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তিনি মার্কিন পুলিশকে কী বলেছেন, কতটুকু বলেছেন, তার বিস্তারিত আমরা জানি না। মার্কিন পুলিশ যা বলছে এবং যা পত্র-পত্রিকায় ছাপা হয়েছে, সেটাই আমরা উল্লেখ করতে পারি মাত্র। পাঠক স্মরণ করতে পারেন, গেল নভেম্বর (২০১৭) মাসে ম্যানহাটনে একজন উজবেক নাগরিক সাইফুল সাইপভ পথচারীদের ওপর ট্রাক চালিয়ে দিয়ে ৯২ জনকে হত্যা করেছিল। সেও ছিল আকায়েদ উল্লাহর মতো অভিবাসী এবং আইএস সমর্থক। এর অর্থ পরিষ্কার, আকায়েদ উল্লাহ কিংবা সাইফুল সাইপভরা নিজ দেশে জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে জড়িত না থাকলেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত হয়েছে। এর পেছনে কাজ করেছে মার্কিনি নীতি। সিরিয়া কিংবা জেরুজালেম নিয়ে মার্কিনি সিদ্ধান্তে তারা অসন্তুষ্ট ছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে কী ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান বের করা যাবে? এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড তো ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধানকে আরও জটিল করে তুলবে।


সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও ইসরাইলের মধ্যে একটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। একটি ‘দুই রাষ্ট্র’ ফর্মুলার দিকে ধীরে ধীরে এই দুই পক্ষ এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত এখন এই ফর্মুলার পেছনে ছুরিকাঘাতের শামিল। দুই রাষ্ট্রের ফর্মুলায় পূর্ব জেরুজালেম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী হবে- এমন কথা স্বীকৃত ছিল। ওবামা প্রশাসন এই দুই রাষ্ট্র ফর্মুলায় অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন সেখান থেকে সরে আসল এখন। তারা ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘদিনের সংগ্রামকে উপেক্ষা করে সমগ্র জেরুজালেম যে ইসরাইলের রাজধানী, সেটা স্বীকার করলেন। এতে করে উপেক্ষিত হল স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের চিন্তাধারা। পাঠক স্মরণ করতে পারেন, ১৯১৭ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এজে বেলফোর ব্রিটিশ জায়নিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি লর্ড রথচাইল্ড একটি চিঠি দেন। ওই চিঠির উদ্দেশ্য হচ্ছে ইহুদিদের জন্য একটি আবাসভূমি প্রতিষ্ঠা। ইতিহাসে এটাই বেলফোর ঘোষণা নামে পরিচিত। এই সিদ্ধান্ত অনুসরণ করেই ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ ফিলিস্তিনি এলাকা বিভক্তির সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে একাধিকবার আরব রাষ্ট্রগুলো ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে গিয়েছিল। মূলত ইসরাইলের আগ্রাসী তৎপরতার কারণে সেখানে শান্তি পরিকল্পনা বেশিদূর যেতে পারেনি। ১৯৭৮ সালে মিসর ও ইসরাইল পরস্পরকে স্বীকৃতি ও সিনাই থেকে ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহার, ১৯৯৩ সালে পিএলও এবং ইসরাইল পরস্পরকে স্বীকৃতি ও ওয়াশিংটনে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর, ১৯৯৪ সালে গাজা ও জেরিকোতে ফিলিস্তিনি শাসন প্রতিষ্ঠা, ১৯৯৫ সালে পশ্চিম তীরে স্বায়ত্তশাসন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর ইত্যাদি শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে চিহ্নিত হলেও, মূল সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। অর্থাৎ স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। একটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়েছে বটে, কিন্তু এর কোনো সার্বভৌমত্ব নেই। উপরন্তু পশ্চিম তীর আর গাজা নিয়ে যে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের জন্ম, তা কার্যত অনেকটাই ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। ইসরাইল এমন একটি রাষ্ট্রই দেখতে চায়, যা তাদের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হবে। পাঠক, ২০১৪ সালের পরিস্থিতির কথা স্মরণ করতে পারেন। ওই সময় ইসরাইলি বিমান আর ট্যাংকের গোলায় গাজা নগরী একটি ধ্বংসের নগরীতে পরিণত হয়েছিল। ৭ সপ্তাহব্যাপী এই আগ্রাসন অব্যাহত ছিল। ইসরাইলি বিমান হামলায় শত শত শিশু সেখানে মারা গিয়েছিল। কিন্তু বিশ্ব সম্প্রদায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি। একদিন ৭০ বছর আগে, পশ্চিমা বিশ্ব একটি ইহুদি রাষ্ট্র জন্মের পথ প্রশস্ত করেছিল। কিন্তু সেখানে আজও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এখন ট্রাম্প কর্তৃক জেরুজালেমকে ইহুদি রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতিদানের মধ্য দিয়ে সেই স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা আরও অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেল। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে সেখানে যে অসন্তোষের জন্ম হয়েছে, তা সহজে থামবার নয়। এই অসন্তোষ সমগ্র আরব বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর এতে করে বাড়তে পারে জঙ্গি তৎপরতা। ট্রাম্প সত্যিকার অর্থেই তাই বিশ্বকে একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিলেন। এতে করে ইসরাইল তার দীর্ঘদিনের ‘পরিকল্পনা’ বাস্তবায়নের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। যারা ইসরাইলি রাজনীতি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা রাখেন, তারা জানেন ইনন পরিকল্পনা সম্পর্কে। ওডেড ইনন (Oded Yinon) হচ্ছেন মূলত একজন কট্টর ইহুদি স্ট্র্যাটেজিস্ট। তিনি মূলত একজন গবেষক ও শিক্ষক। বলা যেতে পারে থিওডোর হারজেল যে স্বপ্ন এক সময় দেখতেন, তার বাস্তবে রূপ দিতেই ইনন সদূরপ্রসারী একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছিলেন। আর তা বাস্তবে রূপ দেয়ার পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী ও দেশটির সরকার। ইনন পরিকল্পনায় রয়েছে লেবাননকে ভেঙে ৫টি রাষ্ট্রে বিভক্ত করা, সিরিয়াকে ভেঙে একাধিক রাষ্ট্রে পরিণত করা ইত্যাদি (দেখুন, oded Yinon, A Strategy for Israel in the Nineteen Eighties, Belmart, Massachusetts, 1982) আজ থেকে ৩৫ বছর আগে এই পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হলেও, আজ অব্দি এতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। তবে স্ট্র্যাটেজিতে নতুন নতুন উপাদান যুক্ত হচ্ছে। আরব বিশ্বের মাঝে যদি বিভক্তি জিইয়ে রাখা যায়, তাতেই লাভ ইসরাইলের। আজ এত বছর পর ইসরাইল অনেক অংশে সফল। আর বিশ্বে বিভক্তি যত বেশি স্পষ্ট এখন, অতীতে তেমনটি ছিল না। কাতার-সৌদি দ্বন্দ্ব, সৌদি আরব-ইয়েমেন দ্বন্দ্ব কিংবা ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যকার প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা, কুর্দিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, সিরিয়া-ইরাকে আইএসের উত্থান ও পতন- সব মিলিয়ে মুসলিম বিশ্বের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টি করে ইসরাইল তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিচ্ছে। ইরাইলের এই ‘গ্রেট গেম’ যদি সত্যি সত্যি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে এই একুশ শতকেই নতুন এক মধ্যপ্রাচ্যকে আমরা দেখতে পাব। ইনন পরিকল্পনায় একাধিক মুসলিম রাষ্ট্রের জন্মের কথা যেমনি বলা হয়েছে, ঠিক মেনি একটি ‘গ্রেটার ইসরাইল রাষ্ট্র’-এর কথাও বলা হয়েছে। বৃহত্তর এই ইসরাইলি রাষ্ট্রটি গঠিত হবে পুরো ফিলিস্তিনি এলাকা, দক্ষিণ লেবানন থেকে সিডন (Sidon) এবং লিটানী নদী (Litani River), সিরিয়ার গোলান উপত্যকা (যা অনেক আগেই ইসরাইল দখল করেছে), হাওরান (Hauran) এবং দেরা (Deraa) উপত্যকা, হিজাজ (Hijay) রেলপথ দেরা (Deraa) থেকে আম্মান (জর্ডান) পর্যন্ত এবং সেই সঙ্গে Gulf of aqaba-এর নিয়ন্ত্রণভার। কোনো কোনো ইসরাইলি স্ট্র্যাটেজিস্ট আরও ইহুদি এলাকা সম্প্রসারণের পক্ষে- পশ্চিমে নীলনদ থেকে পূর্বে ইউফ্রেটিস (Euphrates) নদী পর্যন্ত, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে ফিলিস্তিনি এলাকা, লেবানন, পশ্চিম সিরিয়া ও দক্ষিণ তুরস্ক।

স্টেফান লেডম্যান (Stephen Lendman-এর বই Greater Israel-এ এমন ধারণার কথা উল্লেখ করা হয়েছে) এখন এই বৃহত্তর ইসরাইল রাষ্ট্রের ধারণা কতটুকু বাস্তবায়িত হবে, সেটা ভিন্ন প্রশ্ন। কিন্তু ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত যে ইসরাইলকে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উৎসাহ জোগাবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। স্পষ্টতই মধ্যপ্রাচ্য একটি বিপজ্জনক পথে হাঁটছে এখন।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আকায়েদ উল্লাহরা কেন এর প্রতিবাদে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নিজেদের জড়িত করবে? আকায়েদ উল্লাহ কিংবা সাইফুলরা ‘রেডিকালাইজড’ হয়েছে তাদের নিজ দেশে নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রে। আকায়েদ দীর্ঘদিন যাবৎ যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। জেহাদি মতাদর্শে তিনি উদ্বুদ্ধ হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে থেকে। এমনকি ‘বোমা বানানোর’ যে কারিগরি জ্ঞান, তা তিনি পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। আমার ভাবতে অবাক লাগে এফবিআইর গোয়েন্দা নজরদাবিতে কেন তিনি আগে এলেন না? কেন মার্কিন গোয়েন্দারা তার সম্পর্কে আগে জানতে পারল না। আকায়েদ উল্লাহ এখন যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত। সেখানকার আইনে তার বিচার হবে। কিন্তু তিনি শুধু তার নিজ পরিবারই নয়, বরং বাংলাদেশ সম্পর্কেও বহির্বিশ্বে খারাপ ধারণা দিলেন। তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়ভার বাংলাদেশ নেবে না। কিন্তু তিনি অনেক ক্ষতি করে গেলেন বাংলাদেশের, সেই সঙ্গে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের যারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে আসছেন তাদেরও। সহনীয় ইসলামের দেশ বাংলাদেশ। এখানে সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই। হাজার বছরের ইসলামের যে ঐতিহ্য বাংলাদেশে রয়েছে, সেখানে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই। বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্বের উম্মাহে বিশ্বাসী। বাংলাদেশের জনগণ ইসরাইলি আগ্রাসনের মুখে ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রামের পাশে থেকে বরাবর তাদের সাহায্য ও নৈতিক সমর্থন জুগিয়ে এসেছে। কিন্তু তাই বলে বাংলাদেশি একজন বংশোদ্ভূত মানুষ এটাকে ইস্যু করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করবে, তা সমর্থনযোগ্য নয়। একজন আকায়েদ উল্লাহকে দিয়ে পুরো বাংলাদেশকে বিচার করা যাবে না। আমরা পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের রাজধানী হবে, এটা যেমনি বিশ্বাস করি, ঠিক তেমনি এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডেরও নিন্দা জানাই।
Daily Jugantor
18.12.2017

0 comments:

Post a Comment