রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

রুশ-মার্কিন সম্পর্কের অবনতি ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা


লন্ডনে গত ৪ মার্চ একজন রুশ ডাবল এজেন্ট সার্গেই স্ক্রিপালকে হত্যাচেষ্টাকে কেন্দ্র করে স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থায় রুশ-মার্কিন সম্পর্ক এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। সার্গেই স্ক্রিপাল ছিলেন রুশ গোয়েন্দা। কিন্তু তিনি পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের হয়েও কাজ করতেন। নার্ভ গ্যাস প্রয়োগ করে তাঁকে ও তাঁর মেয়েকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। সার্গেই স্ক্রিপালকে হত্যাচেষ্টার ব্যাপারে অভিযোগ আনা হয় রুশ গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে। প্রথমে ব্রিটেন ২৩ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করলে যুক্তরাষ্ট্রও তার দেশে অবস্থানরত ৬০ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। সর্বশেষ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ২৫টি দেশ মোট ১৩৯ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করলে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে রাশিয়া তার দেশ থেকে ১৫০ জন পশ্চিমা কূটনীতিককেও বহিষ্কার করে। স্নায়ুযুদ্ধ অবসানের পর এর আগে আর এত বড় কূটনীতিক বহিষ্কার ও পাল্টাবহিষ্কারের ঘটনা ঘটেনি। এ ঘটনা নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধের সূচনা করতে যাচ্ছে! এতগুলো দেশ একসঙ্গে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের পাশে এসে দাঁড়ানোর ঘটনা স্নায়ুযুদ্ধকালের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। স্নায়ুযুদ্ধকালেও দুটি পক্ষ তৈরি হয়েছিল। একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা বিশ্ব, অন্যদিকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক বিশ্ব। স্ক্রিপালকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পশ্চিমা বিশ্ব একজোট হলেও রাশিয়ার পক্ষে এখনো কোনো দেশকে দেখা যায়নি। তবে চীনের বক্তব্য রাশিয়ার অবস্থানকে সমর্থন করছে।
রুশ-মার্কিন সম্পর্কের অবনতি সাম্প্রতিক সময়ে নিঃসন্দেহে একটি বড় ধরনের ঘটনা। রাশিয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর মনোভাব নিঃসন্দেহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির জন্য একটি নতুন দিকনির্দেশনা। পুতিন যখন খোলামেলাভাবেই বর্তমান রাশিয়াকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের জায়গায় নিয়ে যেতে চান তখন ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত রাশিয়ার ‘প্রভাববলয় বিস্তারের’ উদ্যোগকে চ্যালেঞ্জ করার শামিল। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, রাশিয়ার অনেক সিদ্ধান্ত (ক্রিমিয়ার সংযুক্তি, পূর্ব ইউক্রেনে বিচ্ছিন্নতাবাদিতার সমর্থন, সিরিয়ায় আসাদ সরকারকে সমর্থন) যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের মনঃপূত হয়নি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে (জি-৮ থেকে বহিষ্কার, অর্থনৈতিক অবরোধ) যুক্তরাষ্ট্র বড় ভূমিকা পালন করেছিল। চীন ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। এখন এর সঙ্গে যোগ হলো রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির বিষয়টি। এর মধ্য দিয়ে স্নায়ুযুদ্ধের আশঙ্কা বাড়বে। ২৭ বছর আগে স্নায়ুযুদ্ধের অবসান হয়েছিল। আজ নতুন করে আবার উত্তেজনার জন্ম হলো। অনেকের স্মরণ থাকার কথা, উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে পারমাণবিক হুমকি আসায় যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন সম্প্রতি ছোট আকারের পারমাণবিক বোমা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তও পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতাকে উসকে দিতে পারে।
এখন যে প্রসঙ্গটি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে, তা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের এই ছোট ছোট পারমাণবিক বোমা বানানোর সিদ্ধান্ত কি শেষ পর্যন্ত একুশ শতকের তৃতীয় দশকে নতুন করে এক ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার জন্ম দেবে? এ মুহূর্তে হয়তো এটা আঁচ করা যাবে না। কিন্তু নিশ্চিত করেই বলা যায় চীন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া একটা পাল্টা কর্মসূচি গ্রহণ করবে। উত্তর কোরিয়া অনেক দিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে সীমিত পাল্লার পারমাণবিক হামলার কথা বলে আসছে। এখন এই আশঙ্কা আরো বাড়ল। গত ২৪ জানুয়ারি দ্য নেশন পত্রিকায় Alice Slater-এর একটি প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে। সেখানে তিনি বলেছেন, পৃথিবীর ৮০টি দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। আর সেনাবাহিনী মোতায়েন করা আছে এক লাখ ৩৮ হাজার। অন্যদিকে ৯টি দেশে রাশিয়ার ২৬ থেকে ৪০টি ঘাঁটি রয়েছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী রাশিয়া কম্বোডিয়ার তিনটি সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করার জন্য কম্বোডিয়া সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে যাচ্ছে। পাঠক, সিরিয়ার পরিস্থিতি স্মরণ করতে পারেন। সিরিয়ায় কুর্দি অঞ্চলে একসময় রাশিয়ার ঘাঁটি ছিল। পরবর্তী সময়ে তুরস্কের সামরিক আগ্রাসনের আগেই সেই ঘাঁটি প্রত্যাহার করে নেয় রাশিয়া। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি এখনো আছে। সিরিয়ায় রাশিয়ার বিমানঘাঁটি আছে। সিরিয়ার তারতাস ও লাতাকিয়া সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে রাশিয়ার নৌবাহিনী। ফলে পরিবর্তিত বিশ্বরাজনীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া এক ধরনের ‘প্রতিযোগিতায়’ লিপ্ত হয়েছে। এর উদ্দেশ্য পরিষ্কার—দেশ দুটি তাদের প্রভাব বাড়াতে চায়। এর বাইরে রয়েছে চীন ও ভারত। চীনকে টক্কর দিতে আফ্রিকায় সেনাঘাঁটি গড়ছে ভারত (সিসিলি)। জিবুতিতে রয়েছে চীনা ঘাঁটি।
আন্তর্জাতিক পরিসরে, বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের স্বার্থ এক ও অভিন্ন। অন্যদিকে চীন ও রাশিয়া এক ধরনের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তুলছে। ঘুরেফিরে সেই স্নায়ুযুদ্ধকালের মানসিকতায় ফিরে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি পারমাণবিক কর্মসূচির ব্যাপ্তি বাড়াচ্ছে। এই মানসিকতা আরো স্পষ্ট হবে ভবিষ্যতে। ছোট পারমাণবিক বোমা বানানোর সিদ্ধান্ত এ রকমই একটি সিদ্ধান্ত, যার মধ্য দিয়ে বড় শক্তিগুলোর মধ্যে আস্থাহীনতার সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখ্য, আকারে ছোট হলেও কম ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বোমার শক্তি থাকে ২০ কিলোটনের মতো; যদিও এই বোমার ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা ভয়াবহ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে জাপানের নাগাসাকি শহরে একই ধরনের বিস্ফোরণ ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল। আর তাতেই ৭০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তি হচ্ছে, ‘যতই সীমিত হোক না কেন, পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার যে গ্রহণযোগ্য নয়, তা রাশিয়াকে অনুধাবন করাতে এই কৌশল কাজে দেবে।’ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এই ‘কৌশল’ আদৌ কোনো কাজ দেবে বলে মনে হয় না। বরং এই ‘কৌশল’ নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধের জন্ম দেবে, যার আলামত আমরা এরই মধ্যে পেতে শুরু করেছি।
যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন পম্পেওর মতো একজন কট্টরবাদী ব্যক্তিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে তাঁর কঠোর মনোভাবের খবর সবাই জানে। অথচ টিলারসন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার পক্ষপাতী ছিলেন। ট্রাম্প-কিম জং উন আলোচনা আদৌ অনুষ্ঠিত হবে কি না, সেটাও একটা প্রশ্ন। কেননা উত্তর কোরিয়া এ আলোচনার প্রস্তাব দিলেও তা এখন থমকে আছে। ট্রাম্প প্রশাসন স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কথা বলছে, যা কিনা এক ধরনের ‘বাণিজ্য যুদ্ধ’র সূচনা করতে পারে। চীন এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং চীন এর বিরুদ্ধে আলাদা সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। এখন পম্পেও কিভাবে এ ইস্যুগুলো ‘অ্যাড্রেস’ করবেন, তিনি ট্রাম্পকে কী উপদেশ দেবেন, সেটাই দেখার বিষয়। ওবামা প্রশাসনের আমলে বিশ্বে এক ধরনের স্থিতাবস্থা ছিল। কিন্তু ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্তির পর গত এক বছরে বিশ্বে নতুন করে এক ধরনের স্নায়ুযুদ্ধের জন্ম হয়েছে। এখন দেখার পালা রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় পরিস্থিতি কোন দিকে বাঁক নেয়।
এমনিতেই অভ্যন্তরীণভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নানা ‘ঝামেলায়’ আছেন। হোয়াইট হাউস প্রশাসনে যাঁদের তিনি নিয়োগ দিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখন নেই। কেউ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন, কাউকে আবার ট্রাম্প পদচ্যুত করেছেন। নারী কেলেঙ্কারিও তাঁকে ছাড়ছে না। একের পর এক যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশিত হচ্ছে, যা কিনা তাঁর অবস্থানকে দুর্বল করছে। এ থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে নেওয়ার জন্যই কি তিনি ৬০ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিলেন? এ বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। কেননা এখন পর্যন্ত এটি প্রমাণিত হয়নি যে স্ক্রিপালকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত। এটি এক ধরনের অনুমান। আর অনুমানের ওপর ভিত্তি করেই পশ্চিমা দেশগুলো এক এক করে কূটনীতিকদের বহিষ্কার করল। এর মধ্য দিয়ে এখন বেশ পরিবর্তন আসবে।
এক. রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘটনায় ইউরোপে রুশ গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক দুর্বল হয়ে যাবে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র তথা সামরিক কূটনীতির ক্ষেত্রে এই গোয়েন্দা সংস্থা (এসভিআরআরএফ) একটি বড় ভূমিকা পালন করে আসছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর এসভিআরআরএফ কেজিবির স্থলাভিষিক্ত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন একসময় কেজিবির শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা ছিলেন। এ ঘটনা নিঃসন্দেহে পুতিনের হাতকে অনেক দুর্বল করবে। তবে ভুলে গেলে চলবে না, পুতিন সম্প্রতি ছয় বছরের জন্য আবারও প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। সুতরাং এ ঘটনার এখানেই যে সমাপ্তি তা বলা যাবে না। দুই. এ ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে ইউক্রেন, রাশিয়া এবং সেই সঙ্গে সাইবার আক্রমণের ঘটনাবলি। পাঠক স্মরণ করতে পারেন ২০১৪ সালের ঘটনাবলি। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করে নেয় রাশিয়ার সেনাবাহিনী; যদিও পরবর্তী সময়ে ক্রিমিয়ার জনগণ গণভোটে রাশিয়ার সঙ্গে এই সংযুক্তিকে সমর্থন করেছিল। কৃষ্ণ সাগরের পাশে ক্রিমিয়া অবস্থিত এবং রাশিয়ার নৌবাহিনীর জন্য ক্রিমিয়ার অবস্থান অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিমিয়ার রাশিয়ার সংযুক্তি যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবে মেনে নেয়নি। ক্রিমিয়া ছিল ইউক্রেনের অংশ। এখানে ২০১৪ সালে তথাকথিত গণ-আন্দোলনের মুখে তৎকালীন ভিক্টর ইয়ানোকোভিচ সরকারের পতন ঘটে। অভিযোগ আছে ইয়ানোকোভিচ, যিনি ছিলেন অনেকটা মস্কোঘেঁষা, তাঁর উত্খাতের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের একটা বড় ভূমিকা ছিল। রাশিয়া এখন পূর্ব ইউক্রেনে তাদের তত্পরতা বৃদ্ধি করতে পারে এবং ইউক্রেনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট পেট্রো প্রোসেনকোকে উত্খাতের উদ্যোগ নিতে পারে। তিন. চীন-রাশিয়া সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। সার্গেই স্ক্রিপালের হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পশ্চিমা বিশ্ব যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন তার সমালোচনা করেছে। চীন কোনো মার্কিন কূটনীতিককে বহিষ্কার করেনি সত্য, কিন্তু নৈতিকভাবে রাশিয়ার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
রুশ-মার্কিন সম্পর্কের অবনতি কারো জন্যই কোনো ভালো খবর নয়। প্রেসিডেন্ট পুতিন ক্ষমতায় থাকবেন ২০২৪ সাল পর্যন্ত। সুতরাং পুতিনকে আস্থায় নিয়েই বিশ্বে স্থিতিশীলতা আসবে। পারমাণবিক ঝুঁকি কমানো সম্ভব হবে। আস্থাহীনতার সম্পর্ক বৃদ্ধি পেলে তা বিশ্বে উত্তেজনা ছড়াবে মাত্র। স্নায়ুযুদ্ধ বিশ্বে কোনো মঙ্গল ডেকে আনেনি। সুতরাং নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধের জন্ম হলে তা-ও কোনো মঙ্গল ডেকে আনবে না।
Daily Kalerkontho
10.04.2018

0 comments:

Post a Comment