রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

একটি হাইপ্রোফাইল ভিজিট ও কিছু প্রাসঙ্গিক কথা



  তারেক শামসুর রেহমান ৩০ এপ্রিল ২০১৮, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
একটি হাইপ্রোফাইল ভিজিট সম্পন্ন হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল ভারতে গিয়েছিল। এ প্রতিনিধি দলে ৪ জন ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য, তিনজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং কয়েকজন সাংগঠনিক সম্পাদক। বাংলাদেশের গণমাধ্যম গুরুত্ব দিয়ে এ সংবাদটি ছেপেছে। ২৩ এপ্রিল প্রায় প্রতিটি সংবাদপত্রেই ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির ছবি ছেপেছে। এ হাইপ্রোফাইল ভিজিটের যে গুরুত্ব আছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রথমত, এ সফরটি অনুষ্ঠিত হয়েছে এমন একসময় যখন বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের আর বাকি আছে মাত্র ৮ মাস। খুব সঙ্গত কারণেই রাজনৈতিক পণ্ডিতরা এটা নিয়ে একটা অঙ্ক কষতে পারেন। দ্বিতীয়ত, একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে, সাধারণত রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকেন না। সরকারের সঙ্গে বৈঠকে থাকতে পারেন। কিন্তু এ বৈঠকে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলেও উপস্থিত ছিলেন। এমনকি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব শ্রী প্রিয় রঙ্গনাথন ও মুখপাত্র রবীশ কুমারও উপস্থিত ছিলেন। আমার বিবেচনায় এতে দ্বিপাক্ষিক কিছু বিষয়ও আলোচিত হয়েছে। তৃতীয়ত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আলোচনায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন বলে সংবাদপত্রগুলো আমাদের জানিয়েছে। একে রাজনৈতিক পণ্ডিতরা আওয়ামী লীগের প্রতি ভারত সরকারের সমর্থন হিসেবে বিশ্লেষণ করতে পারেন। বাংলাদেশে সাধারণ একটা ‘পারসেপশন’ আছে যে, মোদি সরকার আওয়ামী লীগ সরকারকে সমর্থন করছে। এবং ভারত চাচ্ছে আওয়ামী লীগ আরও একবার ক্ষমতায় আসুক! চতুর্থত, ওবায়দুল কাদের শুধু বলেছেন, ‘অসম্ভব ভালো মিটিং হয়েছে। ভেরি ভেরি পজিটিভ আউটকাম!’ এ সংবাদটুকু মিডিয়ার দেয়া (বাংলা ট্রিবিউন, ২৩ এপ্রিল)। মিডিয়া মোদির বক্তব্য উল্লেখ করেছে এভাবে, ‘যত দ্রুত সম্ভব এই চুক্তি যেন সম্পাদন করা যায় (তিস্তা চুক্তি), সেই লক্ষ্যে আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে তাদের বাসভূমিতে ফিরতে পারবেন বলেও মোদি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু বাস্তবতা কী বলে? ডিসেম্বরে (২০১৮) অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের আগেই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে এবং রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ভারত মিয়ানমারের ওপর ‘চাপ’ প্রয়োগ করবে?
শেখ হাসিনার সরকারের সময়েই তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এমন বক্তব্য কাদের ছাড়াও দু’পক্ষ থেকেই বিভিন্ন সময়ে এসেছে। কিন্তু মোদি সরকারের তেমন উদ্যোগ আমরা দেখিনি। ২০১৯ সালে ভারতে লোকসভার নির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গেও বিধানসভার নির্বাচন আগামীতে। এক্ষেত্রে তিস্তার পানি বণ্টন একটি ফ্যাক্টর। এ ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গকে পাস কাটিয়ে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে আদৌ কোনো তিস্তা চুক্তি করবেন বলে মনে হয় না। যদিও সংবিধান তাকে অধিকার দিয়েছে- তিনি চুক্তি করতে পারেন। এখন ওবায়দুল কাদের যখন বলেন, ‘ভেরি ভেরি পজিটিভ আউটকাম’, তখন আশ্বস্ত হই কীভাবে? নাকি এটা কথার কথা! পঞ্চমত, আওয়ামী লীগ নেতারা বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কাদেরের সঙ্গে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধবের ছবিও ছাপা হয়েছে। তবে বিজেপি প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ-এর সঙ্গে বৈঠকের কোনো খবর সংবাদপত্র দেয়নি। বিজেপি-আওয়ামী লীগ আলোচনার পর এক শীর্ষ বিজেপি নেতার কথায় ‘আওয়ামী লীগকে এ আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে আমরা এটাই বোঝাতে চাই যে, বাংলাদেশে আমাদের সমর্থন গণতন্ত্রের প্রতি গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের প্রতি’। অর্থাৎ বিজেপি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের সমর্থন করে! এটাই স্বাভাবিক। ভারত একটি বড় গণতান্ত্রিক দেশ। বিজেপি একটি ধর্মান্ধ রাজনৈতিক দল হলেও জনগণের ভোটে তারা ক্ষমতায় এসেছে। বাংলাদেশের জনগণ, সিভিল সোসাইটি মনে করে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে ভারত তথা ভারতের ক্ষমতাসীন দল একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। কোন একটি ‘বিশেষ দল’কে নয়, বরং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির প্রতিই ভারতের কমিটমেন্ট থাকা উচিত। ষষ্ঠ, এই সফরে আওয়ামী লীগ নেতারা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কোনো বৈঠক করেনি। সপ্তম, ঢাকায় ফিরে এসে ওবায়দুল কাদের বলেছেন নির্বাচন নিয়ে ভারতের নাক গলানোর কিছু নেই। ভারত নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে না। এবারও করবে না। কিন্তু তার এই বক্তব্যে রাজনৈতিক মহল কতটুকু আশ্বস্ত হতে পেরেছে, আমি নিশ্চিত নই। বিএনপি প্রায় প্রতিদিনই বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। রিজভী প্রায় প্রতিদিনই প্রেস ব্রিফিং করছেন। এ একটি ক্ষেত্রে দেখলাম বিএনপি কোনো কথা বলল না। সাধারণত আওয়ামী লীগকে কংগ্রেসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বলে বিবেচনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে সাবেক ভারতীয় রাষ্ট্রপতি ও কংগ্রেস নেতা প্রণব মুখার্জির খুব ঘনিষ্ঠ বলে ধরে নেয়া হয়। কিন্তু ভারত সফরে আওয়ামী লীগ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে দেখা করলেন না। এতে করে আওয়ামী লীগ ভারতে ক্ষমতাসীন পার্টিকে বেশি গুরুত্ব দেয়- এটা প্রমাণিত হতে পারে। রাজনৈতিকভাবে বিজেপি আর আওয়ামী লীগ এক নয়। আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি করলেও, বিজেপি ধর্মনির্ভর একটি রাজনৈতিক দল। হিন্দুত্ববাদে তারা বিশ্বাসী। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ও বিজেপির মধ্যে মিল হওয়ার কথা নয়। তবু হয়েছে। কারণ এখানে স্বার্থের প্রশ্নটি জড়িত।
বাংলাদেশে ভারতের প্রচুর স্বার্থ রয়েছে। মোদি সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের যত বেশি উন্নতি হয়েছে, অতীতে কোনো সরকারের আমলেই সম্পর্ক এত উঁচু পর্যায়ে উন্নীত হয়নি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে কোন সরকার ক্ষমতায় এটা ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো বিবেচ্য নয়। তারা তাদের স্বার্থ দেখে। এক্ষেত্রে বিজেপি সরকার আর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের মাঝে কোনো পার্থক্য নেই। প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে কতটুকু আদায় করে নিতে পেরেছে? সীমান্ত চুক্তিটি এ মোদি সরকারের সময়েই চূড়ান্ত হয়েছে। সীমানা চিহ্নিত হয়েছে। সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হয়েছে। আমরা ভারত থেকে কিছু বিদ্যুৎ পাচ্ছি- এসবই অর্জন। কিন্তু আমরা অনেক কিছুই পাইনি। তিস্তার চুক্তি তো বহুল আলোচিত। এ চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম। বর্তমান মোদি সরকার কেন, অতীতে সব সরকারই আমাদের আশ্বাস দিয়ে গেছে। কিন্তু চুক্তি হয়নি। আমরা মমতা ব্যানার্জির ব্যাপারে আগ্রহান্বিত ছিলাম। মমতা ঢাকায় এসে বলে গিয়েছিলেন ‘তিনি কাঠ-বিড়ালী হয়ে কাজ করবেন’! অর্থাৎ ভারতের কেন্দ্রের সরকারের সঙ্গে ‘গো-বিটুইন’ হিসেবে কাজ করবেন- এমনটাই বোঝায় তার কথায়। কিন্তু কৈ? কেন্দ্র তো রাজি তিস্তা চুক্তিতে। রাজি না মমতা ব্যানার্জি। ভারতের দাবি অনুযায়ী সবই তো আমরা মেনে নিয়েছি। দিয়েছিও। ট্রানজিট থেকে শুরু করে পায়রায় সমুদ্রবন্দর নির্মাণ পর্যন্ত। অথচ আমাদের প্রয়োজন ছিল কক্সবাজারের সন্নিকটে সোনাদিয়ায় একটি গভীর সমুদ্রবন্দর। পায়রার চেয়ে সোনাদিয়ার গুরুত্ব ছিল অনেক বেশি। কিন্তু ভারতের আপত্তির কারণে তা ঝুলে গেল! এখন মাতারবাড়ী প্রজেক্ট নিয়ে জাপানিদের সঙ্গে কথাবার্তা হচ্ছে। সোনাদিয়ায় এটি তৈরি করে দিতে চেয়েছিল চীন। এটি ছিল চীনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ মহাপ্রকল্পের ৬টি অর্থনৈতিক করিডোরের একটি। চীনের এ কর্মসূচিকে বাংলাদেশ সমর্থন জানিয়েছিল। কিন্তু ভারত এতে যোগ দেয়নি। ভারত অতি সম্প্রতি এমন কিছু উদ্যোগ নিয়েছে, যা আমাদের স্বার্থের বিরোধী। গত বছরের জানুয়ারি মাসে তিন ধরনের বাংলাদেশি পাট পণ্যের ওপর ভারত শুল্কারোপ করেছে। জুন মাসে শুল্কারোপ করা হয় হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড এর ওপর। বাংলাদেশে তৈরি ফিশিং নেটও শুল্কারোপের আওতায় এসেছে। পাট পণ্যের (পাট সুতা, বস্তা ও চট) ওপর শুল্কারোপে সাফটা চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের পণ্যের যে সুবিধা পাওয়ার কথা, তা থেকে বাংলাদেশ বঞ্চিত হল। ভারত তার স্বার্থ দেখে। বড় দেশ হিসেবে ভারত প্রভাব খাটাতে চায়। আমাদের ব্যর্থতা এখানেই যে আমরা দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় আমাদের স্বার্থ আদায় করে নিতে পারছি না। রাজনৈতিক নেতৃত্ব সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে পারছেন না।
ওবায়দুল কাদের দিল্লি গিয়েছিলেন। কোনো সরকারি সফরে তিনি যাননি। সুতরাং বিষয়ভিত্তিকভাবে আলোচনার সুযোগ কম ছিল। তবে কিছু কিছু বিষয় যে আলোচনা হয়েছে, তা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি কি পাওয়া গেছে? আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে কি ওইসব বিষয় থাকবে, যা ভারত আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সমাধানের? মিডিয়া জানতে চেয়েছিল। ওবায়দুল কাদের স্পষ্ট করেননি কিছুই। শুধুই প্রতিশ্রুতি আর আশাবাদ!
ভারত অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে না বলে ওবায়দুল কাদের আমাদের জানিয়েছেন। কিন্তু ইতিহাস বলে তো ভিন্ন কথা! শ্রীলংকা, নেপাল আর ভুটানের খবর তো সিরিয়াস পাঠকরা জানেন। প্রশ্ন হচ্ছে মোদির ‘নেইবারহুড ফাস্ট’ পলিসিতে বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান আছে। মোদি বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়েই উপআঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা বিবিআইএনকে কার্যকর করতে চায়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও বিবিআইএন-এর গুরুত্বকে অস্বীকার করা যাবে না। কিন্তু মোদি সরকার যদি বিশেষ একটি দলকে নিয়ে তাদের পরিকল্পনা প্রণয়ন করে, তাতে তারা সফল হবে না। বিশেষ দল নয়, বরং বাংলাদেশের মানুষের আস্থা তাদের নিশ্চিত করতে হবে। একটি বিশেষ দলকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তারা একটা ভুল মেসেজ পৌঁছে দিলেন কিনা, সেটাই দেখার বিষয়। আমাদের অন্যতম উন্নয়ন পার্টনার ভারত। বাংলাদেশে একটি স্থিতিশীল সরকার ভারতেরও কাম্য। মোদি সরকার এখন বিএনপির একটি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাদের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে পারে। এমনকি সংসদের বিরোধী দলকেও আমন্ত্রণ জানানো উচিত।
এর মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমানের নাগরিকত্ব নিয়ে দেশে একটি বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিটিশ হোম অফিসের তথাকথিত চিঠি, যাতে ১৩টি ভুল চিহ্নিত হওয়া, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়া পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে বক্তৃতা-বিবৃতিতে লিপ্ত হয়েছে। এরই মাঝে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন ভারত সফরও শেষ হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে ভারতের একটি ভূমিকা থাকবে। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন, সব দলের অংশগ্রহণ, সবাইকে সমান সুযোগ দিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করা- এটাই সবার কাম্য। এক্ষেত্রে ভারত প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে একটি ভূমিকা পালন করতে পারে। ভারত নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারে। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে কারিগরি সহযোগিতা করতে পারে। মোদ্দা কথা, আগামী নির্বাচনে ভারতের ভূমিকা থাকবেই, তা কোনো দল চাক আর না চাক। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতের এ সহযোগিতা আমাদের দরকার। বেগম জিয়া অসুস্থ। তাকে প্যারোলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠালে ক্ষতি কি? সরকারের এটা প্লাস পয়েন্টও হতে পারে। বেগম জিয়া যত দিন অসুস্থ থাকবেন, গুজবের ডাল-পালা তত বেশি করে গজাবে! ‘অসুস্থ’ বেগম জিয়াকে বাইরে রেখেও নির্বাচনে যাওয়া উচিত বিএনপির। আর এতে করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আরও এগিয়ে যাবে। আর এমন একটি গণতান্ত্রিক সমাজই বিজেপি বাংলাদেশে দেখতে চায়- আমার বিশ্বাসটা এখানেই।
Daily Jugantor
30.4.2018

0 comments:

Post a Comment