রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

রক্তাক্ত কলম্বো ও দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা






শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো ও শহরতলির তিনটি গির্জা ও কয়েকটি ফাইভ স্টার হোটেলে সন্ত্রাসী হামলার পর খুব সঙ্গত কারণেই একটি প্রশ্ন এখন ব্যাপকভাবে আলোচিত আর তা হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো আসলে কতটুকু নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির মাঝে আছে? দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এর আগে একাধিকবার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের শিকার হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভুটান ও নেপাল থেকে তেমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের খবর না আসলেও, বাংলাদেশ ও ভারতের রাজধানীতে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সংঘটিত হয়েছে। আর পাকিস্তান ও আফগানিস্তান তো বরাবরই সন্ত্রাস কবলিত দুটি দেশ। আগফানিস্তান কার্যত এখন তালেবান আর ইসলামিক স্টেটের নিয়ন্ত্রণাধীনে। সেখানে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। খোদ রাজধানী কাবুল এখন অরক্ষিত। কাবুলে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা এখন যেন সেখানে সাধারণ একটি ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তালেবানদের সঙ্গে একদিকে আলোচনা শুরু করলেও, আত্মঘাতী বোমাবাজি সেখানকার রাজনৈতিক সংস্কৃতির অন্যতম অংশে পরিণত হয়েছে। পাকিস্তানে পাখিতুন খাওয়া প্রদেশে সরকারের কর্তৃত্ব এক রকম নেই বললেই চলে। পাকিস্তানে জঙ্গিগোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান অত্যন্ত সক্রিয়। একসময় ধারণা করা হয়েছিল ইমরান খান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিলে সেখানে আত্মঘাতী বোমাবাজি সংস্কৃতি বন্ধ হবে। কিন্তু তা হয়নি। বরং বেলুচিস্তান নতুন করে সন্ত্রাস কবলিত এলাকা হিসেবে যোগ হয়েছে। ভারতের অবস্থাও লক্ষ করার মতো। সম্প্রতি সেখানে একাধিক সন্ত্রাসবাদী ঘটনা ঘটেছে। খোদ ভারতের পার্লামেন্টেও সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছিল। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রæয়ারি জম্মু ও কাশ্মিরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪০ জন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য। এর জন্য দায়ী করা হয়েছিল পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদকে। বাংলাদেশও সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ডে আক্রান্ত হয়েছিল। বাকি ছিল শ্রীলঙ্কা। এখন শ্রীলঙ্কাও আক্রান্ত হলো। দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ডের সঙ্গে ইসলামিক স্টেট প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কার গণহত্যার সঙ্গে আইএস জড়িত। তারা গেল মার্চ মাসে ক্রাইস্টচার্চের ৫০ জন মুসলমানের হত্যার প্রতিশোধ নিল। ২০ এপ্রিলের ঘটনা সেখানে একটি ব্যাতিক্রমধর্মী ঘটনা হলেও (৩২১ জন মানুষের মৃত্যু) সেখানে মুসলমানদের সঙ্গে উগ্র বৌদ্ধদের সংঘর্ষের খবর সম্প্রতি একাধিকবার সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে। শ্রীলঙ্কায় মুসলমান জনগোষ্ঠীর সংখ্যা মাত্র ১০ শতাংশ। সংখ্যাগরিষ্ঠ ৭১ শতাংশ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। তবে বৌদ্ধদের মাঝে উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। একটি উগ্রপন্থি বৌদ্ধ সংগঠনের (বদু বালা সেবা) নাম পাওয়া যায়, যারা মুসলমানদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে আসছে। এরা কলম্বোতে বাংলাদেশ দূতাবাসেও একবার হামলা চালিয়েছিল। আইএস তাদের সহযোগী সংগঠনকে তাই শ্রীলঙ্কাকেই বেছে নিয়েছে তাদের পরবর্তী টার্গেট হিসেবে। আইএস ন্যাশনাল তওহিদ জমিয়াতকে কলম্বোতে ব্যবহার করেছিল। আইএস-এর খেলাফতের পতন হয়েছে। সিরিয়ার রাকাতে ছিল তাদের অলিখিত রাজধানী। এতদিন তারা ইউরোপের বিভিন্ন শহরে, বিশেষ করে প্যারিস, লন্ডন ও ব্রাসেলসের মতো শহরে ‘লোন উলফ’ বা একক সন্ত্রাসী হামলার মধ্য দিয়ে তাদের অস্তিত্ব জানান দিয়ে আসছিল। খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও তারা লোন উলফ-এর মাধ্যমে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করেছে। লক্ষ করলে দেখা যাবে মুসলমান প্রধান দলগুলোতে আইএসের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড হয়েছে কম।

যেখানে মুসলমানরা সংখ্যালঘু, সেখানে আইএস তাদের কর্মকান্ড সম্প্রসারিত করেছে। শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এ আলোকেই রচিত। তবে শ্রীলঙ্কায় এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এখন অনেক প্রশ্নের জন্ম দেবে। এএফপি আমাদের জানাচ্ছে ২০ এপ্রিলের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অন্তত ১০ দিন আগে শ্রীলঙ্কার পুলিশ প্রধান প্রযুথ জয়াসুন্দরা শ্রীলঙ্কায় সম্ভাব্য একটি সন্ত্রাসী হামলার কথা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিলেন। ১১ এপ্রিল ওই চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল বলে একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা প্রিয়লাল দেশনায়েকে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন (ডেইলি মিরর, ২২ এপ্রিল)।
সংবাদপত্রে এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে যে, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা শ্রীলঙ্কার গোয়েন্দা সংস্থাকে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার তথ্য সরবরাহ করেছিল। অন্তত ৩০ মিনিট আগেই শ্রীলঙ্কার গোয়েন্দারা জানত একটি সন্ত্রাসী হামলা হতে যাচ্ছে। সঙ্গত কারণেই তাই প্রশ্ন এসে যায়, শ্রীলঙ্কার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ ব্যাপারে বিশেষ পদক্ষেপ নিল না কেন? এটা কি শুধুই শৈথিল্য? সন্ত্রাসী হামলাকে সিরিয়াসলি না নেওয়া? নাকি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাঝে জঙ্গিদের পেনিট্রেশন ঘটেছে? বিবিসিকে একজন শ্রীলঙ্কার মন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে, চিঠি পাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী অবহিত ছিলেন না। তবে চিঠি পাওয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন। সারা বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ যখন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, যখন আইএস ক্রাইস্টচার্চের গণহত্যার বদলা নেওয়ার কথা বলছিল, তখন শ্রীলঙ্কার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক হবার প্রয়োজন ছিল। তারা দায়িত্বে অবহেলা করেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে শ্রীলঙ্কার পুলিশ প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে। কাউন্টার টেররিজম ফোর্স গঠন করতে হবে।
বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা শ্রীলঙ্কা কাজে লাগাতে পারে। দ্বিতীয়ত, শ্রীলঙ্কায় ন্যাশনাল তওহিদ জমিয়াত বা এনটিজে নামে উগ্র ইসলামিক সংগঠনের খবর পাওয়া যায়, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। এনটিজের সঙ্গে আইএসের যোগাযোগ আছে। এনটিজেকে বলা হয় আইএসের পূর্বসূরী। এদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের রেকর্ড আছে। গেল বছর এরা বেশকিছু বৌদ্ধমন্দির ভেঙে আলোচনায় এসেছিল। এই হামলার সঙ্গে অন্য কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের কতটুকু যোগসূত্র আছে, তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব এখন শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা বাহিনীর। ইতোমধ্যে শ্রীলঙ্কার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সঙ্গে স্থানীয় সংগঠন জড়িত।

যদিও সুনির্দিষ্ট কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের নাম প্রথমে বলা হয়নি। শ্রীলঙ্কার সংবাদপত্রের ভাষ্য অনুযায়ী সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা গুনাসেকারা এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন। স্থানীয় সংগঠনই এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়েছে। জাহরান হাশিম নামে একজন উগ্রবাদী সন্ত্রাসীর ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। বিদেশ থেকে তার ছবি ‘আপলোড’ করা হয়েছে। সুতরাং এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জাহরান হাশিমের সংশ্লিষ্টতা কী, তার উদ্দেশ্য কী ছিল কিংবা সে কাদের সঙ্গে জড়িত ছিল, এসব এখন খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

মুসলমানদের বলা হয় শ্রীলঙ্কার ‘ভ‚মিপুত্র’ অর্থাৎ আদি বসতি। অতীতে শ্রীলঙ্কায় মুসলমানদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের তেমন কোনো খবর পাওয়া যায় না। কিন্তু ২০১৪ সালে সিরিয়া ইরানে আইএসের উত্থানের পরপরই সারা বিশ্বেই সন্ত্রাসবাদের ধারণা পাল্টে গেছে। বিশ্বে ইসলামিক খেলাফত প্রতিষ্ঠার মতবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে তরুণ প্রজন্ম, যারা মুসলমান, তারা সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ডে নিজেদের জড়িত করেছেন।
মুসলমান প্রধান দেশগুলোতে এর প্রেক্ষাপটেই জন্ম হয়েছে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী সংগঠন, যারা সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ডের মধ্য দিয়েই ইসলামিক আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। শ্রীলঙ্কায় এনটিজের উত্থান এভাবেই এখন তদন্তে বেড়িয়ে আসবে এদের সঙ্গে অন্য কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের যোগাযোগ আছে কি না, কিংবা থাকলে কতটুকু আছে। প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের মাঝে এক ধরনের ক্ষমতার দ্ব›দ্ব আছে। এই দ্ব›দ্ব সন্ত্রাসীদের উসকে দিল কি না, কিংবা তারা সুযোগ নিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা দরকার। ন্যাশনাল তওহিদ জমিয়াত-এর আর্থিক ভিত্তি কী, তা খুঁজে দেখা দরকার। কেননা এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকা চালাতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের পর শ্রীলঙ্কায় যখন স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছিল, ঠিক তখনই এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শ্রীলঙ্কার জন্য কোনো ভালো খবর নয়। গৃহযুদ্ধের পর শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে সুবাতাস বইছে। ৪২ মিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৭ মিলিয়নে।
শ্রীলঙ্কায় ভ্রমণকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে (প্রতি মাসে) ৫ গুণ। ২০০৯ সালে যে সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার, ২০১৮ সালে তা বেড়েছে ২ লাখ ৫০ হাজারে। দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলঙ্কাতেই মাথাপিছু আয় সবচেয়ে বেশি। এই ঘটনায় শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিদেশি পর্যটকদের শ্রীলঙ্কায় আসা বন্ধ হয়ে যাবে। এতে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদিও দুটি ইসলামিক সংগঠন (শ্রীলঙ্কার) ‘দ্য মুসলিম কাউন্সিল অব শ্রীলঙ্কা’ ও ‘অল সিলোন জমিয়াতুল উলেমা’ এই সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ডের নিন্দা করেছে। যন্ডদিও শ্রীলঙ্কার শীর্ষ স্থানীয় ক্রিশ্চিয়ান ধর্মীয় নেতা ‘শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রাখার আহŸান জানিয়েছেন। কিন্তু সেখানে উগ্র বৌদ্ধ সংগঠন রয়েছে। তারা এটাকে ইস্যু করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি কষ্ট করতে পারে। এ দিকে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

শ্রীলঙ্কার সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ড শুধু শ্রীলঙ্কা তথা দক্ষিণ পূর্ব-এশিয়ার দেশগুলোর জন্য একটি ‘ওপেক আপ’ বলই নয়, বাংলাদেশের জন্যও একটি সতর্ক বার্তা। অতীতে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ড সংঘটিত হয়েছে। তবে আমাদের ‘কাউন্টার টেররিজম ইউনিট’কে ধন্যবাদ দিতেই হয়। এই সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ড পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে, এটা বলা যাবে না, তবে অনেক ক্ষেত্রেই নির্মূল হয়েছে। ইসলামের নামে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে কোনো কোনো ওয়াজ মাহফিলে, এমন অভিযোগ শোনা যায়। এ ক্ষেত্রে মনিটরিং বাড়ানো দরকার। তরুণ প্রজন্ম যাতে বিভ্রান্ত না হয়, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন সোস্যাল মিডিয়ায় যাতে শ্রীলঙ্কার ঘটনাবলি ব্যবহার করে বিভ্রান্তি না ছড়ানো হয়, সে ব্যাপারে তৎপর হওয়া জরুরি। বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের মাত্রা কমেছে, এটা বলা যাবে না। গবেষকদের তথ্য মতে, গত চার মাসে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ২৬৪টি সন্ত্রাসবাদী ঘটনা ঘটেছে। এসব সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ডের সঙ্গে স্থানীয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলো জড়িত থাকলেও পর্দার অন্তরালে আইএস এদের পরিচালনা করছে। এমনকি আগের মতো ঝওঞঊ ওহঃবষষরমবহপব-কেও আমরা তৎপর হতে দেখলাম। বাংলাদেশসহ যেখানেই আইএস তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়েছে। ঝওঞঊ (ওয়াশিংটনভিত্তিক ইসরাইলি সাবেক গোয়েন্দা রিটা কাটজ কর্তৃক পরিচালিত) সেই খবরগুলো অত্যন্ত দ্রæততার সঙ্গে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তিনজন আত্মঘাতী বোমারুর ছবি তারা প্রকাশ করেছে, যারা শ্রীলঙ্কায় আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়েছিল। শ্রীলঙ্কা সরকার তাদের দেশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশকে শ্রীলঙ্কার ঘটনাবলি থেকে শিক্ষা নেওয়া ও সন্ত্রাস দমনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো নিজেদের মধ্যে তথ্য বিনিময়ও করতে পারে। শ্রীলঙ্কার ঘটানাবলিকে হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই।
Daily Somoyer Alo
25.04.2019

0 comments:

Post a Comment