শেষ পর্যন্ত যা হওয়ার, তাই হয়েছে। যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেল। ৩১ জানুয়ারি তারিখটি নির্ধারিত ছিল। আর সে মোতাবেক যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের। শেষ মুহূর্তে এসেও দু-দুটো অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল। প্রথমটি ছিল গেল ২৪ জানুয়ারি (২০২০), যখন ইউরোপিয়ান কমিশন ও ইউরোপিয়ান কাউন্সিল প্রধানরা ব্রেক্সিট চুক্তিতে চূড়ান্ত স্বাক্ষর করেন। এর আগের দিন এক ভোটাভুটিতে ইইউ পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা এই চুক্তিতে সায় দেন। এরপর ২৯ জানুয়ারি সর্বশেষ ধাপ সম্পন্ন হয় ইইউ পার্লামেন্টের সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিকে অনুমোদন দেন। ফলে সমাপ্তি ঘটল ৪৭ বছরের সম্পর্কের। যুক্তরাজ্য এখন এক বছর সময় পাবে ইইউর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করার।
‘ব্রিটিশ এক্সিট’ নামটিকে সংক্ষেপ করেই ডাকা হয় ব্রেক্সিট নামে। এটা হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া। তবে এই কাজটি অত সহজ ছিল না। নানা প্রশ্ন ও নানা প্রক্রিয়া মধ্য দিয়ে ‘ব্রেক্সিট’ প্রক্রিয়াটি এগিয়ে গেছে। ২০১৬ সালের ২৩ জুন ব্রিটেনে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেদিন ব্রিটেনের নাগরিকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যুক্তরাজ্যের কি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থাকা উচিত, নাকি থাকা উচিত নয়? সেদিন ৫২ শতাংশ ভোট পড়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে আর থাকার পক্ষে ভোট পড়েছিল ৪৮ শতাংশ। এরপর ঘটতে থাকে নাটকীয় সব ঘটনা। ২০১০ সাল থেকে ছয় বছর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ডেভিড ক্যামেরন। তিনি চেয়েছিলেন যুক্তরাজ্য যেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থেকে যায়। কিন্তু গণভোটে তিনি হেরে গেলে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন টেরিজা মে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই (২০১৭) তিনি বলে আসছিলেন, তার সময়েই ‘ব্রেক্সিট’ সম্পন্ন হবে। কিন্তু কাজটি তার জন্য সহজ ছিল না। ব্রিটেনের সঙ্গে ইইউর একটি চুক্তির প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তার প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট চুক্তিটি যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রত্যাখ্যান হলে ২০১৭ সালের জুন মাসে আগাম সাধারণ নির্বাচন দিতে বাধ্য হন তিনি। কিন্তু ভোটে কনজারভেটিভরা পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। পর টেরিজা মে পদত্যাগ করলে (২০১৯) প্রধানমন্ত্রী হন বরিস জনসন। জনসনের আনা ব্রেক্সিট প্রস্তাবও কয়েক দফা প্রত্যাখ্যান হয় ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। এমতাবস্থায় গেল বছরের শেষে সেখানে আবার নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন বরিস জনসন ও তার কনজারভেটিভ পার্টি।
এখন ব্রেক্সিট চুক্তি কার্যকর হলেও অনেক প্রশ্ন রয়েছে, যা আগামী দিনের ব্রিটেন তথা ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে। ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে যে ‘ডিভোর্স’ বা ‘প্রত্যাহার’ চুক্তি হয়েছে, তাতে ব্রিটেনকে ইইউকে দিতে হবে ৩৯ মিলিয়ন ডলার। ব্রিটেনে ইইউভুক্ত দেশগুলোর যেসব নাগরিক রয়েছেন, এখন তাদের কী হবে? নর্দান আয়ারল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড রিপাবলিকের মাঝামাঝি ইইউ এবং ব্রিটেনের সীমানা এখন কীভাবে নির্ধারিত হবে? যুক্তরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত স্কটল্যান্ড কি যুক্তরাজ্য ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গিয়ে আলাদাভাবে ইইউতে যোগ দেবে? আইরিশ সীমান্তে এখন কী হবে, এটা একটা বড় চিন্তার কারণ। ব্রিটেনের সঙ্গে ইইউর যে চুক্তি হয়েছে, তাতে ‘ব্যাকস্টপ’ নামে একটি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। ব্রেক্সিট সমঝোতায় যাই আসুক না কেন, আয়ারল্যান্ড দ্বীপে একটি মুক্ত সীমান্ত রাখার সর্বশেষ চেষ্টা বোঝাতে ‘ব্যাকস্টপ’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। এটা হলো এমন এক ব্যবস্থা, যেখানে যুক্তরাজ্যের অন্যান্য অংশ ছাড়া শুধু নর্দান আয়ারল্যান্ডে খাদ্যদ্রব্যসহ বেশ কিছু বিষয়ে ইইউর নিয়ম বলবৎ থাকবে। কিন্তু প্রশ্ন তুলেছেন অনেক এমপি। তাদের যুক্তি, ব্রিটেন ইইউ থেকে বেরিয়ে গেলেও তার অংশ উত্তর আয়ারল্যান্ড ইইউর আইনের কাঠামোর মধ্যেই থেকে যাচ্ছে, এটা হতে পারে না। আবার অনেকে ইইউর কাছাকাছি বা ভেতরেও থাকতে চাইছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, নর্দান আয়ারল্যান্ডকে যুক্তরাজ্য-অন্যান্য অংশ থেকে ভিন্নভাবে দেখা উচিত নয়। একটা সম্ভাবনা জন্ম হয়েছে যে, স্কটল্যান্ডও এখন যুক্তরাজ্য-ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যেতে পারে। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড (১৭০৭) আর উত্তর আয়ারল্যান্ড (১৮০১) নিয়ে যুক্তরাজ্য গঠিত। স্কটল্যান্ডে ব্রিটেনের গণভোটের প্রভাব পড়েছে। সেখানে স্বাধীনতার চেতনা শক্তিশালী হচ্ছে। ব্রিটেনের ২০১৬ সালের গণভোট আর ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত স্কটিশ আর আইরিশ কট্টরপন্থিদের উৎসাহিত করেনি। তারা ব্রিটেনের সঙ্গে সুর মেলায়নি। স্কটিশরা এখন ইইউতে ব্রিটেনের জায়গাটিকে নিতে চায়। একবার ব্রিটেন বেরিয়ে গেলে স্কটল্যান্ড ইইউর সদস্যপদের জন্য আবেদনও করতে পারে।
১৯৯৩ সালে বর্তমানে ইইউ বা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন নামে পরিচিত সংস্থাটি যাত্রা শুরু করলেও, এটি গড়ে উঠেছিল ১৯৫৭ সালে। মাত্র ছয়টি দেশ নিয়ে এর যাত্রা শুরু হয়েছিল। এই দেশগুলো হচ্ছে বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও লুক্সেমবার্গ। তখন এর পরিচিতি ছিল ইইসি বা ইউরোপিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটি। ১৯৭৩ সালে যুক্তরাজ্য এই সংস্থায় যোগ দেয়। ধীরে ধীরে এর সদস্য সংখ্যা বাড়তে থাকে। একসময়ের সাবেক সমাজতান্ত্রিক পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোও ইইউতে যোগ দেয়। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে আইসল্যান্ড, নরওয়ে ও মনটেনেগরো ইইউর সদস্য হয়। গত ৬৩ বছরের ইতিহাসে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে দুঃখজনক ঘটনা। তবে ইইউর অনেক সাফল্যও আছে। গত ১ জানুয়ারি (২০০২) ইইউর মধ্যে ১২টি দেশ অভিন্ন মুদ্রা ইউরো চালু করে। বর্তমানে ১৫টি দেশে ইউরো চালু রয়েছে। ডেনমার্ক, ব্রিটেন, বুলগেরিয়া, চেক রিপাবলিক, এস্তোনিয়াসহ কয়েকটি দেশ ইউরো মুদ্রা গ্রহণ না করে নিজস্ব মুদ্রা চালু রেখেছিল। আরেকটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হচ্ছে শেঙেন চুক্তি কার্যকর হওয়ার (মার্চ ১৯৯৫) পর থেকে সীমান্ত উঠে গেছে। এর অর্থ হচ্ছে, শেঙেন ভিসা নিয়ে যে কেউ ইইউভুক্ত যেকোনো দেশে যেতে পারবেন এবং এক ভিসায় ইইউভুক্ত প্রতি দেশে যেতে পারবেন (ব্রিটেন বাদে)। এমনকি ইউরোপের এক দেশের নাগরিক অন্য দেশে গিয়ে থাকতে পারবেন এবং চাকরিও করতে পারবেন। একটা সমস্যা ব্রিটেনে তৈরি হয়েছিল। অভিন্ন ইউরোপের (ম্যাগস্ট্রিট চুক্তি অনুযায়ী) ধারণার ফলে শত শত পূর্ব ইউরোপের নাগরিক লন্ডনে এসে বসবাস ও চাকরি করতে শুরু করেছিলেন। এর মধ্য দিয়ে ব্রিটেনের আদি সংস্কৃতিতে ধ্বংস নেমেছিল। বয়স্ক মানুষরা এটা পছন্দ করেননি। তাই তারা ইইউ থেকে বেরিয়ে আসার পক্ষে গণভোটে রায় দিয়েছিলেন। অন্যান্য ইউরোপের দেশ থেকে তাদের সংস্কৃতি যে আলাদা, তা তারা চেয়েছিলেন। ফলে কনজারভেটিভ পার্টিকে তারা নির্বাচনে বিজয়ীও করেছিলেন। কিন্তু এরপর কী?
ব্রিটেন তো ইইউ থেকে বেরিয়ে গেল। এতে করে কি ইইউ ভেঙে যাবে? ইউরোপের রাজনীতিতে তা কতটুকু প্রভাব ফেলবে? বলার অপেক্ষা রাখে না ইইউ একটা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি গ্রিসের অর্থনৈতিক সংকট সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিল। গ্রিসের অর্থনৈতিক সংকট প্রমাণ করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের মডেল গ্রিসের রাজনীতি তথা অর্থনীতির জন্য সহায়ক নয়। এরপর সিরিয়া সংকটকে কেন্দ্র করে ইউরোপে ব্যাপক অভিবাসনের ঘটনা ঘটে। হাজার হাজার মানুষ সিরিয়া ও ইরাক ছেড়ে ইউরোপে পাড়ি জমায়। ইউরোপের পথে-ঘাটে, রেলস্টেশনে হাজার হাজার বিদেশি মানুষের উপস্থিতি ইউরোপের দৃশ্যপটকে বদলে দেয়। ইইউ এসব অভিবাসীকে ইইউভুক্ত বিভিন্ন দেশে পাঠানোর উদ্যোগ নিলে, তা বড় বিতর্কের জন্ম দেয়। অভিবাসনবিরোধী একটা জনমত শক্তিশালী হয়। এই অভিবাসনবিরোধী জনমতকে পুঁজি করেই কট্টর দক্ষিণপন্থিরা ইউরোপে শক্তিশালী হয়। স্থানীয় তথা জাতীয় রাজনীতিতে তারা ভালো ফলাফল করে। জার্মানিতে তারা এখন তৃতীয় বড় দল এবং ভবিষ্যতে তারা শরিক দল হয়ে সরকারও গঠন করতে পারে! এই কট্টর দক্ষিণপন্থিরা এখন ফ্রান্স, পোল্যান্ডে অত্যন্ত শক্তিশালী। হাঙ্গেরিতে তারা সরকারও গঠন করেছে। অনেক রাষ্ট্র এখন (পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক ও সুইডেন) নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও অর্থনীতির সুরক্ষার জন্য আলাদা আইন করার উদ্যোগ নিচ্ছে।
ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনা অর্থনৈতিকভাবে ইইউকে একটি ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেবে। ব্রিটেনের অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে। সেখানে বিনিয়োগ হ্রাস পাবে। অন্যত্র চলে যাবে ব্যবসা। ক্ষতি হবে স্থানীয় অর্থনীতির। ইতিমধ্যে অনেক বড় ব্যাংক ও বীমার সদর দপ্তর লন্ডন থেকে সরিয়ে ফ্রাঙ্কফুর্টে (জার্মানি) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ব্রেক্সিটের ঘটনা আদৌ ব্রিটেনকে বিশ্ব আসরে একটি ‘শক্তি’তে পরিণত করতে পারবে না। এটা সত্য, ব্রিটেনের ভোটাররা প্রথমে গণভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষে ও পরে সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভদের বিজয়ী করে নিজেদের আলাদা অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার পক্ষে রায় দিয়েছিলেন। কিন্তু এতে করে তারা খুব লাভবান হবেন কি না সেটাই বড় প্রশ্ন এখন। বরং ইইউতে থেকেই ব্রিটেন বিশ্ব আসরে বড় ভূমিকা পালন করে আসছিল। এখন তাতে ছন্দপতন ঘটল। কেমন হবে এখন ব্রিটেন, সে প্রশ্নও আছে। ইইউর সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক কোন পর্যায়ে থাকবে, সেটাও একটা প্রশ্ন। এখন ব্রিটেনকে ইইউভুক্ত প্রতিটি দেশের সঙ্গে আলাদাভাবে বাণিজ্যিক ও নিরাপত্তা-সংক্রান্ত চুক্তি করতে হবে। এ আলোচনা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। যেসব ইইউ নাগরিক বর্তমানে ব্রিটেনে কাজ করেন, তাদের ব্যাপারেও একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে। এমনকি যেসব ব্রিটিশ নাগরিক ইইউভুক্ত দেশে কাজ করেন, তাদের ব্যাপারেও একটি চুক্তি করতে হবে।
যুক্তরাজ্য বিশ্বের বড় অর্থনীতিগুলোর একটি। জি-৭-এর সদস্য এবং নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যও যুক্তরাজ্য। দুর্বল যুক্তরাজ্যের কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না বিশ্ব আসরে। যুক্তরাজ্যের জিডিপির পরিমাণ ৩.০২৮ ট্রিলিয়ন ডলার (তিন দশমিক শূন্য দুই আট ট্রিলিয়ন ডলার)। এটা ক্রয়ক্ষমতা, অর্থাৎ পিপিপির ভিত্তিতে হিসাব, সাধারণ হিসাবে এর পরিমাণ ২.৯৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার, যা বিশ্বের পঞ্চম। মাথাপিছু আয় সাধারণ হিসাবে ৪৪১৭৭ ডলার (বিশ্বের ১৯তম) পিপিপিতে এর পরিমাণ ৪৫৫৬৫ ডলার (২৫তম)। এই অবস্থান যুক্তরাজ্য ধরে রাখতে পারবে না।
আগামী এক দশকের মধ্যে আরও বেশ কয়েকটি দেশ ইইউ থেকে বেরিয়ে যেতে পারে। স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার ও স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির প্রধান নিকোলা স্টুরিজিওন ও তার দল স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চান। আয়ারল্যান্ডের সিনফেইন পার্টিও স্বাধীনতার ডাক দিয়েছে। অস্ট্রিয়ার ফ্রিডম পার্টির সাবেক সভাপতি রবার্ট হোফারও চান অস্ট্রিয়াকে ইইউ থেকে বের করে আনতে। বেলজিয়ামের ফ্লেমিন ন্যাশনালিস্ট পার্টির প্রধান টম ভ্যান গ্রাইকেন, ডেনমার্কের ড্যানিশ পিপলস পার্টির ক্রিশ্চিয়ান থালেসেন, ফ্রান্সের ন্যাশনাল ফ্রন্টের ম্যারিয়েন লি পেন ও অলটারনেটিভ ফর জার্মানির ফ্রক পেট্টি, হাঙ্গেরির ফ্রিডেসজ পার্টির ভিক্টর আরকান, ইতালির ফাইভ স্টার মুভমেন্টের বেপ্পো গিল্মো, হল্যান্ডের ডাচ পার্টির নিয়াট উইন্ডাস তারা সবাই নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রাখার স্বার্থে ইইউ থেকে বের হয়ে আসতে চান। গ্রিনল্যান্ড অনেক আগে ইইউ থেকে বের হয়ে গিয়েছিল। এখন যুক্তরাজ্য বেরিয়ে গেল। এ ঘটনা ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঐক্যের জন্য কোনো ভালো খবর নয়।
Desh Rupantor
1.2.2020
মন্তব্য