রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

মিয়ানমারের জাফরান বিপ্লব ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর গেল সপ্তাহে যে গণবিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে, তা আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে প্রায় ১৪ বছর আগের ‘স্যাফরন রেভ্যুলেশন’ বা ‘জাফরান বিপ্লব’-এর কথা। ২০০৭ সালের আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মিয়ানমারে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে যে বিক্ষোভ পরিচালিত হয়েছিল, তা মিয়ানমারের ইতিহাসে ‘স্যাফরন রেভ্যুলেশন’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ওই বিপ্লবের পুরোভাগে ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মের ভিক্ষুরা, অর্থাৎ বৌদ্ধ ধর্মের (থেরাভেদা) ধর্মীয় ব্যক্তিরা ও সেই সঙ্গে ছাত্ররা। সামরিক জান্তা জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করলে (পেট্রল/ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল শতকরা প্রায় ১০০ ভাগ, আর সিএনজিচালিত বাসে শতকরা ৫০০ ভাগ বৃদ্ধি), ধর্মীয় নেতারা এর প্রতিবাদে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন। ধর্মীয় নেতারা শরীরে যে চাদর ব্যবহার করতেন, তা ছিল স্যাফরন বা জাফরানি রঙের, যা কি না হলুদ ও লাল রঙের মিশ্রণে নতুন এক রং। বৌদ্ধ ভিক্ষু বা ধর্মীয় ব্যক্তিরা এই চাদর সব সময় ব্যবহার করেন। সম্ভবত এ কারণেই সামরিক জান্তাবিরোধী ওই আন্দোলন চিহ্নিত হয়েছিল ‘স্যাফরান রেভ্যুলেশন’ হিসেবে। ওই ‘রেভ্যুলেশন’ বেশ কিছু পরিবর্তন সাধন করেছিল মিয়ানমারে। যেমন ১. ওই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছিল বৌদ্ধ ধর্মের ভিক্ষুরা, অর্থাৎ ধর্মীয় ব্যক্তিরা মিয়ানমারে একটি শক্তি। শান্তিপূর্ণ ও অহিংস পদ্ধতিতে তারা পরিবর্তন আনতে চায়, ২. ওই বিপ্লব সামরিক জান্তাকে সংস্কারে যেতে বাধ্য করেছিল, ৩. ওই বিপ্লবের রেশ ধরে সামরিক জান্তা শেষ পর্যন্ত ২০১৫ সালে নির্বাচন দেয় ও যার মাধ্যমে অং সান সু চি ক্ষমতাসীন হন। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের গায়ের ‘স্যাফরন’ রঙের চাদর একটি বিপ্লবের প্রতীক হয়ে উঠেছিল মিয়ানমারে। অহিংস পদ্ধতিতে যে সরকারকে বাধ্য করানো যায় সংস্কারে যেতে, মিয়ানমারের ‘স্যাফরন রেভ্যুলেশন’ ছিল তার বড় প্রমাণ। কিন্তু ২০২১ সালে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে যে বিক্ষোভ ঘনীভূত হচ্ছে, তার সঙ্গে ‘স্যাফরন রেভ্যুলেশন’-এর মিল খুঁজে পাওয়া হয়তো যাবে না। কেননা এখন পর্যন্ত বৌদ্ধ ভিক্ষুরা তাদের বিখ্যাত জাফরানি রঙের চাদর গায়ে জড়িয়ে বিক্ষোভে অংশ নেননি। ফলে এটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারা সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণকে কতটুকু সমর্থন করছেন। এটা ঠিক ‘স্যাফরন রেভ্যুলেশন’ সফল হয়নি। কিন্তু এর একটা আবেদন রেখে গেছে। অর্থাৎ বৌদ্ধরা যে শুধু শান্তির কথা, অহিংস নীতির কথা প্রচার করেন, শুধু তা-ই নয়। বরং রাজনৈতিকভাবেও তারা যে বড় একটি শক্তি, মিয়ানমারের প্রেক্ষাপটে, তারা তা প্রমাণ করেছিলেন। সেনাবাহিনীর প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে এখানে যে তারা অতীতে এই ভিক্ষুদের তাদের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান তিনটি শাখার কথা জানা যায়থেরাভেদা, মহাযান এবং বজ্রযান। মিয়ানমারের বৌদ্ধরা থেরাভেদা মতবাদের অনুসারী। এরা আদি বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি বিশ্বস্ত এবং কট্টর। মিয়ানমারের প্রেক্ষাপটে এরা প্রচন্ড রকম মুসলমান তথা রোহিঙ্গাবিদ্বেষী। এরা কার্যত মিয়ানমারকে একটি বৌদ্ধরাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। পাঠক আমিন ভিথারুর কথা স্মরণ করতে পারেন, যাকে নিয়ে টাইম ম্যাগাজিন (১ জুলাই ২০১৩) কভার স্টোরি করেছিল, যাকে উল্লেখ করা হয়েছিল ‘বার্মিজ বিন লাদেন’ হিসেবে। সাবেক প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উৎখাত করার যে পরিকল্পনা করেছিলেন, ভিথারু তার সমর্থনে উগ্রপন্থি বৌদ্ধদের নিয়ে একটা আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। তার সমর্থকরা যারা মিয়ানমারে এক ধরনের সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তিনি যে ঘৃণার রাজনীতি শুরু করেছিলেন, তা ছিল বৌদ্ধ ধর্মের পরিপন্থী। তার সমর্থকরা যখন মুসলমানদের হত্যা ও আক্রমণ করছিল, তখন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট তাকে এক ‘মহান ব্যক্তি’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। ভিথারু যে মুসলমানবিরোধী আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তা ছড়িয়ে গিয়েছিল সর্বত্র। এই আন্দোলনের (969 Movement) পেছনে সমর্থন ছিল সেনা শাসকদের। ভিথারুকে ব্যবহার করেই সেনা শাসকরা রাখাইনে রোহিঙ্গা উৎখাতে মেতেছিল। রোহিঙ্গা উৎখাতে সেনাবাহিনীর অন্য একটি স্বার্থও ছিল আর তা হচ্ছে ব্যবসা। রাখাইনে রয়েছে বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ। রাখাইনের স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্বও রয়েছে। এ কারণেই দেখা যায় যুগ যুগ ধরে রাখাইনে রোহিঙ্গারা যেসব অঞ্চলে ছিল, সেখান থেকে উৎখাত করে তাদের বাড়িঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ওইসব অঞ্চল এখন বিনিয়োগের জন্য দেওয়া হয়েছে জাপানি ও চীনা বিনিয়োগকারীদের। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যা তাতমাদো নামে পরিচিত, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মিয়ানমারের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে। মূল্যবান পাথর তথা ‘জেম’-এর জন্য মিয়ানমারের বিশ্বজোড়া খ্যাতি রয়েছে। এই মূল্যবান ‘জেম’ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন শীর্ষ জেনারেলদের পত্নীরা। রাখাইনে রয়েছে এর অস্তিত্ব। ফলে রোহিঙ্গাদের উৎখাত করে সেখানে মাটির নিচ থেকে গভীর কূপ খনন করে সেই মূল্যবান ‘জেম’ আহরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আর জাপানিরা সেখানে বিনিয়োগ করছে। চীনের আগ্রহও সবার জানা। বঙ্গোপসাগরের পাশঘেঁষে রাখাইন স্টেটের Kyautphyu-তে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করছে চীন। চীনের স্বার্থ এখানে দুটি। এক. গভীর সমুদ্রে যে গ্যাস ও তেল পাওয়া গেছে, তা এখান থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে চীনের ইউনান প্রদেশে নিয়ে যাওয়া ও সেখানকার জ্বালানি চাহিদা মেটানো। যেহেতু ইউনান প্রদেশের সঙ্গে কোনো সমুদ্রবন্দর নেই, ফলে ইউনানের উৎপাদিত পণ্য ১১৩২ কিলোমিটার দূরবর্তী Kyautphyu বন্দর থেকে রপ্তানি করা। এতে করে চীনের আমদানি খরচ অনেক কমে যাবে। দুই. এই সমুদ্রবন্দর থেকে বঙ্গোপসাগরের বিদেশি নৌবাহিনীর (ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র) জাহাজের গতিবিধির ওপর নজর রাখা। ভারত মহাসাগরে চীন ও ভারতের নৌবাহিনী এক ধরনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। এ কারণে Kyautphyu গভীর সমুদ্রবন্দরের গুরুত্ব অনেক বেশি। ভারতেরও স্বার্থ রয়েছে রাখাইন স্টেটে। সম্প্রতি হাসিনা-মোদি ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলাদেশ প্রস্তাবিত ত্রিদেশীয় মহাসড়কে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। প্রস্তাবিত ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড মহাসড়কে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার বিষয়টি নতুন। ভারত যে তার ‘লুক ইস্ট’ নীতি গ্রহণ করেছে, সে আলোকেই এই মহাসড়কটি এখন নির্মিত হচ্ছে। তবে এই মহাসড়ক নিয়ে ভারতেই কিছুটা বিতর্ক আছে। এই মহাসড়কটি শুরু হবে ভারত-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী Moreh-Tamu হয়ে মিয়ানমারের মান্দালয় ও নাইপেডো এবং বাগো শহর হয়ে শেষ হবে থাইল্যান্ডের Myawaddy-Mae Sot শহরে। এই মহাসড়কের কিছু অংশ ভালো থাকলেও, একটি অংশ অত্যন্ত খারাপ, যা ভারত এখন পুনর্নির্মাণ করছে। এই মহাসড়কের ব্যাপারে ভারতের স্বার্থ অনেক বেশি। কেননা, ভারত যে EastWest Economic Corridor চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, তার জন্য এই মহাসড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে ভারতীয় পণ্য সড়কপথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যেতে পারবে এবং মুক্তবাণিজ্যের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। দ্বিতীয়ত, ভারত এই মহাসড়কটি কম্বোডিয়া, লাওস ও ভিয়েতনাম পর্যন্ত নিয়ে যেতে চায়। ভারতের EastWest Economic Corridor-এর এটা অংশ। এই মহাসড়কটি যদি সম্প্রসারিত হয়, তাহলে ভারত মনে করছে ভারত-আসিয়ান বাণিজ্যে আরও ৭০ মিলিয়ন ডলার যোগ হবে (বর্তমানে এর পরিমাণ ১৪২ বিলিয়ন ডলার। যা ২০২৫ সালে ৩০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায় ভারত। এই মহাসড়কটির ব্যাপারে ভারতের মণিপুর রাজ্যে একটি মামলা চলমান। তবে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ (প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবডের নেতৃত্বে) একটি রায়ে বলেছেন, মহাসড়কের নির্মাণকাজ চলমান থাকতে পারে (এনডিটিভি, ১১ আগস্ট ২০২০)। ২০১৬ সালে ভারত এই ত্রিদেশীয় মহাসড়কের ব্যাপারে মিয়ানমারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ওই চুক্তি বলে ভারত ১২০.৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ Kalewa-yagyi সড়ক নির্মাণ করছে। একই সঙ্গে ১৪৯ কিলোমিটার দীর্ঘ Tamu-Kyigone-Kalewa মহাসড়কে ৬৯টি ছোট ছোট সেতু তৈরি করছে। মিয়ানমারে ভারতের যথেষ্ট স্বার্থ রয়েছে। ভারতের ‘লুক ইস্ট’ পলিসির সফলতা নির্ভর করছে মিয়ানমারের ওপর। পাঠক, নিশ্চয়ই কালাদান প্রজেক্টের কথা স্মরণ করতে পারেন। কালাদান প্রজেক্টের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা বন্দরের সঙ্গে সমুদ্রপথে ভারতের সাতবোন রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত মিজোরাম রাজ্যের রাজধানী আইজল সংযুক্ত হয়েছে। কলকাতা থেকে পণ্য ৫৩৯ কিলোমিটার দূরে মিয়ানমারের সমুদ্রবন্দর সিটওয়েতে (রাখাইন) নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে কালাদান নদীর ১৫৮ কিলোমিটার অতিক্রম করে নিয়ে যাওয়া হবে নদীবন্দর পালেটাওয়াতে (মিয়ানমারের চিন স্টেট)। এরপর ১৬২ কিলোমিটার মহাসড়ক হয়ে পণ্য যাবে আইজলে। ভারত এজন্য সিটওয়ে সমুদ্রবন্দর উন্নত করছে, একই সঙ্গে মহাসড়ক উন্নয়নেও বিনিয়োগ করছে। ফলে বোঝাই যায় মিয়ানমারের ব্যাপারে ভারতের স্বার্থ কেন এত বেশি। এখন বাংলাদেশ ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড মহাসড়কে সংযুক্ত হওয়ার প্রস্তাব করছে। রোহিঙ্গা প্রশ্নে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় এই প্রস্তাবে ভারত রাজি থাকলেও, মিয়ানমার নাও রাজি হতে পারে। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হলে এই রুট বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারত। বাংলাদেশ তার পণ্য নিয়ে সড়কপথে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় যেতে পারত। ওই অঞ্চলে বাংলাদেশের পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হতে পারত। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হলে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয় দেশই লাভবান হতো। প্রস্তাবিত বিসিআইএম করিডরও সাফল্যের মুখ দেখত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের সময় (জুন, ২০১৪) কুনমিংয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি কুনমিং-কক্সবাজার মহাসড়কের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। চীনও এ ব্যাপারে তাদের সম্মতি দিয়েছিল। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সড়কপথে চীনা পণ্য বাংলাদেশে আসত। তাতে করে চীনা পণ্যের দাম কমে যেত। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে এই প্রকল্পটি ঝুলে আছে। ফলে মিয়ানমার প্রস্তাবিত বাংলাদেশ-ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড মহাসড়কে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিকে সমর্থন করবে কি না এটা একটা প্রশ্ন। ফলে মিয়ানমারের সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে ওই প্রশ্নগুলো সরকারিভাবে জড়িত। অর্থাৎ পাশর্^বর্তী দুটো বড় দেশ চীন ও ভারতের স্বার্থ যখন বেশি, তখন দেশ দুটি মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তার সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করবে না। পার্শ^বর্তী আরেকটি দেশ থাইল্যান্ডেরও স্বার্থ রয়েছে (রাখাইনের গভীর সমুদ্রে প্রাপ্ত গ্যাস যাচ্ছে থাইল্যান্ডে)। যে কারণে সামরিক অভ্যুত্থানের ব্যাপারে থাইল্যান্ড কোনো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। সব মিলিয়ে মিয়ানমারে আরেকটি ‘স্যাফরন রেভ্যুলেশন’ হবে, এটা আমার মনে হয় না। তবে অতীতে সেনাবাহিনী অং সান সু চির সঙ্গে একটি ‘রাজনৈতিক সহাবস্থানে’ গিয়েছিল। আবারও সু চি সে ধরনের সহাবস্থানে যাবেন কি না সেটাই দেখার বিষয়। Desh Rupantor 15.2.2021

0 comments:

Post a Comment