রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

এখনো প্রশ্নের মুখে কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ



+
দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী অসামরিক এলাকা পানমুনজসে দুই কোরিয়ার নেতা মুন জে ইন (দক্ষিণ কোরিয়া) ও কিম জং উনের (উত্তর কোরিয়া) মধ্যকার শীর্ষ বৈঠক গেল সপ্তাহে বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে বড় ধরনের আলোচনার ঝড় তুললেও এ অঞ্চলে পারমাণবিক উত্তেজনা কতটুকু হ্রাস পেল, সে প্রশ্ন থেকেই গেল। সারা বিশ্বের মানুষ টিভি পর্দায় দেখেছে কিম জং উন ও মুন জে ইন সম্প্রতি লাগানো একটি পাইনগাছে মাটি দিচ্ছেন, পানি দিচ্ছেন। গাছের জন্য মাটি এসেছে দুই কোরিয়ার দুই পাহাড় থেকে। আর পানি এসেছে উত্তর কোরিয়ার তায়েদং নদী থেকে, আর এ পানি গাছের গোড়ায় ছিটিয়ে দেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন। একই প্রক্রিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার হান নদীর পানি ছিটিয়ে দেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। দুজনে মিলে গাছের সম্মুখে লাগানো একটি স্মৃতিফলক উন্মোচন করেন। স্মৃতিফলকে কোরিয়ার ভাষায় লেখা আছে—‘শান্তি ও সমৃদ্ধির বীজ বপন।’ কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কোরীয় উপদ্বীপে আদৌ কি শান্তি ও সমৃদ্ধি আসবে? কিংবা একসময়ে পশ্চিমা বিশ্ব যাকে স্বৈরাচারী বলত, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যাঁকে ‘রকেটম্যান’ বলেছেন, সেই কিম জং উনের সঙ্গে প্রস্তাবিত ট্রাম্পের বৈঠকটি আদৌ অনুষ্ঠিত হবে? আর হলে তা কবে হবে—মে অথবা জুন মাসে?
হঠাৎ করেই কেমন যেন বদলে গেলেন কিছুটা খেপাটে স্বভাবের উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। যিনি দীর্ঘদিন দক্ষিণ কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকি দিয়ে আসছিলেন, তিনি হঠাৎ করেই বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিলেন কোরিয়া অঞ্চলকে পরিপূর্ণভাবে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের। যৌথ ঘোষণাপত্রে সে কথাই আছে। ঘোষণাপত্রে বলা আছে, ‘ভবিষ্যতে কোরীয় উপত্যকায় আর কোনো যুদ্ধ হবে না। এবং শান্তির নতুন একটি দিগন্তের উন্মোচন হয়েছে।’ শুধু তা-ই নয়, দুই পক্ষ (উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া) রাজি হয়েছে শান্তি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে উভয় পক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গেও আলোচনা অব্যাহত রাখবে। চলতি মে মাসে উভয় দেশের সেনা নেতৃত্বও একটি বৈঠকে বসবেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যা, তা হচ্ছে কিম জং উনের একটি বক্তব্য, যেখানে তিনি বলেছেন, তিনি আশা করছেন দুই কোরিয়া একত্র হবে!
বদলে যাওয়া কিমের প্রতি কতটুকু আস্থা রাখা যায়, এ প্রশ্ন এখন অনেকের। আমি প্রতিদিন মার্কিন মিডিয়ায় এ নিয়ে আলোচনা হতে দেখছি। পাঠক স্মরণ করতে পারেন, চলতি বছরের শুরুর দিকে কিম একাধিকবার যুক্তরাষ্ট্রকে পারমাণবিক হামলার হুমকি দিয়েছিলেন। গুয়ামে উত্তর কোরিয়া একটি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে—এ ধরনের একটি ভুয়া খবরে ওই সময় বড় আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। তবে এর পেছনে কারণও ছিল। উত্তর কোরিয়া ওই সময় পর পর কয়েকটি আন্ত মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল। একটি হাইড্রোজেন বোমারও বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল দেশটি ওই সময়। সুতরাং দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র যে আতঙ্কের মধ্যে ছিল, তা তো অস্বীকার করা যাবে না। উত্তর কোরিয়ার ওই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ায় থাড (THAD) ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে ব্যবস্থা মোতায়েন করেছিল। এই যখন পরিস্থিতি, তখন হঠাৎ করে উত্তর কোরিয়া তার সুর নরম করে কোরিয়া উপদ্বীপে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে রাজি হলো—এটা অনেক বিশ্লেষককেই অবাক করেছে। কিম একটি বৃহত্তর কোরিয়া রাষ্ট্রের কথা, অর্থাৎ পুনরেকত্রীকরণের কথা বলছেন, এটাও বা কী করে সম্ভব?
কিম কেন নরম হলেন? এটা কি চীনের জন্য? কিম বহুল আলোচিত এক সফরে চীনে গিয়েছিলেন মার্চের শেষের দিকে। শীর্ষ পর্যায়ে কী কী আলোচনা হয়েছে, তার পুরোটুকু জানা না গেলেও, এতটুকু জানা গেছে, চীনা নেতারা তাঁকে সংযত আচরণ করতে বলেছিলেন। এটা কি তারই ফল? সাম্প্রতিক সময়ে জাতিসংঘ উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়ালেও চীন তাতে সম্মতি দেয়। চীন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছিল। উত্তর কোরিয়া অনেক ক্ষেত্রেই চীনের ওপর নির্ভরশীল। ফলে চীনের অসহযোগিতা উত্তর কোরিয়াকে বিপদেই ফেলেছিল। শেষ অবধি কিম জং উন বুঝতে পেরেছিলেন, চীন যদি তাঁকে পূর্ণ সহযোগিতা না করে, তাহলে তাঁর পক্ষে টিকে থাকা কঠিন হবে। ট্রাম্প সম্প্রতি তাঁর এশিয়া সফরে চীনে গিয়েছিলেন। চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে তাঁর আলোচনায় ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে চীনের সহযোগিতা চেয়েছিলেন। শুধু দক্ষিণ কোরিয়া নয়, জাপানও উত্তর কোরিয়ার পারস্পরিক কর্মসূচিতে আতঙ্কিত ছিল। ট্রাম্প জাপানসহ এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোকে নিয়ে একটি সামরিক অ্যালায়েন্স গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সুতরাং চীনের ওপর ‘চাপ’ ছিল। প্রকারান্তরে সেই চাপ গিয়ে পড়ে উত্তর কোরিয়ার ওপর। দ্বিতীয়ত, কিম দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিয়ে আপাতত যুক্তরাষ্ট্রের চাপ কিছুটা হলেও কমিয়ে আনতে পেরেছেন। এতে করে কিম-ট্রাম্প বৈঠকটি আরো সহজ হলো। তৃতীয়ত, দুই কোরিয়ার বৈঠকে উত্তর কোরিয়ায় অর্থনৈতিক সাহায্যের পথটি আরো সুগম হলো। উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। খাদ্য ঘাটতি সেখানে রয়েছে। দুর্ভিক্ষের কথাও শোনা যায়। এমনি এক পরিস্থিতিতে দুই কোরিয়ার মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি পেলে দক্ষিণ কোরিয়া আবার উত্তর কোরিয়াকে অর্থনৈতিক সাহায্য দেবে। সেই সঙ্গে জাপানসহ অন্যান্য দেশের সাহায্যও পাওয়া যাবে। এটা কিমের বিবেচনায় ছিল। চতুর্থত, উত্তর কোরিয়াকে পারস্পরিক কর্মসূচি থেকে বিরত রাখতে সেখানে পারস্পরিক স্থাপনায় সীমিত পাল্লার পারস্পরিক হামলার কথা কোনো কোনো মহল থেকে বলা হচ্ছিল। পেন্টাগনের অনেক সিনিয়র জেনারেল এ ধরনের একটি হামলার ছক প্রয়োগ করেছিলেন বলে কোনো কোনো মার্কিন গণমাধ্যমে এটা প্রকাশিত হয়েছিল। কিম জং উন এখন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে এক ধরনের ‘রক্ষাকবচের’ ব্যবস্থা করলেন। পঞ্চমত, অতি সম্প্রতি গোপনে উত্তর কোরিয়া গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও। পম্পেও সাবেক সিআইএপ্রধান। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচির ব্যাপারে তাঁর যথেষ্ট ধারণা আছে। যদিও বলা হচ্ছে, তাঁর ওই সফরের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ট্রাম্প-কিম বৈঠকের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করা। তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতাদের সঙ্গে যে বিষয় নিয়েই আলোচনা করে থাকুন না কেন, দুই কোরিয়ার মধ্যে সংলাপের বিষয়টি যে ছিল, তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। পম্পেও এ ক্ষেত্রে সফল। তবে এটাও ঠিক, এর বিনিময়ে পম্পেও উত্তর কোরিয়াকে কিছু একটা ‘প্রতিশ্রুতি’ দিয়ে এসেছেন। সেই ‘প্রতিশ্রুতি’ যে কী, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
কোরিয়া একটি বিভক্ত সমাজ। দুই কোরিয়ায় দুই ধরনের সমাজব্যবস্থা রয়েছে। একসময় যুক্ত কোরিয়া চীন ও জাপানের উপনিবেশ ছিল। ১৯০৪-০৫ সালে রাশিয়া ও জাপানের মধ্যকার যুদ্ধের পর কোরিয়া প্রকৃতপক্ষে জাপানের আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হয়। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের পর মার্কিন ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনাবাহিনী কোরিয়ায় ঢুকে পড়ে ও জাপানি সৈন্যদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করার জন্য কৌশলগত কারণে কোরিয়াকে দুই ভাগ করে। এক অংশে মার্কিন বাহিনী, অন্য অংশে সোভিয়েত বাহিনী অবস্থান নেয়। সোভিয়েত বাহিনীর উপস্থিতিতেই কোরিয়ার উত্তরাঞ্চলে (আজকে যা উত্তর কোরিয়া) একটি কমিউনিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৬ সালে নিউ ন্যাশনাল পার্টির সঙ্গে নবগঠিত কোরিয়ান কমিউনিস্ট পার্টি একীভূত হয়ে কোরিয়ান ওয়ার্কার্স পার্টি গঠন করে। ১৯৪৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়া একটি আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে তার অস্তিত্বের কথা ঘোষণা করে। ১৯৫০ সালের ২৫ জুন উত্তর কোরিয়ার বাহিনী ৩৮তম সমান্তরাল রেখা অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবেশ করলে যুদ্ধ বেধে যায়। জাতিসংঘ এই যুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়াকে সমর্থন করার জন্য সব রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানায়। জাতিসংঘ বাহিনী মাঞ্চুরিয়া সীমান্তে উপস্থিত হলে ১৯৫০ সালের ২৬ নভেম্বর চীন উত্তর কোরিয়ার পক্ষে যুদ্ধে জড়িয়ে যায় এবং চীনা সৈন্যরা দক্ষিণ কোরিয়ার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে। ১৯৫১ সালের এপ্রিলে জাতিসংঘ বাহিনী ৩৮তম সমান্তরাল রেখা পুনরুদ্ধার করে। ১৯৫১ সালের ২৩ জুন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়। কিন্তু যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব কার্যকর হয় দুই বছর পরে, ১৯৫৩ সালের ২৭ জুলাই। এরপর থেকে কার্যত উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া দুটি রাষ্ট্র হিসেবে তাদের অস্তিত্ব বজায় রেখে আসছে।
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি শুধু এই অঞ্চল নয়, বরং বিশ্বের জন্যও অনেকটা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ২০০৬ সালের অক্টোবরে উত্তর কোরিয়া কর্তৃক পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের পর থেকেই দেশটি আলোচনায় আছে। পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের পর এই অঞ্চলে এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতার সৃষ্টি হয়। এরপর থেকেই আলোচনা শুরু হয় কিভাবে উত্তর কোরিয়াকে পারমাণুমুক্ত করা সম্ভব। একপর্যায়ে চীনের উদ্যোগে ২০০৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি উত্তর কোরিয়া একটি চুক্তি স্বাক্ষরে রাজি হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী উত্তর কোরিয়া তার Yongbyon পারমাণবিক চুল্লিটি বন্ধ করে দেয়। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের তার পারমাণবিক চুল্লি পরিদর্শনেরও সুযোগ করে দেয়। বিনিময়ে উত্তর কোরিয়াকে ৫০ হাজার টন জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়। এর পরপরই ২০০৭ সালের অক্টোবরে দুই কোরিয়ার মধ্যে শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রোহ মু হিউম ২ অক্টোবর উত্তর কোরিয়া যান এবং সেখানকার প্রেসিডেন্ট ও আজকের উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বাবা কিম জং ইলের (প্রয়াত) সঙ্গে বৈঠক করেন। এটা ছিল দুই কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠক। প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০০ সালের ১২ জুন। দক্ষিণ কোরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট কিম দাই জং মিলিত হয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং ইলের সঙ্গে। এখন ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিল কিম জং ইলের ছেলে কিম জং উন মিলিত হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইনের সঙ্গে। এটা তৃতীয় শীর্ষ বৈঠক।
এই বৈঠক কতটুকু বদলে দিতে পারবে উত্তর কোরিয়াকে? কতটুকু পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ করতে পারবে উত্তর কোরিয়াকে—এসব প্রশ্নের জবাব এই মুহূর্তে কারো কাছেই নেই। দুই কোরিয়ার একত্রীকরণ আদৌ সম্ভব, এটাও এই মুহূর্তে দেখছেন না কেউ। তবে দুই কোরিয়ার শীর্ষ বৈঠক নিঃসন্দেহে একটি বড় অগ্রগতি। এর রেশ ধরে হয়তো ট্রাম্প-কিম বৈঠকটিও অনুষ্ঠিত হবে মে অথবা জুন মাসে। কোরীয় উপদ্বীপে পারমাণবিক উত্তেজনা কারো জন্যই কোনো ভালো খবর নয়। এখন এই উত্তেজনা কমে আসবে বলেই সবার ধারণা।
ডালাস, যুক্তরাষ্ট্র
Daily Kalerkontho
07.05.2018

0 comments:

Post a Comment