রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

খোলা জানালা: শিক্ষায় বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি নিয়ে কিছু কথা

খোলা জানালা: শিক্ষায় বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি নিয়ে কিছু কথা
খোলা জানালা: শিক্ষায় বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি নিয়ে কিছু কথা। প্রতীকী ছবি
প্রতিবারের মতো এবারও বাজেটে শিক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে সরকার। ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার যে বাজেট তাতে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটের ১৫ দশমিক ২ শতাংশ।
প্রস্তাবিত বাজেটে দেখা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের জন্য ২৯ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা।
অর্থাৎ বাজেটে শিক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- এ ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধি করে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা যাবে কিনা। শুনতে হয়তো খারাপ শোনাবে, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এতে করে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত হবে না। আমাদের সমস্যা দু’জায়গাতেই- মাধ্যমিক স্তর ও উচ্চশিক্ষা। শিক্ষামন্ত্রী নিজেই একটি অনুষ্ঠানে গত ১৩ জুন বললেন, ‘ইংরেজি দূরে থাক, নিজ ভাষা বাংলাটাই আমাদের শিক্ষার্থীরা আয়ত্ত করতে পারছে না।’
তিনি আরও বললেন, ‘শিক্ষার মানটা কী, তা কেমন, এসব আমাদের চিন্তা করে নিতে হবে।’ অর্থাৎ এটা স্পষ্ট, আমাদের শিক্ষার মান নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী সন্তুষ্ট নন। সন্তুষ্ট না হওয়ারই কথা। গত কয়েক বছরে আমরা শিক্ষার মানের চেয়ে কীভাবে জিপিএ-৫ পাওয়া যায়, তার একটি ক্রেজ তৈরি করেছি। অর্থাৎ তরুণ প্রজন্ম কতটুকু জ্ঞান অর্জন করল এটা বড় কথা নয়, বড় কথা তাকে আমরা যাচাই করছি তার জিপিএ-৫ আছে কিনা তা বিবেচনা করে। অথচ জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে পারছে না।
অর্থাৎ গোড়ায় গলদ রয়েছে। তার ভিত্তিটা আমরা শক্তিশালী করতে পারিনি। আর কীভাবে গত বছরগুলোয় ছাত্রছাত্রীদের জিপিএ-৫ পাইয়ে দেয়া হয়েছে, তার সংবাদ তো পত্রপত্রিকায় ছাপাও হয়েছে। এতে কি প্রকারান্তরে শিক্ষামন্ত্রী স্বীকার করে নিলেন না আমাদের শিক্ষার্থীদের আমরা ‘যোগ্য প্রজন্ম’ হিসেবে গড়ে তুলতে পারিনি? আশার কথা জিপিএ-৫ এখন বাতিল হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীও একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে বিদেশ থেকে শিক্ষক আনা হবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে একমত।
এই শিক্ষক শুধু মাধ্যমিক পর্যায়েই নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও আনতে হবে। যদিও ইতিমধ্যে এর একটি নেতিবাচক মনোভাব লক্ষ করা গেছে। অনেকেই সামাজিক গণমাধ্যমে এর সমালোচনা করেছেন। অনেকের ধারণা এর ফলে ভারত থেকে শিক্ষক আসবে। বিশ্ব এখন ‘গ্লোবাল ভিলেজ’। যদি বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ও সাবজেক্টে ভারত থেকে শিক্ষক আসে, ক্ষতি কী? মাধ্যমিক স্তরে ইংরেজি ও অঙ্ক ভীতি দিন দিন বাড়ছে। এ দুটি বিষয়ে যদি আমরা বিদেশ থেকে শিক্ষক আনি তাতে ক্ষতির কিছু দেখি না।
তবে তাদের বেতন-ভাতা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকতে হবে। আমাদের একটা বড় সংকটের জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এখানে ভালো শিক্ষক নেই। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে শত শত বিশ্ববিদ্যালয়। তারা নিত্যদিন সার্টিফিকেট বিতরণ করছেন। হাজার হাজার তরুণ বিবিএ-এমবিএ, কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রি নিয়ে ‘জব মার্কেটে’ আসছে। কিন্তু কী তাদের কোয়ালিটি? সাধারণ একজন শিক্ষার্থী যিনি সর্বোচ্চ টেকনিক্যাল স্কুল পাস করার যোগ্য এবং সেই মেধা তার আছে। কিন্তু শুধু ‘টাকার জোরে’ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একখানা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রি জোগাড় করেছেন। কম পয়সায় চাকরিও পাচ্ছেন। তাতে কি আমরা গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলাম? দুঃখজনক হলেও সত্য, এটা নিয়ে কেউ ভাবেন না।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অনেকেরই তেমন ‘দায়বদ্ধতা’ নেই। বিশেষ করে যারা ঢাকায় বসবাস করেন, তারা ব্যস্ত থাকেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস নিয়ে, আমরা টিভিতে অনুষ্ঠান করি। কেউ কেউ আবার সেখানে ‘ফুল টাইম’ চাকরিও করেন। মিডিয়ায় ‘কাজ’ করলে এই এক সুবিধা, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে পারেন না, ভিসিরা ‘দুর্বল’ থাকেন। এ রকম একজনের ‘কাহিনী’ সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে। যিনি ‘যোগ্যতা’ না থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি পেয়েছেন! পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এটা কি সম্ভব- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক একসঙ্গে দুটি চাকরি করবেন! সম্ভব নয়। কেউ চিন্তাও করে না।
কিন্তু বাংলাদেশেই সম্ভব। আমার এক সহকর্মীকে দেখেছি গত ১০ বছর ধরে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ‘গবেষণা পরিচালক’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এখনও করছেন। ওই প্রতিষ্ঠানে তার নিজস্ব রুম, পদবি এমনকি ‘নেমপ্লেট’ও আছে! আরেকজনের খবর জানি- আমার বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র। একটি টিভি চ্যানেলে ‘ফুল টাইম’ চাকরি করতেন বা এখনও করেন। এরা গবেষণা করবেন কখন? সময় কই তাদের? আমরা এ প্রবণতা বন্ধ করতে পারিনি। দেখভাল করবে ইউজিসি।
কিন্তু তারা কি তাদের কাজটি সঠিকভাবে করছেন? রাজনৈতিক বিবেচনায় সেখানে নিয়োগ হচ্ছে। কিন্তু যোগ্য লোকরা সেখানে নিয়োগ পাচ্ছে না। সময় এসেছে ইউজিসির কাঠামোয় পরিবর্তন আনার। যারা নিয়োগ পাচ্ছেন, তারা হয়তো ভালো শিক্ষক। কিন্তু তারা শিক্ষাক্ষেত্রে যোগ্য ‘লিডার’ নন। একজন ইউজিসি মেম্বার কেন তার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা ছেলেকে যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেবেন? নিজে কেন সেই বোর্ডে সভাপতিত্ব করবেন, যে বোর্ড তার মেয়েকে কমনওয়েলথ স্কলারশিপের জন্য মনোনীত করবে? এ ধরনের অনিয়মের দু-একটিই সংবাদপত্রে ছাপা হয়। অনেকই ছাপা হয় না। কিন্তু যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন, তারা অনেকেই জানেন অনিয়মগুলো কোথায় কোথায় হচ্ছে। আর উপাচার্যদের কাহিনী না হয় আরেক দিন বলা যাবে! একজন উপাচার্য তার সব আত্মীয়স্বজনকে অফিসার থেকে শুরু করে পিয়নের চাকরি পর্যন্ত দিয়েছিলেন। ওই একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পরে যিনি উপাচার্য হয়ে এলেন, তিনি প্রতিদিন নাস্তার বিল তুললেন সাড়ে সাত হাজার টাকা করে! একজন শিক্ষক যখন দুর্নীতি করেন, দুদক যখন তাকে নোটিশ দেয়, তখন তার কাছ থেকে কী আশা করা যায়!
একজন পুলিশ কর্মকর্তার যদি দুর্নীতির অভিযোগে বিচার হতে পারে, তাহলে ওইসব উপাচার্যদেরও দুর্নীতির অভিযোগে বিচার হওয়া উচিত। আরেকজন উপাচার্য বছরে ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৩২০ দিনই ঢাকায় থাকেন। রাত বারোটায় তিনি ক্লাস নিয়েছেন এমন অভিযোগও পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যকে দুদক নোটিশ ইস্যু করেছে। উপাচার্য হওয়া মানেই নিজের ছেলে, মেয়ে, জামাই সবাইকে চাকরি দেয়া? এই যদি উপাচার্যদের ‘কাহিনী’ হয়, তাহলে শিক্ষার মানোন্নয়ন হবে কীভাবে? এ জন্যই আমি বিদেশ থেকে শিক্ষক আনার পক্ষপাতী। ন্যূনতম ‘কনট্রাক্ট বেসিসে’ হলেও শিক্ষক আনা প্রয়োজন। কেননা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্লাসে যেতে আগ্রহের ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষকদের বেতন স্কেল বৃদ্ধি করা সত্ত্বেও, তাদের কেউ কেউ এখনও ক্লাস নিতে অনাগ্রহী। এ জন্যই উচ্চশিক্ষায় বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন।
সরকার উচ্চশিক্ষায় বাজেট বাড়িয়েছে। কিন্তু এ বাজেটের একটা বড় অংশই চলে যাবে বেতন-ভাতায়। সুতরাং আলাদা একটি খাত সৃষ্টি করে সেখানে অর্থ বরাদ্দ করে ওই অর্থ দিয়ে বিদেশি প্রশিক্ষক তথা শিক্ষক আনা যেতে পারে। মোদ্দা কথা, সনাতন শিক্ষার যুগ শেষ হয়ে যাচ্ছে। এসএসসি ও এইচএসসি লেভেলের পর তরুণ প্রজন্মকে বিশ্ববিদ্যালয়ে না পাঠিয়ে তাদের ৩-৪ বছরের জন্য টেকনিক্যাল কলেজগুলোয় পাঠিয়ে বিভিন্ন শাখায় দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ওইসব কলেজে প্রয়োজনে বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্রগুলো স্ব-উদ্যোগে তাদের প্রশিক্ষকও পাঠাতে পারেন।
এবং গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি নেয়ার পর তাদের জন্য কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করতে পারেন তারা। শুধু বাজেটে অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করে তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ ও শিক্ষিত করে তোলা যাবে না। এ জন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে কতগুলো সিদ্ধান্ত দ্রুত নেয়া সম্ভব। এক. দ্রুত বিদেশ থেকে মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষক আনা। দুই. বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার মাধ্যম ইংরেজি করা। তিন. প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় নয় বরং একটি করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখান থেকে শুধু ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েট বের হবে। চার. সাধারণ শিক্ষার প্রসার না ঘটিয়ে প্রযুক্তিগত শিক্ষার প্রসার ঘটানো। নার্সিং, মেডিকেল টেকনোলজি, কৃষি তথা কৃষি প্রযুক্তির মতো বিষয় চালু করা। পাঁচ. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ভেঙে প্রতি বিভাগে একটি করে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা এবং ওই বিভাগের সব কলেজকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাভুক্ত করা। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা। ছয়. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালনার জন্য আলাদা একটি কমিশন গঠন করা, যার মর্যাদা হবে ইউজিসির মতো। একুশ শতকে এসে আমরা এখনও মানসম্মত শিক্ষার কথা বলছি। কিন্তু মানসম্মত শিক্ষার জন্য যা যা করা দরকার, তা আমরা করছি না। শিক্ষামন্ত্রীরা শুধু আশ্বাস দিয়ে যান। কিন্তু শুধু আশ্বাস দিয়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা যাবে না। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী নতুন।
আমলারা এবং দলবাজ শিক্ষকরা তাকে যা বোঝাবেন, তিনি হয়তো তাই করবেন। তাতে করে শিক্ষার মানোন্নয়ন হবে না। এটা সত্য, জাপানে সম্রাট মেইনি টেননো (১৮৬৭-১৯১২) এটা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে, জাপানি তরুণ প্রজন্মকে সুশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হলে বিদেশি প্রশিক্ষক তথা শিক্ষক দরকার। তিনি সেটা করেছিলেন বিধায় জাপান প্রযুক্তি খাতে একটা ‘বিপ্লব’ এনেছিল। চীনের কথাই ধরুন। চীন আজ প্রযুক্তি শিক্ষায় নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিশাল জনসংখ্যার দেশ চীন। তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষিত করে পুরো সমাজ কাঠামোকেই বদলে দিয়েছেন চীনের নেতারা। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানেই এটা সম্ভব হয়েছে।
আমাদের কথা ধরুন, একটি পরিসংখ্যান দিচ্ছি। জনগোষ্ঠীর মাঝে ১৫-২৪ বছরের জনগোষ্ঠীর হার ১৯.৩৬ ভাগ, আর ২৫-৫৪ বছরের জনগোষ্ঠীর হার ৩৯.৭৩ ভাগ, ৫৫-৬৪ বছরের জনগোষ্ঠীর হার ৬.৯৩ ভাগ, ৬৫ বছরের ওপরে জনগোষ্ঠী ৬.২৩ ভাগ (Bangladesh Demographics Profile)। তাহলে ২৫ থেকে ৫৪ বছরের যে জনগোষ্ঠী এবং ১৫-২৪ বছরের যে জনগোষ্ঠী- এই জনগোষ্ঠীই আমাদের টার্গেট। এদেরই প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। এই দুই প্রজন্ম আমাদের সম্পদ। কিন্তু সার্টিফিকেটসর্বস্ব যে শিক্ষা ব্যবস্থা, তা থেকে যদি বেরিয়ে আসতে না পারি, তাহলে আমরা জাপানের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করতে পারব না। শিক্ষায় বাজেট বেড়েছে। এতে কোনো লাভ নেই। কিছু লোকের বেতন-ভাতা এতে পরিশোধ হবে। কিন্তু উল্লিখিত দুই প্রজন্ম এ থেকে উপকৃত হবে না, যতদিন না শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা হয়।
DailyJugantor
22.06.2019

0 comments:

Post a Comment