রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

একটি উদ্বেগজনক সংবাদ

 একটি উদ্বেগের খবর ছাপা হয়েছে সংবাদপত্রে গত ৩ ডিসেম্বর। গত ২ ডিসেম্বর স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে কপ-২৫ সম্মেলন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্বেগজনক এই সংবাদটিও ছাপা হয়েছে। দাতব্য সংস্থা অক্সফাম জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত এই রিপোর্টটি প্রকাশ করে। উদ্বেগের খবরটি হলো এই যে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতি ২ সেকেন্ডে ১ জন করে মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন।
অর্থাৎ সাগরপারের দেশগুলো থেকে বছরে ২০ মিলিয়ন, অর্থাৎ ২ কোটি মানুষ নিজ বাসভূমি থেকে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন শুধু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে। সাগরের পানির উচ্চতা বাড়ছে। ফলে তারা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
অক্সফামের ওই রিপোর্ট নিয়ে জার্মান মিডিয়া ‘ডয়েচে ভেলে’ একটি প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে ১০টি প্যাসিফিক ও ক্যারিবীয় রাষ্ট্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যারা বড় ঝুঁকির মাঝে আছে। অক্সফামের রিপোর্টে উল্লেখ আছে, গেল শতকে এশিয়ার শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
ইন্দোনেশিয়ার কথা অনেকে স্মরণ করতে পারেন। সম্প্রতি সেখানকার সরকার রাজধানী জাকার্তাকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর কারণ হচ্ছে, সাগরের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় জাকার্তা এখন ঝুঁকির মুখে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে শুধু যে সাগরের উচ্চতা বাড়ছে তেমনটি নয়, বরং অতিরিক্ত গরম, আর বারবার ঘূর্ণিঝড়ের জন্ম হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূলে বারবার ঘূর্ণিঝড়ের ঘটনা একটি স্বাভাবিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে।
সাগর উত্তপ্ত হওয়ার কারণে বাড়ছে ঘূর্ণিঝড়। আবার আটলান্টিক উপকূলবর্তী শহরগুলোতে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। গত কয়েক বছর নিউইয়র্ক কিংবা কানাডার টরেন্টোতে যে শীতের প্রকোপ বেড়েছে, তা সমসাময়িককালের ইতিহাসে তেমনটি আর দেখা যায়নি।
অক্সফামের রিপোর্টে যে উদ্বেগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেটাই বাস্তব। এই বাস্তবতাকে সামনে রেখেই গত ২ ডিসেম্বর স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে শুরু হয়েছে কপ-২৫ বা Conferance on the partiec to the united nation framework convention on climate change শীর্ষ সম্মেলন।
জাতিসংঘ প্রতিবছরই এই ‘কপ’ সম্মেলনের আয়োজন করে থাকে। সম্মেলনের গুরুত্ব অনুধাবন করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি ইতোমধ্যে দেশে ফিরেও এসেছেন। সম্মেলনটি চলবে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন ‘আমরা ব্যর্থ হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না।’ মিথ্যা বলেননি প্রধানমন্ত্রী। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব দেশ বড় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, তার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে বাড়ছে জলবায়ু শরণার্থীদের সংখ্যা। প্রধানমন্ত্রী তাই তার উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন কপ সম্মেলনে।
বিশ্বের উষ্ণতা যে বাড়ছে, তার জন্য কোনোভাবেই বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো দায়ী নয়। বিশ্বে কার্বন নিঃসরণের একটি পরিসংখ্যান আমরা দিতে পারি। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৬০ সালে বিশ্বে যেখানে কার্বন নিঃসরণ হয়েছিল ৯০১১ গঃপড়২ সেখানে ২০১৭ সালে এর পরিমাণ ৩৬১৫৩ গঃপড়২। অর্থাৎ কার্বন নিঃসরণ হচ্ছে বেশি। আর দেশগুলোর (যারা বেশি কার্বন নিঃসরণ করে) দিকে যদি তাকাই তা হলে দেখা যাবে কার্বন নিঃসরণের শীর্ষে রয়েছে চীন।
২০১৭ সালে চীনের কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ ৯৮৩৮ দশমিক ৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন (মাথাপিছু ৭.১ মেট্রিক টন)। এজন্য চীনও কার্বন দূষণকারী দেশগুলোর শীর্ষে। এর পরের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের, কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ ৫২৬৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন (মাথাপুছি ১৬ দশমিক ২ মিলিয়ন মেট্রিক টন। যদিও চীনের জসংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি। জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় চীনে কার্বন নিঃসরণের হারও বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের পার্থক্য এখানেই, যুক্তরাষ্ট্র কপ-২১ চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সেখানে চীন কপ-২১ চুক্তির ব্যাপারে ‘কমিটেড’। চীন বিকল্প জ্বালানির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারের ব্যাপারে কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না।
তৃতীয় কার্বন নিঃসরণকারী দেশ হচ্ছে ভারত। কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ (২০১৭) ২৪৬৬ দশমিক ৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন (মাথাপিছু ১ দশমিক ৮ মেট্রিক টন)। চতুর্থ অবস্থান রাশিয়ার, কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ ১৬৯২ দশমিক ৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন, মাথাপিছু এর পরিমাণ ১১ দশমিক ৭ মেট্রিক টন। এই পরিসংখ্যানগুলো উল্লেখ করলাম এ কারণে যে, কার্বন নিঃসরণের কারণে বিশ্বের উষ্ণতা যে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এর জন্য উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশগুলো দায়ী নয়। দায়ী শিল্পোন্নত দেশগুলো। চীন ও ভারতে জ্বালানি ক্ষুধা বাড়ছে। ব্যাপক শিল্পায়নের কারণে তাদের জীবাশ্ম জ্বালানি দরকার। অর্থাৎ জ্বালানি তেল দরকার।
এই জ্বালানি তেলের ব্যবহারের কারণেই বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কীভাবে জ্বালানি তেলের ব্যবহার বাড়ছে এবং কীভাবে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ বাড়ছে, তারও একটি পরিসংখ্যান আমরা দিতে পারি। ১৯৯২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চীনে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ বেড়েছে ২৭০ ভাগ, যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে মাত্র ১ দশমিক ৮ ভাগ, ভারতের বেড়েছে ২৫৩ ভাগ, শিল্পোন্নত প্রতিটি দেশেরই কার্বন নিঃসরণ বেড়েছে। মেক্সিকো কিংবা ইন্দোনেশিয়ার মতো উঠতি অর্থনৈতিক শক্তির দেশগুলোতেও কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ ১৯৯২ সালের চেয়ে ২০১৭ সালে ন্যূনতম ১০০ গুণ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউএসএ টুডে তাদের এক প্রতিবেদনে (১৪ জুলাই ২০১৯) বিশ্বের ২৫টি দেশের কার্বন নিঃসরণের একটি চিত্র তুলে ধরেছে।
এতে দেখা যায়, উন্নয়নশীল দেশগুলোয় জ্বালানি তেলের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। ফলে ওইসব দেশ কর্তৃক কার্বন নিঃসরণের পরিমাণও বাড়ছে। এখন কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনা ও বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি কমিয়ে আনার ব্যাপারে কপ-২১-এ যে সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়েছিল, তার ভূমিকা অনেক ব্যাপক। প্যারিসে স্বাক্ষরিত কপ-২১-এ সিদ্ধান্ত হয়েছিল, বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র কপ-২১ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ায়, ওই চুক্তির ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বহুজাতীয় তেল কোম্পানিগুলোর স্বার্থে কাজ করছেন। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেল উত্তোলন ও বিপণনের সঙ্গে বহুজাতীয় তেল কোম্পানিগুলো জড়িত। এদের পক্ষ হয়ে ট্রাম্প কথা বলছেন। যেখানে বৈজ্ঞানিকভাবে এটা প্রমাণিত যে, বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে তিনি এটা মানতে নারাজ। ফলে চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে একটা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন কপ সম্মেলনে তার উদ্বেগের কথা জানান, তখন বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আরও কিছু তথ্য দেওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের উপকূলে প্রতিবছর ১৪ মিলিমিটার করে সমুদ্রের পানি বাড়ছে। গেল ২০ বছরে সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮ সেন্টিমিটার। সমুদ্রের পানি যেভাবে বাড়ছে, তাতে প্রতি ৭ জনে ১ জন উদ্বাস্তুতে পরিণত হবে। এরা হচ্ছেন জলবায়ু উদ্বাস্তু। আগামীতে বাংলাদেশের ১৭ শতাংশ এলাকা সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাবে। বিশ্ববাসী উদ্বাস্তুর সঙ্গে প্রথম পরিচিত হয় ২০০৫ সালে, যখন বাংলাদেশে ভোলার চরাঞ্চল থেকে ৫ লাখ মানুষ অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছিল। ক্রিশ্চিয়ান পেনেনটি (ঈযৎরংঃরড়হ চবহবহঃর) তার একটি গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন সে কথা। পেননটি আরও উল্লেখ করেছেন, ২০৫০ সালের মধ্যেই ২২ মিলিয়ন অর্থাৎ ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চল থেকে অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হবে। আইপিসিসির রিপোর্টেও উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশের কথা।
বাংলাদেশ যে আইলা ও সিডরে আক্রান্ত হয়েছিল, বিশ্বের উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ার এটা একটা বড় কারণ। বিশ্বের উষ্ণতা রোধকল্পে ২০১৫ সালে প্যারিস কপ-২১ সম্মেলনে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ওই সম্মেলনে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল (তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা), তা থেকে যুক্তরাষ্ট্র এখন সরে এসেছে। যদিও কপ-২১ সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্ত ও ২০১৬ সালের ২২ এপ্রিল জাতিসংঘের সদর দপ্তরে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র স্বাক্ষর করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র বড় দেশ। যুক্তরাষ্ট ওই চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ায় জলবায়ু চুক্তির ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নের মুখে।
তবে জলবায়ু চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন যে নেই, তা নয়। প্রশ্ন আছে। প্রথমত, কার্বন নির্গমনকে আমরা পরিমাপ করব কীভাবে? জাতিসংঘ কর্তৃক দূষণ পরিমাপ করার জন্য একটি মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা মোট আয়ের (জিডিপি) অনুপাতে কার্বন ডাই-অক্সাইড উদগিরণের হারকে কার্বন ঘনত্ব বা গ্রিনহাউস গ্যাসের ঘনত্ব (প্রতি ১০ লাখ ডলার জিডিপি কিছু মেট্রিক টন গ্রিনহাউস গ্যাস) হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু উন্নয়নশীল বিশ্ব মনে করে এ হার মাথাপিছু জনসংখ্যা ধরে করা উচিত। এটা নিয়ে একটা মতপার্থক্য রয়েই গেছে।
দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে, অর্থ জোগাবে কে? উষ্ণতা রোদ করার জন্য যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন হবে, সেই অর্থ পাওয়া যাবে কোন সূত্র থেকে, এটা একটা চিন্তার কারণ। অর্থের যে হিসাব করা হয়েছে, তার পরিমাণ প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার বছরে। যুক্তরাষ্ট্রের এ ফান্ডে ২ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন এ অর্থ প্রাপ্তি নিশ্চিত করেনি।
ফলে কপ-২১ চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে একটা প্রশ্ন থাকলই। তৃতীয়ত, প্রযুক্তি হস্তান্তরের কথাও আলোচিত হচ্ছে কপ শীর্ষ সম্মেলনগুলোতে। উন্নত বিশ্ব আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারবে। কিন্তু উন্নয়নশীল বিশ্বের পক্ষে এটি সম্ভব নয়। আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহের ব্যাপারেও উন্নত বিশ্বের এক ধরনের অনাগ্রহ রয়েছে। ফলে উন্নয়নশীল বিশ্বে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে না। একটা দৃষ্টান্ত দিই। চীন এখন সোলার এনার্জির ব্যবহারের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে। চীনে ২০১৭ সালে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৬৪১২ ঞযি।
এর মাঝে ১১৮.২ ঞযি বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে সোলার থেকে। যদিও পরিমাণের দিক থেকে কম। কিন্তু এর ব্যবহার বাড়ছে। ভারতেও সোলার পাওয়ারের গুরুত্ব বেড়েছে। ভারতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বড় উৎস কয়লা (৫৬ শতাংশ)। সোলার পাওয়ার থেকে পাওয়া যায় ৮ দশমিক ৬ ভাগ। বাংলাদেশ তুলনামূলক বিচারে অনেক পিছিয়ে আছে।
আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত কপ-২৫ সম্মেলন চলবে। কপ-২৬ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে গ্লাসগোতে। প্রশ্ন হচ্ছে, জাতিসংঘ প্রতিবছর এ ধরনের সম্মেলন আয়োজন করে বটে, কিন্তু সিদ্ধান্তগুলো যদি বাস্তবায়ন না হয়, তা হলে সম্মেলন আয়োজন করে কী লাভ? মাদ্রিদ সম্মেলনও (কপ-২৫) শেষ হবে ভালো ভালো কথা বলার মধ্য দিয়ে। এ থেকে উন্নয়নশীল বিশ্ব উপকৃত হবে, তা মনে করার কোনো কারণ নেই।
Daily Amader Somoy
07.12.2019

0 comments:

Post a Comment