রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

কোন পথে ভারত

 ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোসহ পুরো দেশে যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে, তা একটি বড় প্রশ্নকে সামনে নিয়ে এসেছে। তা হচ্ছে কোন পথে এখন ভারত? আগস্টে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর আমরা যে প্রতিক্রিয়া দেখেছিলাম, সেই একই ধরনের প্রতিক্রিয়া আমরা দেখছি ভারতের আসাম আর মেঘালয়ে। গত শনিবারের খবরÑ উত্তাল আসামের অলিগলিতে সেনা। মেঘালয়ে কারফিউ। পুলিশের গুলিতে আসামে মৃত্যুর সংখ্যা পাঁচ। আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছে কেরালা ও পাঞ্জাব। বলা হয়েছে, এ দুটি রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ব্যবহার হবে না। এ আইনের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন গণআন্দোলনের ডাক দিয়েছেন, ঠিক তখনই জাপানের প্রধানমন্ত্রী তার ভারত সফর বাতিল করেন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে কিছু রাজ্যে যে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে, তা ছড়িয়ে গেছে পুরো ভারতবর্ষে। এ আন্দোলনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছেÑ
এক. ভারতের বিজেপি সরকার এই সংশোধনী বিলটি সংসদের উভয় কক্ষে (লোকসভা ও রাজ্যসভা) পাস করালেও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোয় (ত্রিপুরা, আসাম, মনিপুর) স্থানীয় জনগণ এই আইনের বিরুদ্ধে। অথচ এরাই স্থানীয় বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে বিজয়ী করেছিল। এরা লোকসভা নির্বানেও (মে ২০১৯) বিজেপিকে সমর্থন করেছিল। এখন তারা বিজেপির একটি নীতিগত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে।
দুই. ভারতে এই প্রথমবারের মতো ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অতীতে এমনটা দেখা যায়নি। গত রবিবার দক্ষিণ দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যখন এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়েছিল, তখন পুলিশ তাদের ওপর হামলা করে। ছাত্রদের মারধর করে। এর প্রতিবাদে দিল্লির জওহরলাল নেহরু, আলীগড়, আইআইটি বেঙ্গালুরু, মুম্বাইয়ের টিআইএমএস, বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয়সহ নামকরা প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভ হয়েছে। এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে গেছে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে। সোমবার সমর্থকদের নিয়ে রাস্তায় মিছিল করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সময় তিনি বলেছেন, নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন তালিকা (এনআরসি) বাস্তবায়ন করতে হলে তার মৃতদেহের ওপর দিয়ে করতে হবে। মমতা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যতদিন তিনি বেঁচে আছেন, পশ্চিমবঙ্গে তিনি নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি হতে দেবেন না। নাগরিকত্ব আইনবিরোধী অবস্থানের কারণে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জয়দীপ ধনগড়ের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। রাজ্যপাল তাকে বৈঠকে ডাকলেও তিনি উল্টো রাজ্যপালকে পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল করার অভিযোগ তুলে চিঠি দিয়েছেন। ইতোমধ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন চালু করার হুমকি দিয়েছেন। ভারতের বেশ কয়েকটি বড় দল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। কংগ্রেস, সিপিএম, আমআদমিসহ আঞ্চলিক দলগুলোও বিজেপির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। স্পষ্টতই ওই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পুরো ভারত কর্তৃক বিভক্ত করে ফেলেছে।
নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর ভারতের পরিস্থিতি পুরো পাল্টে যায়। বিশেষ করে কাশ্মীরের ব্যাপারে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার পর পরিস্থিতি সেখানে অবনতি ঘটে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ ছিল কাশ্মীরিদের জন্য আলাদা একটা রক্ষাকবচ। এই ধারাবলে কাশ্মীরিরা বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করত। সেই বিশেষ সুযোগ এখন বাতিল করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়। লাদাখকে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে আলাদা করা হয়েছে। লাদাখ এখন কেন্দ্রশাসিত একটি অঞ্চল। গত আগস্টে কেন্দ্র সরকার যখন কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনসংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদটি বাতিল করে, তখনই মোদি সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বলা হচ্ছিল, মোদি সরকার ভারতকে একটি হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। এর পরই সরকার সংবিধানের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি পাস করল।
ভারতের নাগরিকত্বসংক্রান্ত বিষয়টি সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট, ১৯৫৫-এর সঙ্গে জড়িত। পরে ১৯৮৬ সালে, ১৯৯২ সালে, ২০০৩, ২০০৫ ও ২০১৫ সালে তাতে কিছু কিছু পরিবর্তন আনা হয়। তবে এবার যে পরিবর্তন আনা হলো, তা মূল কাঠামোকে পরিপূর্ণভাবে বদলে দিয়েছে। এখন মুসলমান ধর্মাবলম্বী কেউ ভারতের নাগরিকত্ব অর্জন করতে পারবেন না। অথচ হিন্দু ধর্মসহ অন্য ধর্মাবলম্বীরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং তাদের নাগরিকত্বের আবেদন বিবেচনা করা হবে। সংবিধানের নাগরিকত্বসংক্রান্ত অনুচ্ছেদে বড় ধরনের পরিবর্তন এনে ভারত সরকার মূলত ইসলাম ধর্মের সঙ্গে অন্যান্য ধর্মের একটা ব্যবধান তৈরি করল। প্রশ্ন হচ্ছে এই সংশোধনী ভারতের সংবিধানের পরিপন্থী কিনা?
সংবিধানের অনেকগুলো ধারা ও প্রস্তাবনা (চৎবধসনষব) সংবিধানের এই সংশোধনীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংবিধান পরিপন্থীও বটে। ভারতের সংবিধানের ১৪নং আর্টিকেলটি এই সংশোধনীর পরিপন্থী। এই আর্টিকেলে সমতার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বিভক্তি আনা যাবে না, সবাই সমান। এখানে বলা আছে, ঞযব ংঃধঃব ংযধষষ হড়ঃ ফবহু ঃড় ধহু ঢ়বৎংড়হ বৎসড়ষরঃু নবভড়ৎব ষধি ড়ৎ ঃযব ষধংি রিঃযরহ ঃযব ঃবৎৎরঃড়ৎু ড়ভ রহফরধ। রাষ্ট্র কাউকে তার সমঅধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারে না। কিন্তু সংশোধনী এনে নাগরিকত্বের প্রশ্নে সমঅধিকারকে খর্ব করা হয়েছে। আমরা সংবিধানের প্রস্তাবনার কথাও উল্লেখ করতে পারি। প্রস্তাবনায় ভারত সম্পর্কে বলা হয়েছেÑ ধ বিষ ভধৎব ংঃধঃব পড়সসরঃঃবফ ঃড় ংবপঁৎব লঁংঃরপব ষরনবৎঃু ধহফ বয়ঁধষরঃু ভড়ৎ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব ধহফ ভড়ৎ ঢ়ৎড়সড়ঃরহম ভৎধঃবৎহরঃু ফরমহরঃু ড়ভ ঃযব রহফরারফঁধষ ধহফ ঁহরঃু ধহফ রহঃবমৎরঃু ড়ভ ঃযব হধঃরড়হ। এখানে ঁহরঃু ও রহঃবমৎরঃু’র কথা, অর্থাৎ ঐক্য ও সংহতির কথা বলা হয়েছে। ওই সংশোধনী ঐক্য ও সংহতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা সংবিধানের আরও কয়েকটি ধারা উল্লেখ করব। যেমন সংবিধানের ৫নং ধারা যেখানে বলা হয়েছে, ভারত হবে একটি ঝবপঁষধৎ ংঃধঃব ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। কিন্তু সংবিধানের নাগরিকত্ব সংশোধনী ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের পরিপন্থী। এই ধারায় প্রতিটি ধর্মের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সংবিধান সংশোধনী ইসলাম ধর্মের সমস্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। অর্থাৎ ইসলাম ধর্মের সঙ্গে অন্যান্য ধর্মের পার্থক্য সৃষ্টি করা হয়েছে, যা সংবিধানের পরিপন্থী। সংবিধানের ১১নং অনুচ্ছেদে পাঁচটি মৌলিক মানবাধিকারের (ঋঁহফধসবহঃধষ জরমযঃং) কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র এই মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা দেবে। এখানে ৩নং উপধারায় আছেÑ জরমযঃ ধমধরহংঃ ঊীঢ়ষড়রঃধঃরড়হ, ৪নং উপধারায় আছে জরমযঃ ঃড় ঋৎবফড়স ড়ভ জবষরমরড়হ-এর কথা। এখন একজন নাগরিক, যিনি ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবেন, কিন্তু তিনি মুসলমান হলে পারবেন না। কিন্তু সংবিধানের ১১নং অনুচ্ছেদ তাকে সেই অধিকার দিয়েছে। সুতরাং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে যে রিট হয়েছে, তা যুক্তিযুক্ত বলে আমি মনে করি। কেরালায় মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই ভিজয়ান বলেছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংবিধান পরিপন্থী। সুতরাং কেরালায় এটা কার্যকরী হবে না বলেও তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসি রুখতে গণআন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। আসামে এনআরসি হলেও পশ্চিমবঙ্গে কোনো এনআরসি হবে নাÑ এটা জানাতেও তিনি ভোলেননি। পাঞ্জাব সরকারও ওই আইন প্রত্যাখ্যান করেছে।
ফলে স্পষ্টতই এই এনআরসি কিংবা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ভারতকে বিভক্ত করে ফেলেছে। মজার ব্যাপার, আসাম ও ত্রিপুরায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার রয়েছে। মনিপুরেও রয়েছে বিজেপি সরকার। তা হলে এই অঞ্চলগুলো অশান্ত কেন? এর কারণ হচ্ছে, এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ মনে করে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হওয়ার ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক সংখ্যক হিন্দু ধর্মাবলম্বীর পুনর্বাসন হবে। বাংলা ভাষাভাষীদের সংখ্যা এতে বৃদ্ধি পাবে। এই অঞ্চলে উপজাতীয়দের যে জমিজমা ছিল, তা হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা কিনে নেবে। তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। এর মধ্য দিয়ে উপজাতীয়রা এ অঞ্চলে যে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পেত, তা বাতিল হয়ে যাবে। আসামের ক্ষেত্রে ১৯৮৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ও ছাত্রদের নেতৃত্বে গঠিত ‘আসাম মুভমেন্ট’-এর সঙ্গে যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল, সেই সমঝোতা মুখ থুবড়ে পড়বে। এ অঞ্চলে বাংলা ভাষীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে এ অঞ্চলের ভারসাম্য নষ্ট হবে। তাদের আপত্তিটা এ কারণেই।
প্রথমে ভারতের আসামে এনআরসি, এরপর কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার-সংবলিত সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল, এরপর নাগরিক আইন সংশোধন করে পুরো ভারতের রাজনৈতিক চরিত্র বদলে দিতে চাচ্ছে মোদি সরকার। একসময় ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের যে ‘চরিত্র’, সেই চরিত্র এখন বদলে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে ভারত একটি হিন্দু রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ভারতজুড়ে যখন বিক্ষোভ চলছে, ঠিক তখনই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছেন, চার মাসের মধ্যেই অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণকাজ শুরু হবে। ভারত যে কীভাবে বদলে যাচ্ছে, এটা তার বড় প্রমাণ। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত বাবরি মসজিদ-রামমন্দির বিতর্কে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বটে, কিন্তু ভারতের ২০ কোটি মুসলমান এই রায়ে তাদের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এমনই এক পরিস্থিতিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন করে ভারতের মুসলমানদের ‘দ্বিতীয় শ্রেণি’র নাগরিকে পরিণত করার উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি সরকর। এর মধ্য দিয়ে মোদি সরকার রাজনৈতিকভাবে ‘সুবিধা’ লাভ করতে পারবে বটে, কিন্তু বিশ্বে ভারতের ভাবমূর্তি অনেক নষ্ট হবে। এমনিতেই কাশ্মীরেও অসন্তোষ রয়ে গেছে। সেখানকার নেতৃবৃন্দ এখনো অন্তরীণ। উত্তর-পূর্ব ভারতও আশঙ্কা করছে ‘কাশ্মীরের মতো’ পরিস্থিতির। সংবিধানে তারা যে সুযোগ-সুবিধা পায়, তাও বাতিল হতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা। আবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের কারণে আদিবাসীরা সংখ্যালঘুতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা করছে। ফলে ওই অঞ্চলের ক্ষমতায় বিজেপি সরকার থাকলেও স্থানীয় মানুষজন চলে গেছে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। এ পরিস্থিতি কীভাবে মোদি সরকার সামাল দেবে কিংবা শেষ পর্যন্ত সংসদে পাস হওয়া বিলে (যা ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর আইনে পরিণত হয়েছে) কোনো সংশোধনী আনবে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
Daily Amader Somoy
19.12.2019

0 comments:

Post a Comment