রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

কতদূর যেতে পারবেন জো বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন জো বাইডেন। আগামী ২০ জানুয়ারি (২০২১) তিনি শপথ নেবেন। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ‘ট্রাম্প যুগের’ অবসান হতে যাচ্ছে। গেল চার বছর ব্যক্তি ট্রাম্প যেভাবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে যুক্তরাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তার ব্যক্তিগত আচরণ ও নীতি যেভাবে নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, প্রশ্ন এখানেই যে জো বাইডেন তা থেকে কতটুকু বের হয়ে আসতে পারবেন। ট্রাম্পের আমলে মার্কিন সমাজ বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। খোদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই বিভক্তিকে উসকে দিয়েছিলেন। অতীতে কোনো নির্বাচনেই মার্কিন সমাজ এভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েনি। এই বিভক্তি যতটা না পার্টি লাইনে ছিল, তার চেয়ে বেশি ছিল ব্যক্তিনির্ভর। একদিকে ট্রাম্প, অন্যদিকে বাকিরাএভাবেই বিভক্ত হয়ে পড়েছিল সমাজ। এই নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে সহিংসতার জন্ম হয়েছিল। পুরো ফলাফল ঘোষণা করার আগেই, কোথাও কোথাও ভোট গণনা কেন্দ্রে হামলা হয়েছিল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ট্রাম্প সমর্থকরা হামলা চালিয়েছিলেন। এ ধরনের হামলা অতীতে কোনো নির্বাচনের পর দেখা যায়নি। এই নির্বাচন এবং নির্বাচনের ফলাফল মানতে অনীহা ও ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করা মার্কিন গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য ছিল বেমানান। এটা মার্কিন গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির সঙ্গেও বেমানান। মার্কিন গণতান্ত্রিক সমাজে ব্যক্তি কখনই প্রাধান্য পায় না। প্রাধান্য পায় নীতি, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে দায়বদ্ধতা ইত্যাদি। কিন্তু মার্কিন রাজনীতিতে ট্রাম্পের উত্থান এবং দ্বিতীয়বার পুনর্নির্বাচনে বিজয়ী হতে তার নানা কৌশল ছিল গণতন্ত্রের পরিপন্থী। এটা মার্কিন গণতন্ত্রের সৌন্দর্যকে নষ্ট করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কখনো ‘ব্যক্তি’ কোনো বড় ভূমিকা পালন করে না। পালন করে দলীয় নীতি। কিন্তু এবার দেখা গেল নীতির চেয়ে ‘ব্যক্তি ট্রাম্প’ গুরুত্ব পেয়েছিলেন বেশি। ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আচরণ, ইচ্ছা-অনিচ্ছা, ইমেজ প্রাধান্য পেয়েছিল বেশি। এ ক্ষেত্রে রিপাবলিকান দলের নীতি ও আদর্শ স্থান পেয়েছিল কম। ব্যক্তি ট্রাম্প রিপাবলিকান নীতি, আদর্শ ও স্ট্র্যাটেজির ঊর্ধ্বে উঠে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সর্বত্র। মার্কিন সমাজে যে এখনো জাতিগত বিদ্বেষ রয়েছে, শ্বেতাঙ্গ সুপ্রিমেসি যে এখনো একটি ফ্যাক্টর, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তা আবারও প্রমাণিত। এত দিন এই মানসিকতা ‘চাপা’ পড়েছিল। এটা ছিল অনেকটা ‘ছাইচাপা দেওয়া আগুন’। ট্রাম্প তা উসকে দিয়েছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সিভিল রাইটস মুভমেন্টের অন্যতম নেতা ছিলেন ড. মার্টিন লুথার কিং। ১৯৬৮ সালে আততায়ীর হাতে তার মৃত্যুর পর সেখানে জাতিগত বিদ্বেষ অনেকটাই কমে এসেছিল। কিন্তু ট্রাম্পের জমানায় এই বিদ্বেষ বেড়ে যায়। আমরা পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখেছি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জমানায় উগ্র শ্বেতাঙ্গগোষ্ঠী যেভাবে শক্তিশালী হয়েছে, অতীতে তেমন শক্তিশালী তারা ছিল না। Ku klux Klan (গঠিত ১৮৬৫) এর পর থেকে এখন অব্দি প্রায় ১০০টি শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর জন্ম হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এ তথ্যটি আমাদের দিয়েছে সাউদার্ন পোভার্টি ল সেন্টার (২০১৭)। এর বাইরে ৯৯টি ‘নিউ নাজি গ্রুপ’ তৎপর রয়েছে সেখানে। এই সব উগ্র গোষ্ঠী নাজি মতাদর্শে বিশ্বাসী। ট্রাম্পের জমানায় এরা শক্তিশালী হয়েছে। এখন কতটুকু বদলাতে পারবেন জো বাইডেন? নির্বাচনে বিজয়ের পর তিনি তার নিজ রাজ্য দেলওয়্যারে উইলমিংটনে শত শত সমর্থকের উদ্দেশে যে ভাষণ দেন, তার গুরুত্বও কম নয়। সেখানে চারটি বিষয়কে তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন। করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া, অর্থনীতি পুনরুদ্ধার, জাতিগত বিদ্বেষ কমিয়ে আনা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। করোনাভাইরাস কভিড-১৯ যে মার্কিন সমাজে বড় ধরনের ক্ষতি করেছে, তা ট্রাম্প কখনই স্বীকার করেননি। কিন্তু জো বাইডেন তা শুধু স্বীকারই করেননি; বরং তার অগ্রাধিকারের তালিকায় প্রথমেই রেখেছেন। তিনি ইতিমধ্যে বিজ্ঞানী, চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছেন। জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই যে কভিড-১৯ মোকাবিলায় বড় কর্মসূচি হাতে নিতে যাচ্ছেন, তা তিনি স্পষ্ট করেছেন। এ ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যর্থতা ছিল চোখে লাগার মতো। এটা যে একটা মহামারী, তা ট্রাম্প বিশ্বাস করতেন না। এমনকি তিনি কোনো নিয়মকানুন মানতেন না। মাস্ক ব্যবহার করতেন না। বিজ্ঞানকে তিনি অস্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তুলেছিলেন। কভিড-১৯-এ যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে। ৮ নভেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে কভিড-১৯-এ আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ১০১৮২৮১৮ জন। আর মৃত্যুর সংখ্যা ১২৫৬১২৩ জন। নতুন করে করোনাভাইরাসের ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ সেখানে আঘাত হেনেছে। মৃত্যুর সংখ্যাও সেখানে আবার বাড়ছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যর্থতাই জো বাইডেনকে ক্ষমতায় বসাতে যাচ্ছে। সুতরাং কভিড-১৯ মোকাবিলায় জো বাইডেন যে বড় কর্মসূচি নেবেন, এটাই প্রত্যাশিত। প্রথমেই তিনি একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করেছেন। অর্থনীতিকে তিনি অগ্রাধিকার তালিকায় রেখেছেন। এটাই স্বাভাবিক। কভিড-১৯ বিশ্ব অর্থনীতিতে আঘাত করেছে, তার ঢেউ এসে লেগেছে যুক্তরাষ্ট্রেও। একটি মহামন্দার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিংশ শতাব্দীর ত্রিশের দশকের মহামন্দার (Great Depression) কথা অনেকেই জানেন। ১৯২৬ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের স্টক মার্কেটের পতনের পর পরই এই মহামন্দার সূত্রপাত হয়েছিল। ১৯৩৩ সালের হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ১৫ মিলিয়ন অর্থাৎ দেড় কোটি মানুষ বেকার হয়ে গিয়েছিল। কভিড-১৯ এ ধরনের একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। শত শত মানুষ চাকরি হারিয়েছে। বেকারত্বের হার শতকরা ১৫ ভাগে থাকলেও, এখন তা নেমে এসেছে ৭ দশমিক ৯ শতাংশে। শেয়ারবাজারের নিম্নগতি এখনো লক্ষণীয়। দারিদ্র্যের গড় হার ১০ দশমিক ৫ শতাংশ (কৃষ্ণাঙ্গ ১৮ দশমিক ৮, শ্বেতাঙ্গ ৭ দশমিক ৫)। গড় প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৫ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। সেপ্টেম্বর (২০২০) পর্যন্ত এর পরিমাণ ২৬ দশমিক ৯৫ ট্রিলিয়ন ডলার। জাপান ও চীনের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণের পরিমাণ যথাক্রমে ১ দশমিক ২৯ ট্রিলিয়ন ও ১ দশমিক ০৭ ট্রিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বড় অর্থনীতি, সন্দেহ নেই তাতে। কিন্তু এই অর্থনীতি এখন ঝুঁকির মুখে। ফলে অর্থনীতি একটি বড় সেক্টর, যেখানে জো বাইডেনকে হাত দিতে হবে। আশার কথা, অর্থনীতিকে তিনি অগ্রাধিকার তালিকায় রেখেছেন। জলবায়ু পরিবর্তন এই শতাব্দীর অন্যতম আলোচিত একটি বিষয়। বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর-মহাসাগরের পানির উচ্চতা বাড়ছে মরু অঞ্চলের বরফ গলে যাওয়ায়। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বের উষ্ণতা বাড়ছে। এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটা বিশ্বাস করতেন না। বিশ্বের উষ্ণতা রোধকল্পে প্যারিস কপ-২১ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ২০১৫ সালে। তৎকালীন মার্কিন প্রশাসন ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। পরে ২০১৫ সালের ২২ এপ্রিল জাতিসংঘের সদর দপ্তরে কপ-২১ চুক্তিটি অনুমোদিত হয়েছিল। ১৭০টি দেশ ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে তা আন্তর্জাতিক আইনে পরিণত করেছিল। অথচ ট্রাম্প প্রশাসন এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। কপ-২১-এ বিশ্বের ১৯৫টি দেশ রাজি হয়েছিল ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখবে। জো বাইডেন বলেছেন, তিনি কপ-২১ চুক্তিতে ফিরে যাবেন। এটি একটি ভালো সিদ্ধান্ত। সেই সঙ্গে বিকল্প জ্বালানি উদ্ভাবন ও ব্যবহারের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন বাইডেন, যা কিনা বিশ্বে তার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে পশ্চিম ইউরোপ তথা ন্যাটোভুক্ত দেশ ও মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছিল। তিনি জার্মানি থেকে সেনা প্রত্যাহার করার কথা বলেছেন। ন্যাটোর দেশগুলোকে ন্যাটোতে দেওয়া অনুদানের পরিমাণ বাড়ানোর কথা বলেছেন। তার মুসলমানবিদ্বেষের কারণে কয়েকটি মুসলমান দেশের নাগরিকের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাতায়াত নিষিদ্ধ করেছেন। ইরানের সঙ্গে ৬ জাতি সমঝোতা থেকে ট্রাম্প বেরিয়ে গেছেন। এতে করে মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণিক ঝুঁকি কমেনি; বরং বেড়েছে। তার প্রো-ইসরায়েলিনীতি ফিলিস্তিনি সংকটকে আরও গভীরে নিয়ে গিয়েছিল। ফিলিস্তিন সংকট সমাধানের ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারেনি। মোদ্দাকথা, ট্রাম্প গেল চার বছরে বিশ্বকে স্থিতিশীলতার চেয়ে আরও বেশি অস্থিতিশীল করে তুলেছিলেন। চীনের সঙ্গে একধরনের বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করে তিনি বিশ্বে নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধের জন্ম দিয়েছিলেন। QUAD-কে সক্রিয় করে ও ইন্দো- প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বাড়াতে ভারতের সঙ্গে একধরনের সামরিক অ্যালায়েন্সে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। অনেক পর্যবেক্ষকের ধারণা, চীনকে দুর্বল করতেই ট্রাম্প প্রশাসন এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছিল। এতে করে বিশ্বে জন্ম হয়েছিল একধরনের উত্তেজনার। কভিড-১৯-এর কারণে যেখানে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সমঝোতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সেখানে ট্রাম্প ‘চীনা ভাইরাস’ তথা চীনবিরোধী বক্তব্য দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী নীতিকেই সামনে নিয়ে এসেছিলেন। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে একরকম বিচ্ছিন্ন করে একাকী চলতে চেষ্টা করেছিলেন। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহার, এই সংস্থায় চাঁদা দিতে অস্বীকার করা, কভিড-১৯ মোকাবিলায় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাকে আর্থিক দিক দিয়ে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করা, ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ চুক্তি (টিপিপি) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেওয়া, এমনকি ২০১৭ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ইউনেসকোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা সবকিছুই প্রমাণ করে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আসরে নেতৃত্ব দেওয়ার যে সক্ষমতা, তা হারিয়েছিল। ফলে জো বাইডেন কতটুকু আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারবেন, সেটা একটা বড় প্রশ্ন এখন। পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপারে তার ভূমিকা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে কমলা হ্যারিসকে ভাইস প্রেসিডেন্ট ও তার ‘রানিংমেট’ হিসেবে নির্বাচিত করায় এবং বিজয়ী ভাষণে তার নাম উচ্চারণ ও দক্ষিণ এশিয়ার কথা উল্লেখ করায় বাইডেনের মেসেজটি স্পষ্ট তিনি দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে কমলা হ্যারিস একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ একটা পরিবর্তন চেয়েছিল। সেই পরিবর্তনটি সম্পন্ন হয়েছে। নয়া প্রশাসন ২০২১ সালে দায়িত্ব নিয়ে বিশ^ আসরে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি কতটুকু উদ্ধার করতে পারবে, সেটাই বড় প্রশ্ন এখন। Desh Rupantor 09.11.2020

0 comments:

Post a Comment