রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

কোন পথে পার্বত্য চট্টগ্রাম






আগামী ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ১৫ বছর পার করবে। এই পনের বছরে সেখানে অগ্রগতি হয়েছে কতটুকু? কতটুকু শান্তি সেখানে নিশ্চিত হয়েছে? এসব বিষয় আজ ভেবে দেখার পালা। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর যখন শান্তি চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, সেটা ছিল একটা বড় ধরনের অগ্রগতি। বিদ্রোহী 'চাকমা'দের মূল ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা ও বাঙালি ও পাহাড়িরা একসাথে মিলে মিশে একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলা এই ছিল উদ্দেশ্য। কিন্তু হিসাব-নিকাশ মেলান যাক। সাধারণ পাহাড়িরা বাঙালিদের সাথে মিলে মিশে থাকলেও পাহাড়ি নেতৃত্ব, বিশেষ করে চাকমা নেতৃত্বের কারণে সরকারের উদ্যোগ বারবার নষ্ট হচ্ছে। পাহাড়ি নেতারা পাহাড়ে আদৌ বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিশ্বাস করেন কিনা, সে ব্যাপারে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। বিদ্রোহী চাকমাদের পুনর্বাসন, চাকরি, চাকমা নেতাকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দেয়া স্থানীয় সরকারের আওতাধীন বেশ কিছু মন্ত্রণালয় তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের হাতে হস্তান্তর কিংবা বেশ কিছু সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নেয়ার পরও পার্বত্য নেতারা, বিশেষ করে চাকমা নেতারা এখনও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আসছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্রোহী নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার, যিনি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন, তার স্ট্যাচু সেখানে প্রতিষ্ঠিত হলেও, সেখানে সেনাবাহিনীর বীর সৈনিকদের স্মরণে কোনো স্ট্যাচু প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অথচ সেনা সদস্যরা এ দেশটির রক্ষার জন্য নিজেদের রক্ত দিয়েছেন। আরো একটা প্রবণতা আমরা দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করছি আর তা হচ্ছে বিদেশি নাগরিক, রাষ্ট্রদূতদের পার্বত্য চট্টগ্রামে গমন ও গোপনে পাহাড়ি নেতাদের সাথে বৈঠক। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ও সব ক্ষেত্রে, অর্থাৎ বৈঠকে সরকারি কর্মকর্তাদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক হলেও, প্রায় ক্ষেত্রেই ওই সব বেঠকে সরকারি কর্মকর্তাদের থাকতে দেয়া হয় না। বিষয়টি আমাদের জন্য উদ্বেগের ও আতঙ্কের। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই লক্ষ্য করে আসছি যে একটি চক্র পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করে সেখান থেকে ফায়দা ওঠাতে চায়। আর এই চক্রের সাথে বিদেশিরা সরাসরিভাবে জড়িত। এদের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে ও আর্থিক সহযোগিতায় ইতোমধ্যে পাহাড়িদের নিয়ে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। ওদেরকে উস্কানি দিচ্ছেন সাবেক গেরিলা নেতা ও জনসংহতি সমিতির প্রধান সন্তু লারমা। বিদেশি বিশেষ করে অস্ট্রেলীয় সরকারের ভূমিকা এখানে লক্ষ্য করার মতো। তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে প্রচুর পাহাড়ি ছাত্রদের বৃত্তি দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যায়। 'অস-এড'-এর কোনো বৃত্তি বাঙালি ছাত্ররা পায় না, বা তাদের দেয়া হয় না। পাহাড়ি এলাকায় বাঙালিরা মানবেতর জীবনযাপন করলেও কোনো বিদেশি সাহায্য তারা পায় না। ইউএনডিপির কোনো প্রজেক্টে বাঙালিরা চাকরি পায় না। বাঙালিরা সেখানে এক রকম দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকের মতো বসবাস করছে, যা সংবিধানের ২৭ ও ২৮নং অনুচ্ছেদের পরিপূর্ণ লঙ্ঘন। আমরা আরো গভীরভাবে লক্ষ্য করছি যে সন্তু লারমা হচ্ছেন অন্যতম উস্কানিদাতা। সরকার পাহাড়িদের অনেক সুযোগ সুবিধা দিলেও সন্তু লারমা একের পর এক সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। রামুর ঘটনায় সর্বশেষ যে বক্তব্যটি তিনি দেন, তাও ছিল উস্কানিমূলক। এমনকি তিনি বারবার আদিবাসী সমাজ বলে যে বক্তব্য দেন, তাও সংবিধান বিরোধী। সংবিধানে আদিবাসী বলে কিছু নেই। আছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। আসলে এই মুহূর্তে পার্বত্য অঞ্চলে একাধিক সমস্যা রয়েছে। মূল সমস্যা একটিই আর তা হচ্ছে এ অঞ্চলে ব্যাপক খ্রিস্টীয়করণ। অথচ পাহাড়িদের, বিশেষ করে সন্তু বাবুদের কাছ থেকে অভিযোগে পাওয়া যায় যে পাহাড়িদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। এটা একটা মিথ্যা প্রপাগা-া। পরিসংখ্যান বলে পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপকহারে খ্রিস্টীয়করণ হচ্ছে। অর্থের বিনিময়ে গরিব পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে খ্রিস্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। তারপর এদের অনেককে চাকরি দেয়া হচ্ছে। পাহাড়ে বেশ কিছু খ্রিস্টীয় মিশনারি স্থাপিত হয়েছে। পাহাড়িদের ধর্মান্তরিত করে ওইসব স্কুলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে চার্চ, সেখানে প্রতি রোববার পাহাড়িদের যাওয়া এক রকম বাধ্যতামূলক। বিদেশি নাগরিকদের পার্বত্য চট্টগ্রামে সফরের উদ্দেশ্য একটিই খ্রিস্টধর্ম প্রচার ও পাহাড়িদের খ্রিস্টধর্মের ব্যাপারে আকৃষ্ট করা। যে হারে পাহাড়ে খ্রিস্টধর্মের প্রসার বাড়ছে, তা আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি স্বরূপ। এক সময় এই খ্রিস্টীয় জনগোষ্ঠী বিদেশিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে। পাঠক পূর্ব তিমুরের কথা স্মরণ করুন। পূর্ব তিমুর ছিল ইন্দোনেশিয়ার একটি প্রদেশ। ইন্দোনেশিয়ার জনগণ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। তবে পূর্ব তিমুরের মানুষ ছিলেন খ্রিস্টীয় বিশ্বাসী। পূর্ব তিমুর ইন্দোনেশিয়ার সাথে সংযুক্তির পর সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদী চিন্তাধারা শক্তিশালী হয়। শুরু হয় গেরিলা যুদ্ধ। পরে পশ্চিমাদের স্বার্থেই ১৯৯৯ সালে পূর্ব তিমুর স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। আর স্বাধীনতার পর থেকে অস্ট্রেলিয়া পূর্ব তিমুরের রাজনীতিতে অন্যতম একটি শক্তিরূপে আবির্ভূত হয়েছে। সেখানে অস্ট্রেলিয়ার প্রভাব অনেক বেশি। সাম্প্রতিককালে দক্ষিণ সুদানের কথাও আমরা উল্লেখ করতে পারি। মুসলমান অধ্যুষিত সুদানকে ভেঙে খ্রিস্টীয় ধর্মে বিশ্বাসী দক্ষিণ সুদানকে একটি আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে পশ্চিমা বিশ্ব। সুতরাং পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে আমাদের একটা শঙ্কা থেকেই গেল। বিদেশি নাগরিকদের ঘন ঘন পার্বত্য চট্টগ্রামে যাওয়া, বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সেখানে গোপন মিটিং করা, বিদেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা ইত্যাদি আমাদের শঙ্কাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। এখানে পাঠকদের জ্ঞাতার্থে আরো কিছু তথ্য দিতে পারি। এক সময়, অতীতে আজকে যে 'সাতবোন রাজ্য' নামে পরিচিত সেখানকার মানুষ জঙ্গলে বাস করত ও প্রকৃতি পূজারী ছিল। তাদের কোনো ধর্ম ছিল না। প্রকৃতিকে, শক্তিকে, সূর্যকে তারা পূজা করত। ব্রিটিশদের নজর পড়ল এ অঞ্চলের দিকে। জঙ্গলে বাস করা মানুষদের শিক্ষিত করার জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করল। সাথে গেল মিশনারিরা, যারা খ্রিস্টধর্ম প্রচার করত। ওই অঞ্চলে তারা চার্চ প্রতিষ্ঠা করল। ভালো ভালো কথা বলা, আর্থিক সাহায্য করা ইত্যাদিতে আকৃষ্ট হলো জঙ্গলের মানুষ। তারপর বছরের পর বছর গেল। আজ যদি পরিসংখ্যান নেয়া যায়, তাহলে দেখা যাবে মিজোরামের ৯৯ ভাগ মানুষ আজ খ্রিস্টান। নাগাল্যান্ডের ৯০ ভাগ, মনিপুরের ৬০ ভাগ আর মেঘালয়ের প্রায় ১০০ ভাগ মানুষ আজ খ্রিস্টান। ব্রিটিশদের পরিকল্পনা সার্থক হয়েছে। সেখানে খ্রিস্টান ধর্ম একটি শক্তি। সেখানে হিন্দু কিংবা মুসলমান ধর্মের বিকাশ ঘটেনি। ভারতের অন্যত্র ইসলাম ধর্মের বিকাশ ঘটলেও মিশনারিদের কারণে সাতবোন রাজ্যে ইসলামের বিকাশ ঘটেনি। আমাদের আতঙ্কের জায়গাটা হচ্ছে ওখানে মানচিত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাশে মিজোরাম, তার উপরে ন্যাগাল্যান্ড, মনিপুর, অরুণাচল, মেঘালয়। আমাদের সিলেটের পাশেই রয়েছে আসাম ও মেঘালয়। আসামে কিছু মুসলমান থাকলেও, মেঘালয়ের প্রায় ১০০ ভাগই খ্রিস্টান। আজ পার্বত্য চট্টগ্রামে যেহারে খ্রিস্টান ধর্মের বিস্তার লাভ করছে, তাতে করে পার্শ্ববর্তী ভারতের মিজোরাম, তথা সাতবোন রাজ্যের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা উৎফুলি্লত হতে পারেন। দুই অঞ্চলে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা আমাদের জন্য একটা বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে আগামী দিনগুলোতে। তাই অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাই কমিশনার যখন গোপনে পার্বত্য চট্টগ্রাম সফর করেন, তার উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা সন্দেহমুক্ত থাকতে পারি না। শুধুমাত্র মানবিক কারণে তিনি যদি বান্দরবান গিয়ে থাকেন, তাহলে তার বাঙালি নেতাদের সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি তা করেননি। আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছি যে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে এক ব্রিগেড সৈন্য ও ৩৫টি সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। এর ফলে সেখানে সন্ত্রাসী কর্মকা- বেড়েছে। পরিত্যক্ত সেনা ক্যাম্পগুলোতে এখন সন্ত্রাসীরা আশ্রয় নিয়েছে। ওই অঞ্চলগুলো এখন সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আমাদের সন্তু বাবু এর কোনো প্রতিবাদ করছেন না। যখন বরকলে (২১ মে ২০১১) বড় ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছিল, তখনও প্রতিবাদ করেননি সন্তু বাবু। তথাকথিত 'ভূমি অধিকার' এর কথা বলে তিনি মূলত চাচ্ছেন' পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন'(?) এবং সেই সঙ্গে এই অঞ্চল থেকে বাঙালিদের বিতাড়ন। এর আগে তিনি একবার বাঙালিদের নোয়াখালীর চরে প্রত্যাবাসনের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। এ ধরনের সাহস তিনি কোথায় পান, ভাবতেই অবাক লাগে। দুঃখজনক হলেও সত্য, তথাকথিত বাম বুদ্ধিজীবী তথা সুশীল সমাজ সন্তু লারমার ওই বক্তব্যের সমালোচনা করেননি। বাঙালিরা তাদের অধিকার নিয়ে সেখানে থাকেন। সংবিধান তাদের সেই অধিকার দিয়েছে। পাহাড়িরা ভূমিপুত্র নন। বাঙালিদের মতো চাকমারাও এ অঞ্চলে প্রায় একই সময় বসবাস করতে শুরু করেন। চাকমাদের আদি বাসস্থান ছিল উত্তর ভারতের হিমালয়ের পাদদেশে। 'চম্বকনগর' নামক স্থানে ছিল তাদের ঐশ্বর্যম-িত রাজধানী। বৌদ্ধধর্মে বিশ্বাসী চাকমাদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেলে তারা দেশান্তরিত হয়ে আশ্রয় নেন পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরান এলাকায়। এক সময় তারা বাঙালিদের মতো সমতলেই বসবাস করতেন। ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর সরকার পাহাড়ি অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না। কিন্তু চাকমা নেতারা সরকারকে চাপে ফেলে একের পর এক সুবিধা আদায় করে নিচ্ছেন। অথচ বাঙালিরা সেখানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তারা এতটুকুও সুবিধা পাচ্ছেন না। অতীতে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য সরকার রাঙামাটিতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে চাইলেও চাকমা নেতৃবৃন্দের বিরোধিতার কারণে তা আজো সম্ভব হয়নি। সরকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর উন্নয়নের ব্যাপারে আন্তরিক। কিন্তু দেখা গেছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দকৃত সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করছেন চাকমা গোষ্ঠী। শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসাতে চাকমাদের প্রাধান্য। ম্রো বা খিয়াং জনগোষ্ঠী এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকারের উচিত হবে এসব জনগোষ্ঠীর দিকে নজর দেয়া। সংবিধান অধিকার বলে বাঙালিরা সেখানে বসবাস করে আসছেন। চাকমারা বহিরাগত। বাঙালিদের মতো তারাও 'সেটলার'। সুতরাং বাঙালিদের সেটলার বলে চিহ্নিত করার সুযোগ নেই। আমরা চাইব সন্তু লারমাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং সবাই মিলে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজ করবেন।Daily JAI JAI DIN01.12.12

0 comments:

Post a Comment