রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

কোন পথে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতি নিয়ে একটি বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন দৈনিক যায়যায়দিন-এ প্রকাশিত হয়েছে গত ১১ নভেম্বর। চার পর্বের ওই প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব ছিল শিক্ষক রাজনীতি নিয়ে। এর রেশ শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই গত ১৭ নভেম্বর আরো একটি সংবাদ ছাপা হয়েছে দৈনিক যুগান্তরে। ওই সংবাদে বলা হয়েছে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শাস্তিপ্রাপ্ত একজন শিক্ষককে পদোন্নতির উদ্যোগ নিয়েছেন জাবির উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। অধ্যাপক হোসেন জাবির উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে 'স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে' পরিণত করতে চান। আমরা সেদিন তাকে সমর্থন করেছিলাম। এখন অবধি তিনি সুষ্ঠুভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনা করছেন। এখন এ কী করলেন অধ্যাপক হোসেন? একজন বিতর্কিত এবং নিজের বিভাগের একজন নারী শিক্ষককে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শাস্তিপ্রাপ্ত ওই শিক্ষককে পদোন্নতির উদ্যোগ নিলেন? আইন অনুযায়ী একজন সহকারী অধ্যাপককে ৪ বছরের অভিজ্ঞতা ও কমপক্ষে তিনটি প্রকাশনা থাকতে হবে। এটা থাকলেই তিনি পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩৮তম সিন্ডিকেটে (২১-০১-৮৯) এ রকম একটি নীতিমালা তৈরি হয়েছিল। এই নীতিমালা লঙ্ঘন করে ৫ নভেম্বর তিনি কীভাবে নির্বাচনী বোর্ডে ওই বিতর্কিত শিক্ষককে পদোন্নতির সুপারিশ করলেন? এটা কি তার 'স্বপ্নের জাহাঙ্গীরনগর' বিশ্ববিদ্যালয়ের নমুনা? বিতর্কিত ও যৌন অপরাধী ওই শিক্ষকের ব্যাপারে দায়-দায়িত্ব তিনি কেন গ্রহণ করবেন? বিতর্কিত ওই শিক্ষক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল বায়েসপন্থী আওয়ামী লীগের সমর্থক। আওয়ামী লীগের মূল ধারার শিক্ষকরা সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরিফ এনামুল কবীরের পক্ষে রয়েছেন। শিক্ষক রাজনীতি আজ কোন পর্যায়ে গিয়ে উন্নীত হয়েছে, তা ভাবতেই অবাক লাগে। উপাচার্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র আমাকে জানিয়েছে খোন্দকার মুস্তাহিদুর রহমানের নেতৃত্বাধীন বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের একটি অংশ 'শিক্ষক রাজনীতির' কারণে বিতর্কিত ওই শিক্ষককে পদোন্নতি দেয়ার জন্য 'চাপ' দিয়ে আসছিলেন। শোনা যায় কিছুদিন আগে কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা বিতর্কিত ওই শিক্ষককে পদোন্নতির জন্য ভিসিকে 'চাপ' দেন। এই 'চাপের' মুখেই ভিসি নতি স্বীকার করেন। দেশজুড়ে যেখানে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপি একটা আলাদা অবস্থান নিয়েছে সেখানে বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা জাবিতে তাদের নিজেদের নিজ নিজ স্বার্থে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সঙ্গে ঐক্য করেছে। বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের এই ভূমিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। যায়যায়দিন-এর ওই প্রতিবেদনটিতে স্পষ্ট করেই উল্লেখ করা হয়েছে জাতীয় রাজনীতির চাইতে জাবিতে শিক্ষকদের ব্যক্তিগত স্বার্থই বেশি। তাই পরস্পর বিরোধী রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকলেও, নিজেদের স্বার্থের ক্ষেত্রে তারা এক। সে ক্ষেত্রে জামায়াতও কোনো ফ্যাক্টর নয়। যায়াযায়দিন-এর ওই প্রতিবেদন পাঠ করলে জানা যায় কীভাবে দীর্ঘদিন শিক্ষকদের দুটি গ্রুপ তথাকথিত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নাম ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। অধ্যাপক বায়েস সাবেক ভিসি। আগামীতে তিনি আবারো ভিসি হতে চান। ভিসি থেকে অব্যাহতি নেয়ার পর তিন দু'দুটো বিভাগের সভাপতি হয়েছিলেন। ডিনও হয়েছিলেন। একজন ভিসি পরে ডিন হতে পারেন কিনা, এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে কিছু লেখা নেই। তিনি ওই 'শিক্ষক রাজনীতির' কারণে ভিসি হওয়ার পরও বিভাগীয় সভাপতি ও ডিনও হয়েছিলেন। সাধারণ শিক্ষকরা এটাকে ভালো চোখে দেখেননি। তিনি আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপের নেতা। অন্যদিকে খোন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান চার বছর ভিসি থাকার পর এখনও সক্রিয়। তিনি সরাসরি এখনও শিক্ষক রাজনীতি করেন। বিএনপি সরকারে আগামীতে তিনি 'শিক্ষা উপদেষ্টা' (?) হবেন- এমন একটা ধারণা বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের দেয়া হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক রাজনীতি নিয়ে নানা কথা রয়েছে। ক্ষমতাবান ওইসব শিক্ষকের জন্য কেউ কিছু বলতে পারেন না। কোনো শিক্ষক আইন বহির্ভূতভাবে কাজ করলেও, ক্ষমতাবান শিক্ষকদের জন্য তারা পার পেয়ে যান। বিভাগে সিলেবাস না থাকা সত্ত্বেও এমফিল ও পিএইচডি কোর্সে ছাত্র ভর্তি করানোর বিষয়টিও চাপা পড়ে যায় শিক্ষক রাজনীতির কারণে। যার এমফিল নেই, পিএইচডি নেই, তিনি কী করে পিএইচডি কমিটিতে থাকেন? সিনিয়র শিক্ষকরা রাজনীতির কারণে এসব অনিয়মকে প্রশ্রয় দেন। 'ভোটরাজনীতি' তাদের কাছে মুখ্য। তাই বিতর্কিত ওই আওয়ামীপন্থী শিক্ষককে পদোন্নতি দিতে তদবির করেন বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা। অধ্যাপক হোসেন এখন অবধি শিক্ষকদের কোনো গ্রুপেই যোগ দেননি। এটা একটা ভালো লক্ষণ। সাবেক ভিসি অধ্যাপক শরীফ এই কাজটি করলে ভালো করতেন। তিনি রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রায় ৩০০ শিক্ষককে নিয়োগ দিয়েছিলেন। তাদের অনেকেই এখন শিক্ষক রাজনীতিতে সক্রিয়। অধ্যাপক হোসেন বিগত প্রশাসনের খুব একটা পরিবর্তন করেননি। কিন্তু বিতর্কিত শিক্ষককে পদোন্নতি দিয়ে কী তিনি 'স্বপ্নের জাহাঙ্গীরনগর' তৈরি করতে পারবেন? এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাডেমিক মান বাড়াতে হবে। তরুণ শিক্ষকদের বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য পাঠাতে হবে। এটা সম্ভব। একজন উপাচার্য যদি উদ্যোগ নেন তরুণ শিক্ষকদের জন্য বিদেশি বৃত্তি জোগাড় করা কঠিন নয়। তরুণ শিক্ষকরা যদি বিদেশে যেতে পারেন, তাহলে তারা আর নিজেদের শিক্ষক রাজনীতির সাথে জড়িত করবেন না। তখন তথাকথিত সিনিয়র শিক্ষকরা তাদের 'ব্যবহার'ও করতে পারবে না। জাবিতে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে তুঘলকি কর্মকা- হচ্ছে। জাবিতে পিএইচডি থিসিস পরীক্ষার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো হয় না। অথচ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও এই কাজটি করে থাকে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পিএইচডি থিসিসের পরীক্ষক ছিলাম, সেখানে তৃতীয় পরীক্ষক ছিলেন ব্রিটেনের একজন অধ্যাপক। অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিয়ে ভাবতে পারেন। একই সাথে যে বিভাগে নূ্যনতম তিনজন থেকে চারজন 'অধ্যাপক' নেই, সেইসব বিভাগে আপাতত এমফিল ও পিএইচডি শিক্ষার্থী ভর্তি করানো ঠিক হবে না। একজন সহকারী অধ্যাপক পিএইচডি কমিটির সদস্য হবেন। অথচ তার নিজের পিএইচডি ডিগ্রিই নেই। পিএইচডি ও এমফিলের জন্য কোর্স করা বাধ্যতামূলক। নিয়মিত ক্লাস করার কথা। কাগজ কলমে এটি লেখা আছে। দু'একটি বিভাগ বাদে বাকি বিভাগগুলোতে আদৌ ক্লাস হয় না। তবে ল্যাবের সাথে সম্পর্কিত বিভাগগুলোতে গবেষণা হয়। অধ্যাপক হোসেন কী এসব বিষয় খোঁজ-খবর নেন? আমাদের শিক্ষামন্ত্রী অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তি। নির্লোভ এই মানুষটি এক সময় বামরাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন বিধায় এই বুর্জোয়া রাজনীতিতে তিনি অনেকটাই অচল। তিনি শিক্ষা দিবসে (১৭ সেপ্টেম্বর) শিক্ষার মান বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। তার ওই আহ্বান কাগজ কলমেই থেকে গেছে। কোনো উপাচার্যই শিক্ষার মান বাড়ানোর কোনো উদ্যোগ নেননি। তারা কিভাবে ক্ষমতায় থাকা যায়, সেই চেষ্টাই করে গেছেন বা যাচ্ছেন। সিনিয়র শিক্ষকরা আগামী কয়েক বছরে যখন অবসরে যাবেন, তখন কারা শিক্ষার হাল ধরবেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু ভালো শিক্ষক থাকলেও বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থা করুণ। এখানে এক ধরনের বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানের পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। এক বিভাগের শিক্ষক অন্য বিভাগে ক্লাস নেন- সে খবরও শুনেছি। শিক্ষাক্ষেত্রে বড় ধরনের অনিয়ম হচ্ছে। দলীয়করণ, আত্মীয়করণ, আর আঞ্চলিকতা উচ্চ শিক্ষাকে আজ প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমরা তখন একুশ শতকে কেমন বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছি_ এটা চিন্তা করতেও আমার এখন ভয় হচ্ছে। আমাদের দেশে এই মুহূর্তে 'রাজনীতিক ভিসি'র চাইতে দরকার 'একাডেমিক ভিসি'। সরকার ভিসিদের নিয়োগ দেয়। কিন্তু প্রায় ক্ষেত্রেই দেখা যায় যোগ্য শিক্ষক উপাচার্য হতে পারেন না। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, কিংবা অধ্যাপক আনিসুজ্জামান অথবা অধ্যাপক তালুকদার মনিরুজ্জামান কোনোদিনই ভিসি হতে পারেননি। এরা অবসরে গেছেন এবং এখনও তাদের অবস্থান থেকে সমাজ বিনির্মাণ করে যাচ্ছেন। একজন শিক্ষকের প্রাপ্তি ভিসি হওয়া নয়, তার প্রাপ্তি একজন ভালো শিক্ষক হওয়া। সেই ভালো শিক্ষকই আমি হতে চেয়েছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে যে 'অন্ধকার' আমি দেখছি, তাতে আমি শিক্ষকতার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। হয়ত আট বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই আমি অবসরে যাব (আমাদের অবসরের বয়স ৬৫)। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে শিক্ষকতার পরিবেশ, সেই পরিবেশের সঙ্গে আমি খাপ খাওয়াতে পারছি না। আমার বড় ধরনের আশা ভঙ্গ হয়েছে। যখন আমি দেখলাম আমার বিশ্ববিদ্যালয়ই 'যৌন অপরাধে' শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষক পদোন্নতি দেয়ার উদ্যোগ নিলেন অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। আমার আস্থার জায়গাটা নষ্ট হয়ে গেল! এর তো আদৌ প্রয়োজন ছিল না? অধ্যাপক হোসেন কি ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের 'চাপ'-এর মুখে এই কাজটি করলেন? তার তো চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। তিনি ভিসি হয়েছেন। একসময় তিনি ঢাকায় চলে যাবেন। কিন্তু তাকে মানুষ কীভাবে স্মরণ করবে? এর আগে তাকে আমি পরামর্শ দিয়েছিলাম। সেই পরামর্শ তিনি শোনেননি। এমনকি তিনি সময়ও বের করতে পারেননি আমার বা আমাদের মতো শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলার। আমি আওয়ামী ঘরানার শিক্ষক নই। বোধকরি এটাই তিনি বিবেচনায় নিয়েছেন। তিনি যাই করুন না কেন, আমি চাইবো বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস হোক। আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একটি অংশ 'সিন্ডিকেট ঘেরাও'-এর হুমকি দিয়েছেন। তিনি যদি আইনের বরখেলাপ করেন, তাহলে তিনি বিতর্কিত হবেনই, যা আমি চাই না। সিন্ডিকেটে বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা আছেন। তারা এখন যৌন অপরাধে অপরাধী শিক্ষকের 'মিত্র'। তারা পদোন্নতি চাইবেন। এ ক্ষেত্রে বিষয়টি তিনি উচ্চ আদালতে 'রেফার' করতে পারেন। যৌন অপরাধে অপরাধী এই শিক্ষক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মান-সম্মানকেই 'ধূলিসাত করেছিলেন। উচ্চ আদালত শুধু তাকেই নয়, বরং উপাচার্যকেও আদালতে ডেকে নিয়ে ভর্ৎসনা করেছিলেন। আজ সবকিছু আমরা ভুলে গেলাম। শিক্ষক রাজনীতি আজ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে? যারা দু'বছর আগেও বিতর্কিত ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেছেন, আজ সেই বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা শুধু ভোটের রাজনীতির কারণে ওই বিতর্কিত শিক্ষকের 'মিত্র' হয়ে গেলেন। ওই বিতর্কিত শিক্ষকের ভোটেই আজ কলা অনুষদের ডিন নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক সৈয়দ কামরুল ইসলাম। হায়রে শিক্ষক রাজনীতি! শিক্ষক রাজনীতি থাকুক। কিন্তু তা যেন হয় শিক্ষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট। জাবির শিক্ষকরা অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত। নূ্যনতম সুবিধা তারা পান না। কিন্তু শিক্ষকরা 'অন্যায়' সমর্থন করেন, এটা কাম্য হতে পারে না। এই 'ভোটের রাজনীতি' তরুণ শিক্ষকদের জন্য কোনো 'আদর্শ' হতে পারে না। আসুন, আমরা সবাই মিলে অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা ন্যায়সঙ্গত। যায়যায়দিন-এর প্রতিবেদন তরুণ শিক্ষকদের 'দুয়ার খুলে দিক'_ আমার প্রত্যাশা এটাই।Jai Jai Din 24.11.2012

0 comments:

Post a Comment