রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

বিশ্ব রাজনীতিতে পরিবর্তন আসবে কতটুকু

গেল ২৭ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী মোট ১৭ লাখ ৬৬ হাজার ৭৯৬ জনের মৃত্যু ও জো বাইডেনের যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিজয়ের পর যে প্রশ্নটি উঠেছে, তা হচ্ছে নতুন বছরে আদৌ কি কোনো পরিবর্তন আসবে? এই দুটো বিষয় ছিল ২০২০ সালের আলোচনার অন্যতম বিষয়। কভিড-১৯ সারা বছর দাপিয়ে বেড়িয়েছে এবং নভেম্বরে এসে আমরা প্রত্যক্ষ করলাম কভিড-১৯-এর ‘দ্বিতীয় ঢেউ’। এই ‘ঢেউ’ আবারও ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হেনেছে। শুধু তাই নয়, অ্যানটার্কটিকায় এই প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে এবং সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে ২০২১ সালেও করোনাভাইরাস দাপিয়ে বেড়াবে। অন্যদিকে নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের বিজয় সহজ ছিল না। চূড়ান্ত ফলাফলে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। এর অর্থ হচ্ছে চলতি ২০২১ সাল সারা বিশ্ব তাকিয়ে থাকবে তার দিকে তিনি বিশ্বব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে পারবেন কি না, কিংবা আনলে কতটুকু পরিবর্তন আনবেন তিনি? বিশ্ব এখনো সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালে করোনাভাইরাস সারা বছরে বিশ্ববাসীকে একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যে রেখেছিল। একদিকে মৃত্যু, অন্যদিকে হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ বেডের অভাব এবং নভেম্বরে করোনাভাইরাসের ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ সারা বিশ্বকে একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। ডিসেম্বরে এসে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও তার ব্যবহারের মধ্য দিয়ে একটা আস্থার জায়গা তৈরি হলেও, উন্নয়নশীল বিশে^র দেশগুলো এই ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছে। চলতি ২০২১ সালে উন্নয়শীল বিশে^র দেশগুলোর সবাই ভ্যাকসিন পাবে, তার কোনো নিশ্চয়তা তৈরি হয়নি। এই ভ্যাকসিন উন্নত বিশ্ব ও উন্নয়নশীল বিশে^র মধ্যে একটা পার্থক্য তৈরি করেছে। চলতি ২০২১ সালের এই পার্থক্য ঘুঁচে যাবে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। স্পষ্টতই ২০২১ সালেও করোনাভাইরাস কভিড-১৯ হবে আলোচনার অন্যতম বিষয়। আমরা ২০২১ সালে দেখব এক ভিন্ন জগৎ। অর্থাৎ নতুন ধরনের এক বিশ্বায়নের জন্ম হতে যাচ্ছে, যেখানে করপোরেট হাউজগুলোর আধিপত্য থাকবে না। ধনী দেশগুলোর কর্তৃত্ব থাকবে না। ২০২১ সালে দুনিয়া প্রত্যক্ষ করবে ‘বি-বিশ্বায়নের’ নানা উদ্যোগ। এই উদ্যোগগুলো হবে আলোচনার অন্যতম বিষয়। কিছু দৃষ্টান্ত দিই। কভিড-১৯ পুরো বিশ্বব্যবস্থায় বড় সংকট সৃষ্টি করেছিল, যা কাটিয়ে ওঠা যায়নি। করোনাভাইরাস বিশে^র সর্বত্র গরিব মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে। জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত প্রতিদিনের আয় ১ দশমিক ৯০ ডলার ধরে এই আয় নিশ্চিত করতে না পারায় ২০২০ সালে লাখ লাখ লোক আরও গরিব হয়ে গেছে (২০২১ সালে পূর্ব এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে এই সংখ্যা ২৩.৪ মিলিয়ন, লাতিন আমেরিকাতে ২৯.১ মিলিয়ন, মধ্যপ্রাচ্যে ৩১.৮ মিলিয়ন ধরা হয়েছে। সূত্র : বিশ্বব্যাংক)। গরিব দেশগুলো এক ধরনের ‘ঋণের ফাঁদ’-এ পড়বে। অর্থাৎ তারা ঋণ শোধ করতে পারবে না। গরিব দেশগুলোতে ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা দেখা দেবে। বেকারত্ব বেড়ে যাবে। একে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়বে। সর্বত্র ‘ডিজিটালাইজেশন’-এর ফলে মানুষ কাজ হারাবে। বাধ্যতামূলক ছুটিতে যেতে বাধ্য হবে। কাজের ঘণ্টা কমে যাওয়ায় আয় কমে যাবে। স্বাস্থ্যসেবায় খরচ বেড়ে যাবে। স্বাস্থ্য খাতে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করায় দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়বে। বিশ্বব্যাংকের মতে, আগে যেখানে এ খাতে প্রতিদিন ব্যয় হতো ১.৯০ ডলার, এখন তা বাড়বে ৩.২০ ডলার প্রতিদিন (দক্ষিণ এশিয়া)। করোনা সময়কালে ১৬০টি দেশের ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন শিশুর স্কুলে যায়া বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে ‘শিক্ষার যে অধিকার’, তা থেকে শিশুরা বঞ্চিত হয়েছে। নতুন পরিবেশে খাপ খাইয়ে নেওয়া তাদের জন্য হবে কঠিন। কভিড-১৯-এর কারণে ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরতা বেড়েছে। কিন্তু এখানে বড় বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। ‘জেন্ডার গ্যাপ’ বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে; যা অব্যাহত থাকবে। কভিড-১৯-এর কারণে কাজের সন্ধানে মানুষ শহরমুখী হয়েছে এবং এ সংখ্যা ২০২১ সালে বাড়বে এবং শহরের পরিবেশের জন্য তা হবে ঝুঁকিপূর্ণ। গরিব দেশগুলো তাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সংকুচিত করতে বাধ্য হয়েছে এবং এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। এমনই এক পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করবেন। একদিকে যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের আস্থা এবং সেই সঙ্গে বিশ্বকে করোনা পূর্বকালীন অবস্থায় নিয়ে যাওয়া এ দুটো বিষয় থাকবে তার অগ্রাধিকার তালিকায়। একটি স্থিতিশীল বিশ্ব মানুষ দেখতে চায়। প্রত্যাশাও করে তার কাছ থেকে। তবে বাইডেনের জন্য সমস্যা আছে অনেকগুলো। এক. বিশ্ব অর্থনৈতিক অবস্থায় স্থিতিশীলতা আনা। কভিড-১৯-জনিত কারণে উন্নয়নশীল বিশে^র ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। এর পরিমাণ ২০২০ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ১৫ ট্রিলিয়ন ডলারে। এই দেশগুলো এখন আর ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না। ৮১টি দেশ আইএমএফের কাছে আবেদন করেছে অর্থছাড়ের। ২০২১ সালের শেষের দিকে এদের প্রয়োজন হবে অতিরিক্ত আরও সাত ট্রিলিয়ন ডলার। ২০২০ সালেই জাম্বিয়া ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে দেউলিয়া হয়ে গেছে। জি-২০-ভুক্ত দেশগুলো এ ব্যাপারে একটি ‘Common Framework’ রচনা করলেও, মার্কিন কংগ্রেসের সমর্থন তাতে পাওয়া যায়নি। সংগত কারণেই জো বাইডেন প্রশাসনের ভূমিকা এখানে হবে বড় (Atlantic Council, December 16, 2020)। ২. যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপ বড় ধরনের আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে পড়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। বেকার সমস্যা বেড়েছে। একমাত্র চীনে কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। চীন একমাত্র দেশ, যেখানে করোনাভাইরাস অর্থনীতিকে তেমন ক্ষতি করতে পারেনি। এটা সম্ভব হয়েছে শুধু চীনের দক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ছিল ব্যর্থ। বাইডেন প্রশাসনকে তাই কভিড-পরবর্তী সংকট মোকাবিলায় তার দক্ষতা দেখাতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক জনগোষ্ঠীর মধ্যে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে। এটা কতটুকু সফল হবে, তা দেখার বিষয়। বাইডেন প্রশাসনের জন্য যা গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে বিশ্বকে স্থিতিশীল রাখতে, এমনকি করোনামুক্ত পৃথিবীর জন্য যুক্তরাষ্ট্র-চীন সমঝোতা জরুরি। অর্থনীতির ক্ষেত্রে পরস্পর নির্ভরশীল একটা সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। করোনা-পরবর্তী বিশে^ ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্ব অর্থনীতির এক নম্বর অবস্থান থেকে ছিটকে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র। ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্ব অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান থাকবে দুই নম্বরে। চীনের অবস্থান থকবে এক নম্বরে। ভারতের বর্তমান অবস্থান (২০২০) বিশে^র ৬ নম্বরে। কিন্তু ২০৩০ ও ২০৩৫ সালে ভারতের অবস্থান থাকবে তৃতীয়। ২০৩০ সালে এই দেশগুলোর জিডিপি প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩১৭৩১ বিলিয়ন ডলার (চীন), ২২৯২০ বিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্র ও ৭৯৭২ বিলিয়ন ডলার (ভারত)। কিন্তু চীন ও যুক্তরাষ্ট্র কভিড-১৯ পরবর্তী যুগে কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে পারলেও ভারত পারবে কি না এটা একটা প্রশ্ন। কভিড যুগে ভারতের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধস নেমেছে। এ ক্ষেত্রে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যদি পরস্পর নির্ভরশীল একটা সম্পর্ক গড়ে না ওঠে, তাহলে বিশ্ব অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে। বাইডেন প্রশাসনের দায়িত্ব ও কর্তব্য তাই অনেক বেশি। বিশ্লেষকরা বাইডেন প্রশাসনের জন্য ১০টি করণীয় নির্ধারণ করেছেন, যা বিশে^ স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য যথেষ্ট। ইয়েমেন সংকট আন্তর্জাতিক পরিসরে ব্যাপক আলোচিত হলেও সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটের ইয়েমেনের বিরুদ্ধে বিমান হামলা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এই বিমান হামলায় সেখানে এক অমানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। হাজার হাজার শিশু ওষুধের অভাবে ইতিমধ্যে মারা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র সেখানে মানবিক সাহায্য শুরু করবে এই প্রত্যাশা সবার। মার্কিন কংগ্রেস একটি War Powers Resolution পাস করলেও ট্রাম্প তাতে ভেটো দেন। এই আইনের মাধ্যমে কংগ্রেস ইয়েমেনে যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্পের সৌদি আরবপ্রীতির কারণে যুদ্ধ বন্ধ করা যায়নি। বাইডেন প্রশাসনের এখন দায়িত্ব হবে সৌদি আরব ও আরব আমিরাতে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া। আরব আমিরাত লিবিয়ায় জেনারেল হাফতারের বাহিনীকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করায় লিবিয়ায় গৃহযুদ্ধের কোনো সমাধান হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রে খবধযু ষধি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওইসব দেশে কোনো অস্ত্র রপ্তানি করতে পারবে না, যে দেশগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত। অথচ এই আইন ভঙ্গ করে আরব আমিরাতের সঙ্গে ২৪ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। আমিরাত যেখানে ইয়েমেনে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত, সেখানে আইন অনুযায়ী (Leahy law) আমিরাতকে অস্ত্র বিক্রি করা যাবে না। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের Arms Export Control Act অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র কোনো দেশকে ওই দেশের নিজের নিরাপত্তা ও সীমান্ত রক্ষার জন্যই শুধু অস্ত্র বিক্রি করতে পারবে। কিন্তু সৌদি আরব ও আরব আমিরাতে বিক্রি করা অস্ত্র নিজ দেশের নিরাপত্তা স্বার্থে ব্যবহৃত হয়নি। ব্যবহৃত হয়েছে ইয়েমেনে গণহত্যায়। বাইডেন প্রশাসনকে এখন এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু কাজটি সহজ নয়। কেননা অভিযোগ আছে, সৌদি আরব ও আরব আমিরাত ইসরায়েলের স্বার্থে কাজ করছে। এখন বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলি স্বার্থের বিরুদ্ধে যেতে পারবে কি না সেটাই দেখার বিষয়। এটা ভুলে গেলে চলবে না নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হারিসের স্বামী ইহুদি ধর্মাবলম্বী এবং কমলা হারিস অতীতে একাধিকবার ইসরায়েলের স্বার্থে কথা বলেছেন। ইউটিউবে তার বক্তৃতা আছে, যেখানে কমলা হারিস ইসরায়েলের নিরাপত্তার স্বার্থে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ ও দেশটির নিরাপত্তার পক্ষে কথা বলেছেন। এখন বাইডেন কি তার ভাইস প্রেসিডেন্টকে অস্বীকার করতে পারবেন? মনে হয় না। শুধু তা-ই নয়। সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, বাহরাইনসহ কয়েকটি আরব দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের রাজনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। ট্রাম্পের এই নীতি ইসরায়েলে জনপ্রিয় হলেও ফিলিস্তিনিরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর করে ট্রাম্প ইসরায়েলের সরকারি সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছিলেন। অথচ ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিশ্চিত করার ব্যাপারে তিনি কোনো উদ্যোগ নেননি। ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যের নীতি ছিল প্রো-ইসরায়েলি, অর্থাৎ ইসরায়েলঘেঁষা। কিন্তু বাইডেন কি তা করবেন? বাইডেনের জন্য একটা সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে একটি বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করার। তিনি কী করবেন, সেটাই দেখার বিষয়। মধ্যপ্রাচ্য সংকটের সঙ্গে ইরান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের সঙ্গে ছয় জাতি পারমাণবিক চুক্তি (JCPOA) থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত জার্মানি মেনে নেয়নি। অথচ জার্মান JCPOA ev Joint comprehensive plan of Action -এর সদস্য। এখানে প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র আবারও ঔঈচঙঅ চুক্তিতে ফিরে যাবে। ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে কিছু অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছিল। ইরান কভিড-১৯ মোকাবিলায় আইএমএফ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্পের বিরোধিতার কারণে এই পরিমাণ অর্থ ছাড়করণ হয়নি। এখন বাইডেন যদি অর্থ ছাড়করণের অনুমতি দেন, তাহলে তা দুদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছুটা অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। কভিড-১৯ মোকাবিলা আর বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতি এই দুটো বিষয়কে ঘিরে আবর্তিত হবে ২০২১ সালের বিশ্ব রাজনীতি। এ ক্ষেত্রে বাইডেন কী ভূমিকা নেন, সেটাই হচ্ছে মূল বিষয়। তবে তিনি ট্রাম্প অনুসৃত নীতি থেকে বেরিয়ে আসবেন এটাই প্রত্যাশা করছেন সবাই। Desh Rupantor 3.1.2021

0 comments:

Post a Comment