রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

জো বাইডেন ও যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ রাজনীতি

আজ বুধবার ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণ করবেন জো বাইডেন। তিনি ডেমোক্র্যাটদলীয় এবং ওবামার পর (২০০৯-১৭) একজন ডেমোক্র্যাট হিসেবে আবার হোয়াইট হাউজে যাচ্ছেন। ইতিহাস বলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম ডেমোক্র্যাটদলীয় নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন সপ্তম প্রেসিডেন্ট এন্ড্রু জ্যাকসন (১৮২৯-৩৭)। এর আগের ছয়জন প্রেসিডেন্টের পরিচিত ছিল ফেডারেলিস্ট পার্টি তথা ডেমোক্রেটিক-রিপাবলিকান পার্টির প্রতিনিধি হিসেবে। তবে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাইডেনের পার্থক্য এখানেই যে, ট্রাম্প কোনো দিন নির্বাচিত কোনো জনপ্রতিনিধি ছিলেন না। তিনি ব্যবসায়ী, প্রচুর অর্থের মালিক। আর অনেকটা অর্থের জোরেই তিনি রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থিতা নিশ্চিত করে ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদলীয় প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করেছিলেন। কিন্তু জো বাইডেন একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে আট বছর দায়িত্ব পালন করার আগে তিনি ১৯৭৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দেলাওয়ারা স্টেট থেকে নির্বাচিত একজন সিনেটর ছিলেন। মাত্র ২৯ বছর বয়সে তিনি সিনেটর নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে ছিলেন এবং এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর অর্থ হচ্ছে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রেও তিনি যথেষ্ট অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, যা ট্রাম্পের ছিল না। তবে তার আজকের শপথগ্রহণের কাজটি ‘সুখের’ হচ্ছে না। কারণ ৩ নভেম্বরের (২০২০) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত দুমাসে একের পর এক যেসব ঘটনা ঘটে চলছিল, তা খোদ যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে কলঙ্কিত করেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনে হেরে গেলে, এটা মানতে তিনি অস্বীকৃতি জানান। তিনি আইনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। মোট ৬৩টি মামলা হয়েছিল নির্বাচনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে। তার মধ্যে একটিতে তার পক্ষে রায় পড়ে, বাকি ৬২টিতে তিনি হেরে যান। এরপর ঘটে ইতিহাসের এক কেলেঙ্কারি ট্রাম্প তার সমর্থকদের প্ররোচিত করেন সংসদ ভবন (ক্যাপিটল হিল) দখল করতে। ৬ জানুয়ারি তার সমর্থকরা সীমিত সময়ের জন্য এটি দখল করে নেয়। ওই ঘটনায় চারজন নিহত হন। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত করে প্রতিনিধি পরিষদ তাকে ‘ইমপিচ’ করে (যদিও সিনেটে তিনি ‘ইমপিচড’ হননি)। ইতিহাসে তিনি একমাত্র প্রেসিডেন্ট, যিনি দু-দুবার ‘ইমপিচড’ বা অভিশংসিত হলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির জন্য এটা একটা খারাপ খবর নিঃসন্দেহে। এমনই এক পরিস্থিতিতে সমগ্র মার্কিন সমাজ যখন দ্বিধাবিভক্ত, ঠিক তখনই জো বাইডেন শপথ নেবেন আজ। আরও একটি খারাপ খবর হচ্ছে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের অনুপস্থিতি। এটা একটা ‘কনভেনশন’ যে, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন। ট্রাম্প আজ থাকবেন না। এটা শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের যে সৌন্দর্য, তা ম্লান করল। যুক্তরাষ্ট্রের গত ১৫০ বছরের ইতিহাসে ট্রাম্প হচ্ছেন পঞ্চম প্রেসিডেন্ট, যিনি নয়া প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকছেন না। এর আগে জন অ্যাডামস, জন কুইন্সি অ্যাডামস, মার্কিন ভন ব্যুরেন এবং এন্ড্রু জনসনও নয়া প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকেননি। জন অ্যাডামস (দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট, ১৭৯৭-১৮০১) নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন থমাস জেফারসনের (তৃতীয় প্রেসিডেন্ট) কাছে। তার সন্তান জন কুইন্সি অ্যাডামস (ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট, ১৮২৫-২৯) হেরে গিয়েছিলেন এন্ড্রু জ্যাকসনের (সপ্তম) কাছে। মার্টিন ভন ব্যুরেন (অষ্টম প্রেসিডেন্ট, ১৮৩৭-৪১) হেরে গিয়েছিলেন উইলিয়াম হেনরি হ্যারিসনের কাছে (নবম প্রেসিডেন্ট) এবং এন্ড্রু জনসন (১৭তম প্রেসিডেন্ট, ১৮৬৫-৬৯) হেরে গিয়েছিলেন উইলিসিস গ্রান্টের কাছে (১৮তম প্রেসিডেন্ট)। হেরে গিয়ে এরা কেউই নয়া প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেননি। তবে উড্রো উইলসনের ব্যাপারটি ছিল ভিন্ন। তিনি ১৯১৩-২১ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন (২৮তম প্রেসিডেন্ট)। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ওয়ারেন গামালিয়েন হাডিংয়ের শপথ অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। কেননা তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। জো বাইডেন একজন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন রাজনীতিবিদ। তার সামনে চ্যালেঞ্জ অনেকগুলো। প্রথম চ্যালেঞ্জটি হচ্ছে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। তিনি ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলারের একটি আর্থিক প্যাকেজের কথা ঘোষণা করেছেন। যাকে তিনি বলছেন, ,Amercan Rescue Plan’। এর আওতায় ব্যক্তিকে আর্থিক সহায়তা, ভ্যাকসিন ক্রয়ে অর্থ বরাদ্দ, স্টেট সহায়তা অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু কভিড-১৯ মোকাবিলার কাজটি তিনি অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে করতে পারবেন যদি তিনি সামরিক খাতে যে ব্যয় বরাদ্দ, তা কমান। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বাজেট ৭২১.৫ বিলিয়ন ডলার। Statista আমাদের জানাচ্ছে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ করা অর্থ দিয়ে স্বাস্থ্যসেবায় নিম্নলিখিত কাজগুলো করা যায় : ১) একটি Virginia সাবমেরিনের বিনিময়ে (মূল্য ২৮০০ মিলিয়ন) ৯,১৮০টি পূর্ণ অ্যাম্বুলেন্স ক্রয়, ২)Fremm ধরনের ফ্রিগেট (৯৩৬ মিলিয়ন) এর বদলে ১০,৬৬২ জন ডাক্তারের বেতন, ৩) ঋ-৩৫ যুদ্ধবিমানের (৮৯ মিলিয়ন) পরিবর্তে ৩,২৪৪ আইসিইউ বেড ক্রয়, ৪)Trident II ও মিসাইলের (৩১ মিলিয়ন) পরিবর্তে ১৭ মিলিয়ন মাস্ক কেনা, ৫) Leopard ২ ধরনের ট্যাংকের বদলে ৪৪০টি ভেন্টিলেটর কেনা যায় (April 27, 2020)। তথ্য ও উপাত্ত যাই থাকুক না কেন, বাস্তবতা হচ্ছে বাইডেন প্রশাসন কখনোই প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দ কমাতে পারবেন না। যুক্তরাষ্ট্র ২০০১ সালের পর আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়াযুদ্ধে জড়িয়ে গিয়েছিল। ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মতে এই যুদ্ধে খরচ হয়েছিল ৬.৪ ট্রিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮টি দেশে তাদের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। বিপুল অর্থ ব্যয় হয় এসবের পেছনে। সুতরাং কভিড-১৯ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা খাতে আদৌ অর্থ বরাদ্দ কমাবে কি নাসেটাই বড় প্রশ্ন এখন। উগ্র শে^তাঙ্গবাদের জন্ম দিয়ে ট্রাম্প মার্কিন সমাজকে দ্বিধাবিভক্ত করে ফেলেছিলেন। এখন ট্রাম্প না থাকলেও এই উগ্র শে^তাঙ্গবাদ বা কোনো কোনো পর্যবেক্ষকের মতে ‘ট্রাম্পইজম’ থেকে যাবে সমাজে। সমাজ থেকে এই ট্রাম্পইজম, উৎখাত করা চাট্টিখানি কথা নয়। উপরন্তু সিনেট যদি বাইডেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পর ট্রাম্পকে ‘ইমপিচ’ না করে, তাহলে ২০২৪ সালের পববর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার আবার প্রার্থী হওয়া আটকানো যাবে না। ইতিহাসে এ ধরনের দৃষ্টান্ত আছে। হোয়াইট হাউজ থেকে বিদায় নিলেও ট্রাম্প সক্রিয় থাকবেন এবং তার সমর্থকদের তিনি সংগঠিত করতে চেষ্টা করবেন। বাইডেনের জন্য এটা একটা চ্যালেঞ্জ। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে আগের জায়গায় নিয়ে আসা একটি বড় চ্যালেঞ্জ বাইডেনের জন্য। করোনার কারণে হাজার হাজার লোক চাকরি হারিয়েছে। এদের জন্য একটা আস্থার জায়গা তৈরি করা দরকার। চাকরি নেই। ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা। পরিসংখ্যান আমাদের জানাচ্ছে, ১৯৩৩ সালে সর্বোচ্চ ২৪.৯ শতাংশ ছিল বেকারত্বের হার। ১৯৪৪ সালে ছিল সবচেয়ে কম, ১.২ শতাংশ। কভিড-১৯-এর কারণে (২০২০), তা ১০.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে (howmuch.net)। ২০২১ সালে বাইডেন অর্থনীতির চাকা কতটুকু ঘোরাতে পারবেন, সেটাই বড় প্রশ্ন। চীনের সঙ্গে ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’-এর যদি সমাপ্তি না হয়, তাহলে অর্থনীতির চাকাও ঘুরবে না। পাঠকদের জানিয়ে রাখি, চীনের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ এখন ১.০৫ ট্রিলিয়ন ডলার (মোট বৈদেশিক ঋণ ৭.০৭ ট্রিলিয়ন ডলার)। এটাও একটা সংকট তৈরি করতে পারে। কভিড-১৯ বিশ্বায়নকে পেছনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিশ্বায়ন যে প্রত্যাশার সৃষ্টি করেছিল, তা পূরণ করতে পারেনি। অমর্ত্য সেন কভিড-১৯-পরবর্তী বিশ্বে যে ‘নতুন পৃথিবীর’ কথা বলছেন, সেখানে স্পষ্টতই চীন একটি বড় ভূমিকা পালন করতে যাচ্ছে। চীনের নেতৃত্বে বিশ্বায়নের যে প্রক্রিয়া শুরু হবে, সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কী হবে, এ ব্যাপারেও লক্ষ থাকবে অনেকের। চীনের নেতৃত্বে একটি ‘ভ্যাকসিন সিল্ক রোড’-এর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর বিস্তারিত আমরা জানি না। তবে আমরা জানি কভিড-পরবর্তী যুগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন সমঝোতা জরুরি। সাম্প্রতিককালে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন কিশোর মাহাবুবানি, যিনি ঐধং পযরহধ ড়িহ গ্রন্থটি লিখে বড় ধরনের ঝড় তুলেছেন। সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এই শিক্ষক বাইডেন প্রশাসনের স্ট্র্যাটেজি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে লিখেছেন, ‘In the Process, it will also find a more intelligent and thoughtful strategy towards China that would bring back many of America’s allies and friends’। স্পষ্ট বক্তব্য। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে হবে, যা ট্রাম্প নষ্ট করেছিলেন, যাতে করে যুক্তরাষ্ট্র তার পুরনো বন্ধুদের ফিরিয়ে আনতে পারে। একুশ শতক হচ্ছে চীনের। Asian Century-এর কথা বিভিন্ন মহলে আলোচিত হচ্ছে। ঊনিশ শতক ছিল ব্রিটেনের। বিশ শতক ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। আর একুশ শতক হবে এশিয়ার। এশিয়ার তিনটি বড় অর্থনীতি, চীন, ভারত ও জাপান আগামী দিনের বিশ^ রাজনীতি নির্ধারণ করবে। ১৯৫০ সালে বিশ্বে যত মানুষ বসবাস করত, তার অর্ধেক বাস করত এশিয়ায়। কিন্তু বিশ্ব অর্থনীতির মাত্র ২০ ভাগ ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু ২০২০ সালে এসে ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে (পিপিপি) এশিয়ার মোট অর্থনীতি বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মোট অর্থনীতির চেয়ে বেশি। ফলে বাইডেনের আগামী চার বছর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে চীনসহ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল। আশার কথা, বাইডেন এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে নয়া মার্কিননীতি প্রণয়নের জন্য একজন ঝানু কূটনীতিক কুর্ট ক্যাম্পবেলকে নিয়োগ দিয়েছেন। বাইডেন নিজে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অভিজ্ঞ। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য যে নীতি প্রণয়ন করেছিলেন, তার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল চীন। ভারত মহাসাগরে চীনের উপস্থিতিকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ভারতের সঙ্গে কৌশলগত চুক্তি (QUAD-কে (Quod Rilateral Security Dialogue,, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে একটি সামরিক জোট) সক্রিয় করা ইত্যাদির মাধ্যমে ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে নতুন করে এক ধরনের i Containment Policy (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে একই নীতি নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র) প্রণয়ন করেছিলেন। এখন বাইডেন সে ‘অবস্থান’ থেকে বেরিয়ে আসবেন কি না সেটাই দেখার বিষয়। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিস সম্প্রতি একটি প্রবন্ধ লিখেছেন। প্রবন্ধের শিরোনাম ‘Whither America? (Project Syndicate ‘কোথায় আমেরিকা’? তার সমাপনী মন্তব্য, ‘যে অবস্থায় ট্রাম্প আমেরিকাকে রেখে যাচ্ছেন, তা কাটিয়ে উঠতে একজন প্রেসিডেন্ট বাইডেন নয়, বরং বেশ কয়েকটি প্রেসিডেনশিয়াল টার্মের প্রয়োজন হবে’ (১২ জানুয়ারি)। আরেকজন অর্থনীতিবিদ নওরেল রউবিনিও মন্তব্য করেছেন এভাবে ‘America is the new center of global Instability’ (ওই)। তার বক্তব্য স্পষ্ট যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম অস্থিতিশীল একটি কেন্দ্রে পরিণত হতে যাচ্ছে! ‘ট্রাম্পইজম’ ফিরে আসার আশঙ্কাও তিনি দেখছেন। নিঃসন্দেহে এ ধরনের মন্তব্য নয়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিন্তার খোরাক জোগাবে। প্রশ্ন হচ্ছে, গত চার বছরের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি কতটুকু শিখেছেন? বলার অপেক্ষা রাখে না বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য এখন অনেক বেশি। Desh Rupantor 20.1.2021

0 comments:

Post a Comment