রাজনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ সংক্রান্ত অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রেহমানের একটি ওয়েবসাইট। লেখকের অনুমতি বাদে এই সাইট থেকে কোনো লেখা অন্য কোথাও আপলোড, পাবলিশ কিংবা ছাপাবেন না। প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন লেখকের সাথে

বাইডেনের প্রেসিডেন্সি ও একটি বিভক্ত সমাজ

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০ জানুয়ারি বুধবার শপথ গ্রহণ করবেন। কিন্তু তার আগেই একের পর এক যেসব ঘটনা ঘটে চলেছে, তা খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তিকে একটি প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এ ভাবমূর্তি উদ্ধারে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট কী ধরনের সিদ্ধান্ত নেন, সেটাই দেখার বিষয়। ৩ নভেম্বর যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তাকে বারবার প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। নির্বাচকমণ্ডলীর ভোটে ব্যাপক ব্যবধানে হেরে যান ট্রাম্প। কিন্তু এরপর থেকেই ঘটতে থাকে একের পর এক নাটকীয় ঘটনা। তিনি বলার চেষ্টা করেন নির্বাচনে তার ‘বিজয়’ ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে! বিষয়টি নিয়ে তিনি কোর্টে পর্যন্ত যান। কিন্তু কোনো কোর্টেই ট্রাম্পের সমর্থকদের ‘ভোট কারচুপির’ বক্তব্য গ্রহণ করা হয়নি। এরপর ট্রাম্প তার সমর্থকদের কংগ্রেস ভবন ‘ক্যাপিটল হিল’ দখল করার আহ্বান জানান। এ ধরনের ঘটনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে। শত শত লোক পুলিশ বেষ্টনী ভেঙে গত ৬ জানুয়ারি কংগ্রেস ভবন দখল করে নিয়েছিল। এটা ছিল অকল্পনীয় ঘটনা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো গণতান্ত্রিক সমাজে পরাজিত একজন প্রার্থী এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারেন, তা কেউই চিন্তা করেননি। কিন্তু ট্রাম্পের মতো একজন প্রেসিডেন্ট এ কাজটি করলেন। তিনি যে তার সমর্থকদের উসকে দিয়েছিলেন, এর প্রমাণও আছে। এমনকি এ ঘটনায় ট্রাম্প ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়লেও প্রকাশ্যেই ঘোষণা করেন-তিনি কোনো অন্যায় করেননি। ওই ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ দ্বিতীয়বারের মতো তাকে ‘ইমপিচ’ করার উদ্যোগ নেয়। অবশ্য প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয় সংবিধানের ২৫নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রেসিডেন্টকে ‘অব্যাহতি’ দিয়ে সাময়িকভাবে ভাইস প্রেসিডেন্টের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়ে। এ ব্যাপারে প্রতিনিধি পরিষদের গৃহীত একটি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভাইস প্রেসিডেন্টকে দায়িত্ব গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি একটি চিঠি দিলেও পেন্স তা প্রত্যাখ্যান করেন। পরে ট্রাম্পকে ‘ইমপিচ’ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রতিনিধি পরিষদের সভায় শেষ পর্যন্ত ২৩২-১৯৭ (৫ জন ভোট দেননি) ভোটে ট্রাম্পকে ‘ইমপিচ’ করা হয় দ্বিতীয়বারের মতো। ‘ইমপিচমেন্ট’-এর সিদ্ধান্তে বলা হয়, ‘He (Trump) threatened the integrity of the democratic system, interfered with peaceful transition of power, and imperiled a coordinate branch of government.’ তবে চূড়ান্ত বিচারে ট্রাম্প ‘ইমপিচড’ বা অভিশংসিত হবেন না। কেননা, সিনেটের মেজরিটি লিডার মিচ ম্যাককনেল জানিয়ে দিয়েছেন-অভিশংসন বিষয়ে সিনেটে কোনো ভোটাভুটি হবে না। ফলে চূড়ান্ত বিচারে ট্রাম্প অভিশংসিত হচ্ছেন না; তবে নিঃসন্দেহে নয়া প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করার মাত্র এক সপ্তাহ আগে প্রতিনিধি পরিষদে তার অভিশংসনের ঘটনা ট্রাম্পের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সবার দৃষ্টি এখন ২০ তারিখের দিকে। ওইদিন ট্রাম্প সমর্থকরা বড় বিক্ষোভ করতে পারে। শপথের দিন বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কাও করছেন অনেকে। যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্রের জন্য এ মুহূর্তে সমস্যা দুটি-বর্ণবাদ ও গুন্ডাতন্ত্র। বর্ণবাদের ইতিহাস অনেক পুরোনো। মার্টিন লুথার কিং এ বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে ইতিহাসের পাতায় তার নাম লিখিয়েছিলেন। কিন্তু বর্ণবাদ এখনো আছে। আর ট্রাম্প এ বর্ণবাদকে উসকে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয়ত, তার আমলে তিনি উচ্ছৃঙ্খল জনগোষ্ঠীকে (যারা তার সমর্থক) নিয়ে তিনি আলাদা একটি ক্ষমতার বলয় সৃষ্টি করেছিলেন, যারা প্রচলিত আইন ও আইনের শাসনকে চ্যালেঞ্জ করতে শুরু করেছিল। আর এভাবেই ট্রাম্প ‘মার্কিনি গণতন্ত্র’কে জিম্মি করেছিলেন। আব্রাহাম লিংকন যাকে বলেছিলেন Mob rule অর্থাৎ উচ্ছৃঙ্খল জনগোষ্ঠীর শাসন; সেই ‘শাসন’ই প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। গেল বছর মিনিয়াপোলিস থেকে পোর্টল্যান্ড (ওরিগন) শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীর গুন্ডাতন্ত্র প্রত্যক্ষ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ। এর প্রতিবাদে জন্ম হয়েছিল ‘ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটারস’ আন্দোলনের, যে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল আটলান্টিকের ওপারে ইউরোপের দেশগুলোয়ও। আর এভাবেই ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদকে উসকে দিয়েছিলেন। এটা ঠিক, যুক্তরাষ্ট্রের সমাজে বর্ণবাদ যে কত শক্তভাবে অবস্থান করছে; ২৫ মে (২০২০) জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ড ছিল তার সর্বশেষ উদাহরণ। এ বর্ণবাদ নিয়ে শত শত গবেষণাপত্র ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। এসব গবেষণাপত্রে দেখা যায়, প্রতিটি ক্ষেত্রে কৃষ্ণাঙ্গরা শ্বেতাঙ্গদের চেয়ে পিছিয়ে আছে। ইতিহাস বলে, ১৬১৯ সালে আজকের যে ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্য, সেখানে প্রথম আফ্রিকান নাগরিকদের দাস ব্যবসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। পর্তুগিজ দাস ব্যবসায়ীরা আজকের অ্যাঙ্গোলা থেকে কৃষ্ণাঙ্গদের চুরি করে নিয়ে এসেছিল। পরে সাগরে ব্রিটিশ ডাকাতরা পর্তুগিজ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তাদের ছিনিয়ে নিয়েছিল। এর পরের ইতিহাস সবাই জানে-কৃষ্ণাঙ্গরা যুক্তরাষ্ট্রে দাস হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ১৮৬৫ সালে এই দাস ব্যবসার বিলুপ্তি ঘোষণা করা হলেও কৃষ্ণাঙ্গদের (মোট জনসংখ্যার ১৩ ভাগ) জীবনযাত্রার মানের কোনো উন্নতি হয়নি। কৃষ্ণাঙ্গরা প্রতিটি ক্ষেত্রে, শিক্ষায়, চাকরিতে, ব্যবসায় আজও অবহেলিত। এমনকি করোনাভাইরাসে তুলনামূলক বিচারে কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠীর মৃত্যুর হার শ্বেতাঙ্গদের চেয়ে বেশি। কৃষ্ণাঙ্গদের অনেকেরই কোনো ‘স্বাস্থ্যবিমা’ নেই। ফলে অবহেলা, বিচার না পাওয়া, বেকারত্ব, অবর্ণনীয় জীবনযাপন কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠীকে বারবার রাস্তায় টেনে নিয়ে এসেছে। কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বারবার সমতা বজায় রাখা ও তাদের জীবনযাত্রার মানের উন্নতির দাবি জানানো হলেও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি। কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে ক্ষোভ ছিল, তাই আবারও সেটা বিস্ফোরিত হয়েছিল। জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু ২০১৪ সালে নিউইয়র্কে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক এরিক গার্নারের মৃত্যুর কথাই স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল। পুলিশ যখন গার্নারের গলা চেপে ধরেছিল, গার্নারকেও বলতে শোনা গিয়েছিল ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না।’ জর্জ ফ্লয়েডও একই প্রক্রিয়ায় একই কথা বলেছিলেন এবং পুলিশ হেফাজতে মারা গিয়েছিলেন। পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর খবরটিও সামনে চলে এসেছে। ‘ম্যাপিং পুলিশ ভায়োলেন্স’-এর তথ্যমতে, ২০১৯ সালে পুলিশ হেফাজতে যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছেন ১ হাজার মানুষ; যাদের মধ্যে শতকরা ২৪ ভাগ কৃষ্ণাঙ্গ। অথচ জনসংখ্যার মাত্র ১৩ ভাগ কৃষ্ণাঙ্গ; কিন্তু পুলিশ হেফাজতে তাদের মৃত্যুহার বেশি। এমনকি ১৯৮০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত যারা জেলে ছিলেন, তাদের ওপর জরিপ চালিয়ে দেখা যায়- জেলে বন্দি জনগোষ্ঠীর ৩৪ ভাগই কৃষ্ণাঙ্গ। গবেষণায় দেখা গেছে, পুলিশ হেফাজতে যুক্তরাষ্ট্রে ব্রিটেনের চেয়ে ৬ ভাগ আর জার্মানির চেয়ে ৪ ভাগ বেশি মানুষ মারা যায়। আরও দুঃখজনক খবর হচ্ছে, ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পুলিশ নির্যাতনের (যুক্তরাষ্ট্রে) ঘটনায় শতকরা ৯৯ ভাগ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের আদৌ কোনো বিচার হয়নি। বর্ণবাদ যুক্তরাষ্ট্রের সমাজকে বিভক্ত করেছে। বলা হচ্ছে, ‘মহামারির মধ্যে এ বর্ণবাদ আরেকটি মহামারি’। দুঃখজনক হচ্ছে এটাই-যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ২৪৪ বছরের ইতিহাসে জনগোষ্ঠীর একটা অংশকে তাদের ন্যূনতম অধিকারের দাবিতে এখনো আন্দোলনে নামতে হয়। তবে এবারের আন্দোলনের চরিত্র ছিল একটু ভিন্নতর। এ আন্দোলন একটি বৈশ্বিক রূপও পেয়েছিল। লন্ডনসহ বিশ্বের বড় বড় শহরে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। নয়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জন্য এটা হবে একটা চ্যালেঞ্জ-তিনি কীভাবে কৃষ্ণাঙ্গদের আস্থায় নেবেন। ট্রাম্প যেভাবে মার্কিন সমাজকে বিভক্ত করে ফেলেছিলেন, এ থেকে মার্কিন সমাজ কীভাবে বেরিয়ে আসবে-সেটা এ মুহূর্তে একটা বড় প্রশ্ন। একদিকে ‘হোয়াইট সুপ্রিমেসি’-শ্বেতাঙ্গ আধিপত্য ও এ আধিপত্যকে কেন্দ্র করে উগ্র শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদের জন্ম; অন্যদিকে অবহেলিত কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠী-এ দুয়ের মাঝে তিনি কীভাবে সমন্বয় করবেন? তাকে উভয় সম্প্রদায়কেই আস্থায় নিতে হবে। বাইডেনের জন্য এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ট্রাম্পের অনেক নীতি বিশ্ব আসরে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বেশ নষ্ট করেছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে কোভিড-১৯-এর ‘দ্বিতীয় ঢেউ’। এই নিবন্ধ যখন লিখছি, তখন যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯-এ মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩,৯৩,৯২৮ জন আর আক্রান্ত ২,৩৬,১৬,৩৪৫ জন (১৪ জানুয়ারি)। বিশ্বের বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র। অথচ ট্রাম্পের ভ্রান্তনীতির কারণে করোনাভাইরাসকে মোকাবিলা করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। আফগান আগ্রাসনের পর থেকে (২০০১ থেকে) যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধের পেছনে খরচ করেছে ৬.৪ ট্রিলিয়ন ডলার। আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়াতে যুদ্ধে এই অর্থ খরচ হয়েছে (সিএনবিসি, ২০ নভেম্বর, ২০১৯)। একটি নিউজ পোর্টালের মতে, এই যুদ্ধে ইরাকের মারা গেছে ১৪,৫৫,৫৯০ জন আর মার্কিন সেনা মারা গেছে ৪৮০১ জন। অন্যান্য দেশের সেনা মৃত্যুর সংখ্যা ৩,৪৮৭ জন। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে আইসিইউ বেড ও ভেন্টিলেটরের অভাবে হাজার হাজার মানুষ মারা গেল, সেখানে যুদ্ধে খরচ হয়ে গেল ৬.৪ ট্রিলিয়ন ডলার। এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে কত ভেন্টিলেটর কেনা যেত? নিউইয়র্কের গভর্নর কুমো বলেছেন, সংকটের সময় একটি ভেন্টিলেটরের দাম ৫০ হাজার ডলারে পর্যন্ত উন্নীত হয়েছিল। অথচ মাত্র ৩ হাজার ডলার দিয়ে একটি ভেন্টিলেটর তৈরি করা সম্ভব। বাইডেনকে তাই এদিকে নজর দিতে হবে। করোনার সময় অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। চাকরির বাজার সৃষ্টি করা বাইডেনের জন্য হবে আরেকটি চ্যালেঞ্জ। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৩৩ সালে সর্বোচ্চ ২৪.৯ ভাগ ছিল বেকারত্বের হার। ১৯৪৪ সালে ছিল সবচেয়ে কম, ১.২ ভাগ। কোভিড-১৯-এর কারণে (২০২০) তা ১০.৩ ভাগে দাঁড়িয়েছে (howmuch.net)। ২০২১ সালে বাইডেন অর্থনীতির চাকা কতটুকু ঘোরাতে পারবেন, সেটাই বড় প্রশ্ন। চীনের সঙ্গে ‘বাণিজ্যযুদ্ধের’ যদি সমাপ্তি না হয়, তাহলে অর্থনীতির চাকাও ঘুরবে না। পাঠকদের জানিয়ে রাখি, চীনের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ এখন ১.০৫ ট্রিলিয়ন ডলার (মোট বৈদেশিক ঋণ ৭.০৭ ট্রিলিয়ন ডলার)। এটাও একটা সংকট তৈরি করতে পারে। কোভিড-১৯ বিশ্বায়নকে পেছনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিশ্বায়ন যে প্রত্যাশার সৃষ্টি করেছিল, তা পূরণ করতে পারেনি। অমর্ত্য সেন কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বে যে ‘নতুন পৃথিবীর’ কথা বলছেন, সেখানে স্পষ্টতই চীন একটি বড় ভূমিকা পালন করতে যাচ্ছে। চীনের নেতৃত্বে বিশ্বায়নের যে প্রক্রিয়া শুরু হবে, সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কী হবে, এ ব্যাপারেও মনোযোগ থাকবে অনেকের। চীনের নেতৃত্বে একটি ‘ভ্যাকসিন সিল্ক বোর্ড’-এর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর বিস্তারিত আমরা জানি না। ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে একটি বড় পরিবর্তন এনেছিলেন। এটা এখন কোন পর্যায়ে যায়, তা-ও দেখার বিষয়। সব মিলিয়ে বাইডেনের প্রেন্সিডেন্সি হবে ২০২১ সালের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। Jugantor 18.1.2021

0 comments:

Post a Comment